06-10-2024, 10:22 PM
পর্ব: ১১
---ও মা দেখো লাট্টু কেমন বইগুলো ছিঁড়ে ফেলল!
সুচি রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে বলল---লাট্টু, বদমায়েশি করিস না। দাদা পড়ছে।
অংশু বাড়িতে এই দুটো ছেলে আসা থেকে বিরক্ত। বড়টা মায়ের ন্যাওটা। মায়ের আঁচল চিবিয়ে চিবিয়ে পিছু নেবে গোটা ঘর। মা রান্নাঘরে এখন, ও'ঠিক মায়ের পিছু পিছু ও ঘরে। ছোটটা ভারী দুষ্টু। এটা ওটা টানাটানি করে দু' দিনেই ভেঙে ফেলেছে বাবার সৌখিন ঘড়ি, ড্রয়িং রুমের ফ্লাওয়ার ভ্যাস।
খাবার সময়ও কেমন ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে। মা ওদের আদর যত্ন করে খাওয়ায়। দুটোতেই হাতে খেতে পারে না। কালো কালো নোংরা বদনের ছেলে দুটোকে মা হাতে করে খাইয়ে দেয়। আজ সকালেই নাপিত ডাকিয়ে দুটোর চুল কাটিয়ে দেবে বলছিল মা। বাবা বলেছিল---সুচি, এবার সামলাও। কলেজ সামলাবে নাকি এ' দুটোকে।
অংশু লক্ষ্য করে মায়ের অবশ্য বিরক্তি হয় না। বরং বাড়তি স্নেহ দিয়ে ওদের আদর যত্ন করছে। অংশুদের দোতলার দক্ষিণমুখো ঘরটায় এখন ওই দুটোকে শোয়ায় মা। ঐ ঘর অনেকদিন ধরে অব্যবহৃত। অংশুর ঠাকুমা ঐ ঘরে থাকতেন।
বিট্টুটা মাকে মাসি বলে ডাকলেও লাট্টুটা মা বলেই ডাকে। তার দেখাদেখি আজ সকাল থেকে বিট্টুও মা বলা শুরু করেছে। মা হেসে ওদের বলে---তোদের যা ইচ্ছে হয় ডাক।
অংশুর অবশ্য ব্যাপারখানা একদম নাপসন্দ। তার মায়ের ভাগ সে অন্য কাউকে দেবে কেন। যদিও সে অনেক বড় হয়েছে, তবুও মা তো তারই। কোথাকার কে এসে 'মা-মা' ডেকে ঘরে উৎপাত করবে একদম পছন্দ নয় অংশুর।
***
জয়ন্ত রুগী দেখতে ব্যস্ত। আজই ডঃ মিত্র বললেন স্বাস্থ্য দপ্তর ডঃ মৃণ্ময় নাগকে ট্রান্সফার করেছে। অবশেষে সরকার যে একটা ব্যবস্থা নিল এতে বেশ খুশি জয়ন্ত।
জয়ন্তের ফোনট বাজছে। বর্তমানের রুগী তরুণ যুবক। খিদিরপুরের দিকে বাড়ি। গতবছর মারাত্মক বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু মুখ থেকে ফিরেছে। রুটিন চেক আপে এসেছে। রুগীকে ছেড়ে পরবর্তী রুগীকে না ডেকে ওয়ার্ড বয়কে বললেন---আর ক'জন?
---তিন জন, স্যার।
জয়ন্ত ওকে হাত দেখিয়ে থামতে বলল। ফোনটা ঘুরিয়ে করল জয়ন্ত।
----কি হল? ফোন ধরছেন না?
মিতার মোহনীয় স্বরে মুগ্ধ জয়ন্ত বলল---না। আসলে ডিউটিতে আছি।
---ওঃ সরি সরি। ডাক্তারবাবুকে তাহলে ভুল সময়ে ফোন করলাম। আমি তাহলে এখন রাখছি।
---আরে না না। বলো মিতা।
মিতার গলায় আড়ষ্টতা। সে বলল---আমি আসলে আপনার হসপিটালের কাছেই আছি।
---কেন কি হয়েছে? মিঃ ঘোষ কি অসুস্থ হয়ে পড়লেন নাকি?
---না, না। উনি ঠিক আছেন। আমি এসেছিলাম আমার এক বান্ধবীর বাড়ি কাছে পিঠেই, তার সাথে দেখা করতে। ভাবলাম আপনার এত কাছে...
জয়ন্ত হাসলো। বলল---তুমি হাসপাতালের গেটে চলে এসো। আমার আর অল্প কয়েকজন পেশেন্ট রয়েছে। তারপর...
মিতাও ঈষৎ কামর্তভাবে বলল---তারপর...
---তারপর তোমাকে চেক করব?
---ওমা! কোথায়?
