Yesterday, 01:17 AM
(গত পর্বের পর)
.
এসব ভাবতে ভাবতে লিভিং রুমে বসে টিভি দেখছিলেন বর্ষারাণী। মিনিট পনেরো পরে তার সাথে এসে যোগ দিলেন ছোটজা তারারাণী।
"বৌদি, তুমি এই ঘরে যে? গৌরব (তারার বড় ছেলে) কোথায়?"
"ও কলেজ থেকে এসে খেয়েই আবার প্রাইভেট পড়তে চলে গেছে। আজকে নাকি এক্সট্রা ক্লাস আছে। গৌতম (বর্ষার ছোট ছেলে) কোথায়?"
"কই বৌদি? দেখলাম না তো। এজন্যই তো খুঁজতে আসলাম।"
"আমি তো ভাবলাম তোর রুমেই আছে। আবার গেলো কোথায়?"
"ওহ, তাহলে মনে হয় খেলতে চলে গেছে।"
"ছেলেটাও না ভীষণ পাজি হয়েছে। সুযোগ পেলেই ঘর থেকে বের হয়ে যায়। আজ আসুক বাসায়।"
"আবার শুরু করলে বৌদি? খেলাধুলা ছোটরা না করলে কারা করবে? তা, আভা এসেছে? ওকেও তো দেখলাম না।"
"দেখবি কিভাবে? আসতে না আসতেই তো বাবা টেনে নিয়ে গেলো।"
"হি হি হি। বাবাও না আজকাল..."
.
বলতে বলতেই সেখানে হাজির হলো আভা।
"কিরে মা, এতো তাড়াতাড়ি চলে এলি? কিছু লাগবে?"
"নাহ, মা। মুখ দিয়েই কাজ সেরে ফেলেছি। নাহলে একবার বিছানায় ফেলে উপরে উঠতে পারলে দাদু তো আর নামারই নাম নেয় না। এমনিতেই সারাদিন ক্লাস করে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। তার উপর দাদু গায়ে চড়লে আজ আর পড়াই হতো না। সামনে এসএসসি পরীক্ষা।"
"কিন্তু মা, তাতে বাবার কী আরাম হয়েছে?"
"হ্যাঁ, হবে না কেন মা? আমি খুব যত্ন করে সবটা গিলে খেয়েছি।"
"তুই ঠিক আছিস তো মা? ব্যথা করছে বেশি?"
"নাহ মা, আমার মুখ এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে।"
"কিন্তু মা, উনার এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে হয়ে গেলো?"
"বুঝলে মা, কিছু টেকনিক এপ্লাই করেছি।"
"টেকনিক? কোথা থেকে শিখলি মা এসব?"
"কাকীই শিখিয়েছে।"
"তারা, তুই?"
"তোমার তো মেয়েকে নিয়ে কোন চিন্তাই নেই। রোজ স্কুল থেকে আসার পর বাবার কামড়া থেকে সন্ধ্যায় ছাড়া পাওয়ার পর ওর হাল কেমন হতো মনে নেই? তাই বুদ্ধি দিলাম আর কি।"
"কিন্তু তুই এসব শিখলি কোথা থেকে?"
"মাঝে মাঝে গৌতম একটা সুযোগ পেলেই হঠাৎ করে আমার কাছে এসে তাড়াহুড়ো করে ওর রস খসিয়ে দিতে বলে। এটাকে নাকি "কুইকী" বলে। ওই তো শিখিয়েছে অল্প সময়ে রস মুখ দিয়ে বের করে নেওয়ার কৌশল।"
"কি বললি? গৌতম এসব কোথা থেকে শিখলো? কিসব আজেবাজে ছেলের সাথে মিশছে কে জানে। আর তুইও লাই দিয়ে দিয়ে ওকে মাথায় তুলেছিস।"
"বৌদি, গৌতমকে বকো না তো। এই বয়সে ছেলেরা এমনই হয়। আর তাতে লাভই তো হলো। আভারও কৌশলটা কাজে আসলো।"
"কি জানি বাপু। বাবা খুশি থাকলেই হয়।"
"আরে মা, দাদু খুব খুশি হয়েছে। রস বের হতেই আরামের চোটে লুটিয়ে পড়ে ঘুমিয়ে গেছে। এখন আমি যাই পড়তে বসি। আবার রাতে দাদু ডাকবে।"
"ঠিক আছে, যা মা। আমি নাস্তা টেবিলেই নিয়ে আসছি।"
.
