29-09-2024, 10:29 PM
পর্ব: ৮
এক হপ্তা কাটলো, একদিনও বৃষ্টির দেখা নেই। অথচ আজ ভোর থেকে দমকা হাওয়া আর বৃষ্টি। রবিবার, ছুটির দিন। ছবি আসেনি। সুচিত্রা রান্না ঘরে জলখাবার বানাচ্ছে। এখনো খবরের কাগজ আসেনি।
জয়ন্তের চা জলখাবার দিয়ে গেল সুচি। অংশু পড়ার ঘরে। এত বৃষ্টির পরও ছাতা মাথায় দিয়ে পড়াতে এসেছেন সুখবিলাস বাবু। ভিজে গেছিলেন খানিক। সুচি তোয়ালে দিয়ে বলল---স্যার, গা'টা মুছে নিন। তা নাহলে আবার ঠান্ডা লেগে যাবে। আমি আদা দিয়ে চা করে আনছি।
জয়ন্ত জলখাবার শেষ করে টিভিটা চালালো। খবরে দেখাচ্ছে আগস্ট মাস জুড়ে বাকি সময়টা বেশ বৃষ্টি হবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ হয়েছে।
সুচি রান্না ঘরে। আজ দুপুরে একটা ও.টি আছে। জয়ন্তকে বেরোতেই হবে। চন্দনকে ফোন করল জয়ন্ত।
সুচিত্রা ভাত বসিয়েছে। জয়ন্ত ভাত খেয়েই যাবে। টিভি দেখতে দেখতে সময়টা পার হয়ে গেল অনেকটা। অংশুর টিউশন মাস্টার যাবার পর সে বললে---মা, কি খাবার আছে দাও।
সুচি রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলল---একেবারে ভাত খেয়ে নে।
---এই সাত সকালে ভাত? আমার কি কলেজ আছে নাকি, মা?
সুচি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল---আমি বেরোব। চারুশীলা দি'র বাড়ি যাবো। ফিরতে রাত হবে।
চারুশীলা সুচিত্রার কলিগ ছিল। রিটায়ার্ড করেছে বছর খানেক। সুচির কাছে নিজের দিদির মত। থাকে শিয়ালদার দিকে। একসময় চারুশীলা এ বাড়িতে প্রায়ই আসতো। ইদানিং বেশ অসুস্থ। জয়ন্ত আর সুচিত্রা মাস ছয়েক আগে গিয়েছিল ওর বাড়ি।
জয়ন্ত বলল---কেন? চারুশীলা দি অসুস্থ নাকি?
---হ্যা। গৌতম দা ফোন করেছিল। গৌতম দা'রও তো বাতের ব্যথা। তোমার কথা বলছিলেন। একবার গিয়ে দেখা করে এসো।
গৌতম মুখার্জী চারুশীলা 'র স্বামী। আগে চার্টার একাউন্টেন্ট ছিল। এখন বয়স হল প্রায় পঁয়ষট্টি। ভারী মিশুকে মানুষ। বুড়ো-বুড়িকে ফেলে একমাত্র ছেলে জার্মানিতে। ছেলেও বিয়ে করেনি। শোনা যায় ওদেশে কোনো এক জার্মান মেয়ের সাথে লিভ ইনে আছে।
জয়ন্ত স্নানে ঢোকার আগে বলল---তাহলে তুমি আগে ঢুকবে না আমি?
সুচি বললে---আমি স্নান করে ভাত বাড়ছি। ততক্ষনে তুমি স্নান করে নেবে।
স্নানের পর ওরা তিনজনে একসাথে খেল। জয়ন্ত রেডি হচ্ছিল। সুচিও শাড়ি পরছিল। জয়ন্ত বলল---আমি না হয় যাবার সময় পৌঁছে দেব।
---ওমা! তুমি আবার ওদিকে যাবে কেন? তোমার না আজ ও.টি আছে।
---হাতে সময় আছে যখন শিয়ালদায় নামিয়ে দেব।
মাঝে মধ্যে নিজের বহুদিনের পুরোনো রোগাটে বউটাকে সুন্দরী লাগে জয়ন্তের চোখে। এই মুহূর্তে যেমন লাগছে। সুচির অনেক শাড়ি। বেশিরভাগ না ভাঙা। কাপবোর্ডে জমা হয়ে থাকে। আজ তার মধ্য থেকেই একটা নীল রঙের কাঁথা স্টিচ শাড়ি পরেছে। সঙ্গে কালো ব্লাউজ। ওর খাটো পাতলা চেহারাটায় বেশ মানিয়েছে।
বাবা-মা বেরিয়ে যাবার পর অংশু ঘরের মধ্যে একা। কোথাও যাবার উপক্রম নেই। বাইরে তো ভারী বর্ষণ। ঘরের মধ্যে টিভি দেখে, বাবার ল্যাপটপ ঘেঁটে কিংবা বই পড়ে কাটাতে একঘেয়েমি লাগবে।
