03-06-2024, 07:44 PM
(03-06-2024, 12:14 PM)Godhuli Alo Wrote: সারা রাত ঘুম হয় নি। সকাল বেলাও নিজের ঘর ছেড়ে বের হতে মন চাইছিল না। শাহেদের মুখোমুখি হবার ভয়টাই ছিল বেশি। একটা সময় কেউ একজন ঘরের দরজায় নক করলো। খুলে দেখি বড় মেয়ে সাথী দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। আমাকে দেখে বলল, আম্মা সকালের নাস্তা তৈরি করবেন না আজ? শরীর খারাপ নাকি?
আমি - না, শরীর খারাপ না। এমনি ভালো লাগছে না।
সাথী - তাহলে আমরা কি খেয়ে কলেজে যাবো? ভাইয়া অফিসে যাবার আগে কি খাবে?
ভাইয়ার কথা শুনেই মেজাজটা গেল বিগড়ে। বিরক্ত হয়ে বললাম, যা খুশি খেয়ে যাও তোমরা। এতো বড় মেয়ে এখনো সকালের নাস্তাটা বানাতে পারো না?
ধমক খেয়ে সাথী নীরবে চলে যাবার পর আমার সম্বিৎ ফিরলো। 13 বছর বয়সের ক্লাস এইটে পড়া মেয়েটিকে আমি এসব কাজ শিখাই নি এখন পর্যন্ত। নিজে থেকেই সবকিছু শিখে নেয়াটা তো আর তার জন্য সম্ভব নয়। দ্রুত পায়ে চলে গেলাম রান্নাঘরে। ঝটপট রুটি আর আলু ভাজি তৈরি করে ফেললাম। সাথী এবং সেতু নাস্তা করে চলে গেলো কলেজে। তার প্রায় একঘন্টা পর শাহেদ নামলো উপর থেকে। টেবিলে সবকিছু সাজানো ছিল। সে নিজের মতো করে নাস্তা করে নিলো। আমি সামনেও গেলাম না। এরপর সে আবার উপরে গিয়ে অফিসে যাবার জন্য তৈরি হয়ে নিচে নামলো। মেইন দরজা লক করার জন্য আমিও বের হলাম ঘর থেকে। আমাকে দেখেই সে বললো, কথা বলছেন না কেন আমার সাথে?
আমি - বলার আর কি আছে?
এক বিধবা রমণীর শরীর ও মনের জ্বালা চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি।