15-05-2024, 01:33 AM
(This post was last modified: 15-05-2024, 02:09 AM by Henry. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
---বলছি, বলছি, পিকলু বাবু। সুখ যে শুধু পয়সা লয়, তা ভুইলে গিছিল শম্ভু। হঠাৎ কইরে সাপে কাইটলো তারে একদিন। বিষ বার কইরতে গিয়ে বসাই দিল গোখুরাটা। শম্ভু মনে কইরল সে বেদে কি লা, কত সাপে কাটা রুগীরে বাঁচাইছে। তারেও তো কতবার সাপে কাইটছে। কিছু হয় লাই। ইবারটাও লিজের চিকিচ্ছা লিজে কইরল। কিন্তু সারে লাই। ভুলটা তার ভাঙে, বাপ ভীমনাগ বেদে তার বইলেছিল; "সাপের বিষ বেইচবি লাই, বাপ, খবরদার"।
পিকলু বলল---সাপে কাটার জন্যই মৃত্যু! আশ্চর্য! শম্ভু আঙ্কেল তো সাপে কাটা রুগীর যম ছিল।
----ছিইল তো। আসলে যে ভীমনাগ যে বেদে বংশে জনম লিছিল, সে বংশে যে অভিশাপ আছে। যে সাধু শিখাইছে ইসব, সে কয়েছিল সাপ মারা যাবে লাই, সাপের বিষ বিকা যাবে লাই। ভীমনাগের ঠাকুর্দা সে কথা লা শুইনে এক গোরা সাহেবকে বিষ বেইচে ছিল। তার মৃত্যু হইছিল গোখুরা কামড়ে। ভীমনাগের এক ভাই লা কি হাড়িয়া কিনবার লগে বিষ বেইচে দিছিল, তার লিগে সে মইরে যায়। সাপে কামড়ে চিকিচ্ছায় দক্ষ হুয়েও ই বেদের ব্যাটারা কারুকে বাঁচাইতে পারে লাই। সিদিন থিকা এ বংশে সাপের বিষ বেইচলে যে অভিশাপ আছে সে বিষয়টারে সতর্ক ছিল। ছোটবেলায় শম্ভুরে ই গল্প কয়েছিল ভীমনাগ বেদে। শম্ভু তা কি কইরে ভুইলে গেল লা কি লোভই তারে বিপদে ফেইলছে কে জানে।
পিকলু বলল---শম্ভু আঙ্কেল কি তবে সাপের কামড়ে মারা গেছে?
---তুমার মা স্বামীরে বাঁচাইবার লগে পয়সা খরচ কইরছে অনেক। হয় লাই। শেষমেষ এক বেদে আইসলো বিহারের দিক থিকা। সে জানাইছিল ভীমনাগ বেদে লা কি তার জেঠা হয়। সে দিক দিয়া ধইরলে শম্ভু তার ভাই। সে সব জাইনে কইল "শম্ভু এ তুই কি কইরেছিস? সাপের বিষ বিকেছিস?" শম্ভু চুপ কইরে ছিল। সে জানত শাপ আছে তার বেদে বংশে, তবু না মাইনে ইটা করছে। ধীরে ধীরে মরনের কোলে ঢইল পইড়তে লাইগল শম্ভু বেদে। মরবার আগের দিন চাঁদের মুখে চুমা খায়েছিল। আর দিদিমণিরে একটা গোপন কুথা কয়ে গেল। তরতাজা শম্ভু চইলে গেল।
পিকলু বলল---গোপন কথা কি?
---তুমি পড়া লিখা করা ছিলা এসব কি বিশ্বাস কইরবে পিকলু বাবু?
