17-07-2024, 10:04 PM
বাবা ঠিক আছে যেও আগে মেয়েকে আসতে দাও তারপর তোমরা যেও কেমন। মা ছেলে কতকিছু করবে এখন। আমাদের খাওয়া শেষ হতে আমি বাবা বেড়িয়ে এলাম মা বাসন কোসন সব ধুতে লাগল কলপারে। আমি বাবা বাইরে দাঁড়ানো। মা সব গুছিয়ে রেখে বের হল। সবাইল গরুর কাছে গেলাম। তখনো খাবার ছিল। বাবা বলল বেশ মশা বেলা থাকতে ঘরে তুলতে হবে।
আমি হ্যা সে আমি তুলে দেই।
বাবা বলল কই কোন খলা কুপিয়েছিস।
আমি ওইত ওইতা দেখ বীজ ফেল্বো কালকে।
বাবা দেখে বলল আরো কোপাতে হবে। ভালো করে কুপিয়ে ঝরঝরে করে দিতে হবে তবেনা ফল্বে।
মা বলল কোপাবে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না একবার ঝখন শুরু করেছে ফসল ফলাবেই তুমি দেখে নিও। তুমি তো পারবে না ও পারবে। এতভাল জমি তুমি দেখ ছেলেই দেখবে। তুমি কয়টা ফসল ফলিয়েছ।
বাবা মায়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে কিছু বলল আমি শুনতে পেলাম না। সবাই মিলে ফিরে এলাম ঘরের দিকে। আসতেই দেখি বাবা প্রিয় বড় মেয়ে এসে গেছে জামাইকে সাথে নিয়ে। দিদির বিয়ে হয়েছে ৪ বছর হল। বাবা আদর করে মেয়ে জামাইকে নিয়ে ঘরে গেল সাথে আমরাও।
দিদি মায়ের হাতে মিস্টি দিল আর বলল আমাদের দিতে। মা আমাদের সবাইকে মিষ্টি দিল খেয়ে নিলাম।
বাবা বলল চল বাজারে যাই মাংস নিয়ে আসি জামাই এসেছে।
আমি আর বাবা বাজারে গেলাম মাংস নিলাম আর মসলা নিলাম বাড়ি ফিরলাম সন্ধ্যে হয়ে গেছে আমি আর বাবা গরু তুলে ঘরে রাখলাম মা দিদি আর জামাইবাবু কথা বলছে আর রান্না করছে।
আমি একটু ক্যারাম খেলতে গেলাম ফিরলাম রাত সারে ৯ টা তখন। এসে দেখি বাবা জামাই দিদি সব খাচ্ছে। অদের হয়ে যেতে বলল যা তরা ঘরে যা আমি ওকে নিয়ে খেয়ে আসছি সব গুছিয়ে। আমি খেতে জিজ্ঞেস করলাম বাবা বাড়ি ছিল নাকি।
মা হ্যা ছিল ঘরে বসে জামাই শশুর কথা বলছিল আর আমি আর তোর দিদি রান্না করছিলাম। কালকে আর তোর বাড়ি থাকা হবে না শহরে যেতে হবে ওদের নিয়ে। তোর দিদির ৪ বছর হয়ে গেল বাচ্চা হচ্ছে না ওদের সংসারে অশান্তি লেগে গেছে তাই তোর দিদি আর জামাইবাবু এসেছে।
আমি বলকি মা আমি তো জানিনা।
মা তুই জানবি কি করে আমি মা হয়ে আজকে জানলাম। কালকে নিয়ে জাবী শহ্রের ভ্ল ডাক্তার দেখাবি তারপর কি করতে হয় করবি। তোর বাবার সাথে কথা হয়েছে কালকে তোকে যেতে বলবে ওদের নিয়ে। আমারা কথা বলছিলাম এর মধ্যে দিদি এল শাড়ী পরা দারুন লাগছে দিদিকে দেখতে। মায়ের কপি একদম।
দিদি মা ভাইকে বলেছ আমাদের সাথে যাওয়ার কথা।
মা হ্যা আজকে ঘুমা সকালে আমি রান্না করে দেব ভোর রাতে খেয়ে চলে জাবি তরা।
