18-08-2024, 12:17 PM
আপডেট-৩৯
ফাতেমা কাঁদতে কাঁদতে বল।
ফাতেমা: উপরওয়ালা দোহাই লাগে আপনি এমন করবেন না। বাচ্চাটা নষ্ট করবেন না।
আয়ানও কাঁদতে কাঁদতে বলল।
আয়ান: প্লিজ বাবা এমন করো না! তুমি আমার প্রথম বাচ্চাটাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিও না। এসবের মধ্যে তো আর বাচ্চাটার কোন ভুল নেই।
এদিকে দাদি রেগে গিয়ে আব্বাসকে একটা থাপ্পড় মেরে বলল।
আব্বাস: অনেক হয়েছে তোর নাটক। একটা কথা তুই মনোযোগ দিয়ে শুনে নে, ফাতেমা এই বাচ্চা নষ্ট করবে না।
আব্বাস: মা তুমিও আমার সাথে এমন করতে পারলে। আমি এই পাপটাকে আমার সামনে দেখতে পারবো না। জন্মের পর যখন বাচ্চাটা বারবার আমার সামনে আসবে, তখন আমার বারবার আমার এসব কথা মনে পড়বে যে বাচ্চাটা আমার বউয়ের অবৈধ সন্তান।
দাদি:: আমরা তোর কষ্টটা বুঝতে পারছি। কিন্তু এতে তো এই বাচ্চাটার কোন দোষ নেই। তুই যা বলবি আমরা তাই করবো। তবুও এই বাচ্চাটাকে নষ্ট করার কথা আর বলিস না।
আব্বাস: ঠিক আছে মা। আমি আর বাচ্চাটাকে নষ্ট করতে বলবো না। তবে আমার একটা শর্ত আছে! বাচ্চাটা জন্ম নেওয়ার পর আমি ফাতেমাকে নিয়ে অনেক সারাজীবনের জন্য দূরে চলে যাবো। তুমি বড় করো তোমার আয়ানের বাচ্চাকে।
একথা শুনে আয়ান আর ফাতেমার চমকে উঠে। আর আয়ান বলে।
আয়ান: না বাবা তুমি এমন কোরনা। আমি মাকে অনেক ভালোবাসি। মাকে আমার থেকে আলাদা কোরো না।
একথা শুনে আব্বাস আয়ানকে মারতে মারতে বললো।
আব্বাস: কি বললি হারামজাদা! তুই তোর মাকে ভালোবাসিস! আগে নিজের মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুললি আর এখন বলছিস তুই তোর মাকে ভালোবাসিস!
এসব দেখে ফাতেমা কাঁদতে কাঁদতে বলল।
ফাতেমা: আয়ানকে মারবেন না। সে আসলেই আমাকে খুব ভালবাসে। আর আমিও তাকে অনেক ভালোবাসি।
একথা শুনে আব্বাসের রাগ আরো বেড়ে গেল। আর সে ফাতেমাকে একটা থাপ্পড় মারল।
আব্বাস: কি বললি তুই? তুইও আয়ানকে ভালবাসিস? একটু আগেই তো খুব জোরে জোরে বলছিলি যে আমি তোকে ছেড়ে চলে গেছি।
আব্বাস যখন ফাতেমাকে থাপ্পর মারলো তখন এটা আয়ানের সহ্য হলো না। সে তার বাবার শার্টের কলার ধরে বলল।
আয়ান: অনেক কথা বলেছিস বালকামা! আর একবার যদি মায়ের গায়ে হাত তুলছিস না তো তোকে মেরে এমন অবস্থা করব যে সারা জীবন বিছানায় পড়ে থাকতে হবে।
আয়ানকে রেগে যেতে দেখে আব্বাস ভয় পেয়ে যায়। আর সে তখন কাঁদতে কাঁদতে বলে।
আব্বাস: হ্যাঁ মেরে ফেলবো তার বাবাকে। আর তুই কিবা করতে পারিস। প্রথমে তুই আমার বউকে আমার কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছি আর এখন আমাকে মেরে ফেলতে চাস। একটা কথা মনে রাখিস আমি কখনোই ফাতেমাকে তোর হতে দেবো না। আর বেশি কিছু করবি তো তোর বাচ্চাটাও নষ্ট করে দেব।
এসব কথা শুনে ফাতেমা কাঁদতে কাঁদতে বলল।
ফাতেমা: আপনি যা বলবেন আমরা তাই করবো। তবুও বাচ্চাটাকে নষ্ট করবেন না।
