08-05-2024, 01:50 PM
বাবার ক্যন্সার ধরা পরার পর দাদু বাবা চিকিসা করাতে করাতে আমাদের সব শেষ করে ফেলেছে। দাদুর গারি ছিল চাকরি ছিল সব চলে গেছে শুনেছি আমি তখন অত কিছু তো বুঝতাম না, তবে দাদু ছিল বাবার থেকে অনেক শক্ত সামরথ সে আমি দেখেছি, তবে দাদু এই চিন্তায় একদিন হঠাত দাদুকে আর খুজে পাচ্ছিনা ছেলের চিন্তায় পাগল হয়ে মনে হয় কোথাও চলে গেছে নাকি কি হয়েছে এখনো কোন হদিস পাইনি। এর কিছুদিন পর হঠাত মা চলে গেল। তবে শুনেছি কে যেন আমাদের বাড়ি আসত হয়ত তার সাথে কি ঘুসুর ফুসুর করে কে জানে।। আমাদের আর টাকা পয়সা নেই, মা ইতি মধ্যে কাড় সাথে কথা বলে হয়ত আমি জানিনা, আমাকে আর বাবাকে রেখে কোথায় চলে গেল তার কোন খোজ নেই।
বাবা ক্যান্সারের রুগি তাই আমাকে সংসারের হাল ধরতে হল। তখন কত বয়স আমার এই ১৭ বছর। আমি কাজে যাই বাবার ওষুধ, আমাদের দুজনের খাওয়া দাওয়া সব আমাকে করতে হয়। এইভাবে আমার চলছিল। আমার কোন বন্ধু ছিল না ওই সময় সারাদিন কাজ করতাম রান্না করতাম বাবাকে দেকভাল করতাম এটাই ছিল আমার জীবন। এইভাবে বাবা ৬ বছর বেচে ছিল। এই ৬ বছরে বাবা কোনদিন মায়ের কথা জিজ্ঞেস করেনি আর আমিও বলিনি। বাবা শুধু কাঁদত কিন্তু কিছুই বলত না একদম বিছানা ধরা ছিল।আমি মাকে কোনদিন খুজিনি তাবে দাদু যে কোথায় গেল সে চিন্তা করতাম। কিন্তু বাবা দাদু বা মায়ের কথা কোনদিন কিছু বলেনি। দুই দুটো প্রানি বাড়ি ছাড়া আমি কি করব।
মা দাদুর ব্যাপারে পারার লোকে অনেকেই জিজ্ঞেস করত আমি কোন উত্তর দিতাম না। ওরা অনেক কিছু বলত কিন্তু আমার কোন উত্তর ছিল না। শুনেছি বাবা মা প্রেম করে বিয়ে করেছিল, বাবা মায়ের এই কথা শুনে আমার জীবনে আর প্রেম আসেনি মানে কোনদিন কোন মেয়েকে আমি কিছু বলিনি, কারন বাবা সেবা করতে করতে আমি কেমন যেন মেয়ে হয়ে গেছি। জীবনে কোন সখ আহ্লাদ করতে পারিনি, তবে বাবা সুস্থ থাকতে আমাকে রাজ পুত্র করে রেখেছিল। সাথে ছিল দাদু সেইদিনের কথা মনে পরলে কান্না আসে। বাবা দাদু আমার কোন অভাব রাখেনি তখন আর এখন অভাবের তাড়নায় বাবার চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না।
বাবা যেদিন মারা যায় পারার সবাই এসে সৎকার করার জন্য ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে ওঠে আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না। যাক হোক সব ব্যবস্থা যখন হয়ে গেছে আমারা বাবা দেহ নিয়ে শশানে যাবো এরমধ্যে এক কাকিমা বলল তোর মা এসেছে। শুনে আমি কি বলব জানিনা কিছু বলতে পারলাম না। একবার দেখলাম মাকে আর কিছুই বললাম না। মন যে ভাল নেই বাবা অসুস্থ হলেও মায়ের থেকে ভালো ছিল। তবে মা একাই এসেছে। যা হোক মায়ের সৎকার করতে চলে গেলাম আমরা। ফিরে এসে দেখি মা বাড়িতেই আছে। মায়ের সাথে কোন কথা বলছি না আমি। আমার মতন যা করা লাগে তাই করছি। মা জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দেই না। এভাবে বাবার ১৫ দিনে কয়েকজঙ্কে খাওয়ালাম। টাকা পয়সা যে নেই আর।