খুব সকালে আমরা বের হলাম শহরে গেলাম গিয়ে এক দাক্তারের খজ নিয়ে দেখালাম উনি দুজঙ্কেই কিছু টেস্ট করতে দিলেন। ল্যাবে নিয়ে গিয়ে স্যাম্পেল দিলাম দুজনের। রিপরট দেবে পরের দিন বিকেলে।ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিলাম রিপোর্ট নিয়ে আমি দেখালে হবে। তাই বাড়ি ফিরে এলাম। জামাইবাবু থাকতে পারবে না তার চাষ আছে তাই দিদিকে রেখে চলে সকালেই।
বাবার হাট ছিল উনি হাটে গেলেন এখন বাড়িতে আমি মা আর দিদি। মায়ের সাথে একান্তে কথাও বলতে পারছিনা সব সময় দিদি পাশে থাকে আর আমি দিদির কাছে ঘিসছি না মা রেগে যাবে। মা আর দিদি একসাথে থাকলেই কথা বলি একা যাই না। রাতে আমি আর বাবা আর মা আর দিদি এক জায়গায় ঘুমাল। বাবার হাট নেই পরের দিন। আমি সকালে রিপোর্ট আনতে যাবো। দিদি বলল আমি যাই ভাইয়ের সাথে ডাক্তারের সাথে দেখা করে আসবো।
মা দরকার নেই ও একা যাক তুই বাড়ি থাক ও তো নিয়ে আসবে জামাই এলে তুই আর জামাই মিলে যাস আজকে যেতে হবে না। যা তোর বাবার কাছে থেকে কিছু টকা নিয়ে আয় ওকে এনে দে লাগবেনা।
দিদি আচ্ছা বলে ঘরে গেল।
মা সাথে সাথে বলল কি সখ তোর সাথে যাবে কোন দরকার নেই।
আমি কিছুই বললাম না। দিদি আর বাবা এল আমাকে টাকা দিল নিয়ে চললাম শহরে হাতে রিপোর্ট পেয়ে দেখে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম। উনি বললেন আপনার দিদির কোন স্মস্যা নেই ওর স্বামীর সমস্যা স্পাম কাউন্ট কম তাই বাচ্চা হচ্ছে না। আমি নিয়ে বাড়ি ফিরলাম সন্ধ্যের মধ্যে।
এসে মাকে বললাম সব ঘটনা দিদিও পাশে ছিল শুনে দিদি কাঁদতে লাগল আর বলল আমার শাশুড়ি বলছে বাচ্চা না হলে ছেলেকে আবার বিয়ে দেবে।
বাবা হাট থেকে ফিরল রাত করেই বাবাকে বলা হল। বাবা বলল ভালো দাক্তার দেখাতে হবে সব খরচা আমি করব মেয়ের সংসার ভাঙ্গতে দেব না। এখন ঘুমাও জামাই আসুক দেখা যাবে অত ভাবিস না মা আমি তো আছি। মা আর দিদি এক ঘরে আর আমি আর বাবা এক ঘরে ঘুমালাম।
বাবা আর মা খুব সকালে উঠল বাইরে গেল টের পেলাম। আমি শোয়া ছিলাম দিদিও ঘরে শোয়া ছিল।
দিদি উঠে আমাকে ডাকল এই ভাই ওঠ।আমি উঠে বসতে এই তুই আমার সাথে তেমন কথা বলছিস না কেন রে। কি হয়েছে রাগ করেছিস নাকি আমার উপর।
আমি না কই সময় পাবো তো তারপর।
শহরে যাওয়ার সময় আমার পাশে বস্লি না। একবারের জন্য।
এরমধ্যে মা এল ঘরে আর বলল ও ভাইবোনে কথা বলছিস তোরা হয়ে গেলে বাইরে আসিস টিফিন করেছি মুখ ধুয়ে খেয়ে নিবি। আয় তোরা আয়।
