08-05-2024, 01:51 PM
মা- আমাকে দেখে বলল প্রেসারে ভাত দিয়েছি আর ডাল চাপিয়েছি ডিম আছে নাকি।
আমি- হ্যা ফ্রিজে আছে।
মা- ভাত হয়ে গেছে তুমি এস আমি ডিম ভেজে তোমাকে খেতে দিচ্ছি।
আমি- কি করে মায়ের প্রতি এত রাগ ছিল তবুও আর কিছু বলতে পারছি না। বাধ্য হয়ে খেতে বসলাম আর মাকে বললাম তুমিও নিয়ে খেতে বস। ও কি খায়।
মা- ভাত খায়।
আমি- ওর বয়স কত।
মা- এই দুই বছর। এই বলে মা ভাত নিয়ে বসল আমরা সবাই মিলে খেলাম। খাওয়া শেষ হতে বলল তুমি যাও আমি সব পরিস্কার করে রেখে আসছি।
আমি- বাইরে বেড়িয়ে দাড়িয়ে আছি। আর ভাবছি এই মা স্বার্থের জন্য আমাকে বাবাকে কি বিপদে ফেলে না চলে গেছিল, বাবা বাঁচল না কিন্তু এখন মাকে দেখতে ইচ্ছে করেনা। আগে কত ভালবাসত কিন্তু কি আর করা যাবে। শত হলে নিজের মা, খুব খারাপ আমার মা নিজের সুখের জন্য আমাকে বাবাকে এইভাবে ফেলে চলে যেতে পারে আমি যখন ভাবতাম অবাক হতাম, আমি তো ওর পেটের ছেলে আমার সাথে এমন করতে পারল। এখন আবার নির্লজ্জের মতন ফিরে এসেছে। আমার বয়স এখন ২২ বছর। বাবার অসুস্থতার জন্য আমার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। কাজে লাগতে হয়েছে। তবে একটা জিনিস বাবার একাউন্টে মাজে মাঝে টাকা ঢুক্ত কে পাঠাত বাবা কোনদিন বলেনি, আর বলবে কি করে বাবার তো গলায় ক্যান্সার ছিল কথা বলতে পারত না, আমাকে সব ইশারায় বলত, আমি সেইভাবে কাজ করতাম। কতকিছু ভাবছি আমি মা না আসলে এত কিছু ভাবনা আমার আসত না। তবে সেশের দিকে আর টাকা আসত না, গেলেই বলত আর টাকা নেই এবং কিছু জমা পরেনি। এই গত দুইমাস ধরে তাতেই বাবার ওষুধ সব কিনতে পারি নাই জার ফলে বাবা মারা গেলেন না হলে আরো কিছুদিন বাচতেন মনে হয়। এরমধ্যে মায়ের গলা।
মা- কাজ শেষ করে আমাকে ডাকল এস ঘরে এস। আমার কাজ শেষ হয়ে গেছে খুব নোংরা করে রেখেছিলে সব পরিস্কার করলাম। কালকে বাসন মাজার বার নিয়ে আসবে খালি মাজলে পরিস্কার হয় না। এত নোংরা বাড়িতে মহিলা না থাকলে যা হয়, এক বছর গেলে একটা বিয়ে করবে বিয়ের বয়স হয়ে গেছে তোমার।
আমি তুমি যা খেল দেখালে আবার বিয়ে এ বাড়ি আর কোন মেয়ে মানুষ ঢুক্তে দেব না বলে ঘরে গেলাম আর বললাম বল কি বলবে। সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত এখন ঘুমাতে হবে। কি বলবে বলেছিলে বল। তুমি চলে এসেছ তোমার নতুন স্বামীকে বলে এসেছ তো। সে কি করে তোমরা কোথায় থাকো। চাকরি বাকরি করে নাকি আমার মতন ডেলি লেবার।
মা- আমার কোন স্বামী নেই যে ছিল সে মারা গেছে তোমার বাবা। আমি বিয়ে একবারই করেছি। আমি আর দ্বিত্বীয় বিয়ে করিনি আর বাচ্চার কথা সেটা বলতেই তোমার কাছে আসা, দেখি যদি ভালো বুঝি তোমাকে বলব না হয় মনেই থেকে যাবে।
আমি তবে এতদিন কোথায় ছিলে তুমি, আর খবর পেলে কি করে বাবা মারা গেছে। মা আমি সব খবর পেতাম তোমরা কি করছ।আমি কে দিত খবর তোমাকে।মা তার নাম না হয় না জানলে।
