15-05-2024, 01:34 AM
(This post was last modified: 15-05-2024, 02:14 AM by Henry. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
---হুম্ম। তুমি ই ঘরে। আর আমি তুমারে খুঁজতেইছি।
---তু যা এখুন। আমার কিছু কাম আছে। সেরে লিয়ে যাবো।
পিকলু উৎসাহী। বেশ টানটানের গল্প বটে। সে বলল---তারপর?
----ভীমনাগ বেদে মইরে গেলে, বাউলদের ভাঙা ঘর হতে তেমুন বড় একখান সোনালী গোখুরা পায় শম্ভু, নাম রাখে পদ্ম। এ পদ্ম মাদী। কিন্তু তার মার দুধ খাওয়া পদ্মটা ছিল নর। শম্ভুর পিরিত হইল মাদী পদ্মর সাইথে। একদিন সে দেইখল বাচ্চা নর পদ্ম তার ঘরের উঠানে। তারে দিখে দয়া হল শম্ভুর। সে'ই তারে ঈর্ষা কইরে ছাইড়ে দিয়েছিল নদীর পাড়ে। নর পদ্মর বয়স তখুন ছয়-সাত। চেহারা বড় লয়। আর মাদী বিশাল, তার ফনা তো তুমি দেইখছ পিকলু বাবু। রাতে মাদী পদ্মরে জড়ায় লয়ে শুত শম্ভু। আকাম কইরত সব। একদিন সে নদী হইতে ফিইরতে দিখে নরপদ্ম আর মাদী জোড় লাইগছে। নাগের সম্ভোগ দেইখে মাথার ঠিক লা রাইখতে পেরে মারতে উদ্যত হইল সে। নর পদ্মরে মাইরে দিত সেদিন। তখুন তার মনে আসে সাপ মারা মানা বেদে বংশে। ততক্ষুনে সে গোখুরা পেরান বাঁচায় পালাইছে।
একটা বিড়ি ধরালো ষষ্ঠী। তারপর পুনরায় বলতে লাগলো---বেশ কয়েক বছর পরে যখুন শম্ভুর অনেক পয়সা হইল। বউ বাচ্চা লয়ে গাঁয়ে বড় সম্মান। লুঙ্গি বাদ দিয়া শার্ট প্যান্ট ধইরছে। তখুন এ চালাঘর ভেইঙে বড় ঘর হবার কাজ চইলছে। তখুন সে ভাঙা মাটির ঘরের দালানের তলায় দিখতে পায় বিশাল এক সোনালি ফনাধারী গোখুরা। পদ্মের চেয়েও বিশাল। শম্ভু তারে ধরবার ছল কইরতে পারে লা। সে কি রাগ তার, তেড়ে আইসে। তারে কুনোরকমে ধইরে সে কাচের বাক্সে রাইখবার সময় টের পায় তার গায়ে একটা দাগ আছে। এ দাগ শম্ভুই তারে মেরে কইরে দিয়েছিল। এ সে তার মার দুধ খাওয়া নর গোখুরা, আসল পদ্ম। কিন্তু এ পদ্ম বাগ মানে না। চেষ্টা কইরলেও না। একদিন শম্ভু তার কামড় খাতে খাতে রয়ে গেল। কাচের বাক্স খুইলে যেই লা ধইরতে যাবে তেড়ে আইলো শব্দ কইরে। আর তক্ষুনি শম্ভু ভয়ে তারে ছুঁইড়ে ফেলে দিল। দিদিমণি তখুন চা লিয়ে ছিল পাশে। তার গায়ে যেই পড়ল দিদিমণি ভয় যেন এই পেরান হারাইবে। শম্ভু লক্ষ্য কইরতে থাকে ফনা মেলে সে তাকায় আছে দিদিমনির দিকে। দিদিমনির গলায় জইড়ে আছে তার শরীর। শম্ভু দিদিমনিরে চুপ কইরে থাইকতে নির্দেশ দেয়। রমা দিদিমণি শম্ভুর কথা মত চুপ। হঠাৎ কইরে সাপটা কেমন দিদিমণির সারা গায়ে খেইলে বেড়াইতে লাগে। দিদিমণি নইড়লেও কামড়ায় লাই। শম্ভু টাইনে আনলে সে শম্ভুর দিকে তাড়া কইরলেও দিদিমণির গায়ে সে যেন পরম আদর খুঁইজতেছে। শম্ভু বুঝতে পাইরে এ গোখুরা আসলে দিদিমণির গায়ে এমন কুনো গন্ধ পায়েছে যা তার মা কমলার গায়ে ছিল। শম্ভু সিদিন আসল জিনিসটা বুঝে লেয়। কিছু বলে লা কাউকে। পদ্মরে কাচের বাক্সে লা রাখে ছাইড়ে দিল সে এক দিন। চুপ চুপ দেইখে নরপদ্ম কি করে। ঘোষ দিগের ঘর ইখান থিকা এক কিমি দূরে। তার মস্ত গোয়াল আছে। গরুগুলারে ছাইড়া দেয় জঙ্গলের দিকটা। পদ্ম গাভীর বাঁট জড়ায় দুধ টানতে থাইকে। অবাক হয় শম্ভু। যারে কাচের বাক্সে টাটকা ব্যাঙ ডিম দিল ক'দিন একবারও খায় লাই। সে কি লা গরুর বাঁটে মুখ লাগায় দুধ টানে!