আমি দেরি না করে উঠে বাইরে গেলাম। বাবা বসা ছিল মুখ ধুয়ে টিফিন করে গরু ঘরের দিকে যাচ্ছি বাবা বলল যেতে হবে না আমি হাটে যাবো, তুই বাজার করে নিয়ে আয়। আমি বাজার করে ফিরলাম বাবা বসা দিদি বসা। মা বলল খালে জয়ার আছে যাও তুমি স্নান করে আস। বাবা চলে গেল স্নান করতে আর দিদি বলল মা আমি একটু পাড়া থেকে ঘুরে আসি আসলাম তিন দিন হয়ে গেল যাওয়া হল না।
মা বলল যা ঘুরে আয়।
দিদি চলে গেল আমি মায়ের পাশে বসে রইলাম।
আমি মাকে বললাম তিন্দিন হয়ে গেল একটু সুজোগ পেলাম না।
মা একটু হেসে দিয়ে আমি পেয়েছি তোর বাবাও তো তোর কাছে ছিল। তোমার ইচ্ছে করে আমার করেনা। মেয়েটার সংসার না ভেঙ্গে যায় তোর বাবা খুব চিন্তিত এই নিয়ে। বাচ্চা না হলে কোন শাশুড়ি মেনে নেয় নাকি। জামাই আসুক দেখি। এরমধ্যে বাবা এলেন আর খেতে বসলেন।
বাবা বললেন জামাইকে এইসব বলতে হবে না একদম। শুনলে মন ভেঙ্গে যাবে। দেখী কি করা যায়। আর তুমি মেয়েকে বলে দিও কোন সমস্যা নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে। জামাই আসুক আমি বাড়ি ফিরি তারপর দেখা যাবে আমি একটু ওদিকে কথা বলি।
মা বলল আমি তেমন কিছু বলিনি তুই বলেছিস নাকি।
আমি বললাম তো তোমাদের সামনে আর কোন কথা হয়েছি নাকি দিদির সাথে।
মা বলল তুমি চন্তা কর না আমি সব সামলে নেব। তুমি হাটে যাও আমি দেখছি।
বাবা বলল আচ্ছা তাই দেখ।
বাবা রেডি হয়ে চলে গেল হাটে আমি আর মা বসে আছি।
আমি বললাম কি করবে তোমার জামাইয়ের তো ক্ষমতা নেই কি হবে এবার।
মা আমি তাইত ভাবছি কোণ ডাক্তারের ওষুধে কিছু হবে বলে মনে হয় না। কি করব ভাবছি।
আমি সে পড়ে ভাব্বে মা চল পেছনে চল আমি না দিতে পারলে পাগল হয়ে যাবো আজকে মা, ছেলেকে ঠাণ্ডা কর মেয়ের কথা পড়ে ভাব্বে। আজ চারদিন হয়ে গেল সেদিন মাল পরেনি আজকে তোমার খোলায় বীজ বুনবো মা। এই বলে মায়ের হাত ধরলাম।
মা এই শোন এতবর একটা চিন্তার বিষয় আর তুই আছিস তোর চিন্তা নিয়ে মা কি পালিয়ে যাচ্ছে নাকি। দিদির সাথে আবার ইস্কিম করেছিস নাকি।
আমি মা তুমি না একবারের জন্য দেখছ ওর সাথে।
মা না সকালে কোন কথা হয়েছে তোদের।
আমি না দিদি বলছিল তুই আমার কাছ থেকে দূরে থাকিস কেন সেই কথা জিজ্ঞেস করছিল আর কিছু না এর মধ্যে তো তুমি চলে গেলে।
মা বলল কি করা যায় ভাবছি। তুই দিলেই তো হয় কি বলিস। তাহলে আর রিপোর্ট দেখাতে হবেনা। তবে একটা কথা তোর আর আমার সম্পর্ক যেন তোর দিদি না জানে কোনদিন বলবি না। আমি তোদের সুযোগ করে দেব সাপও মরবে না লাঠীও ভাঙ্গবে না।
আমি ও এই বার বুঝতে পারছি এখন স্বামী ভালো দিচ্ছে ছেলেকে আর দরকার নেই।
