Thread Rating:
  • 9 Vote(s) - 2.67 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Incest ভালবাসার ঘর
#16
নানা-নানী ড্রয়িংরুমে বসে টিভি দেখছিলো। মা গোসল করে ফ্রেশ হয়ে ভিজে চুলে তোয়ালে জড়িয়ে রান্নাঘরে কাজ করছিলো। দুপুরের খাবারের জন্য সবজি কাটছিলো। নানা-নানী টিভি দেখছিলো, কিন্তু মনোযোগ দিয়ে দেখছিলো না। আজ তাদের দেখে মনে হচ্ছে তারা টিভির দিকে তাকিয়ে অন্য কিছু ভাবছে। এক পর্যায়ে তারা একে অপরের দিকে তাকালো। চোখের ইশারায় নানীকে নানা কিছু একটা বলল, তারপর দুজনেই আবার টিভি দেখতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর নানী সেখান থেকে উঠে রান্নাঘরের দিকে চলে গেলো। রান্নাঘরে গিয়ে মাকে কাজে সাহায্য করতে লাগলো আর কথা বলতে লাগলো। কিছুক্ষণ বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে নানী মাকে আমাকে নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার কথাগুলো বলল। আমি একা থাকতে যে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি তা বলল। মাও আমার সমস্যা বুঝতে পেরেছিলো, তাই সেও কিছুদিন এই নিয়ে চিন্তিত ছিলো। তাই মাও নানীর কথাকে সমর্থন করতে লাগলো। তখন নানী মাকে বললো।

নানী: এখন নাজমুল বড় হয়েছে। ওর বিয়ে দিয়ে দেই।

একথা শুনে মা নানীর দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো আর বললো।

মা: এত তাড়াতাড়ি ওর বিয়ে।

নানী: হ্যাঁ! কেন কোন সমস্যা?

মা: এখনও তো সে একটা বাচ্চা।

নানী: নাজমুলের বয়স এখন ২০ বছর। সে একটা ভালো চাকরিও করে। আর তার দিকে তাকিয়ে তোকে কী তাকে এখনও বাচ্চা মনে হয়?

একথা শুনে মা হাসতে লাগলো আর সবজি কাটতে লাগলেন। সেও জানে যে আমি এখন আর বাচ্চা নই। তখন নানী আবার বলল।

নানী: প্রত্যেক মায়ের কাছেই তার সন্তান সবসময় বাচ্চাই থাকে। সে যতই বড় হোক না কেন।

সবজি কাটতে কাটতে মা বললো।

মা: তাহলে নাজমুলকে একবার জিজ্ঞেস করো।

নানী চানাচুরের একটা প্যাকেট কেটে বোয়মে ভরতে ভরতে বলল।

নানী: তাকে জিজ্ঞেসা করার কী আছে।

তারপর আবার মায়ের দিকে তাকালো। মা নানীর দিকে পিঠ করে রান্নাঘরের স্ল্যাবের কাছে দাঁড়িয়ে সবজি কাটছিল। তারপর নানী তার হাতে ধরে থাকা চানাচুরের বোয়মটার দিকে তাকিয়ে বলল।

নানী: আমরা তার গুরুজন। আমরা কি তার ভালো-মন্দ বুঝি না? আর আমি জানি সেও এমন নয়। সে সবসময় আমাদের কথা শোনে।


মা সবজি কাটা শেষ করে ঘুরে রান্নাঘরের ওপর পাশে যেতে নানীর দিকে তাকালো। তারপর সেখানে রাখা আটার বোয়ম খুলতে খুলতে বলল।

মা: এখন ওর জন্য একটি ভাল মেয়ে খুঁজতে হবে মা।

নানী চানাচুরে বোয়মের ঢাকনা বন্ধ করতে করতে বলল।

নানী: হ্যাঁ! এটা একটা বড় কাজ। এখন ওর জন্য একটা ভালো মেয়ে দরকার।

নানী বোয়মের ঢাকনাটা শক্ত করে লাগাতে লাগাতে বলল।

নানী: আমাদের এমন একটা মেয়ের প্রয়োজন যে নাজমুলের সঠিভাবে যত্ন নিবে। সংসারে সকল কাজ করবে। সন্তানদের যত্ন নিবে। আর আমাদের সাথে একটা পরিবারের মতো থাকবে।

একথা শুনে মা একটু চিন্তিত হয়ে গেল। বোয়ম থেকে আটা বের করতে করতে নানীর দিকে তাকিয়ে বলল।

মা: ঠিক বলেছ মা।

তারপর সে তার কাজের দিকে মনোযোগ দিয়ে আবার বলল।

মা: নাজমুলের জন্য এমন একটা মেয়ে দরকার। যে আমাদের সবাইকে নিজের মনে করবে আর আমাদের সাথে থাকবে। কিন্তু.....