---কাছে পিঠে কোনো হোটেলে...
***
---ও মা দেখো লাট্টু কেমন বইগুলো ছিঁড়ে ফেলল!
সুচি রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে বলল---লাট্টু, বদমায়েশি করিস না। দাদা পড়ছে।
অংশু বাড়িতে এই দুটো ছেলে আসা থেকে বিরক্ত। বড়টা মায়ের ন্যাওটা। মায়ের আঁচল চিবিয়ে চিবিয়ে পিছু নেবে গোটা ঘর। মা রান্নাঘরে এখন, ও'ঠিক মায়ের পিছু পিছু ও ঘরে। ছোটটা ভারী দুষ্টু। এটা ওটা টানাটানি করে দু' দিনেই ভেঙে ফেলেছে বাবার সৌখিন ঘড়ি, ড্রয়িং রুমের ফ্লাওয়ার ভ্যাস।
খাবার সময়ও কেমন ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে। মা ওদের আদর যত্ন করে খাওয়ায়। দুটোতেই হাতে খেতে পারে না। কালো কালো নোংরা বদনের ছেলে দুটোকে মা হাতে করে খাইয়ে দেয়। আজ সকালেই নাপিত ডাকিয়ে দুটোর চুল কাটিয়ে দেবে বলছিল মা। বাবা বলেছিল---সুচি, এবার সামলাও। কলেজ সামলাবে নাকি এ' দুটোকে।
অংশু লক্ষ্য করে মায়ের অবশ্য বিরক্তি হয় না। বরং বাড়তি স্নেহ দিয়ে ওদের আদর যত্ন করছে। অংশুদের দোতলার দক্ষিণমুখো ঘরটায় এখন ওই দুটোকে শোয়ায় মা। ঐ ঘর অনেকদিন ধরে অব্যবহৃত। অংশুর ঠাকুমা ঐ ঘরে থাকতেন।
বিট্টুটা মাকে মাসি বলে ডাকলেও লাট্টুটা মা বলেই ডাকে। তার দেখাদেখি আজ সকাল থেকে বিট্টুও মা বলা শুরু করেছে। মা হেসে ওদের বলে---তোদের যা ইচ্ছে হয় ডাক।
অংশুর অবশ্য ব্যাপারখানা একদম নাপসন্দ। তার মায়ের ভাগ সে অন্য কাউকে দেবে কেন। যদিও সে অনেক বড় হয়েছে, তবুও মা তো তারই। কোথাকার কে এসে 'মা-মা' ডেকে ঘরে উৎপাত করবে একদম পছন্দ নয় অংশুর।
***
জয়ন্ত রুগী দেখতে ব্যস্ত। আজই ডঃ মিত্র বললেন স্বাস্থ্য দপ্তর ডঃ মৃণ্ময় নাগকে ট্রান্সফার করেছে। অবশেষে সরকার যে একটা ব্যবস্থা নিল এতে বেশ খুশি জয়ন্ত।
জয়ন্তের ফোনট বাজছে। বর্তমানের রুগী তরুণ যুবক। খিদিরপুরের দিকে বাড়ি। গতবছর মারাত্মক বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু মুখ থেকে ফিরেছে। রুটিন চেক আপে এসেছে। রুগীকে ছেড়ে পরবর্তী রুগীকে না ডেকে ওয়ার্ড বয়কে বললেন---আর ক'জন?
---তিন জন, স্যার।
জয়ন্ত ওকে হাত দেখিয়ে থামতে বলল। ফোনটা ঘুরিয়ে করল জয়ন্ত।
----কি হল? ফোন ধরছেন না?
মিতার মোহনীয় স্বরে মুগ্ধ জয়ন্ত বলল---না। আসলে ডিউটিতে আছি।
---ওঃ সরি সরি। ডাক্তারবাবুকে তাহলে ভুল সময়ে ফোন করলাম। আমি তাহলে এখন রাখছি।
---আরে না না। বলো মিতা।
মিতার গলায় আড়ষ্টতা। সে বলল---আমি আসলে আপনার হসপিটালের কাছেই আছি।
---কেন কি হয়েছে? মিঃ ঘোষ কি অসুস্থ হয়ে পড়লেন নাকি?
---না, না। উনি ঠিক আছেন। আমি এসেছিলাম আমার এক বান্ধবীর বাড়ি কাছে পিঠেই, তার সাথে দেখা করতে। ভাবলাম আপনার এত কাছে...
জয়ন্ত হাসলো। বলল---তুমি হাসপাতালের গেটে চলে এসো। আমার আর অল্প কয়েকজন পেশেন্ট রয়েছে। তারপর...
মিতাও ঈষৎ কামর্তভাবে বলল---তারপর...
---তারপর তোমাকে চেক করব?
---ওমা! কোথায়?
---কাছে পিঠে কোনো হোটেলে...
***