এসব ভাবতে ভাবতে লিভিং রুমে বসে টিভি দেখছিলেন বর্ষারাণী। মিনিট পনেরো পরে তার সাথে এসে যোগ দিলেন ছোটজা তারারাণী।
"বৌদি, তুমি এই ঘরে যে? গৌরব (তারার বড় ছেলে) কোথায়?"
"ও কলেজ থেকে এসে খেয়েই আবার প্রাইভেট পড়তে চলে গেছে। আজকে নাকি এক্সট্রা ক্লাস আছে। গৌতম (বর্ষার ছোট ছেলে) কোথায়?"
"কই বৌদি? দেখলাম না তো। এজন্যই তো খুঁজতে আসলাম।"
"আমি তো ভাবলাম তোর রুমেই আছে। আবার গেলো কোথায়?"
"ওহ, তাহলে মনে হয় খেলতে চলে গেছে।"
"ছেলেটাও না ভীষণ পাজি হয়েছে। সুযোগ পেলেই ঘর থেকে বের হয়ে যায়। আজ আসুক বাসায়।"
"আবার শুরু করলে বৌদি? খেলাধুলা ছোটরা না করলে কারা করবে? তা, আভা এসেছে? ওকেও তো দেখলাম না।"
"দেখবি কিভাবে? আসতে না আসতেই তো বাবা টেনে নিয়ে গেলো।"
"হি হি হি। বাবাও না আজকাল..."
.
বলতে বলতেই সেখানে হাজির হলো আভা।
"কিরে মা, এতো তাড়াতাড়ি চলে এলি? কিছু লাগবে?"
"নাহ, মা। মুখ দিয়েই কাজ সেরে ফেলেছি। নাহলে একবার বিছানায় ফেলে উপরে উঠতে পারলে দাদু তো আর নামারই নাম নেয় না। এমনিতেই সারাদিন ক্লাস করে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। তার উপর দাদু গায়ে চড়লে আজ আর পড়াই হতো না। সামনে এসএসসি পরীক্ষা।"
"কিন্তু মা, তাতে বাবার কী আরাম হয়েছে?"
"হ্যাঁ, হবে না কেন মা? আমি খুব যত্ন করে সবটা গিলে খেয়েছি।"
"তুই ঠিক আছিস তো মা? ব্যথা করছে বেশি?"
"নাহ মা, আমার মুখ এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে।"
"কিন্তু মা, উনার এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে হয়ে গেলো?"
"বুঝলে মা, কিছু টেকনিক এপ্লাই করেছি।"
"টেকনিক? কোথা থেকে শিখলি মা এসব?"
"কাকীই শিখিয়েছে।"
"তারা, তুই?"
"তোমার তো মেয়েকে নিয়ে কোন চিন্তাই নেই। রোজ স্কুল থেকে আসার পর বাবার কামড়া থেকে সন্ধ্যায় ছাড়া পাওয়ার পর ওর হাল কেমন হতো মনে নেই? তাই বুদ্ধি দিলাম আর কি।"
"কিন্তু তুই এসব শিখলি কোথা থেকে?"
"মাঝে মাঝে গৌতম একটা সুযোগ পেলেই হঠাৎ করে আমার কাছে এসে তাড়াহুড়ো করে ওর রস খসিয়ে দিতে বলে। এটাকে নাকি "কুইকী" বলে। ওই তো শিখিয়েছে অল্প সময়ে রস মুখ দিয়ে বের করে নেওয়ার কৌশল।"
"কি বললি? গৌতম এসব কোথা থেকে শিখলো? কিসব আজেবাজে ছেলের সাথে মিশছে কে জানে। আর তুইও লাই দিয়ে দিয়ে ওকে মাথায় তুলেছিস।"
"বৌদি, গৌতমকে বকো না তো। এই বয়সে ছেলেরা এমনই হয়। আর তাতে লাভই তো হলো। আভারও কৌশলটা কাজে আসলো।"
"কি জানি বাপু। বাবা খুশি থাকলেই হয়।"
"আরে মা, দাদু খুব খুশি হয়েছে। রস বের হতেই আরামের চোটে লুটিয়ে পড়ে ঘুমিয়ে গেছে। এখন আমি যাই পড়তে বসি। আবার রাতে দাদু ডাকবে।"
"ঠিক আছে, যা মা। আমি নাস্তা টেবিলেই নিয়ে আসছি।"