15-05-2024, 01:30 AM
(This post was last modified: 15-05-2024, 01:59 AM by Henry. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পিকলু চলে এলো নদীর ধারটা। এখনো সেই পাড়, সেই ঘাট। তবে বেশ জঙ্গলাকীর্ন হয়ে রয়েছে। ডিঙি বাঁধার সেই শিরীষ গাছটা নদীর জলে খানিকটা নিমজ্জিত। বোঝাই যায় বারবার বন্যা মাটি ভেঙে নদীকে সর্বগ্রাসী করে তুলেছে।
নদীর পাড় ঘুরে সে ফিরল পুনরায় এ বাড়িতে। বাড়ির নাম 'চাঁদবাড়ি'। বড্ড সুন্দর নাম। এমন নাম মা'ই রাখতে পারে। নিজের আদরের ছেলের নামে নিশ্চই রাখা এ বাড়ির নাম।
পিকলু দেখল এত বিশাল বাড়িতে মাত্র দুটি মানুষ থাকে। চাঁদ ও মা। সাজানো গোছানো ঘর। অথচ বেশ নির্জন, শীতল ছায়াময়। দোতলাটা যেন আরো নির্জন। সে হাঁটতে হাঁটতে হাজির হল একটা বড় ঘরের সামনে। ঘরের দরজার মুখে দীর্ঘ নকশা করা পর্দা। পর্দাগুলো উড়ছে দখিণা বাতাসে।
কৌতূহলবশত পিকলু পর্দাটা খানিক সরিয়ে তাকালো ঘরের ভেতর। বিশাল রাজকীয় পালঙ্ক, ঠিক যেন জমিদার বাড়ির বনেদিয়ানায় সাজানো এই ঘর। দেয়াল জুড়ে নানা চিত্রকরের পোট্রেট। পালঙ্কের ঠিক মাথার কাছে দেয়ালে মা আর শম্ভু আঙ্কেলের বিশাল ছবি। ছবিতে মাকে রানীর মত দেখাচ্ছে। শম্ভু আঙ্কেলও শেরওয়ানি পরা রাজ সাজে। এ সেই বেদে মাঝি শম্ভু নয়।
পিকলু এতক্ষন দেখেনি পালঙ্কে ঠেস দিয়ে অর্ধশায়িত মাকে। মায়ের পরনে সেই ঘিয়ে সিল্ক শাড়িটা। ঠিক এখনো যেন রানীর মত দেখাচ্ছে তাকে। মায়ের কোলের উপর শুয়ে আছে আট বছরের চাঁদ। তার মুখ নিম্মজ্জিত মায়ের স্তনে। মায়ের স্তন কি তীব্র ফর্সা শাঁখের মত শুভ্র নিৰ্দাগ! আগের চেয়ে পুষ্ট নিটোল ও বড়!
মা চাঁদকে এই আরামপ্রদ বিশাল ঘরে রানীর মত স্তন পান করাচ্ছে। করাবেই তো, চাঁদ যে এ বাড়ির রাজকুমার। অকস্মাৎ পিকলু নজর করল চাঁদের হাতে ধরা বিশাল গোখরোটা। তার অনেকটা শরীর মায়ের উপর।
চমকে উঠল পিকলু। এ কি দেখছে সে! সত্যি? নাগ কি স্তন পান করে? মায়ের আরেকটা স্তনে গোখরোটা চোয়াল দিয়ে টান দিচ্ছে। হ্যা ঠিকই দেখছে। মায়ের অপর স্তনটিও উন্মুক্ত। চাঁদই যেন তার মায়ের আরেকটি স্তনের দুধ পান করাচ্ছে গোখরোটাকে!
আকস্মিক কাঁধ চেপে ধরল পেছন থেকে কেউ একজন পিকলুর। পিকলু চমকে উঠে পেছন ফিরে তাকালো।
ষষ্ঠিপদ বললে---তুমি কেমন আছ পিকলু বাবু?