নানী লক্ষ্য করলো যে মা কিছু একটা ভাবছে। তাই সে বলল।

নানী: আর দেখতে সুন্দর হতে হবে। যেন আমাদের নাজমুলের সাথে তাকে মানায়।

মা আটা প্লেটে রাখলো। আর তাতে পানি ঢালতে শুরু করলো আর বললো

মা: কিন্তু মা এরকম মেয়ে তুমি খুঁজে পাবে কোথায়?

মায়ের কথায় নানী কিছুটা সাহস পেল। সে মায়ের পাশের গিয়ে দাঁড়ালো। মায়ের দিকে না তাকিয়ে সে বলল।

নানী: আমরাও সে কথাই ভাবছিলাম। আজকালকার মেয়েগুলোকে দেখলে ভয় হয়। তোর বাবার সাথে আমি এই নিয়ে কথা বলেছি। আমরাও এবিষয়টা চিন্তিত। এমন মেয়ে কোথায় পাব? কে তার খোঁজ দেবে? এটা নিয়ে তোর বাবার কথা বলার পর আমরা ভাবি। আমাদের প্রত্যেকের মঙ্গলের জন্য, প্রত্যেকের সুন্দর ভবিষ্যৎ এর জন্য মোট কথা সবকিছু চিন্তা করে অবশেষে আমরা সে মেয়ের খোঁজ পেয়ে গেলাম।

একথা শুনে মা আটা গোলাতে গোলাতে থেমে গিয়ে নানীর দিকে তাকিয়ে অবাক দৃষ্টিতে আর ঠোঁটে হাসি নিয়ে জিজ্ঞেস করলো

মা: তোমরা মেয়ে খুঁজেও পেয়েছ?

নানী তখন মুচকি হেসে মা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেই স্ল্যাবের কাছে আসতে লাগল। তখন মা আবারও জিজ্ঞেস করলো।

মা: কোথায় খুঁজে পেলে মা?

নানী মায়ের কাছে পৌঁছে তার সামনে দাঁড়ালো। তারপর মায়ের মুখের দিকে মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো। মা খুবই উত্তেজিত হয়েছিলো। নানীর চোখে তখন মায়ের জন্য স্নেহ আর ভালবাসা দেখা যাচ্ছিলো। মা আবারও জিজ্ঞেস করলো।

মা: মেয়েটি কে মা? আর থাকে কোথায়?

নানী দেখল মা গোসল করে ফ্রেশ হয়ে হালকা রঙের একটা শাড়িতে পরেছে। তাতে আজকে মাকে খুব সুন্দর লাগছে। আর তার ভেজা চুলে তোয়ালে জড়ানো। তোয়ালে থেকে দু-একটা চুল বেরিয়ে এসে মার কপালে পড়ে আছে। নানী আদর করে কপাল থেকে মায়ের চুল দু হাতে সরিয়ে দিয়ে মার চিবুক ধরে বলল।

নানী: বাইরে কেন খুঁজতে যাব? যখন আমাদের ঘরেই এমন একটা সুন্দরী মেয়ে আছে।

একথা বলে নানী হাসতে লাগলো। মা নানীর কথাটা ঠিকমতো বুঝতে পারলো না। তখন সে আবার নানীকে জিজ্ঞেস করলো।

মা: মানে? কে সে মা?

নানী তার মুখে হাসি ধরে রাখলো আর আদরমাখা সুরে বলল।

নানী: কেন! আমাদের নাজমা কী সুন্দরী না?

নানীর কথা শুনে মা কিছুক্ষণ নানীর মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে তার কথার মানে বোঝার চেষ্টা করল। মার মুখে এতোক্ষণ যে দীপ্তি ছিল তা হঠাৎ করেই মিলিয়ে গেল। তার চোখগুলো শান্ত হয়ে গেল। সে সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে গেল। নানীর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলল।

মা: এসব তুমি কী বলছো মা?