মা না সোনা তুই না দিলে আমার হবে না কিন্তু মেয়ের সন্সারো বাচাতে হবে বাবা। আমি তোর দিদিকেও কিছু বলব না আর তোর বাবাকেও বলব না সব তুই করবি আমরা কিছুই জানবো না।
আমি হ্যা সে আমি তুলে দেই।
বাবা বলল কই কোন খলা কুপিয়েছিস।
আমি ওইত ওইতা দেখ বীজ ফেল্বো কালকে।
বাবা দেখে বলল আরো কোপাতে হবে। ভালো করে কুপিয়ে ঝরঝরে করে দিতে হবে তবেনা ফল্বে।
মা বলল কোপাবে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না একবার ঝখন শুরু করেছে ফসল ফলাবেই তুমি দেখে নিও। তুমি তো পারবে না ও পারবে। এতভাল জমি তুমি দেখ ছেলেই দেখবে। তুমি কয়টা ফসল ফলিয়েছ।
বাবা মায়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে কিছু বলল আমি শুনতে পেলাম না। সবাই মিলে ফিরে এলাম ঘরের দিকে। আসতেই দেখি বাবা প্রিয় বড় মেয়ে এসে গেছে জামাইকে সাথে নিয়ে। দিদির বিয়ে হয়েছে ৪ বছর হল। বাবা আদর করে মেয়ে জামাইকে নিয়ে ঘরে গেল সাথে আমরাও।
দিদি মায়ের হাতে মিস্টি দিল আর বলল আমাদের দিতে। মা আমাদের সবাইকে মিষ্টি দিল খেয়ে নিলাম।
বাবা বলল চল বাজারে যাই মাংস নিয়ে আসি জামাই এসেছে।
আমি আর বাবা বাজারে গেলাম মাংস নিলাম আর মসলা নিলাম বাড়ি ফিরলাম সন্ধ্যে হয়ে গেছে আমি আর বাবা গরু তুলে ঘরে রাখলাম মা দিদি আর জামাইবাবু কথা বলছে আর রান্না করছে।
আমি একটু ক্যারাম খেলতে গেলাম ফিরলাম রাত সারে ৯ টা তখন। এসে দেখি বাবা জামাই দিদি সব খাচ্ছে। অদের হয়ে যেতে বলল যা তরা ঘরে যা আমি ওকে নিয়ে খেয়ে আসছি সব গুছিয়ে। আমি খেতে জিজ্ঞেস করলাম বাবা বাড়ি ছিল নাকি।
মা হ্যা ছিল ঘরে বসে জামাই শশুর কথা বলছিল আর আমি আর তোর দিদি রান্না করছিলাম। কালকে আর তোর বাড়ি থাকা হবে না শহরে যেতে হবে ওদের নিয়ে। তোর দিদির ৪ বছর হয়ে গেল বাচ্চা হচ্ছে না ওদের সংসারে অশান্তি লেগে গেছে তাই তোর দিদি আর জামাইবাবু এসেছে।
আমি বলকি মা আমি তো জানিনা।
মা তুই জানবি কি করে আমি মা হয়ে আজকে জানলাম। কালকে নিয়ে জাবী শহ্রের ভ্ল ডাক্তার দেখাবি তারপর কি করতে হয় করবি। তোর বাবার সাথে কথা হয়েছে কালকে তোকে যেতে বলবে ওদের নিয়ে। আমারা কথা বলছিলাম এর মধ্যে দিদি এল শাড়ী পরা দারুন লাগছে দিদিকে দেখতে। মায়ের কপি একদম।
দিদি মা ভাইকে বলেছ আমাদের সাথে যাওয়ার কথা।
মা হ্যা আজকে ঘুমা সকালে আমি রান্না করে দেব ভোর রাতে খেয়ে চলে জাবি তরা।
