29-06-2024, 12:09 PM
পর্ব ১
আমি রাতুল সেন। বাবা , মা , আমি এই তিনজন নিয়ে পরিবার। বাবার বদলির চাকরি। সেই সুবাদে মোটামুটি তিন-চার বছর অন্তর আমাদের থাকার জায়গা পাল্টায়। যেহেতু আমি কলেজে পড়ি , তাই জায়গা পাল্টানোর সাথে সাথেই নতুন নতুন কলেজেও ভর্তি হতে হয়। সেটা বেশ মজাই লাগে আমার। নতুন কলেজ মানেই নতুন নতুন বন্ধু। আমার বাবা রাজীব সেন আর মায়ের নাম মোনালি সেন। বাবা যেহেতু প্রাইভেট কোম্পানি তে চাকরি করে , তাই বেশিরভাগ সময়টাই চাকরির সূত্রেই ব্যস্ত থাকে। ফলে সংসারের দিক টা পুরোটাই সামলাতে হয় মা কে।
তখন আমার ক্লাস এইট। বাবার চাকরির বদলি হওয়ায় নতুন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে আসতে হল আমাদের। জায়গাটা প্রধানত গ্রাম এলাকা। গ্রামটাটা বেশ সুন্দর , নিরিবিলি হওয়ায় আমাদের সবারই খুব পছন্দ হয়েছিল। গ্রামের থেকে হাঁটা পথে মিনিট পনেরো লাগত সরকারি কলেজে যেতে। কাছাকাছি ছিল বলে বাবা ওই কলেজেই আমায় ভর্তি করিয়ে দেয় ক্লাস এইটে। আমায় প্রথম কয়েকদিন বাবা কলেজে পৌঁছে দিলেও আস্তে আস্তে গ্রামেরই কিছু ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায় , যারা ওই সরকারি কলেজেই পড়ত। তাই তাদের সাথেই কলেজে যাতায়াত শুরু করি আমি। ওদের মধ্যে আমার সবচেয়ে ক্লোজ বন্ধু ছিল গোপাল আর শ্যামল। ওরা যথেষ্ট ভালো আর শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কিন্তু কলেজে আমাদের ক্লাসে দুজন বড় ছেলে ছিল। ওরা বয়সে বড় হলেও ফেল করার জন্য আমাদের ক্লাসেই থেকে গেছিল। ওরা আমাদের কে সব সময় ডমিনেট করত যেমন টিফিন কেড়ে খাওয়া , ওদের বাড়ির কাজ আমাদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া , এসব। কারন না করলেই ওরা যে কখন কিভাবে বদলা নেবে , সেটা শুধু ওরাই জানে।
এমনিই একদিন কলেজে টিফিন পিরিয়ডে আমরা তিন বন্ধু মিলে লুকিয়ে লুকিয়ে টিফিন খেয়ে ক্লাসরুমে এসেছি , দেখি ওই দুজন মানে অভি দা আর সোহম দা বসে আছে। যেহেতু ওরা বয়সে বড় , তাই ওদের দাদা বলেই ডাকতাম আমরা সবাই। আমাদের দেখে ওরা কটমট করে তাকিয়ে রইল। তারপর সোহম দা বলল "কি রে , ভালোই তো লুকিয়ে গিয়ে খাবার গুলো সাটিয়ে এলি ! তোদের কতবার বলেছি যে টিফিন আনলে আগে আমাদের দেখাবি , আমরা পছন্দমত খেয়ে যা থাকবে , সেটা তোরা খাবি, ভুলে গেছিস নাকি রে !" এটা শুনে অভি দা আমার দিকে ইশারা করে বলল " এই মাল টা না হয় নতুন , তোরা কি ওকে কিছু বলিস নি গোপাল ! আর শ্যামল তুইও! এত দম আসল কোথা থেকে রে?" এটা শুনে দেখলাম গোপাল আর শ্যামলের মুখ চুপসে গ্যাছে। কোনমতে গোপাল বলল " ভুলিনি দাদা , আসলে ও তো নতুন , ওর সাথে টিফিনে বেরিয়েছিলাম , কথা বার্তা বলতে বলতে খেয়াল নেই , কখন টিফিন খেয়ে ফেলেছি ! আর এমন হবে না।"
এটা শুনে অভি দা বলল "ও আচ্ছা , নতুন বন্ধু পেয়ে সাপের পাঁচ পা দেখেছিস না রে, দাঁড়া তাহলে নতুন মাল টাকেও একটু টাইট দিতে হচ্ছে " এই বলে আমার দিকে তাকিয়ে বলল " এই শালা , তোর কলেজের ডাইরি বের কর। ওটা দুইদিন আমরা রেখে দেব। তুই সালা ডাইরি ছাড়াই কলেজে আসবি । দুদিন বাইরে নিলডাউন হয়ে থাকলে দেখবি মাথা বেশি কাজ করবে।"