---বিশ্বাস না করার কি আছে? শম্ভু আঙ্কেল মেডিসিনাল সায়েন্স না মেনে যেভাবে আমাকে সুস্থ করে তুলেছিল তা তো আমি নিজের চোখে দেখেছি।
---পদ্ম তুমারে কাইটেছিল, পিকলু বাবু। সে কুথা মনে আছে।
---হ্যা। ভালো করেই মনে আছে। মস্ত বড় সোনালী রঙা গোখরো সাপ।
---সে পদ্ম ছিল মাদী সাপ। তার সাথে শম্ভুর ভাব ছিল। ভাব ছিল শুধু তার বিষের ন্যাশা কইরত বলে লয়, গায়ে জড়ায় লয়ে সারা রাত ল্যাংটা হয়ে পিরিত কইরত।
পিকলু বিস্মিত হল। শম্ভু আঙ্কেলের অদ্ভুত এক বিকৃত যৌনতাবোধ ছিল জেনে।
ষষ্ঠী বলতে লাগলো---আমি পদ্মরে চুরি কইরে লিয়ে গেছিলাম। তুমার বাপরে বিকে দিলাম। সে কাম আমার ভুল ছিল। সে তুমারে কাইটে দিল একদিন। তুমার মা তারে রাগের লগে বাটাম দিয়া মাইরে ফেইলছিল। কিন্তু পদ্মর এক জোড় ছিল। সে কুথা কেউ জাইনতো লা শম্ভু ছাড়া। পদ্মর চেয়ে তার বয়স কম ছিল। তারে শম্ভু সহ্য কইরতে পাইরতো লা দুটা কারণে। একটা হইল সে ছিল শম্ভুর পিরিতের মাদী পদ্মর নাগর।
পিকলু হাসলো। বলল--সস্তার উপমহাদেশীয় সিনেমায় এমন নাগ-নাগিনীর গল্প কথা দেখা যায়। ষষ্ঠী আঙ্কেল তুমিও যে তেমন কথা শোনাচ্ছ।
ষষ্ঠীপদ গুরুগম্ভীর হয়ে বলল---ঠাট্টার লা গো পিকলু বাবু। ইসব ঘটনা সত্যি। তুমি দেইখলে লা কেমন দিদিমনির গা জড়ায় দুধ টানছে।
---পারভার্টনেস। তবে অবশ্যই বিস্ময়কর। আর সাপেদের দুধ খাওয়া আসলেই অনেকদিন তৃষ্ণার্ত রাখলে সাপ দুধ কেন মদও খাবে। তবে ঐ যে জোড়া সাপ বললে, আমি তো প্রায় বছর খানেক ছিলাম শম্ভু আঙ্কেলের বাড়িতে। কোনোদিন দেখেনি তো ওরকম আরেকটা সাপ। অবশ্য এমন বিশাল সোনালী গোখরো আমি জীবনে কখনো দেখিনি আর।
---সে গল্প ধৈর্য ধরে শুইনতে হবে, পিকলু বাবু। পদ্মরে শম্ভু লোকের পুরানো ঘরে ইট খাদান হতে আইনলেও জোড়টা ছিল শম্ভুর ঘরেই। তারে ভীমনাগ বেদে আইনে ছিল ডিম ফুটায়ে দিয়ে। গোখুরার বাচ্চাটা তখুন ছোট্ট। শম্ভু অনেক বড় পইর্যন্ত তার মার দুধ খায়েছে। শম্ভুর যখন দশ বছর বয়স তার মা দুধ ছাড়ায় দেয়। কিন্তু সে একদিন লুকায় দিখতে পায় তার মা গোখুরার বাচ্চাটার মুখ নিজের দুধ বাঁটে লাগাই দিছে। সে গোখুরা তার মায়ের দুধ টাইনতো বইলে রাগ হইত শম্ভুর। সেই গোখুরার বাচ্চার নাম রাইখেছিল ভীমনাগ; পদ্ম। শম্ভুর মা মইরে গেলে পদ্মর বড় কষ্ট। সে তখুনও ছোট। সে দুধ ছাড়া কিছু খায় লাই। তার জন্য গাভী লয়ে আসবে ভেইবেছিল ভীমনাগ। কিন্তু একদিন তারে খুঁজে পাওয়া যায় লাই।
হঠাৎ করে থেমে গেল ষষ্ঠীপদ। জানালার পর্দার আড়াল থেকে দেখা গেল কেউ হেঁটে গেল। ষষ্ঠীপদ ডাক দিল---লতা লা কিরে?
পিকলু বলল---সাপে কাটার জন্যই মৃত্যু! আশ্চর্য! শম্ভু আঙ্কেল তো সাপে কাটা রুগীর যম ছিল।
----ছিইল তো। আসলে যে ভীমনাগ যে বেদে বংশে জনম লিছিল, সে বংশে যে অভিশাপ আছে। যে সাধু শিখাইছে ইসব, সে কয়েছিল সাপ মারা যাবে লাই, সাপের বিষ বিকা যাবে লাই। ভীমনাগের ঠাকুর্দা সে কথা লা শুইনে এক গোরা সাহেবকে বিষ বেইচে ছিল। তার মৃত্যু হইছিল গোখুরা কামড়ে। ভীমনাগের এক ভাই লা কি হাড়িয়া কিনবার লগে বিষ বেইচে দিছিল, তার লিগে সে মইরে যায়। সাপে কামড়ে চিকিচ্ছায় দক্ষ হুয়েও ই বেদের ব্যাটারা কারুকে বাঁচাইতে পারে লাই। সিদিন থিকা এ বংশে সাপের বিষ বেইচলে যে অভিশাপ আছে সে বিষয়টারে সতর্ক ছিল। ছোটবেলায় শম্ভুরে ই গল্প কয়েছিল ভীমনাগ বেদে। শম্ভু তা কি কইরে ভুইলে গেল লা কি লোভই তারে বিপদে ফেইলছে কে জানে।
পিকলু বলল---শম্ভু আঙ্কেল কি তবে সাপের কামড়ে মারা গেছে?
---তুমার মা স্বামীরে বাঁচাইবার লগে পয়সা খরচ কইরছে অনেক। হয় লাই। শেষমেষ এক বেদে আইসলো বিহারের দিক থিকা। সে জানাইছিল ভীমনাগ বেদে লা কি তার জেঠা হয়। সে দিক দিয়া ধইরলে শম্ভু তার ভাই। সে সব জাইনে কইল "শম্ভু এ তুই কি কইরেছিস? সাপের বিষ বিকেছিস?" শম্ভু চুপ কইরে ছিল। সে জানত শাপ আছে তার বেদে বংশে, তবু না মাইনে ইটা করছে। ধীরে ধীরে মরনের কোলে ঢইল পইড়তে লাইগল শম্ভু বেদে। মরবার আগের দিন চাঁদের মুখে চুমা খায়েছিল। আর দিদিমণিরে একটা গোপন কুথা কয়ে গেল। তরতাজা শম্ভু চইলে গেল।
পিকলু বলল---গোপন কথা কি?
