19-05-2024, 03:18 PM
"স্বর্গীয় বিবাহ"
আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। আর তার চারপাশ ঘিরে রয়েছি আমার মা, আমি আর আমার একমাত্র ছেলে যে কিনা সম্প্রতি নতুন চাকরিতে জয়েন করেছে ঢাকায়। নানার অসুস্থ্যতার কথা শুনে দু দিনের ছুটি নিয়ে ফিরেছে বাড়িতে। আমার বাবা বললেন, আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে। মরবার আগে আমার জীবনের শেষ ইচ্ছেটা জানিয়ে যাই তোমাদের। এটা শুনলে হয়তো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না তোমরা কিন্তু যত যাই হোক আমার এই ইচ্ছে যেকোনো মূল্যে তোমাদের পূরণ করতে হবে। তোমরা তো জানো আমি সারা জীবন আমার বাবার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। তিনি সম্প্রতি আমার স্বপ্নে এসে আমাকে এই আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু কথাটি এমন যে কিভাবে তোমাদের বলবো তা ভেবেই পাচ্ছিলাম না। কিন্তু মৃত্যু অতি নিকটে এটা বুঝতে পেরেই বলছি। আমার মৃত্যুর পর আমার বিধবা মেয়ে ও স্ত্রীর একমাত্র অবলম্বন হবে আমার নাতি। কিন্তু আমার নাতির স্ত্রী এসে এদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। এই নিয়ে আমি ব্যাপক চিন্তায় ছিলাম এবং এর সমাধানের একটা উপায় খুঁজছিলাম। এর মাঝেই একদিন স্বপ্নে আমার বাবা এসে বললেন, তোর মেয়ের সাথে তোর নাতির বিয়ের ব্যবস্থা কর। আমি অবাক হয়ে বললাম, এ কী করে সম্ভব, মা ছেলের বিয়ে? আমার বাবা দৃঢ় স্বরে বললেন, যেভাবেই হোক এটাকে সম্ভব করে তুলতে হবে। এতেই ওদের তিনজনের মঙ্গল। নয়তো পুরো পরিবারটিই ধ্বংস হয়ে যাবে। বলেই তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। আমি চাই আমার মৃত্যুর পর তার এই আজ্ঞা পুরোপুরি পালন হোক। এখানকার সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে তোমরা সবাই ঢাকায় শিফট হয়ে যেও। ওখানকার কেউ তোমাদের চেনে না, জানে না তাই কোনো প্রশ্ন তুলবে না। বাবার এসব কথা শুনে আমি অত্যাশ্চার্য হয়ে গেলাম। চিৎকার দিয়ে বলে উঠতে চাচ্ছিলাম যে, না এ কোনোভাবেই হতে পারে না। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী বাবার মলিন মুখটা দেখে আর কোনো সীন ক্রিয়েট করতে পারলাম না। আমার মা আর ছেলেও দেখলাম জোর করে নিজেদের চেপে রেখে পাথরের মতো স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। আমার বাবা আবার বললেন, শেষ কথাটা বলতে পেরে বেশ হালকা লাগছে এখন। তোমরা এখন যাও। আমি একটু বিশ্রাম নেই এখন। আমরা সবাই উঠে গেলাম।
আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। আর তার চারপাশ ঘিরে রয়েছি আমার মা, আমি আর আমার একমাত্র ছেলে যে কিনা সম্প্রতি নতুন চাকরিতে জয়েন করেছে ঢাকায়। নানার অসুস্থ্যতার কথা শুনে দু দিনের ছুটি নিয়ে ফিরেছে বাড়িতে। আমার বাবা বললেন, আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে। মরবার আগে আমার জীবনের শেষ ইচ্ছেটা জানিয়ে যাই তোমাদের। এটা শুনলে হয়তো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না তোমরা কিন্তু যত যাই হোক আমার এই ইচ্ছে যেকোনো মূল্যে তোমাদের পূরণ করতে হবে। তোমরা তো জানো আমি সারা জীবন আমার বাবার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। তিনি সম্প্রতি আমার স্বপ্নে এসে আমাকে এই আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু কথাটি এমন যে কিভাবে তোমাদের বলবো তা ভেবেই পাচ্ছিলাম না। কিন্তু মৃত্যু অতি নিকটে এটা বুঝতে পেরেই বলছি। আমার মৃত্যুর পর আমার বিধবা মেয়ে ও স্ত্রীর একমাত্র অবলম্বন হবে আমার নাতি। কিন্তু আমার নাতির স্ত্রী এসে এদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। এই নিয়ে আমি ব্যাপক চিন্তায় ছিলাম এবং এর সমাধানের একটা উপায় খুঁজছিলাম। এর মাঝেই একদিন স্বপ্নে আমার বাবা এসে বললেন, তোর মেয়ের সাথে তোর নাতির বিয়ের ব্যবস্থা কর। আমি অবাক হয়ে বললাম, এ কী করে সম্ভব, মা ছেলের বিয়ে? আমার বাবা দৃঢ় স্বরে বললেন, যেভাবেই হোক এটাকে সম্ভব করে তুলতে হবে। এতেই ওদের তিনজনের মঙ্গল। নয়তো পুরো পরিবারটিই ধ্বংস হয়ে যাবে। বলেই তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। আমি চাই আমার মৃত্যুর পর তার এই আজ্ঞা পুরোপুরি পালন হোক। এখানকার সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে তোমরা সবাই ঢাকায় শিফট হয়ে যেও। ওখানকার কেউ তোমাদের চেনে না, জানে না তাই কোনো প্রশ্ন তুলবে না। বাবার এসব কথা শুনে আমি অত্যাশ্চার্য হয়ে গেলাম। চিৎকার দিয়ে বলে উঠতে চাচ্ছিলাম যে, না এ কোনোভাবেই হতে পারে না। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী বাবার মলিন মুখটা দেখে আর কোনো সীন ক্রিয়েট করতে পারলাম না। আমার মা আর ছেলেও দেখলাম জোর করে নিজেদের চেপে রেখে পাথরের মতো স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। আমার বাবা আবার বললেন, শেষ কথাটা বলতে পেরে বেশ হালকা লাগছে এখন। তোমরা এখন যাও। আমি একটু বিশ্রাম নেই এখন। আমরা সবাই উঠে গেলাম।