ষষ্ঠী আঙ্কেল কি তাকে চিনতে পেরেছে! কি করে চিনতে পারবে, কিশোর পিকলুর সাথে যুবক পিকলুর কোনো মিল নেই। সে মিথ্যে করে বলল--কে পিকলু।
ষষ্ঠীপদ মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করতে ইশারা করল তাকে। দ্রুত পিকলকে টেনে নিয়ে গেল পাশের ঘরে। বলল---তোমারে আমি চিইনতে পারছি। তুমি তখুন অমন কইরে তুমার বাপের আর তুমার ছবি দেইখতে ছিলা। তখুন সন্দেহে ইইল। তুমার একজন বন্ধুরে জিগাইলি তুমার নাম কি?
পিকলু নির্বাক তটস্থ। তার হাত-পা কাঁপছে। অস্থিরতা, বিরক্তি, কৌতূহল সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত ঝড় তার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ষষ্ঠীপদ পুনরায় বলল---তুমার মা লোক লাগাই তুমার খোঁজ রাইখে, তুমার বাপের খোঁজ রাইখে। কিন্তু লিজে কখুনো যায় লা।
---কেন? কেন আমাদের খোঁজ নেয় মা? আমাদের তো তাকে কোনো প্রয়োজন নেই।
---আস্তে পিকলু বাবু। তুমার মা ভালোবাইসে অখুনও তুমারে। কিন্তু কি কইরবে সে যে শম্ভুরেও ভালোবাইসতো। চাঁদ কে দেইখছ, পিকলু বাবু? সে তুমার সৎ ভাই। সে ঘরে এখুন তুমি যাবে লাই। এখুন পদ্ম আর চাঁদরে দুধ দিতেছে দিদিমণি।
---পদ্ম! কে পদ্ম?
---যারে জড়ায় লয়ে বাঁট চুষাইতেছে দিদিমণি। সে গোখুরা আছে। তুমারে যে কাইটেছিল...
---সে তো মরে গেছে। মা তো মেরে ফেলেছিল তাকে।
ষষ্ঠিপদ বলল----সে অনেক কুথা। শুইনতে হবে ধৈর্য্য ধইরে।
নদীর পাড় ঘুরে সে ফিরল পুনরায় এ বাড়িতে। বাড়ির নাম 'চাঁদবাড়ি'। বড্ড সুন্দর নাম। এমন নাম মা'ই রাখতে পারে। নিজের আদরের ছেলের নামে নিশ্চই রাখা এ বাড়ির নাম।
পিকলু দেখল এত বিশাল বাড়িতে মাত্র দুটি মানুষ থাকে। চাঁদ ও মা। সাজানো গোছানো ঘর। অথচ বেশ নির্জন, শীতল ছায়াময়। দোতলাটা যেন আরো নির্জন। সে হাঁটতে হাঁটতে হাজির হল একটা বড় ঘরের সামনে। ঘরের দরজার মুখে দীর্ঘ নকশা করা পর্দা। পর্দাগুলো উড়ছে দখিণা বাতাসে।
কৌতূহলবশত পিকলু পর্দাটা খানিক সরিয়ে তাকালো ঘরের ভেতর। বিশাল রাজকীয় পালঙ্ক, ঠিক যেন জমিদার বাড়ির বনেদিয়ানায় সাজানো এই ঘর। দেয়াল জুড়ে নানা চিত্রকরের পোট্রেট। পালঙ্কের ঠিক মাথার কাছে দেয়ালে মা আর শম্ভু আঙ্কেলের বিশাল ছবি। ছবিতে মাকে রানীর মত দেখাচ্ছে। শম্ভু আঙ্কেলও শেরওয়ানি পরা রাজ সাজে। এ সেই বেদে মাঝি শম্ভু নয়।
পিকলু এতক্ষন দেখেনি পালঙ্কে ঠেস দিয়ে অর্ধশায়িত মাকে। মায়ের পরনে সেই ঘিয়ে সিল্ক শাড়িটা। ঠিক এখনো যেন রানীর মত দেখাচ্ছে তাকে। মায়ের কোলের উপর শুয়ে আছে আট বছরের চাঁদ। তার মুখ নিম্মজ্জিত মায়ের স্তনে। মায়ের স্তন কি তীব্র ফর্সা শাঁখের মত শুভ্র নিৰ্দাগ! আগের চেয়ে পুষ্ট নিটোল ও বড়!