খুব সকালে আমরা বের হলাম শহরে গেলাম গিয়ে এক দাক্তারের খজ নিয়ে দেখালাম উনি দুজঙ্কেই কিছু টেস্ট করতে দিলেন। ল্যাবে নিয়ে গিয়ে স্যাম্পেল দিলাম দুজনের। রিপরট দেবে পরের দিন বিকেলে।ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিলাম রিপোর্ট নিয়ে আমি দেখালে হবে। তাই বাড়ি ফিরে এলাম। জামাইবাবু থাকতে পারবে না তার চাষ আছে তাই দিদিকে রেখে চলে সকালেই।
বাবার হাট ছিল উনি হাটে গেলেন এখন বাড়িতে আমি মা আর দিদি। মায়ের সাথে একান্তে কথাও বলতে পারছিনা সব সময় দিদি পাশে থাকে আর আমি দিদির কাছে ঘিসছি না মা রেগে যাবে। মা আর দিদি একসাথে থাকলেই কথা বলি একা যাই না। রাতে আমি আর বাবা আর মা আর দিদি এক জায়গায় ঘুমাল। বাবার হাট নেই পরের দিন। আমি সকালে রিপোর্ট আনতে যাবো। দিদি বলল আমি যাই ভাইয়ের সাথে ডাক্তারের সাথে দেখা করে আসবো।
মা দরকার নেই ও একা যাক তুই বাড়ি থাক ও তো নিয়ে আসবে জামাই এলে তুই আর জামাই মিলে যাস আজকে যেতে হবে না। যা তোর বাবার কাছে থেকে কিছু টকা নিয়ে আয় ওকে এনে দে লাগবেনা।
দিদি আচ্ছা বলে ঘরে গেল।
মা সাথে সাথে বলল কি সখ তোর সাথে যাবে কোন দরকার নেই।
আমি কিছুই বললাম না। দিদি আর বাবা এল আমাকে টাকা দিল নিয়ে চললাম শহরে হাতে রিপোর্ট পেয়ে দেখে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম। উনি বললেন আপনার দিদির কোন স্মস্যা নেই ওর স্বামীর সমস্যা স্পাম কাউন্ট কম তাই বাচ্চা হচ্ছে না। আমি নিয়ে বাড়ি ফিরলাম সন্ধ্যের মধ্যে।
এসে মাকে বললাম সব ঘটনা দিদিও পাশে ছিল শুনে দিদি কাঁদতে লাগল আর বলল আমার শাশুড়ি বলছে বাচ্চা না হলে ছেলেকে আবার বিয়ে দেবে।
বাবা হাট থেকে ফিরল রাত করেই বাবাকে বলা হল। বাবা বলল ভালো দাক্তার দেখাতে হবে সব খরচা আমি করব মেয়ের সংসার ভাঙ্গতে দেব না। এখন ঘুমাও জামাই আসুক দেখা যাবে অত ভাবিস না মা আমি তো আছি। মা আর দিদি এক ঘরে আর আমি আর বাবা এক ঘরে ঘুমালাম।
বাবা আর মা খুব সকালে উঠল বাইরে গেল টের পেলাম। আমি শোয়া ছিলাম দিদিও ঘরে শোয়া ছিল।
দিদি উঠে আমাকে ডাকল এই ভাই ওঠ।আমি উঠে বসতে এই তুই আমার সাথে তেমন কথা বলছিস না কেন রে। কি হয়েছে রাগ করেছিস নাকি আমার উপর।
আমি না কই সময় পাবো তো তারপর।
শহরে যাওয়ার সময় আমার পাশে বস্লি না। একবারের জন্য।
এরমধ্যে মা এল ঘরে আর বলল ও ভাইবোনে কথা বলছিস তোরা হয়ে গেলে বাইরে আসিস টিফিন করেছি মুখ ধুয়ে খেয়ে নিবি। আয় তোরা আয়।
আমি দেরি না করে উঠে বাইরে গেলাম। বাবা বসা ছিল মুখ ধুয়ে টিফিন করে গরু ঘরের দিকে যাচ্ছি বাবা বলল যেতে হবে না আমি হাটে যাবো, তুই বাজার করে নিয়ে আয়। আমি বাজার করে ফিরলাম বাবা বসা দিদি বসা। মা বলল খালে জয়ার আছে যাও তুমি স্নান করে আস। বাবা চলে গেল স্নান করতে আর দিদি বলল মা আমি একটু পাড়া থেকে ঘুরে আসি আসলাম তিন দিন হয়ে গেল যাওয়া হল না।