পিকলু ভাবল, এসব কি সত্যি বলছে ষষ্ঠী আঙ্কেল। নাকি বানানো গল্প। কিন্তু সে নিজেও তো দেখল। তার মায়ের স্তনে চোয়াল চেপে সাপটা দুধপান করছে! সন্দিহান হয়ে বলল---এসব সত্যি, ষষ্ঠী আঙ্কেল?
---সব সত্যি পিকলু বাবু, এর ঠিক দিন সাতেক পরের ঘটনা। কাচের বাক্স হতে বিষ বার কইরতে গিয়ে কামড় দিল শম্ভুর পোষা একটা সাধারন গোখুরা। পাপের লগে মরল শম্ভু। সে পাপ তার বাচ্চার উপরও পইড়বে। ই কথা সাবধান করে দিয়ে গিছিল লছমন বেদে।
---লছমন বেদে আবার কে?
----বিহারের দিক থিকা যে ভীমনাগ বেদের ভাইর ব্যাটাটা আসছিল সে। ভীমনাগ বেদের বাপ ছিল লখিন্দর। লখিন্দর বেদের বড় ব্যাটা ভীমনাগ, ছোট ব্যাটা কুলীন বেদে। যার ব্যাটা হল গিয়ে ই লছমন। শম্ভুরে বলে গিছিলি এর থিকা রক্ষা পাবার পথ।
---তু যা এখুন। আমার কিছু কাম আছে। সেরে লিয়ে যাবো।
পিকলু উৎসাহী। বেশ টানটানের গল্প বটে। সে বলল---তারপর?
----ভীমনাগ বেদে মইরে গেলে, বাউলদের ভাঙা ঘর হতে তেমুন বড় একখান সোনালী গোখুরা পায় শম্ভু, নাম রাখে পদ্ম। এ পদ্ম মাদী। কিন্তু তার মার দুধ খাওয়া পদ্মটা ছিল নর। শম্ভুর পিরিত হইল মাদী পদ্মর সাইথে। একদিন সে দেইখল বাচ্চা নর পদ্ম তার ঘরের উঠানে। তারে দিখে দয়া হল শম্ভুর। সে'ই তারে ঈর্ষা কইরে ছাইড়ে দিয়েছিল নদীর পাড়ে। নর পদ্মর বয়স তখুন ছয়-সাত। চেহারা বড় লয়। আর মাদী বিশাল, তার ফনা তো তুমি দেইখছ পিকলু বাবু। রাতে মাদী পদ্মরে জড়ায় লয়ে শুত শম্ভু। আকাম কইরত সব। একদিন সে নদী হইতে ফিইরতে দিখে নরপদ্ম আর মাদী জোড় লাইগছে। নাগের সম্ভোগ দেইখে মাথার ঠিক লা রাইখতে পেরে মারতে উদ্যত হইল সে। নর পদ্মরে মাইরে দিত সেদিন। তখুন তার মনে আসে সাপ মারা মানা বেদে বংশে। ততক্ষুনে সে গোখুরা পেরান বাঁচায় পালাইছে।
একটা বিড়ি ধরালো ষষ্ঠী। তারপর পুনরায় বলতে লাগলো---বেশ কয়েক বছর পরে যখুন শম্ভুর অনেক পয়সা হইল। বউ বাচ্চা লয়ে গাঁয়ে বড় সম্মান। লুঙ্গি বাদ দিয়া শার্ট প্যান্ট ধইরছে। তখুন এ চালাঘর ভেইঙে বড় ঘর হবার কাজ চইলছে। তখুন সে ভাঙা মাটির ঘরের দালানের তলায় দিখতে পায় বিশাল এক সোনালি ফনাধারী গোখুরা। পদ্মের চেয়েও বিশাল। শম্ভু তারে ধরবার ছল কইরতে পারে লা। সে কি রাগ তার, তেড়ে আইসে। তারে কুনোরকমে ধইরে সে কাচের বাক্সে রাইখবার সময় টের