আব্বাস: ঠিক আছে! আজ থেকে তোমাদের ভালোবাসা শেষ! আজ থেকে তুমি আয়ানের থেকে দূরে দূরে থাকবে। আজ থেকে তুমি আবার আয়ানের মা আর সে তোমার ছেলে। বাচ্চা জন্মের পর আমরা এখান থেকে চিরদিনের জন্য চলে যাবো। এটাই আমার শেষ সিদ্ধান্ত।
একথা বলে সে উপরে তার রুমে চলে গেল। এদিকে আয়ান ফাতেমার দিকে তাকিয়ে বলল।
আয়ান: মা আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। এখন পর্যন্ত আমি যা যা করেছি তা শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্য করেছি। তুমি বাবার কথা কিভাবে মেনে নিলে। চলো আমরা পালিয়ে যাই এখান থেকে।
ফাতেমা: আমাকে মাফ করে দেন। আমার কাছে আমার পেটের বাচ্চা ছাড়া এখন কোন কিছুই গুরুত্বপূর্ণ না। এমনকি তুইও না। কোথায় পালাবো আমরা। যা কিছু হচ্ছে তা সব আমার ভাগ্যেই লেখা ছিল।
একথা বলে সে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে আয়ান কাঁদতে কাঁদতে বলল।
আয়ান: এসব কি হয়ে গেল দাদি?
দাদি: সব কিছুরই একটা মূল্য থাকে রে আয়ান। তুই যে প্রথমে ফাতেমার শরীরটা চেয়েছিলি, এটা তারই মূল্য।
একথা বলে দাদিও সেখান থেকে চলে গেল। এভাবে কিছুদিন কেটে যায়। আয়ান এবং ফাতেমা আগের মত মা ছেলের হয়ে গেল। কিন্তু দুজন দুজনার সাথে কোন কথা বলতো না। সবকিছুই আগের মতো স্বাভাবিক চলছিল। একদিন হঠাৎ সানা কাঁদতে কাঁদতে বাসায় এলো। সানাকে কাঁদতে দেখে দাদি বলল।
আয়ান: আরে সানা তুই কাঁদছিস কেন?
সানা: দাদি আমি প্রেগন্যান্ট!
একথা শুনে দাদি খুশি হয়ে বলল।
দাদি: আরে পাগলি এতে কাঁদার কি আছে! তোর তো খুশি হওয়ার কথা।
সানা: দাদি আলম বুঝে গেছে যে এটা আয়ানের বাচ্চা। তাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছে।
দাদি: কী.....! কিন্তু সে কিভাবে বুঝে গেল?
সানা: আমি আয়ানের যে ভিডিওটা আমার মোবাইলে রেখেছিলাম সেটা আলম দেখে ফেলেছে। আমার সব শেষ হয়ে গেল দাদি।
দাদি: কিছুই শেষ হয়ে যায়নি। তুই চিন্তা করিস না। আমরা আছি না। তুইও তো এই বংশের বাতিকে জন্ম দিতে চলেছিস। তাই আজ থেকে তুই এখানেই থাকবি আমাদের সঙ্গে।
পরে আয়ান এবং ফাতেমা সানার সম্পর্কে জানতে পারে। ফাতেমা সানাকে মাফ করে দিল। কিন্তু আয়ান তাকে মাফ করলো না কারণ সে তাকে ঘৃণা করে। তারপর আব্বাস যখন সানার সম্পর্কে সব শুনলো তখন সে অবাক হয়ে গেল। কিন্তু সে এর চেয়েও বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তাই সে এটাতে বেশি অবাক হলো না। এভাবেই ৩ মাস কেটে গেল। সানা ও ফাতেমা দুজনই ৩ মাসের পোয়াতি। এই ৩ মাসে আয়ান বাড়ির কারো সাথেই কথা বলেনি। সে ভিতরে ভিতরে খুব কামাতুর হয়ে পড়েছিল। একদিন রাতে যখন সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছিল না, তখন সে চুপি চুপি তার বাবা-মায়ের রুমে চলে গেল। সেখানে আব্বাস ও ফাতেমা ঘুমাচ্ছিল।
