25-09-2024, 11:02 PM
পর্ব: ৭
জয়ন্তদের বাড়ি থেকে এই শপিং মলের দূরত্ব মাত্র দশ মিনিটের হাঁটা পথ। এই শপিং মলটি নাকি নতুন হয়েছে। কিছুদিন আগেই পাড়ার মধ্য দিয়ে মাইক হেঁকে এর বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছিল। আজ তিনজনে ওরা এখানে এসেছে।
শপিং মলে ট্রলি নিয়ে বাজার করা সুচি বা জয়ন্ত কারোরই পছন্দ নয়। বাজারে যতক্ষন মাছ টিপে না দেখছে ততক্ষণ বাজার করা কিসের। জামাকাপড় কেনার জন্য ঠিক আছে। তবে এই মলটি একটি ছোটখাটো সুপার মলের মত। সব কিছুই কমবেশি মেলে।
মা বাবা যখন গৃহস্থালি জিনিস, সাবান শ্যাম্পু আর স্নাক্স নিতে ব্যস্ত অংশু সেই সুযোগে জেন্টস সেকশনে জিন্সগুলো দেখে নিতে লাগলো।
জয়ন্তও বেশিক্ষন সুচির সাথে কেনাকাটা করতে বিরক্ত হয়। অত খুঁতখুঁতে ওর ভালো লাগে না। সে ছেলের পাশে এসে বলল---কি রে এই জিন্সগুলো কি আমিও পরতে পারি।
---পরতে পারো বাবা, এগুলো কিন্তু খুব ক্যাজুয়াল।
বাপ-ছেলে যখন জেন্টস সেকশনে ব্যস্ত, সুচিত্রা তখন ওদের হন্যে হয়ে খুঁজছে। অবশেষে জয়ন্ত ডাক দিল সুচিত্রাকে। বলল---দেখো তো বাপ-ছেলের একই সাইজ নিলে মানাবে কিনা।
সুচি বললে---তুমি আবার বুড়ো বয়সে জিন্স পরবে নাকি?
---এইগুলো সব বয়সেই পরা যায়। ঠিক কিনা অংশু? ছেলেকে জিজ্ঞেস করল জয়ন্ত।
জয়ন্ত ছেলেকে ছেড়ে হাইট মেজারমেন্ট মেশিনে উঠে দাঁড়ালো। বলল---অংশু দেখ তো, কত দেখাচ্ছে?
---পাঁচ ফুট ছয়।
বাবা নামতেই অংশুও উঠে দাঁড়ালো ওখানে। তার উচ্চতা দেখাচ্ছে পাঁচ ফুট আট। তার মানে বাবার চেয়ে সে দুই ইঞ্চি লম্বা। জয়ন্ত বলল---সুচি তোমারটা কত দেখি।
---না থাক। আমি খাটো মানুষ। তোমাদের সাথে পেরে উঠব না।
অংশু বলল---মা পাঁচ ফুটের বেশি হবে না।
সুচিত্রা বললে---ধ্যাৎ আমি এতটাও খাটো না।
জয়ন্ত বললে---তবে প্রমান করো।
সুচি উঠে দাঁড়ালো। মেজারমেন্ট স্কেলে উচ্চতা দেখাচ্ছে পাঁচ ফুটের চেয়ে দুই ইঞ্চি কম। জয়ন্ত ও অংশু দুজনেই হেসে উঠল। যদিও জয়ন্ত জানে ভারতীয় মেয়েদের গড় উচ্চতা পাঁচ ফুট। মূলত এদেশের মেয়েরা চার ফুট দশ থেকে পাঁচ ফুট তিনের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। ছেলেদের গড় পাঁচ ফুট চার। তবু সে সুচিকে নিয়ে মজা করতে অংশুকে বলল---এই রে, অংশু, তোর মা যে পাঁচ ফুটের চেয়েও কম।
সুচি বললে---আর মাকে নিয়ে অপদস্থ করতে হবে না। চলো অনেক হল।