পায় তার গায়ে একটা দাগ আছে। এ দাগ শম্ভুই তারে মেরে কইরে দিয়েছিল। এ সে তার মার দুধ খাওয়া নর গোখুরা, আসল পদ্ম। কিন্তু এ পদ্ম বাগ মানে না। চেষ্টা কইরলেও না। একদিন শম্ভু তার কামড় খাতে খাতে রয়ে গেল। কাচের বাক্স খুইলে যেই লা ধইরতে যাবে তেড়ে আইলো শব্দ কইরে। আর তক্ষুনি শম্ভু ভয়ে তারে ছুঁইড়ে ফেলে দিল। দিদিমণি তখুন চা লিয়ে ছিল পাশে। তার গায়ে যেই পড়ল দিদিমণি ভয় যেন এই পেরান হারাইবে। শম্ভু লক্ষ্য কইরতে থাকে ফনা মেলে সে তাকায় আছে দিদিমনির দিকে। দিদিমনির গলায় জইড়ে আছে তার শরীর। শম্ভু দিদিমনিরে চুপ কইরে থাইকতে নির্দেশ দেয়। রমা দিদিমণি শম্ভুর কথা মত চুপ। হঠাৎ কইরে সাপটা কেমন দিদিমণির সারা গায়ে খেইলে বেড়াইতে লাগে। দিদিমণি নইড়লেও কামড়ায় লাই। শম্ভু টাইনে আনলে সে শম্ভুর দিকে তাড়া কইরলেও দিদিমণির গায়ে সে যেন পরম আদর খুঁইজতেছে। শম্ভু বুঝতে পাইরে এ গোখুরা আসলে দিদিমণির গায়ে এমন কুনো গন্ধ পায়েছে যা তার মা কমলার গায়ে ছিল। শম্ভু সিদিন আসল জিনিসটা বুঝে লেয়। কিছু বলে লা কাউকে। পদ্মরে কাচের বাক্সে লা রাখে ছাইড়ে দিল সে এক দিন। চুপ চুপ দেইখে নরপদ্ম কি করে। ঘোষ দিগের ঘর ইখান থিকা এক কিমি দূরে। তার মস্ত গোয়াল আছে। গরুগুলারে ছাইড়া দেয় জঙ্গলের দিকটা। পদ্ম গাভীর বাঁট জড়ায় দুধ টানতে থাইকে। অবাক হয় শম্ভু। যারে কাচের বাক্সে টাটকা ব্যাঙ ডিম দিল ক'দিন একবারও খায় লাই। সে কি লা গরুর বাঁটে মুখ লাগায় দুধ টানে!
পিকলু ভাবল, এসব কি সত্যি বলছে ষষ্ঠী আঙ্কেল। নাকি বানানো গল্প। কিন্তু সে নিজেও তো দেখল। তার মায়ের স্তনে চোয়াল চেপে সাপটা দুধপান করছে! সন্দিহান হয়ে বলল---এসব সত্যি, ষষ্ঠী আঙ্কেল?
---সব সত্যি পিকলু বাবু, এর ঠিক দিন সাতেক পরের ঘটনা। কাচের বাক্স হতে বিষ বার কইরতে গিয়ে কামড় দিল শম্ভুর পোষা একটা সাধারন গোখুরা। পাপের লগে মরল শম্ভু। সে পাপ তার বাচ্চার উপরও পইড়বে। ই কথা সাবধান করে দিয়ে গিছিল লছমন বেদে।
---লছমন বেদে আবার কে?
----বিহারের দিক থিকা যে ভীমনাগ বেদের ভাইর ব্যাটাটা আসছিল সে। ভীমনাগ বেদের বাপ ছিল লখিন্দর। লখিন্দর বেদের বড় ব্যাটা ভীমনাগ, ছোট ব্যাটা কুলীন বেদে। যার ব্যাটা হল গিয়ে ই লছমন। শম্ভুরে বলে গিছিলি এর থিকা রক্ষা পাবার পথ।