20-09-2024, 11:17 PM
সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরল অংশু। বাড়ির সর্বত্র অন্ধকার। মা কি বাড়িতে নেই, অন্ধকার কেন? দোতলায় মা-বাবার বেডরুমে গিয়ে দেখল মা ঘুমোচ্ছে। অংশুকে দেখেই বলল---দুপুরে খেয়েছিস?
অংশু মায়ের গায়ের সাথে আদর খেতে লেপ্টে শুয়ে পড়ল। সুচি তার আদরের ছেলের গালে হাত রেখে বলল---কি অনুষ্ঠান হল অভীকের বাড়িতে।
পাশ ফিরে শায়িত সুচিত্রার বাহুর ওপর হাত রেখে অংশু বললে---কি আবার? ঐ নাচ, গান, আবৃত্তি যা হয়।
---তুই আবৃত্তি করলি না?
অংশু হেসে চিৎ হয়ে শুয়ে বলল---ধ্যাৎ! ছোট ছোট বাচ্চাদের প্রোগ্রামে আমার আবৃত্তি করা মানায় নাকি!
---বাঃ রে! তুই যেন খুব বড়!
অংশু মায়ের ওপর একটা পা তুলে কোমর থেকে জড়িয়ে ধরল, বলল---মা, তোমার সঙ্গে আমিও গোবিন্দপুর চলে যাবো।
---তারপর? তোর কলেজের কি হবে?
---ওখানে কোনো কলেজে ভর্তি হয়ে যাবো। ওখানেই তো একটা নস্করপুর বলে হাইকলেজ আছে।
হাসলো সুচিত্রা। বলল---পাগল ছেলে। খাবি কিছু এখন?
---ধ্যাৎ, দুপুরে অভীকের বাড়িতে প্রচুর খাইয়েছে।
***
হাসপাতালে ডিউটি শেষ করে গাড়িতে ফিরছিল জয়ন্ত। চন্দন গাড়ির সাথে রেডিও যোগ করেছে। রেডিওর সব চ্যানেলেই আজ দিনভর রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনাচ্ছে।
চন্দন বলল---স্যার, রবি ঠাকুরের জন্ম দিন কেন ২৫ শে বৈশাখ?
---এ আবার কেমন প্রশ্ন? ঠিক যেমন আমার জন্মদিন ১৬ই অক্টোবর। তোরও একটা নিশ্চই জন্মদিন আছে।
চন্দন যেন কিছু একটা জটিল ভাবনায় পড়েছে। এরকম উদ্ভট প্রশ্ন গাড়ি চালাতে চালাতে সে প্রায়শই করে। বলল---কিন্তু বৈশাখ কেন?
এতক্ষনে জয়ন্ত বুঝতে পারলো চন্দন আসলে বলতে চায় রবি ঠাকুরের জন্ম কেন কোনো ইংরেজি মাস না হয় বাংলা মাসে পালন হয়। এখন চন্দনকে একটা সহজ ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার। তাই বলল---রবি ঠাকুর কোন ভাষায় লিখতেন জানিস?
চন্দন লজ্জা পেল। বলল---আমি স্যার নাইনের পর পড়া ছেড়ে দিয়েছি।
---তার আগে যে নাইন পর্যন্ত পড়লি, তখন কি ভাষায় লেখতেন বলে জানলি?
---বাংলায়ই তো!
হাসলো জয়ন্ত। বললে---বাঙালির ছেলে বাংলায় লেখে, বাংলা তারিখেই তাই জন্ম দিন পালন হয়।
চন্দনের বোধ হয় এখনও উত্তরটা মনঃপুত হল না। বলল---বৌদি বলতে পারবে, ইকলেজে পড়ায় তো। বৌদি জানে।
---ঠিক আছে তাহলে তোর বৌদিকেই জিজ্ঞেস করিস।
***
অংশু মায়ের গায়ের সাথে আদর খেতে লেপ্টে শুয়ে পড়ল। সুচি তার আদরের ছেলের গালে হাত রেখে বলল---কি অনুষ্ঠান হল অভীকের বাড়িতে।
পাশ ফিরে শায়িত সুচিত্রার বাহুর ওপর হাত রেখে অংশু বললে---কি আবার? ঐ নাচ, গান, আবৃত্তি যা হয়।
---তুই আবৃত্তি করলি না?
অংশু হেসে চিৎ হয়ে শুয়ে বলল---ধ্যাৎ! ছোট ছোট বাচ্চাদের প্রোগ্রামে আমার আবৃত্তি করা মানায় নাকি!
---বাঃ রে! তুই যেন খুব বড়!
অংশু মায়ের ওপর একটা পা তুলে কোমর থেকে জড়িয়ে ধরল, বলল---মা, তোমার সঙ্গে আমিও গোবিন্দপুর চলে যাবো।
---তারপর? তোর কলেজের কি হবে?
---ওখানে কোনো কলেজে ভর্তি হয়ে যাবো। ওখানেই তো একটা নস্করপুর বলে হাইকলেজ আছে।
হাসলো সুচিত্রা। বলল---পাগল ছেলে। খাবি কিছু এখন?
---ধ্যাৎ, দুপুরে অভীকের বাড়িতে প্রচুর খাইয়েছে।
***
হাসপাতালে ডিউটি শেষ করে গাড়িতে ফিরছিল জয়ন্ত। চন্দন গাড়ির সাথে রেডিও যোগ করেছে। রেডিওর সব চ্যানেলেই আজ দিনভর রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনাচ্ছে।
চন্দন বলল---স্যার, রবি ঠাকুরের জন্ম দিন কেন ২৫ শে বৈশাখ?
---এ আবার কেমন প্রশ্ন? ঠিক যেমন আমার জন্মদিন ১৬ই অক্টোবর। তোরও একটা নিশ্চই জন্মদিন আছে।
চন্দন যেন কিছু একটা জটিল ভাবনায় পড়েছে। এরকম উদ্ভট প্রশ্ন গাড়ি চালাতে চালাতে সে প্রায়শই করে। বলল---কিন্তু বৈশাখ কেন?
এতক্ষনে জয়ন্ত বুঝতে পারলো চন্দন আসলে বলতে চায় রবি ঠাকুরের জন্ম কেন কোনো ইংরেজি মাস না হয় বাংলা মাসে পালন হয়। এখন চন্দনকে একটা সহজ ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার। তাই বলল---রবি ঠাকুর কোন ভাষায় লিখতেন জানিস?
চন্দন লজ্জা পেল। বলল---আমি স্যার নাইনের পর পড়া ছেড়ে দিয়েছি।
---তার আগে যে নাইন পর্যন্ত পড়লি, তখন কি ভাষায় লেখতেন বলে জানলি?
---বাংলায়ই তো!
হাসলো জয়ন্ত। বললে---বাঙালির ছেলে বাংলায় লেখে, বাংলা তারিখেই তাই জন্ম দিন পালন হয়।
চন্দনের বোধ হয় এখনও উত্তরটা মনঃপুত হল না। বলল---বৌদি বলতে পারবে, ইকলেজে পড়ায় তো। বৌদি জানে।
---ঠিক আছে তাহলে তোর বৌদিকেই জিজ্ঞেস করিস।
***