আমি কাকুতি মিনতি করতে সোহম দা বলল " দ্যাখ , এখন কাঁদুনি গেয়ে লাভ নেই বুঝলি। তাও তো অভি অনেক অল্প শাস্তি দিল তোদের , চুপচাপ ডাইরি টা বের করে দে।"
অগত্যা কিছু করার নেই বুঝে , ব্যাগ থেকে ডাইরি টা বের করলাম। সঙ্গে সঙ্গে অভি দা সেটা কেড়ে নিল। আর গোপাল আর শ্যামল কে বলল " খুব বাড় বেড়েছিস তোরা দুটোও। এ যাত্রায় তোদের নতুন বন্ধুর ওপর দিয়ে ঝড় গেল , পরের বার তোদের দুটোর ডানা ছাটব।"
এমন সময় সোহম দা অভি দার হাত থেকে নিয়ে ডাইরি টা খুলে দেখছিল। হটাৎ "গাড় মেরেছে সালা" বলে চাপা গলায় চেঁচিয়ে উঠল। সেটা শুনে অভি দাও অবাক। জিজ্ঞাসা করল "কি হয়েছে রে, কেস টা কি?" তখন সোহম দা ডাইরি তে কি দেখালো যেন অভি দা কে। অভি দাও তখন চোখ জ্বলজ্বল করে দেখল সেটা। তারপর আমায় জিজ্ঞাসা করল -"এটা তোর মায়ের ছবি!?" আসলে ডাইরি তে বাবা আর মায়ের ছবি লাগানোর নিয়ম কলেজের। আমি সেটা দেখে বললাম "হ্যাঁ , এটা মায়ের ছবি"। ওরা তো পুরো অবাক। সোহম দা বলল " বলিস কি রে , এমন চিকনি চামেলি তোরা মা!" অভি দা তাল মিলিয়ে বলল " যা বলেছিস রে, যেমন ফিগার তেমনি রঙ , এ শালা গ্রামের সবচেয়ে ডবকা মাগী মনে হচ্চে" আমি মিনমিন করে বললাম -" প্লিজ মা কে নিয়ে আজেবাজে বোলো না ।" এটা শুনে অভি দা বলল "বেশ করব বলব , তুই বাড়া কে আটকানোর , এমন মা থাকলে শুধু আমরা কেন , সবাই এসব বলবে , ছুকছুক করবে বুঝলি গান্ডু।" আমি বললাম "না না , মোটেও কেউ এমন বলে না" এটা বলায় ও রেগে বলল " আবার এঁড়ে তর্ক করছিস বাড়া , এত সাহস । আজ কলেজের পরে মানিক দার দোকানে দাঁড়াবি , ওখানে দেখবি সবাই কি বলে!"
আমি রাতুল সেন। বাবা , মা , আমি এই তিনজন নিয়ে পরিবার। বাবার বদলির চাকরি। সেই সুবাদে মোটামুটি তিন-চার বছর অন্তর আমাদের থাকার জায়গা পাল্টায়। যেহেতু আমি কলেজে পড়ি , তাই জায়গা পাল্টানোর সাথে সাথেই নতুন নতুন কলেজেও ভর্তি হতে হয়। সেটা বেশ মজাই লাগে আমার। নতুন কলেজ মানেই নতুন নতুন বন্ধু। আমার বাবা রাজীব সেন আর মায়ের নাম মোনালি সেন। বাবা যেহেতু প্রাইভেট কোম্পানি তে চাকরি করে , তাই বেশিরভাগ সময়টাই চাকরির সূত্রেই ব্যস্ত থাকে। ফলে সংসারের দিক টা পুরোটাই সামলাতে হয় মা কে।
তখন আমার ক্লাস এইট। বাবার চাকরির বদলি হওয়ায় নতুন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে আসতে হল আমাদের। জায়গাটা প্রধানত গ্রাম এলাকা। গ্রামটাটা বেশ সুন্দর , নিরিবিলি হওয়ায় আমাদের সবারই খুব পছন্দ হয়েছিল। গ্রামের থেকে হাঁটা পথে মিনিট পনেরো লাগত সরকারি কলেজে যেতে। কাছাকাছি ছিল বলে বাবা ওই কলেজেই আমায় ভর্তি করিয়ে দেয় ক্লাস এইটে। আমায় প্রথম কয়েকদিন বাবা কলেজে পৌঁছে দিলেও আস্তে আস্তে গ্রামেরই কিছু ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায় , যারা ওই সরকারি কলেজেই পড়ত। তাই তাদের সাথেই কলেজে যাতায়াত শুরু করি আমি। ওদের মধ্যে আমার সবচেয়ে ক্লোজ বন্ধু ছিল গোপাল আর শ্যামল। ওরা যথেষ্ট ভালো আর শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কিন্তু কলেজে আমাদের ক্লাসে দুজন বড় ছেলে ছিল। ওরা বয়সে বড় হলেও ফেল করার জন্য আমাদের ক্লাসেই থেকে গেছিল। ওরা আমাদের কে সব সময় ডমিনেট করত যেমন টিফিন কেড়ে খাওয়া , ওদের বাড়ির কাজ আমাদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া , এসব। কারন না করলেই ওরা যে কখন কিভাবে বদলা নেবে , সেটা শুধু ওরাই জানে।