আমি কে বলবে ওই বাড়ির পারুল আসত মাঝে মাঝে আমাদের খোজ নিতে তাছাড়া তো কেউ আসত না।
মা বললাম না তার নাম তোমার জানতে হবেনা। আমি তাকে কথা দিয়েছি তার নাম বলব না। তাই বলতে পারবো না।
আমি লাগবে না তোমার বলা জাও ঘুমিয়ে পর সকালে তুমি চলে যাবে তোমার এখানে থাকতে হবে না।মা জানি তোমার আমার উপর রাগ হওয়া স্বভাবিক কিন্তু আমি যে অপারগ তাই কি করব বল।
আমি তুমি বললে ঘরে এসে সব বলবে তাই তো তোমাকে নিয়ে এলাম এখন তো কিছুই বলছ না। সব কথা এরিয়ে যাচ্ছ। তুমি আসলেই খারাপ একজন মহিলা। তোমাকে মা বলে ডাকতে আমার ঘেন্না করে। নিজের সুখের জন্য অসুস্থ স্বামী আর আমাকে ফেলে চলে গেছ।
মা- আমি বললে তুমি সহ্য করতে পারবে তো। এতদিন যা করেছ সব ভুল হয়ে যাবে তোমার। তাইত বলতে ভয় করে। আমার তো সব গেছে আছ একমাত্র তুমি। আগেই বলেছি তোমার কোন মামা নেই, আমার বাবা মা আগেই মারা গেছে মামা বাড়িতে মানুষ, কষ্ট করে থেকেছি ও বাড়ির সব কাজ করে, আর কাজ করতাম বলে খেতে পেতাম, তোমার বাবা আমাকে পছন্দ করত তাই পালিয়ে তোমার বাবার সাথে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমি জানতাম না আমার কপালে ওর থেকেও অনেক বেশী দুঃখ এখানে আছে। মনের দুঃখের কথা কাউকে বলতে পারিনি, তোমাকে বলব সে সাহস আমার হচ্ছে না। তুমি হয়ত আমাকে ভাব ব্যাভিচারীনি, আমি আসলে তাই, কিন্তু কি কারনে আমি হলাম তা তো তুমি জানো না। আমি অনেক আশা নিয়ে তোমার বাবার সাথে এসেছিলাম, ভালই চলছিল আমাদের জীবোন, বিয়ের এক বছরের মাথায় সব উল্টো হয়ে গেল। আমার সব আশা নষ্ট হয়ে গেল। তোমার বাবা কামাই করত না সব বাপের টাকায় ফুটানি করত, তোমার দাদু ছেলের যন্ত্রণা নিলেও পরে মেয়ের কেন নেবে। এই নিয়ে কতদিন অশান্তি হয়েছে তুমি জানোনা, তোমার ঠাকুমা ভালো ছিল আমাকে আগলে রাখত। কিন্তু সে যে চলে গেল তারপর আমার জীবনে কষ্টের দিন শুরু হল।
আমি কি কারনে হল সেটা আমাকে বল। আর না বলতে পারলে আমি ঘুমাতে যাচ্ছি আমার প্যান প্যানানি ভাল লাগেনা। আমি এম্নিতে ঠিক করেছি এখানে আর থাকবো না চলে যাবো অন্য কোথাও, একার জীবন ঠিক চালিয়ে নিতে পারবো। এক জায়গায় কথাও হয়ে গেছে এখানে আর ভাল লাগছে না। তুমি যাও ঘুমাতে যাও কালকে কাজে যেতে হবে। অনেক কাজ আছে গেলে বেশ টাকা কামাই করতে পারবো।
মা- তুমি আমার ছেলে কি করে তোমাকে বলি, এ বাড়ির সব পুরুষ রগচটা কেউ কথা শুনতে চায়না, তুমিও হয়েছ সেরকম। সব রক্তের দোষ।
আমি- একদম বাজে কথা বলবে না, কি বলছ তোমার হুশ আছে তো, আমার বাপ ঠাকুর দা কে নিয়ে কথা বলছ।
মা- আমার হুশ আছে বলেই তো বলছি। আমার বিয়ের পর তোমার ঠাকুমা যতদিন বেচে ছিল সব ঠিক ছিল উনি চলে যাবার পর এ বাড়ি আর বাড়ি ছিল না। এ পারার সবাই বলত আমি খুব সুন্দরী, আর আমার এই সৌন্দর্য হল আমার জীবনের কাল। যেখানে ছিলাম সেখানেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি কোনদিন ভালো থাকতে পারলাম না। আমার এই জীবনে কত কিছু যে ঘটে গেছে তোমাকে সব বলতে পারছিনা। একদিনের জন্য একটু সুস্থ মনে ঘুমাতে পারলাম না।
