03-06-2024, 12:14 PM
(This post was last modified: 03-06-2024, 05:52 PM by Godhuli Alo. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
সারা রাত ঘুম হয় নি। সকাল বেলাও নিজের ঘর ছেড়ে বের হতে মন চাইছিল না। শাহেদের মুখোমুখি হবার ভয়টাই ছিল বেশি। একটা সময় কেউ একজন ঘরের দরজায় নক করলো। খুলে দেখি বড় মেয়ে সাথী দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। আমাকে দেখে বলল, আম্মা সকালের নাস্তা তৈরি করবেন না আজ? শরীর খারাপ নাকি?
আমি - না, শরীর খারাপ না। এমনি ভালো লাগছে না।
সাথী - তাহলে আমরা কি খেয়ে কলেজে যাবো? ভাইয়া অফিসে যাবার আগে কি খাবে?
ভাইয়ার কথা শুনেই মেজাজটা গেল বিগড়ে। বিরক্ত হয়ে বললাম, যা খুশি খেয়ে যাও তোমরা। এতো বড় মেয়ে এখনো সকালের নাস্তাটা বানাতে পারো না?
ধমক খেয়ে সাথী নীরবে চলে যাবার পর আমার সম্বিৎ ফিরলো। 13 বছর বয়সের ক্লাস এইটে পড়া মেয়েটিকে আমি এসব কাজ শিখাই নি এখন পর্যন্ত। নিজে থেকেই সবকিছু শিখে নেয়াটা তো আর তার জন্য সম্ভব নয়। দ্রুত পায়ে চলে গেলাম রান্নাঘরে। ঝটপট রুটি আর আলু ভাজি তৈরি করে ফেললাম। সাথী এবং সেতু নাস্তা করে চলে গেলো কলেজে। তার প্রায় একঘন্টা পর শাহেদ নামলো উপর থেকে। টেবিলে সবকিছু সাজানো ছিল। সে নিজের মতো করে নাস্তা করে নিলো। আমি সামনেও গেলাম না। এরপর সে আবার উপরে গিয়ে অফিসে যাবার জন্য তৈরি হয়ে নিচে নামলো। মেইন দরজা লক করার জন্য আমিও বের হলাম ঘর থেকে। আমাকে দেখেই সে বললো, কথা বলছেন না কেন আমার সাথে?
আমি - বলার আর কি আছে?
শাহেদ - এমনভাবে চললে কি এক ছাদের নিচে থাকা যায়? তাহলে তো আমাকে সামনের মাস থেকেই মেসে উঠতে হবে।
আমি - সে কি কথা? তোমার রোজগারে সংসার চলছে। তুমি গেলে চলবে কেন? যাওয়া উচিত তো আমার। তোমারটা খাচ্ছি, তোমারটা পরছি আবার তোমাকেই অহেতুক বিরক্ত করছি।
শাহেদ - এভাবে বলবেন না আম্মা। সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক করে তুলুন।
আমি - জানি না সবকিছু আবার আগের মতো হবে কিনা। তবে চেষ্টা করবো আমি।
শাহেদ - হুম, আপনাকে পারতেই হবে। নইলে কিন্তু আমি সত্যিই মেসে উঠে যাবো। আর প্রতি মাসে আপনাদের খরচ পাঠিয়ে দেবো। আমার মুখ আর দেখতে পাবেন না আপনি।
আমি - ছিঃ এসব বলো না। ঠিক আছে আশা করছি খুব জলদি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
শাহেদ - ওকে, সেই ক্ষণের প্রতীক্ষায় রইলাম।
বলেই শাহেদ চলে গেলো। আর আমি দরজা লক করে আবেগে বুক চেপে ধরলাম। নিজেকে প্রকাশ করার পর শাহেদকে সামনে দেখলেই ভেতরটা তোলপাড় করে ওঠে।
আমি - না, শরীর খারাপ না। এমনি ভালো লাগছে না।
সাথী - তাহলে আমরা কি খেয়ে কলেজে যাবো? ভাইয়া অফিসে যাবার আগে কি খাবে?
ভাইয়ার কথা শুনেই মেজাজটা গেল বিগড়ে। বিরক্ত হয়ে বললাম, যা খুশি খেয়ে যাও তোমরা। এতো বড় মেয়ে এখনো সকালের নাস্তাটা বানাতে পারো না?
ধমক খেয়ে সাথী নীরবে চলে যাবার পর আমার সম্বিৎ ফিরলো। 13 বছর বয়সের ক্লাস এইটে পড়া মেয়েটিকে আমি এসব কাজ শিখাই নি এখন পর্যন্ত। নিজে থেকেই সবকিছু শিখে নেয়াটা তো আর তার জন্য সম্ভব নয়। দ্রুত পায়ে চলে গেলাম রান্নাঘরে। ঝটপট রুটি আর আলু ভাজি তৈরি করে ফেললাম। সাথী এবং সেতু নাস্তা করে চলে গেলো কলেজে। তার প্রায় একঘন্টা পর শাহেদ নামলো উপর থেকে। টেবিলে সবকিছু সাজানো ছিল। সে নিজের মতো করে নাস্তা করে নিলো। আমি সামনেও গেলাম না। এরপর সে আবার উপরে গিয়ে অফিসে যাবার জন্য তৈরি হয়ে নিচে নামলো। মেইন দরজা লক করার জন্য আমিও বের হলাম ঘর থেকে। আমাকে দেখেই সে বললো, কথা বলছেন না কেন আমার সাথে?
আমি - বলার আর কি আছে?
শাহেদ - এমনভাবে চললে কি এক ছাদের নিচে থাকা যায়? তাহলে তো আমাকে সামনের মাস থেকেই মেসে উঠতে হবে।
আমি - সে কি কথা? তোমার রোজগারে সংসার চলছে। তুমি গেলে চলবে কেন? যাওয়া উচিত তো আমার। তোমারটা খাচ্ছি, তোমারটা পরছি আবার তোমাকেই অহেতুক বিরক্ত করছি।
শাহেদ - এভাবে বলবেন না আম্মা। সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক করে তুলুন।
আমি - জানি না সবকিছু আবার আগের মতো হবে কিনা। তবে চেষ্টা করবো আমি।
শাহেদ - হুম, আপনাকে পারতেই হবে। নইলে কিন্তু আমি সত্যিই মেসে উঠে যাবো। আর প্রতি মাসে আপনাদের খরচ পাঠিয়ে দেবো। আমার মুখ আর দেখতে পাবেন না আপনি।
আমি - ছিঃ এসব বলো না। ঠিক আছে আশা করছি খুব জলদি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
শাহেদ - ওকে, সেই ক্ষণের প্রতীক্ষায় রইলাম।
বলেই শাহেদ চলে গেলো। আর আমি দরজা লক করে আবেগে বুক চেপে ধরলাম। নিজেকে প্রকাশ করার পর শাহেদকে সামনে দেখলেই ভেতরটা তোলপাড় করে ওঠে।