মা চাঁদকে এই আরামপ্রদ বিশাল ঘরে রানীর মত স্তন পান করাচ্ছে। করাবেই তো, চাঁদ যে এ বাড়ির রাজকুমার। অকস্মাৎ পিকলু নজর করল চাঁদের হাতে ধরা বিশাল গোখরোটা। তার অনেকটা শরীর মায়ের উপর।
চমকে উঠল পিকলু। এ কি দেখছে সে! সত্যি? নাগ কি স্তন পান করে? মায়ের আরেকটা স্তনে গোখরোটা চোয়াল দিয়ে টান দিচ্ছে। হ্যা ঠিকই দেখছে। মায়ের অপর স্তনটিও উন্মুক্ত। চাঁদই যেন তার মায়ের আরেকটি স্তনের দুধ পান করাচ্ছে গোখরোটাকে!
আকস্মিক কাঁধ চেপে ধরল পেছন থেকে কেউ একজন পিকলুর। পিকলু চমকে উঠে পেছন ফিরে তাকালো।
ষষ্ঠিপদ বললে---তুমি কেমন আছ পিকলু বাবু?
ষষ্ঠী আঙ্কেল কি তাকে চিনতে পেরেছে! কি করে চিনতে পারবে, কিশোর পিকলুর সাথে যুবক পিকলুর কোনো মিল নেই। সে মিথ্যে করে বলল--কে পিকলু।
ষষ্ঠীপদ মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করতে ইশারা করল তাকে। দ্রুত পিকলকে টেনে নিয়ে গেল পাশের ঘরে। বলল---তোমারে আমি চিইনতে পারছি। তুমি তখুন অমন কইরে তুমার বাপের আর তুমার ছবি দেইখতে ছিলা। তখুন সন্দেহে ইইল। তুমার একজন বন্ধুরে জিগাইলি তুমার নাম কি?
পিকলু নির্বাক তটস্থ। তার হাত-পা কাঁপছে। অস্থিরতা, বিরক্তি, কৌতূহল সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত ঝড় তার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ষষ্ঠীপদ পুনরায় বলল---তুমার মা লোক লাগাই তুমার খোঁজ রাইখে, তুমার বাপের খোঁজ রাইখে। কিন্তু লিজে কখুনো যায় লা।
---কেন? কেন আমাদের খোঁজ নেয় মা? আমাদের তো তাকে কোনো প্রয়োজন নেই।
---আস্তে পিকলু বাবু। তুমার মা ভালোবাইসে অখুনও তুমারে। কিন্তু কি কইরবে সে যে শম্ভুরেও ভালোবাইসতো। চাঁদ কে দেইখছ, পিকলু বাবু? সে তুমার সৎ ভাই। সে ঘরে এখুন তুমি যাবে লাই। এখুন পদ্ম আর চাঁদরে দুধ দিতেছে দিদিমণি।
---পদ্ম! কে পদ্ম?
---যারে জড়ায় লয়ে বাঁট চুষাইতেছে দিদিমণি। সে গোখুরা আছে। তুমারে যে কাইটেছিল...
---সে তো মরে গেছে। মা তো মেরে ফেলেছিল তাকে।
ষষ্ঠিপদ বলল----সে অনেক কুথা। শুইনতে হবে ধৈর্য্য ধইরে।