আমি- না আজকে আর আমি কথা শুনতে পারবো না ঘুমাতে যাবো অনেক ঘুম ঘুম লাগছে আমার চোখে। তুমি এ ঘরে ঘুমিয়ে পরো ওকে নিয়ে আমি যাচ্ছি ঘুমাতে বাকি কথা না হয় কালকে শুনবো। আমি দুঃখীর পেটে জন্মেছি বলেই আমার জীবনে এত দুঃখ, নিজের বাবাকে হাতের উপর মরতে দেখেছি, মা ছেরে চলে গেছে দাদু নিরুদ্দেশ আর কি বলবে তুমি এখন ঘুমাও। তুমি আমার মা তোমাকে ফেল্বো না অনেক রাগ ছিল না আর রাগ করে লাভ নেই তুমি থাকো, তবে একটা কথা না বলে চলে যাবেনা তোমার নাগরের কাছে।
মা- তুই আমাকে এমন কথা বলতে পারলি, কে আমার নাগর।
আমি- দেখ আমার ভালো লাগছে না তাই আর কথা বলতে চাই না। নাগর না থাকলে চলে গেছিলে কেন না বলে। একবার তো ভেবে দেখনি বাবার কি হবে তোমার ছেলের কি হবে কি করে আমি বাচব। এক দুই দিন না পাক্কা ৬ বছর। এখন আসছে গল্প শুনাতে। রাখ তোমার আষাঢ়ের গল্প আমি ঘুমাতে গেলাম বলে চলে এলাম আমার ঘরে, জদিও বাবা বেচে থাকতে আমি বাবার কাছেই থাকতাম দিনের বেলা বাড়ি থাকলে এই ঘরে ঘুমাতাম। দাদুর করা বাড়ি আমাদের, সব গেলেও বাড়ি টা আছে আমাদের। বিছানায় পরে মায়ের কথা গুলো ভাবতে লাগলাম। আমাদের রক্তের দোষ, মায়ের সুন্দরী কত কথা মা বলল কি এমন হয়েছিল কে জানে। দাদু হারিয়ে গেল কয়েক দিনের মধ্যে মাও হারিয়ে গেল। আমি কোন কারন খুজে পাই নি আজ অব্দি। মায়ের যৌবন মায়ের কাল কি কথা বলল মা।
আমি- হ্যা ফ্রিজে আছে।
মা- ভাত হয়ে গেছে তুমি এস আমি ডিম ভেজে তোমাকে খেতে দিচ্ছি।
আমি- কি করে মায়ের প্রতি এত রাগ ছিল তবুও আর কিছু বলতে পারছি না। বাধ্য হয়ে খেতে বসলাম আর মাকে বললাম তুমিও নিয়ে খেতে বস। ও কি খায়।
মা- ভাত খায়।
আমি- ওর বয়স কত।
মা- এই দুই বছর। এই বলে মা ভাত নিয়ে বসল আমরা সবাই মিলে খেলাম। খাওয়া শেষ হতে বলল তুমি যাও আমি সব পরিস্কার করে রেখে আসছি।
আমি- বাইরে বেড়িয়ে দাড়িয়ে আছি। আর ভাবছি এই মা স্বার্থের জন্য আমাকে বাবাকে কি বিপদে ফেলে না চলে গেছিল, বাবা বাঁচল না কিন্তু এখন মাকে দেখতে ইচ্ছে করেনা। আগে কত ভালবাসত কিন্তু কি আর করা যাবে। শত হলে নিজের মা, খুব খারাপ আমার মা নিজের সুখের জন্য আমাকে বাবাকে এইভাবে ফেলে চলে যেতে পারে আমি যখন ভাবতাম অবাক হতাম, আমি তো ওর পেটের ছেলে আমার সাথে এমন করতে পারল। এখন আবার নির্লজ্জের মতন ফিরে এসেছে। আমার বয়স এখন ২২ বছর। বাবার অসুস্থতার জন্য আমার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। কাজে লাগতে হয়েছে। তবে একটা জিনিস বাবার একাউন্টে মাজে মাঝে টাকা ঢুক্ত কে পাঠাত বাবা কোনদিন বলেনি, আর বলবে কি করে বাবার তো গলায় ক্যান্সার ছিল কথা বলতে পারত না, আমাকে সব ইশারায় বলত, আমি সেইভাবে কাজ করতাম। কতকিছু ভাবছি আমি মা না আসলে এত কিছু ভাবনা আমার আসত না। তবে সেশের দিকে আর টাকা আসত না, গেলেই বলত আর টাকা নেই এবং কিছু জমা পরেনি। এই গত দুইমাস ধরে তাতেই বাবার ওষুধ সব কিনতে পারি নাই জার ফলে বাবা মারা গেলেন না হলে আরো কিছুদিন বাচতেন মনে হয়। এরমধ্যে মায়ের গলা।