ফাতেমা কাঁদতে কাঁদতে বল।
ফাতেমা: উপরওয়ালা দোহাই লাগে আপনি এমন করবেন না। বাচ্চাটা নষ্ট করবেন না।
আয়ানও কাঁদতে কাঁদতে বলল।
আয়ান: প্লিজ বাবা এমন করো না! তুমি আমার প্রথম বাচ্চাটাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিও না। এসবের মধ্যে তো আর বাচ্চাটার কোন ভুল নেই।
এদিকে দাদি রেগে গিয়ে আব্বাসকে একটা থাপ্পড় মেরে বলল।
আব্বাস: অনেক হয়েছে তোর নাটক। একটা কথা তুই মনোযোগ দিয়ে শুনে নে, ফাতেমা এই বাচ্চা নষ্ট করবে না।
আব্বাস: মা তুমিও আমার সাথে এমন করতে পারলে। আমি এই পাপটাকে আমার সামনে দেখতে পারবো না। জন্মের পর যখন বাচ্চাটা বারবার আমার সামনে আসবে, তখন আমার বারবার আমার এসব কথা মনে পড়বে যে বাচ্চাটা আমার বউয়ের অবৈধ সন্তান।
দাদি:: আমরা তোর কষ্টটা বুঝতে পারছি। কিন্তু এতে তো এই বাচ্চাটার কোন দোষ নেই। তুই যা বলবি আমরা তাই করবো। তবুও এই বাচ্চাটাকে নষ্ট করার কথা আর বলিস না।
আব্বাস: ঠিক আছে মা। আমি আর বাচ্চাটাকে নষ্ট করতে বলবো না। তবে আমার একটা শর্ত আছে! বাচ্চাটা জন্ম নেওয়ার পর আমি ফাতেমাকে নিয়ে অনেক সারাজীবনের জন্য দূরে চলে যাবো। তুমি বড় করো তোমার আয়ানের বাচ্চাকে।
একথা শুনে আয়ান আর ফাতেমার চমকে উঠে। আর আয়ান বলে।
আয়ান: না বাবা তুমি এমন কোরনা। আমি মাকে অনেক ভালোবাসি। মাকে আমার থেকে আলাদা কোরো না।
একথা শুনে আব্বাস আয়ানকে মারতে মারতে বললো।
আব্বাস: কি বললি হারামজাদা! তুই তোর মাকে ভালোবাসিস! আগে নিজের মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুললি আর এখন বলছিস তুই তোর মাকে ভালোবাসিস!
এসব দেখে ফাতেমা কাঁদতে কাঁদতে বলল।
ফাতেমা: আয়ানকে মারবেন না। সে আসলেই আমাকে খুব ভালবাসে। আর আমিও তাকে অনেক ভালোবাসি।
একথা শুনে আব্বাসের রাগ আরো বেড়ে গেল। আর সে ফাতেমাকে একটা থাপ্পড় মারল।
আব্বাস: কি বললি তুই? তুইও আয়ানকে ভালবাসিস? একটু আগেই তো খুব জোরে জোরে বলছিলি যে আমি তোকে ছেড়ে চলে গেছি।
আব্বাস যখন ফাতেমাকে থাপ্পর মারলো তখন এটা আয়ানের সহ্য হলো না। সে তার বাবার শার্টের কলার ধরে বলল।
আয়ান: অনেক কথা বলেছিস বালকামা! আর একবার যদি মায়ের গায়ে হাত তুলছিস না তো তোকে মেরে এমন অবস্থা করব যে সারা জীবন বিছানায় পড়ে থাকতে হবে।
আয়ানকে রেগে যেতে দেখে আব্বাস ভয় পেয়ে যায়। আর সে তখন কাঁদতে কাঁদতে বলে।
আব্বাস: হ্যাঁ মেরে ফেলবো তার বাবাকে। আর তুই কিবা করতে পারিস। প্রথমে তুই আমার বউকে আমার কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছি আর এখন আমাকে মেরে ফেলতে চাস। একটা কথা মনে রাখিস আমি কখনোই ফাতেমাকে তোর হতে দেবো না। আর বেশি কিছু করবি তো তোর বাচ্চাটাও নষ্ট করে দেব।
এসব কথা শুনে ফাতেমা কাঁদতে কাঁদতে বলল।
ফাতেমা: আপনি যা বলবেন আমরা তাই করবো। তবুও বাচ্চাটাকে নষ্ট করবেন না।
