03-09-2024, 11:53 AM
(01-09-2024, 03:50 PM)kumdev Wrote: দ্বাত্রিংশতি পরিচ্ছেদসালোয়ার কামিজেই ও সারা শরীর ঢাকা থাকে, শাড়িতে নয়। অথচ কি মুশকিল!
আজ রবিবার অফিস কাছারি বন্ধ। সুরেশবাবু পয়সা দিয়ে একটা কাগজ নিলেন।কাগজ সামনে মেলে ধরে পড়ার চেয়ে বেশী হচ্ছে আলোচনা।সবার বগলে বাজারের ব্যাগ,বাজার করে বাসায় ফিরবে।ম্যডামকে বাজারে ঢুকতে দেখেছে,তার দিকে একবার তাকায় নি।
আরণ্যক হাসে,দপুরে দেখা হবে।
কি যে দিনকাল হচ্ছে।মেয়েরা এখন শাড়ি পরা ছেড়ে দিয়েছে।বিনয় আঢ্যের গলায় আক্ষেপ।
সব পশ্চিমী প্রভাব বুঝলেন না মেম সাহেব হতে চায়।সুরেশ বাবু তাল দিলেন।
কথাগুলো আরণ্যকের কানে যেতে মনে মনে হাসে।
যাই বলুন আমাদের শাড়ীর কোনো তুলনা হয়না।অজিতবাবু বললেন।একটা কাপড়ে কি সুন্দর সারা শরীরের আব্রু রক্ষা করে।
আরে মশাই এখন বেআব্রু হবার দিকে ঝোক।বিনয় আঢ্য বললেন।
আরণ্যক টুকটাক খদ্দের সামসাতে ব্যস্ত তারই মধ্যে কাকুদের আলোচনা বেশ উপভোগ করে।ওরা আরণ্যকের উপস্থিতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।আরণ্যক ভাবে এখনো বের হল না কি এত বাজার করছে?
শীতলবাবু বললেন,আমাদের সময় মনে আছে আমার দিদি যে কলেজে পড়ত সেখানে কড়া নিয়ম ফ্রকের ঝুল হতে হবে হাটুর নীচ পর্যন্ত,হাটু দেখা গেলেই ক্লাস করতে হবেনা বাড়ী পাঠিয়ে দিত।
ধুর মশাই সে দিনকাল কি আর আছে।এখন দিদিমণিরাই শালওয়ার কামিজ পরছে।