এমনিই একদিন কলেজে টিফিন পিরিয়ডে আমরা তিন বন্ধু মিলে লুকিয়ে লুকিয়ে টিফিন খেয়ে ক্লাসরুমে এসেছি , দেখি ওই দুজন মানে অভি দা আর সোহম দা বসে আছে। যেহেতু ওরা বয়সে বড় , তাই ওদের দাদা বলেই ডাকতাম আমরা সবাই। আমাদের দেখে ওরা কটমট করে তাকিয়ে রইল। তারপর সোহম দা বলল "কি রে , ভালোই তো লুকিয়ে গিয়ে খাবার গুলো সাটিয়ে এলি ! তোদের কতবার বলেছি যে টিফিন আনলে আগে আমাদের দেখাবি , আমরা পছন্দমত খেয়ে যা থাকবে , সেটা তোরা খাবি, ভুলে গেছিস নাকি রে !" এটা শুনে অভি দা আমার দিকে ইশারা করে বলল " এই মাল টা না হয় নতুন , তোরা কি ওকে কিছু বলিস নি গোপাল ! আর শ্যামল তুইও! এত দম আসল কোথা থেকে রে?" এটা শুনে দেখলাম গোপাল আর শ্যামলের মুখ চুপসে গ্যাছে। কোনমতে গোপাল বলল " ভুলিনি দাদা , আসলে ও তো নতুন , ওর সাথে টিফিনে বেরিয়েছিলাম , কথা বার্তা বলতে বলতে খেয়াল নেই , কখন টিফিন খেয়ে ফেলেছি ! আর এমন হবে না।"
এটা শুনে অভি দা বলল "ও আচ্ছা , নতুন বন্ধু পেয়ে সাপের পাঁচ পা দেখেছিস না রে, দাঁড়া তাহলে নতুন মাল টাকেও একটু টাইট দিতে হচ্ছে " এই বলে আমার দিকে তাকিয়ে বলল " এই শালা , তোর কলেজের ডাইরি বের কর। ওটা দুইদিন আমরা রেখে দেব। তুই সালা ডাইরি ছাড়াই কলেজে আসবি । দুদিন বাইরে নিলডাউন হয়ে থাকলে দেখবি মাথা বেশি কাজ করবে।"
আমি কাকুতি মিনতি করতে সোহম দা বলল " দ্যাখ , এখন কাঁদুনি গেয়ে লাভ নেই বুঝলি। তাও তো অভি অনেক অল্প শাস্তি দিল তোদের , চুপচাপ ডাইরি টা বের করে দে।"
অগত্যা কিছু করার নেই বুঝে , ব্যাগ থেকে ডাইরি টা বের করলাম। সঙ্গে সঙ্গে অভি দা সেটা কেড়ে নিল। আর গোপাল আর শ্যামল কে বলল " খুব বাড় বেড়েছিস তোরা দুটোও। এ যাত্রায় তোদের নতুন বন্ধুর ওপর দিয়ে ঝড় গেল , পরের বার তোদের দুটোর ডানা ছাটব।"
এমন সময় সোহম দা অভি দার হাত থেকে নিয়ে ডাইরি টা খুলে দেখছিল। হটাৎ "গাড় মেরেছে সালা" বলে চাপা গলায় চেঁচিয়ে উঠল। সেটা শুনে অভি দাও অবাক। জিজ্ঞাসা করল "কি হয়েছে রে, কেস টা কি?" তখন সোহম দা ডাইরি তে কি দেখালো যেন অভি দা কে। অভি দাও তখন চোখ জ্বলজ্বল করে দেখল সেটা। তারপর আমায় জিজ্ঞাসা করল -"এটা তোর মায়ের ছবি!?" আসলে ডাইরি তে বাবা আর মায়ের ছবি লাগানোর নিয়ম কলেজের। আমি সেটা দেখে বললাম "হ্যাঁ , এটা মায়ের ছবি"। ওরা তো পুরো অবাক। সোহম দা বলল " বলিস কি রে , এমন চিকনি চামেলি তোরা মা!" অভি দা তাল মিলিয়ে বলল " যা বলেছিস রে, যেমন ফিগার তেমনি রঙ , এ শালা গ্রামের সবচেয়ে ডবকা মাগী মনে হচ্চে" আমি মিনমিন করে বললাম -" প্লিজ মা কে নিয়ে আজেবাজে বোলো না ।" এটা শুনে অভি দা বলল "বেশ করব বলব , তুই বাড়া কে আটকানোর , এমন মা থাকলে শুধু আমরা কেন , সবাই এসব বলবে , ছুকছুক করবে বুঝলি গান্ডু।" আমি বললাম "না না , মোটেও কেউ এমন বলে না" এটা বলায় ও রেগে বলল " আবার এঁড়ে তর্ক করছিস বাড়া , এত সাহস । আজ কলেজের পরে মানিক দার দোকানে দাঁড়াবি , ওখানে দেখবি সবাই কি বলে!"