মা- কাজ শেষ করে আমাকে ডাকল এস ঘরে এস। আমার কাজ শেষ হয়ে গেছে খুব নোংরা করে রেখেছিলে সব পরিস্কার করলাম। কালকে বাসন মাজার বার নিয়ে আসবে খালি মাজলে পরিস্কার হয় না। এত নোংরা বাড়িতে মহিলা না থাকলে যা হয়, এক বছর গেলে একটা বিয়ে করবে বিয়ের বয়স হয়ে গেছে তোমার।
আমি তুমি যা খেল দেখালে আবার বিয়ে এ বাড়ি আর কোন মেয়ে মানুষ ঢুক্তে দেব না বলে ঘরে গেলাম আর বললাম বল কি বলবে। সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত এখন ঘুমাতে হবে। কি বলবে বলেছিলে বল। তুমি চলে এসেছ তোমার নতুন স্বামীকে বলে এসেছ তো। সে কি করে তোমরা কোথায় থাকো। চাকরি বাকরি করে নাকি আমার মতন ডেলি লেবার।
মা- আমার কোন স্বামী নেই যে ছিল সে মারা গেছে তোমার বাবা। আমি বিয়ে একবারই করেছি। আমি আর দ্বিত্বীয় বিয়ে করিনি আর বাচ্চার কথা সেটা বলতেই তোমার কাছে আসা, দেখি যদি ভালো বুঝি তোমাকে বলব না হয় মনেই থেকে যাবে।
আমি তবে এতদিন কোথায় ছিলে তুমি, আর খবর পেলে কি করে বাবা মারা গেছে। মা আমি সব খবর পেতাম তোমরা কি করছ।আমি কে দিত খবর তোমাকে।মা তার নাম না হয় না জানলে।
আমি কে বলবে ওই বাড়ির পারুল আসত মাঝে মাঝে আমাদের খোজ নিতে তাছাড়া তো কেউ আসত না।
মা বললাম না তার নাম তোমার জানতে হবেনা। আমি তাকে কথা দিয়েছি তার নাম বলব না। তাই বলতে পারবো না।
আমি লাগবে না তোমার বলা জাও ঘুমিয়ে পর সকালে তুমি চলে যাবে তোমার এখানে থাকতে হবে না।মা জানি তোমার আমার উপর রাগ হওয়া স্বভাবিক কিন্তু আমি যে অপারগ তাই কি করব বল।
আমি তুমি বললে ঘরে এসে সব বলবে তাই তো তোমাকে নিয়ে এলাম এখন তো কিছুই বলছ না। সব কথা এরিয়ে যাচ্ছ। তুমি আসলেই খারাপ একজন মহিলা। তোমাকে মা বলে ডাকতে আমার ঘেন্না করে। নিজের সুখের জন্য অসুস্থ স্বামী আর আমাকে ফেলে চলে গেছ।
মা- আমি বললে তুমি সহ্য করতে পারবে তো। এতদিন যা করেছ সব ভুল হয়ে যাবে তোমার। তাইত বলতে ভয় করে। আমার তো সব গেছে আছ একমাত্র তুমি। আগেই বলেছি তোমার কোন মামা নেই, আমার বাবা মা আগেই মারা গেছে মামা বাড়িতে মানুষ, কষ্ট করে থেকেছি ও বাড়ির সব কাজ করে, আর কাজ করতাম বলে খেতে পেতাম, তোমার বাবা আমাকে পছন্দ করত তাই পালিয়ে তোমার বাবার সাথে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমি জানতাম না আমার কপালে ওর থেকেও অনেক বেশী দুঃখ এখানে আছে। মনের দুঃখের কথা কাউকে বলতে পারিনি, তোমাকে বলব সে সাহস আমার হচ্ছে না। তুমি হয়ত আমাকে ভাব ব্যাভিচারীনি, আমি আসলে তাই, কিন্তু কি কারনে আমি হলাম তা তো তুমি জানো না। আমি অনেক আশা নিয়ে তোমার বাবার সাথে এসেছিলাম, ভালই চলছিল আমাদের জীবোন, বিয়ের এক বছরের মাথায় সব উল্টো হয়ে গেল। আমার সব আশা নষ্ট হয়ে গেল। তোমার বাবা কামাই করত না সব বাপের টাকায় ফুটানি করত, তোমার দাদু ছেলের যন্ত্রণা নিলেও পরে মেয়ের কেন নেবে। এই নিয়ে কতদিন অশান্তি হয়েছে তুমি জানোনা, তোমার ঠাকুমা ভালো ছিল আমাকে আগলে রাখত। কিন্তু সে যে চলে গেল তারপর আমার জীবনে কষ্টের দিন শুরু হল।