***
এক হপ্তা কাটলো, একদিনও বৃষ্টির দেখা নেই। অথচ আজ ভোর থেকে দমকা হাওয়া আর বৃষ্টি। রবিবার, ছুটির দিন। ছবি আসেনি। সুচিত্রা রান্না ঘরে জলখাবার বানাচ্ছে। এখনো খবরের কাগজ আসেনি।
জয়ন্তের চা জলখাবার দিয়ে গেল সুচি। অংশু পড়ার ঘরে। এত বৃষ্টির পরও ছাতা মাথায় দিয়ে পড়াতে এসেছেন সুখবিলাস বাবু। ভিজে গেছিলেন খানিক। সুচি তোয়ালে দিয়ে বলল---স্যার, গা'টা মুছে নিন। তা নাহলে আবার ঠান্ডা লেগে যাবে। আমি আদা দিয়ে চা করে আনছি।
জয়ন্ত জলখাবার শেষ করে টিভিটা চালালো। খবরে দেখাচ্ছে আগস্ট মাস জুড়ে বাকি সময়টা বেশ বৃষ্টি হবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ হয়েছে।
সুচি রান্না ঘরে। আজ দুপুরে একটা ও.টি আছে। জয়ন্তকে বেরোতেই হবে। চন্দনকে ফোন করল জয়ন্ত।
সুচিত্রা ভাত বসিয়েছে। জয়ন্ত ভাত খেয়েই যাবে। টিভি দেখতে দেখতে সময়টা পার হয়ে গেল অনেকটা। অংশুর টিউশন মাস্টার যাবার পর সে বললে---মা, কি খাবার আছে দাও।
সুচি রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলল---একেবারে ভাত খেয়ে নে।
---এই সাত সকালে ভাত? আমার কি কলেজ আছে নাকি, মা?
সুচি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল---আমি বেরোব। চারুশীলা দি'র বাড়ি যাবো। ফিরতে রাত হবে।
চারুশীলা সুচিত্রার কলিগ ছিল। রিটায়ার্ড করেছে বছর খানেক। সুচির কাছে নিজের দিদির মত। থাকে শিয়ালদার দিকে। একসময় চারুশীলা এ বাড়িতে প্রায়ই আসতো। ইদানিং বেশ অসুস্থ। জয়ন্ত আর সুচিত্রা মাস ছয়েক আগে গিয়েছিল ওর বাড়ি।
জয়ন্ত বলল---কেন? চারুশীলা দি অসুস্থ নাকি?
---হ্যা। গৌতম দা ফোন করেছিল। গৌতম দা'রও তো বাতের ব্যথা। তোমার কথা বলছিলেন। একবার গিয়ে দেখা করে এসো।
গৌতম মুখার্জী চারুশীলা 'র স্বামী। আগে চার্টার একাউন্টেন্ট ছিল। এখন বয়স হল প্রায় পঁয়ষট্টি। ভারী মিশুকে মানুষ। বুড়ো-বুড়িকে ফেলে একমাত্র ছেলে জার্মানিতে। ছেলেও বিয়ে করেনি। শোনা যায় ওদেশে কোনো এক জার্মান মেয়ের সাথে লিভ ইনে আছে।
জয়ন্ত স্নানে ঢোকার আগে বলল---তাহলে তুমি আগে ঢুকবে না আমি?
সুচি বললে---আমি স্নান করে ভাত বাড়ছি। ততক্ষনে তুমি স্নান করে নেবে।
স্নানের পর ওরা তিনজনে একসাথে খেল। জয়ন্ত রেডি হচ্ছিল। সুচিও শাড়ি পরছিল। জয়ন্ত বলল---আমি না হয় যাবার সময় পৌঁছে দেব।
---ওমা! তুমি আবার ওদিকে যাবে কেন? তোমার না আজ ও.টি আছে।
---হাতে সময় আছে যখন শিয়ালদায় নামিয়ে দেব।
মাঝে মধ্যে নিজের বহুদিনের পুরোনো রোগাটে বউটাকে সুন্দরী লাগে জয়ন্তের চোখে। এই মুহূর্তে যেমন লাগছে। সুচির অনেক শাড়ি। বেশিরভাগ না ভাঙা। কাপবোর্ডে জমা হয়ে থাকে। আজ তার মধ্য থেকেই একটা নীল রঙের কাঁথা স্টিচ শাড়ি পরেছে। সঙ্গে কালো ব্লাউজ। ওর খাটো পাতলা চেহারাটায় বেশ মানিয়েছে।
বাবা-মা বেরিয়ে যাবার পর অংশু ঘরের মধ্যে একা। কোথাও যাবার উপক্রম নেই। বাইরে তো ভারী বর্ষণ। ঘরের মধ্যে টিভি দেখে, বাবার ল্যাপটপ ঘেঁটে কিংবা বই পড়ে কাটাতে একঘেয়েমি লাগবে।
***