মা বলল যা ঘুরে আয়।
দিদি চলে গেল আমি মায়ের পাশে বসে রইলাম।
আমি মাকে বললাম তিন্দিন হয়ে গেল একটু সুজোগ পেলাম না।
মা একটু হেসে দিয়ে আমি পেয়েছি তোর বাবাও তো তোর কাছে ছিল। তোমার ইচ্ছে করে আমার করেনা। মেয়েটার সংসার না ভেঙ্গে যায় তোর বাবা খুব চিন্তিত এই নিয়ে। বাচ্চা না হলে কোন শাশুড়ি মেনে নেয় নাকি। জামাই আসুক দেখি। এরমধ্যে বাবা এলেন আর খেতে বসলেন।
বাবা বললেন জামাইকে এইসব বলতে হবে না একদম। শুনলে মন ভেঙ্গে যাবে। দেখী কি করা যায়। আর তুমি মেয়েকে বলে দিও কোন সমস্যা নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে। জামাই আসুক আমি বাড়ি ফিরি তারপর দেখা যাবে আমি একটু ওদিকে কথা বলি।
মা বলল আমি তেমন কিছু বলিনি তুই বলেছিস নাকি।
আমি বললাম তো তোমাদের সামনে আর কোন কথা হয়েছি নাকি দিদির সাথে।
মা বলল তুমি চন্তা কর না আমি সব সামলে নেব। তুমি হাটে যাও আমি দেখছি।
বাবা বলল আচ্ছা তাই দেখ।
বাবা রেডি হয়ে চলে গেল হাটে আমি আর মা বসে আছি।
আমি বললাম কি করবে তোমার জামাইয়ের তো ক্ষমতা নেই কি হবে এবার।
মা আমি তাইত ভাবছি কোণ ডাক্তারের ওষুধে কিছু হবে বলে মনে হয় না। কি করব ভাবছি।
আমি সে পড়ে ভাব্বে মা চল পেছনে চল আমি না দিতে পারলে পাগল হয়ে যাবো আজকে মা, ছেলেকে ঠাণ্ডা কর মেয়ের কথা পড়ে ভাব্বে। আজ চারদিন হয়ে গেল সেদিন মাল পরেনি আজকে তোমার খোলায় বীজ বুনবো মা। এই বলে মায়ের হাত ধরলাম।
মা এই শোন এতবর একটা চিন্তার বিষয় আর তুই আছিস তোর চিন্তা নিয়ে মা কি পালিয়ে যাচ্ছে নাকি। দিদির সাথে আবার ইস্কিম করেছিস নাকি।
আমি মা তুমি না একবারের জন্য দেখছ ওর সাথে।
মা না সকালে কোন কথা হয়েছে তোদের।
আমি না দিদি বলছিল তুই আমার কাছ থেকে দূরে থাকিস কেন সেই কথা জিজ্ঞেস করছিল আর কিছু না এর মধ্যে তো তুমি চলে গেলে।
মা বলল কি করা যায় ভাবছি। তুই দিলেই তো হয় কি বলিস। তাহলে আর রিপোর্ট দেখাতে হবেনা। তবে একটা কথা তোর আর আমার সম্পর্ক যেন তোর দিদি না জানে কোনদিন বলবি না। আমি তোদের সুযোগ করে দেব সাপও মরবে না লাঠীও ভাঙ্গবে না।
আমি ও এই বার বুঝতে পারছি এখন স্বামী ভালো দিচ্ছে ছেলেকে আর দরকার নেই।
মা না সোনা তুই না দিলে আমার হবে না কিন্তু মেয়ের সন্সারো বাচাতে হবে বাবা। আমি তোর দিদিকেও কিছু বলব না আর তোর বাবাকেও বলব না সব তুই করবি আমরা কিছুই জানবো না।