নানী এবার খুব শান্ত স্বরে বলল।

নানী: দেখ নাজমা আমি আর তোর বাবা এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। আমরা এটাও জানি যে এর জন্য আমাদের সবাইকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। না জানি আমাদের কতোটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু এটাই আমাদের সবার জন্য ভালো হবে। সবার ভবিষ্যতও ভাল হবে। আজ আমরা বেঁচে আছি তাই সব ঠিক আছে। কিন্তু আমরা মরে গেলে তুই কিভাবে একা থাকবি? আর নাজমুল যদি অন্য কাউকে বিয়ে করে তাহলে সেই মেয়েটি যে আমাদের মতো হবে তার নিশ্চয়তা কী? তোর সাথে কেমন আচরণ করবে তার নিশ্চয়তা কে দেবে? প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের ভালোর জন্য আর আমাদের জীবনটা সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন হলে আমরা এখান থেকে দূরে গিয়ে আলাদা একটা পরিবার তৈরি করবো। আর এতে আমরা সবাই সুখে থাকবো। এতে কারো কোন ক্ষতি হবেনা।

মা অবাক হয়ে নানীর সব কথা শুনছিলো। তার যেন বিশ্বাসই হচ্ছিলো না যে নানী এসব কথা বলছে। সে নিজেও কিছু বলতে পারছিল না। আসলে বলার মতো কিছুই খুঁজে পাচ্ছিল না সে। তার ভেতরে ঝড় বইতে লাগলো। ভালো, মন্দ, পাপ, পুণ্য, ন্যায়, নৈতিকতা, সমাজ, মূল্যবোধ সবই তার মনে ভিড় করে তাকে কথা বলা বন্ধ করে দিল। সে শুধু নানীর দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখগুলো ধীরে ধীরে পানিতে ভিজে গেল। অনেকক্ষণ পর যখন নানীর কথা শেষ হলো, তখন সে নানীর চোখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করল।

মা: তোমরা কী নাজমুলকে এই সব কথা বলেছ?

নানী এবার মাতৃস্নেহে ভরা কণ্ঠে কথা বলল।

নানী: না। আমরা তোর বৃদ্ধ বাবা-মা, তাদের একমাত্র মেয়ে, একমাত্র নাতি আর আমাদের পরিবারের ভালোর জন্যই এসব ভেবেছি। এখন সবকিছুই নির্ভর করছে তোর সিদ্ধান্তের উপর।

মা কিছুক্ষণ নানীর দিকে তাকিয়ে থাকল। আর যখন তার চোখ থেকে পানি পড়ার সময় এলো, তখন সে সেখান থেকে তার ঘরে দৌড়ে চলে গেল। ঘরে গিয়ে তার দরজাটা লাগিয়ে দিল। দুপুরের খাবার খেতেও সে বাইরে আসলো না। নানী গিয়ে তাকে ডাকল, দরজায় ধাক্কা দিল। কিন্তু মা খাবেনা বলে দিল। রাতের খাবার খেয়ে যখন নানা-নানী ঘুমাতে গেলো, তখন মা তার ঘর থেকে বের হয়ে রান্নাঘরে গেলো, আর ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে চুপচাপ খেয়ে আবার তার ঘরে চলে গেলো। নানা-নানী গভীর চিন্তায় পড়ে গেল। তারা মায়ের থেকে এমন প্রতিক্রিয়া পাবে তা তারা আশা করেনি। তাই তারা ভাবলো যে তারা সম্ভবত একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ভাবেনি যে এতে তাদের মেয়ে এতোটা কষ্ট পাবে।
[+] 11 users Like AAbbAA's post
Like Reply


Messages In This Thread
ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 10-06-2024, 11:11 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 22-09-2024, 10:35 AM
RE: ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 22-09-2024, 11:29 AM
RE: ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 22-09-2024, 01:31 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 22-09-2024, 06:38 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by Dhakaiya - 23-09-2024, 12:20 AM
RE: ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 23-09-2024, 10:44 AM
RE: ভালবাসার ঘর - by Nisat - 23-09-2024, 05:21 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 23-09-2024, 10:18 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by TyrionL - 24-09-2024, 12:36 AM
RE: ভালবাসার ঘর - by rijuguha - 24-09-2024, 12:22 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 24-09-2024, 12:59 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by rijuguha - 24-09-2024, 03:57 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by Kallol - 24-09-2024, 05:46 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by sam8888 - 25-09-2024, 06:23 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by Kallol - 26-09-2024, 05:34 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 24-09-2024, 11:02 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by rijuguha - 25-09-2024, 09:59 AM
RE: ভালবাসার ঘর - by sam8888 - 25-09-2024, 06:24 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by Ari rox - 25-09-2024, 07:10 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by AAbbAA - 26-09-2024, 09:38 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by Ari rox - 26-09-2024, 10:22 PM
RE: ভালবাসার ঘর - by Sage_69 - Yesterday, 07:49 AM
RE: ভালবাসার ঘর - by Sage_69 - Yesterday, 07:56 AM



Users browsing this thread: Robin420, 36 Guest(s)