***
জয়ন্তদের বাড়ি থেকে এই শপিং মলের দূরত্ব মাত্র দশ মিনিটের হাঁটা পথ। এই শপিং মলটি নাকি নতুন হয়েছে। কিছুদিন আগেই পাড়ার মধ্য দিয়ে মাইক হেঁকে এর বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছিল। আজ তিনজনে ওরা এখানে এসেছে।
শপিং মলে ট্রলি নিয়ে বাজার করা সুচি বা জয়ন্ত কারোরই পছন্দ নয়। বাজারে যতক্ষন মাছ টিপে না দেখছে ততক্ষণ বাজার করা কিসের। জামাকাপড় কেনার জন্য ঠিক আছে। তবে এই মলটি একটি ছোটখাটো সুপার মলের মত। সব কিছুই কমবেশি মেলে।
মা বাবা যখন গৃহস্থালি জিনিস, সাবান শ্যাম্পু আর স্নাক্স নিতে ব্যস্ত অংশু সেই সুযোগে জেন্টস সেকশনে জিন্সগুলো দেখে নিতে লাগলো।
জয়ন্তও বেশিক্ষন সুচির সাথে কেনাকাটা করতে বিরক্ত হয়। অত খুঁতখুঁতে ওর ভালো লাগে না। সে ছেলের পাশে এসে বলল---কি রে এই জিন্সগুলো কি আমিও পরতে পারি।
---পরতে পারো বাবা, এগুলো কিন্তু খুব ক্যাজুয়াল।
বাপ-ছেলে যখন জেন্টস সেকশনে ব্যস্ত, সুচিত্রা তখন ওদের হন্যে হয়ে খুঁজছে। অবশেষে জয়ন্ত ডাক দিল সুচিত্রাকে। বলল---দেখো তো বাপ-ছেলের একই সাইজ নিলে মানাবে কিনা।
সুচি বললে---তুমি আবার বুড়ো বয়সে জিন্স পরবে নাকি?
---এইগুলো সব বয়সেই পরা যায়। ঠিক কিনা অংশু? ছেলেকে জিজ্ঞেস করল জয়ন্ত।
জয়ন্ত ছেলেকে ছেড়ে হাইট মেজারমেন্ট মেশিনে উঠে দাঁড়ালো। বলল---অংশু দেখ তো, কত দেখাচ্ছে?
---পাঁচ ফুট ছয়।
বাবা নামতেই অংশুও উঠে দাঁড়ালো ওখানে। তার উচ্চতা দেখাচ্ছে পাঁচ ফুট আট। তার মানে বাবার চেয়ে সে দুই ইঞ্চি লম্বা। জয়ন্ত বলল---সুচি তোমারটা কত দেখি।
---না থাক। আমি খাটো মানুষ। তোমাদের সাথে পেরে উঠব না।
অংশু বলল---মা পাঁচ ফুটের বেশি হবে না।
সুচিত্রা বললে---ধ্যাৎ আমি এতটাও খাটো না।
জয়ন্ত বললে---তবে প্রমান করো।
সুচি উঠে দাঁড়ালো। মেজারমেন্ট স্কেলে উচ্চতা দেখাচ্ছে পাঁচ ফুটের চেয়ে দুই ইঞ্চি কম। জয়ন্ত ও অংশু দুজনেই হেসে উঠল। যদিও জয়ন্ত জানে ভারতীয় মেয়েদের গড় উচ্চতা পাঁচ ফুট। মূলত এদেশের মেয়েরা চার ফুট দশ থেকে পাঁচ ফুট তিনের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। ছেলেদের গড় পাঁচ ফুট চার। তবু সে সুচিকে নিয়ে মজা করতে অংশুকে বলল---এই রে, অংশু, তোর মা যে পাঁচ ফুটের চেয়েও কম।
সুচি বললে---আর মাকে নিয়ে অপদস্থ করতে হবে না। চলো অনেক হল।
***