15-07-2024, 06:40 PM
ইমনের বয়স ১৮। সবে অনার্সে ভর্তি। দেখতে রোগাপাতলা। ছোট্ট থেকেই গায় গতরে বড় ছেলেরা তাকে বিরক্ত করতো, মাঝেমধ্যে মারধরও করতো।
কলেজের প্রথম থেকেই আদিল আর তার দুই বন্ধু গৌরব ও জিয়ান ইমনকে তাদের হাস্যরসের পাত্র করে তুলেছে। ইন্টারের দুই বছরে ওরা ইমনের জীবন একদম নরক করে দিয়েছে। হুটহাট সবার সামনে অপমান হোক বা তাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হোক, কোন ভাবে নিচু করার পন্থা তারা বাদ দেয়নি।
ইমনের আসা অনার্সে উঠে যদি এদের ছেলেমানুষী কাটে। অথবা কোনো কারণে ওদের যদি জেল হয় পরিক্ষার পরে বন্ধের মধ্যে। তবে জেল হলে কেউই আশ্চর্য হবে না। সব কয়টা বাজে স্বভাবের বখাটে ছেলে।
কপাল খারাপ হলে যা হয়। অনার্সে ও তার একোই ভাবে তাকে জ্বালাচ্ছে। তারা মোরের একটা চায়ের দোকানের পিছনের তার জন্য অপেক্ষা করছে। দোকানের পিছনে বড়ো মাঠ আর তার পাস দিয়ে গেছে ছোট গলি। এই গলির রাস্তা দিয়েই ইমনকে বাড়ি ফিরতে হবে।
এরা ইমনকে মারধর করে না কিন্তু খোঁচা দিয়ে কথা বলে আর হুমকি ধামকি দেয়। আগের মতোই গৌরব ও জিয়ান তার গলায় হাত দিয়ে মঠের কোনে আদিলের কাছে নিয়ে গেল। আদিল দেখতে খারাপ না, ৬ ফুট লম্বা আর পেশীবহুল শরীর। ইমন তার মায়ের মতো ৫'৪" লম্বা।
আদিল ইমনের মুখের দিকে আঙুল দিয়ে বলল, আমার ইংলিশের অ্যাসাইনমেন্ট করে দিবে। ভালো করে করবি নাহলে কিন্তু আমি কি করতে পারি তা তোর ভালোই জানা আছে, হাফবেটারি।
জি আচ্ছা,ভাই । ইমন উওর দিলো যেমনটা আদিল ভেবেছিল।
গৌরব ও জিয়ান বেলে উঠলো আমাদেরটাও, বলে ইমনকে বাড়ির দিকে দেখিয়ে ধাক্কা দিলো।
ইমনের চোখে পানি এসে গেল। সে কিভাবে বাঁচবে এদের হাত থেকে। এরা কখনো শরীরে কোনো মারের ছাপ ফেলেনা। কখনো কলেজে বা শিক্ষকদের সামনে কিছু বলে না। কাউকে কিছু বলেও লাভ হবেনা।
কলেজের প্রথম থেকেই আদিল আর তার দুই বন্ধু গৌরব ও জিয়ান ইমনকে তাদের হাস্যরসের পাত্র করে তুলেছে। ইন্টারের দুই বছরে ওরা ইমনের জীবন একদম নরক করে দিয়েছে। হুটহাট সবার সামনে অপমান হোক বা তাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হোক, কোন ভাবে নিচু করার পন্থা তারা বাদ দেয়নি।
ইমনের আসা অনার্সে উঠে যদি এদের ছেলেমানুষী কাটে। অথবা কোনো কারণে ওদের যদি জেল হয় পরিক্ষার পরে বন্ধের মধ্যে। তবে জেল হলে কেউই আশ্চর্য হবে না। সব কয়টা বাজে স্বভাবের বখাটে ছেলে।
কপাল খারাপ হলে যা হয়। অনার্সে ও তার একোই ভাবে তাকে জ্বালাচ্ছে। তারা মোরের একটা চায়ের দোকানের পিছনের তার জন্য অপেক্ষা করছে। দোকানের পিছনে বড়ো মাঠ আর তার পাস দিয়ে গেছে ছোট গলি। এই গলির রাস্তা দিয়েই ইমনকে বাড়ি ফিরতে হবে।
এরা ইমনকে মারধর করে না কিন্তু খোঁচা দিয়ে কথা বলে আর হুমকি ধামকি দেয়। আগের মতোই গৌরব ও জিয়ান তার গলায় হাত দিয়ে মঠের কোনে আদিলের কাছে নিয়ে গেল। আদিল দেখতে খারাপ না, ৬ ফুট লম্বা আর পেশীবহুল শরীর। ইমন তার মায়ের মতো ৫'৪" লম্বা।
আদিল ইমনের মুখের দিকে আঙুল দিয়ে বলল, আমার ইংলিশের অ্যাসাইনমেন্ট করে দিবে। ভালো করে করবি নাহলে কিন্তু আমি কি করতে পারি তা তোর ভালোই জানা আছে, হাফবেটারি।
জি আচ্ছা,ভাই । ইমন উওর দিলো যেমনটা আদিল ভেবেছিল।
গৌরব ও জিয়ান বেলে উঠলো আমাদেরটাও, বলে ইমনকে বাড়ির দিকে দেখিয়ে ধাক্কা দিলো।
ইমনের চোখে পানি এসে গেল। সে কিভাবে বাঁচবে এদের হাত থেকে। এরা কখনো শরীরে কোনো মারের ছাপ ফেলেনা। কখনো কলেজে বা শিক্ষকদের সামনে কিছু বলে না। কাউকে কিছু বলেও লাভ হবেনা।
লেখক বলেছেন নষ্ট জীবন, কষ্ট জীবন