---তুমি পড়া লিখা করা ছিলা এসব কি বিশ্বাস কইরবে পিকলু বাবু?
---বিশ্বাস না করার কি আছে? শম্ভু আঙ্কেল মেডিসিনাল সায়েন্স না মেনে যেভাবে আমাকে সুস্থ করে তুলেছিল তা তো আমি নিজের চোখে দেখেছি।
---পদ্ম তুমারে কাইটেছিল, পিকলু বাবু। সে কুথা মনে আছে।
---হ্যা। ভালো করেই মনে আছে। মস্ত বড় সোনালী রঙা গোখরো সাপ।
---সে পদ্ম ছিল মাদী সাপ। তার সাথে শম্ভুর ভাব ছিল। ভাব ছিল শুধু তার বিষের ন্যাশা কইরত বলে লয়, গায়ে জড়ায় লয়ে সারা রাত ল্যাংটা হয়ে পিরিত কইরত।
পিকলু বিস্মিত হল। শম্ভু আঙ্কেলের অদ্ভুত এক বিকৃত যৌনতাবোধ ছিল জেনে।
ষষ্ঠী বলতে লাগলো---আমি পদ্মরে চুরি কইরে লিয়ে গেছিলাম। তুমার বাপরে বিকে দিলাম। সে কাম আমার ভুল ছিল। সে তুমারে কাইটে দিল একদিন। তুমার মা তারে রাগের লগে বাটাম দিয়া মাইরে ফেইলছিল। কিন্তু পদ্মর এক জোড় ছিল। সে কুথা কেউ জাইনতো লা শম্ভু ছাড়া। পদ্মর চেয়ে তার বয়স কম ছিল। তারে শম্ভু সহ্য কইরতে পাইরতো লা দুটা কারণে। একটা হইল সে ছিল শম্ভুর পিরিতের মাদী পদ্মর নাগর।
পিকলু হাসলো। বলল--সস্তার উপমহাদেশীয় সিনেমায় এমন নাগ-নাগিনীর গল্প কথা দেখা যায়। ষষ্ঠী আঙ্কেল তুমিও যে তেমন কথা শোনাচ্ছ।
ষষ্ঠীপদ গুরুগম্ভীর হয়ে বলল---ঠাট্টার লা গো পিকলু বাবু। ইসব ঘটনা সত্যি। তুমি দেইখলে লা কেমন দিদিমনির গা জড়ায় দুধ টানছে।
---পারভার্টনেস। তবে অবশ্যই বিস্ময়কর। আর সাপেদের দুধ খাওয়া আসলেই অনেকদিন তৃষ্ণার্ত রাখলে সাপ দুধ কেন মদও খাবে। তবে ঐ যে জোড়া সাপ বললে, আমি তো প্রায় বছর খানেক ছিলাম শম্ভু আঙ্কেলের বাড়িতে। কোনোদিন দেখেনি তো ওরকম আরেকটা সাপ। অবশ্য এমন বিশাল সোনালী গোখরো আমি জীবনে কখনো দেখিনি আর।
---সে গল্প ধৈর্য ধরে শুইনতে হবে, পিকলু বাবু। পদ্মরে শম্ভু লোকের পুরানো ঘরে ইট খাদান হতে আইনলেও জোড়টা ছিল শম্ভুর ঘরেই। তারে ভীমনাগ বেদে আইনে ছিল ডিম ফুটায়ে দিয়ে। গোখুরার বাচ্চাটা তখুন ছোট্ট। শম্ভু অনেক বড় পইর্যন্ত তার মার দুধ খায়েছে। শম্ভুর যখন দশ বছর বয়স তার মা দুধ ছাড়ায় দেয়। কিন্তু সে একদিন লুকায় দিখতে পায় তার মা গোখুরার বাচ্চাটার মুখ নিজের দুধ বাঁটে লাগাই দিছে। সে গোখুরা তার মায়ের দুধ টাইনতো বইলে রাগ হইত শম্ভুর। সেই গোখুরার বাচ্চার নাম রাইখেছিল ভীমনাগ; পদ্ম। শম্ভুর মা মইরে গেলে পদ্মর বড় কষ্ট। সে তখুনও ছোট। সে দুধ ছাড়া কিছু খায় লাই। তার জন্য গাভী লয়ে আসবে ভেইবেছিল ভীমনাগ। কিন্তু একদিন তারে খুঁজে পাওয়া যায় লাই।
হঠাৎ করে থেমে গেল ষষ্ঠীপদ। জানালার পর্দার আড়াল থেকে দেখা গেল কেউ হেঁটে গেল। ষষ্ঠীপদ ডাক দিল---লতা লা কিরে?