আব্বাস: ঠিক আছে! আজ থেকে তোমাদের ভালোবাসা শেষ! আজ থেকে তুমি আয়ানের থেকে দূরে দূরে থাকবে। আজ থেকে তুমি আবার আয়ানের মা আর সে তোমার ছেলে। বাচ্চা জন্মের পর আমরা এখান থেকে চিরদিনের জন্য চলে যাবো। এটাই আমার শেষ সিদ্ধান্ত।
একথা বলে সে উপরে তার রুমে চলে গেল। এদিকে আয়ান ফাতেমার দিকে তাকিয়ে বলল।
আয়ান: মা আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। এখন পর্যন্ত আমি যা যা করেছি তা শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্য করেছি। তুমি বাবার কথা কিভাবে মেনে নিলে। চলো আমরা পালিয়ে যাই এখান থেকে।
ফাতেমা: আমাকে মাফ করে দেন। আমার কাছে আমার পেটের বাচ্চা ছাড়া এখন কোন কিছুই গুরুত্বপূর্ণ না। এমনকি তুইও না। কোথায় পালাবো আমরা। যা কিছু হচ্ছে তা সব আমার ভাগ্যেই লেখা ছিল।
একথা বলে সে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে আয়ান কাঁদতে কাঁদতে বলল।
আয়ান: এসব কি হয়ে গেল দাদি?
দাদি: সব কিছুরই একটা মূল্য থাকে রে আয়ান। তুই যে প্রথমে ফাতেমার শরীরটা চেয়েছিলি, এটা তারই মূল্য।
একথা বলে দাদিও সেখান থেকে চলে গেল। এভাবে কিছুদিন কেটে যায়। আয়ান এবং ফাতেমা আগের মত মা ছেলের হয়ে গেল। কিন্তু দুজন দুজনার সাথে কোন কথা বলতো না। সবকিছুই আগের মতো স্বাভাবিক চলছিল। একদিন হঠাৎ সানা কাঁদতে কাঁদতে বাসায় এলো। সানাকে কাঁদতে দেখে দাদি বলল।
আয়ান: আরে সানা তুই কাঁদছিস কেন?
সানা: দাদি আমি প্রেগন্যান্ট!
একথা শুনে দাদি খুশি হয়ে বলল।
দাদি: আরে পাগলি এতে কাঁদার কি আছে! তোর তো খুশি হওয়ার কথা।
সানা: দাদি আলম বুঝে গেছে যে এটা আয়ানের বাচ্চা। তাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছে।
দাদি: কী.....! কিন্তু সে কিভাবে বুঝে গেল?
সানা: আমি আয়ানের যে ভিডিওটা আমার মোবাইলে রেখেছিলাম সেটা আলম দেখে ফেলেছে। আমার সব শেষ হয়ে গেল দাদি।
দাদি: কিছুই শেষ হয়ে যায়নি। তুই চিন্তা করিস না। আমরা আছি না। তুইও তো এই বংশের বাতিকে জন্ম দিতে চলেছিস। তাই আজ থেকে তুই এখানেই থাকবি আমাদের সঙ্গে।
পরে আয়ান এবং ফাতেমা সানার সম্পর্কে জানতে পারে। ফাতেমা সানাকে মাফ করে দিল। কিন্তু আয়ান তাকে মাফ করলো না কারণ সে তাকে ঘৃণা করে। তারপর আব্বাস যখন সানার সম্পর্কে সব শুনলো তখন সে অবাক হয়ে গেল। কিন্তু সে এর চেয়েও বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তাই সে এটাতে বেশি অবাক হলো না। এভাবেই ৩ মাস কেটে গেল। সানা ও ফাতেমা দুজনই ৩ মাসের পোয়াতি। এই ৩ মাসে আয়ান বাড়ির কারো সাথেই কথা বলেনি। সে ভিতরে ভিতরে খুব কামাতুর হয়ে পড়েছিল। একদিন রাতে যখন সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছিল না, তখন সে চুপি চুপি তার বাবা-মায়ের রুমে চলে গেল। সেখানে আব্বাস ও ফাতেমা ঘুমাচ্ছিল।