আমি কি কারনে হল সেটা আমাকে বল। আর না বলতে পারলে আমি ঘুমাতে যাচ্ছি আমার প্যান প্যানানি ভাল লাগেনা। আমি এম্নিতে ঠিক করেছি এখানে আর থাকবো না চলে যাবো অন্য কোথাও, একার জীবন ঠিক চালিয়ে নিতে পারবো। এক জায়গায় কথাও হয়ে গেছে এখানে আর ভাল লাগছে না। তুমি যাও ঘুমাতে যাও কালকে কাজে যেতে হবে। অনেক কাজ আছে গেলে বেশ টাকা কামাই করতে পারবো।
মা- তুমি আমার ছেলে কি করে তোমাকে বলি, এ বাড়ির সব পুরুষ রগচটা কেউ কথা শুনতে চায়না, তুমিও হয়েছ সেরকম। সব রক্তের দোষ।
আমি- একদম বাজে কথা বলবে না, কি বলছ তোমার হুশ আছে তো, আমার বাপ ঠাকুর দা কে নিয়ে কথা বলছ।
মা- আমার হুশ আছে বলেই তো বলছি। আমার বিয়ের পর তোমার ঠাকুমা যতদিন বেচে ছিল সব ঠিক ছিল উনি চলে যাবার পর এ বাড়ি আর বাড়ি ছিল না। এ পারার সবাই বলত আমি খুব সুন্দরী, আর আমার এই সৌন্দর্য হল আমার জীবনের কাল। যেখানে ছিলাম সেখানেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি কোনদিন ভালো থাকতে পারলাম না। আমার এই জীবনে কত কিছু যে ঘটে গেছে তোমাকে সব বলতে পারছিনা। একদিনের জন্য একটু সুস্থ মনে ঘুমাতে পারলাম না।
আমি- না আজকে আর আমি কথা শুনতে পারবো না ঘুমাতে যাবো অনেক ঘুম ঘুম লাগছে আমার চোখে। তুমি এ ঘরে ঘুমিয়ে পরো ওকে নিয়ে আমি যাচ্ছি ঘুমাতে বাকি কথা না হয় কালকে শুনবো। আমি দুঃখীর পেটে জন্মেছি বলেই আমার জীবনে এত দুঃখ, নিজের বাবাকে হাতের উপর মরতে দেখেছি, মা ছেরে চলে গেছে দাদু নিরুদ্দেশ আর কি বলবে তুমি এখন ঘুমাও। তুমি আমার মা তোমাকে ফেল্বো না অনেক রাগ ছিল না আর রাগ করে লাভ নেই তুমি থাকো, তবে একটা কথা না বলে চলে যাবেনা তোমার নাগরের কাছে।
মা- তুই আমাকে এমন কথা বলতে পারলি, কে আমার নাগর।
আমি- দেখ আমার ভালো লাগছে না তাই আর কথা বলতে চাই না। নাগর না থাকলে চলে গেছিলে কেন না বলে। একবার তো ভেবে দেখনি বাবার কি হবে তোমার ছেলের কি হবে কি করে আমি বাচব। এক দুই দিন না পাক্কা ৬ বছর। এখন আসছে গল্প শুনাতে। রাখ তোমার আষাঢ়ের গল্প আমি ঘুমাতে গেলাম বলে চলে এলাম আমার ঘরে, জদিও বাবা বেচে থাকতে আমি বাবার কাছেই থাকতাম দিনের বেলা বাড়ি থাকলে এই ঘরে ঘুমাতাম। দাদুর করা বাড়ি আমাদের, সব গেলেও বাড়ি টা আছে আমাদের। বিছানায় পরে মায়ের কথা গুলো ভাবতে লাগলাম। আমাদের রক্তের দোষ, মায়ের সুন্দরী কত কথা মা বলল কি এমন হয়েছিল কে জানে। দাদু হারিয়ে গেল কয়েক দিনের মধ্যে মাও হারিয়ে গেল। আমি কোন কারন খুজে পাই নি আজ অব্দি। মায়ের যৌবন মায়ের কাল কি কথা বলল মা।