Thread Rating:
  • 78 Vote(s) - 2.5 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Incest গোধূলি আলো'র গল্পগুচ্ছ
মৃণালের আত্মকথাঃ
পাঁচ বছর পর দেশে ফিরলাম। একেবারে বখে যাবার কারণে বাবা তার এক বন্ধুর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। শুরুতে রেস্টুরেন্টে ছোটখাট কাজ করলেও এখন আমি নিজেই একটা রেস্টুরেন্টের মালিক। একজন পুরুষ জীবনে যা যা চাইতে পারে তার সব‌ই পেয়েছি আমি। অর্থ-বিত্ত, আরাম-আয়েশ, প্রভাব-প্রতিপত্তি, নারী সব‌ই পাওয়া হয়েছে জীবনে। তবুও নিজেকে সুখী মনে হয় না। আমার সব সুখ-স্মৃতি শুধু সেই 15-20 মিনিটের যৌনতাকে ঘিরে যা আমি নিজের মায়ের দেহে উপভোগ করেছিলাম। এতো নারী এসেছে জীবনে যার সংখ্যা নিজেও গুণে দেখি নি। কিন্তু তাদের সাথে শুধু যৌনতাই ঘটেছে, ভালোবাসা আসে নি মনে। আমার সব ভালোবাসা শুধু আমার মাকে ঘিরে। মা হিসেবে আবার প্রেমিকা হিসেবেও। বরং মা হিসেবে তার প্রতি একটা অভিযোগ আছে যে তার কারণে আমার স্বাভাবিক জীবনটা ব্যাহত হয়েছে কৈশোরে। কিন্তু প্রেমিকা হিসেবে তার প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। এদিক থেকে সে আমার কাছে সাক্ষাৎ দেবী। তাই তো এই পাঁচ বছরে নিজেকে পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করে আমি তার কাছেই ছুটে এসেছি। কিন্তু তাকে পাবো কোথায়? সেই যৌন সম্পর্কের পর সে যেনো কোথায় চলে গিয়েছিল, অনেক চেষ্টা করেও খোঁজ পাই নি। তার এক বছর পরেই দেশের বাইরে চলে যাই আমি। পাঁচ বছর পরে দেশে ফিরে কোথায়, কিভাবে তাকে খুঁজবো তা নিজেও ঠিক জানি না। তবে যেভাবেই হোক খুঁজে পেতে হবেই, এটুকুই শুধু জানি। বাবার সাথে দেখা করার ইচ্ছে ছিল না। তবে কর্তব্য পালন বলে একটা কথা আছে। তাছাড়া তার সাপোর্টেই আমি যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। কৃতজ্ঞতাবোধ বলতে একটা কথা আছে। সেই ভাবনা থেকে গেলাম তার কাছে। কিন্তু ভাবতেই পারি নি যে এখানেই আমার কাঙ্ক্ষিত জিনিসটির সন্ধান পেয়ে যাবো। তার সাথে কথায় কথায় ম‌ঈনের কথা উঠতেই তিনি বললেন, ছেলে আমার উচ্চ পদে, উচ্চ প্রতিষ্ঠানে কাজ করে অথচ বাবার সাথে ফোনে হাই-হ্যালো ছাড়া আর কোনো কথা বলার‌ই সুযোগ ঘটে না।
চমকে উঠে আমি বললাম, ওদের সাথে যোগাযোগ আছে আপনার?
বাবা বললেন, ছেলের সাথে আছে, তার মায়ের সাথে নেই। রক্তের বন্ধন তো এতো সহজে ভোলা যায় না। লুকিয়ে লুকিয়ে ওদের সব খবর‌ই রাখতাম। যখন জানলাম ম‌ঈনের ভালো জব হয়েছে তখন চেয়েছিলাম সম্পর্ক ঠিক করতে। কিন্তু ছেলে আমার ফোনে যা জিজ্ঞেস করি তার জবাব দিয়ে যায় শুধু। নিজে থেকে কিছু জানতে চায় না। এমনকি বাসায় দাওয়াত দিলেও কবুল করে না। কেমন নিমকহারাম ছেলে! এই ঘরে আমার শুধু একটা মেয়ে। চাকরি আর কতো দিন করতে পারবো? বড় ছেলে হিসেবে তার একটা দায়িত্ব আছে না?
বাবার দায়িত্ববোধের ধারনা দেখে আমি মনে মনে হাসলাম। মুখে বললাম, সে জন্য চিন্তা করবেন না আপনি। আমি তো মাঝে মাঝে টুকটাক পাঠাচ্ছি। দরকার হলে আরো পাঠাবো। আমাকে আপনি সারা জীবন পাশে পাবেন।
বাবা মুখে একটা অমায়িক হাসি এনে বললেন, আহা বাবা! সব সন্তান যদি তোর মতো হতো।
আমি মৃদু হেসে বললাম, সে যাই হোক, ম‌ঈনের ঠিকানাটা আমাকে দিন। এতো বছর পর আসলাম, একবার দেখা করে যাই।
বাবা বললেন, বাসার ঠিকানা জানি না। অফিসের ঠিকানা দিচ্ছি।
বাবার কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে আমি ম‌ঈনের অফিসের দিকে চললাম। জানি না, ম‌ঈন কেমন আচরণ করবে কিংবা মায়ের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবো কিনা। তবু প্রচন্ড আবেগে হৃদপিন্ড ঢিবঢিব করছিল।
[+] 5 users Like Godhuli Alo's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: গোধূলি আলো'র গল্পগুচ্ছ - by Godhuli Alo - 07-08-2024, 01:14 AM



Users browsing this thread: 93 Guest(s)