সব কাজ মিটে গেলে মাকে বললাম এবার তুমি যাও আর তোমাকে দরকার নেই। না আসলেও হত কেন এলে। আমি তো তোমাকে খবর দেই নাই, বাবাকে ফেলে চলে গেছ যখন কেন এসেছ তুমি। তুমি চলে যাও তোমাকে আমার দরকার নেই। আমি বাবাকে নিয়ে ছিলাম এখন বাবা নেই আমি একা থাকতে পারবো। তোমার মতন মায়ের আমার দরকার নেই। এই বলে মাকে একরকম বের করেই দিলাম। মা কাদতে কাদতে চলে গেল।
আমি এবার আবার কাজে মন দিলাম আগে বাড়ি ফেরার তারা থাকলেও এখন বাবা নেই তবুও বাবার টানে বাড়ি চলে আসি। এখন আর খরচা নেই নিজের খাওয়া দাওয়া ছাড়া। এভাবে প্রায় আরও দুইমাস চলে গেল। কিছু টাকা জমেছে কারন খরচা তো নেই।
একদিন কাজ ছেরে বাড়ির দিকে আসছি দেখি রাস্তায় মা দাঁড়ানো। দেখেই আমার দিকে এগিয়ে এল। আমি দেখে একটু বিরক্ত হলাম। কি আবার কি দরকার বল তাড়াতাড়ি বল।
মা- বাড়ি চল বলছি।
আমি- না ও বাড়ি তোমার না ওখানে তুমি যেতে পারবে না। তোমার কোন অধিকার নেই ও বাড়িতে। তুমি সব কিছু ত্যাগ করে চলে গেছ এখন আর তুমি আমাদের বাড়িতে ঢুক্তে পারবেনা।
মা- তুই তো একটা দিক জানিস অন্য দিকটা জানিস না।
আমি- কি আবার অন্য দিক আমার জানার দরকার নেই তোমার সাথে আমি থাকব না। আমার দাদু বাবা অকালে মারা গেছে তোমার জন্য, দাদু কি না করেছে বাবার আর তোমার জন্য নিজের সব খুইয়েছে তবুও তুমি তাদের এত কষ্ট দিয়ে চলে গেছ। আমি তোমার সাথে থাকবো না এটা পাকা। আর তোমার কোলে ওইটা কে।
মা- কে আবার তোর বোন।
আমি- ওর বাবা কে কোথায় বাড়ি তার।
মা- আছে সব বলব তোকে। তোর দাদুর খবর জানিস কিছু।
আমি- না সে কোথায় চলে গেছে কি করে বলব তার কোন খবর আমার জানা নেই আর জান্তেও চাইনা। ছেলের বিপদে যে বাপ ছেরে চলে যায় তার খোজ নিয়ে আমি কি করব সব তোমরা স্বার্থপর।
মা- সে এখনো বেচে আছে ভালই আছে।
আমি- তুমি জানতে দাদু কোথায় থাকে।
মা- অল্প অল্প জানি সব জানিনা। বাড়ি চল গিয়ে সব তোকে বলব।
আমি- বলেছিনা তোমাকে আর যেতে হবেনা ও বাড়িতে তুমি আর যাবেনা। তোমার যাওয়ার অধিকার তুমি হারিয়েছ, আমি গত ৬ বছর যে কষ্ট করেছি তারপর তোমার আর স্থান হতে পারেনা।
মা- আমি যদি বাড়িতে না যেতে পারি তবে তুমি আসল সত্য কোন দিন জানতে পারবে না। আমাকে বাড়ি যাওয়া দরকার তোমাকে সব সত্য জানতে হবে। সব কিছু জানার পর যদি তুমি আমাকে তারিয়ে দাও তবে আমি মুখ বুঝে চলে যাবো। আমি গরিবের মেয়ে বলে আমার প্রতি এত অন্যায় অত্যাচার হয়েছে তোমাকে না বললে তুমি কোনদিন আমাকে মাপ করবে না কারন আমি তোমাকে ছেরে চলে গিয়েছিলাম। কেন গিয়েছিলাম কি কারনে গিয়ে ছিলাম সেটা তোমার জানা দরকার, এখন বলার সময় এসেছে। আমার হয়ে কেউ কথা বলার ছিল না গরিবের মেয়ে বলে তোমার বাবার কথায় ভুলে আমি এ বাড়িতে চলে এসেছি, বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না, মামারা আমাকে তারাতে পারলে বাচে তাই কোন বাধা দেয়নি তোমার বাবার সাথে চলে এসেছি, বাকিটা যদি আমাকে নিয়ে যাও বলব, এই বাচ্চার কি হবে জানি না তবে আমাকে মরে যেতে হবে। এবার তুমি বল আমি কি করব।
আমি- কেন এখানে বলতে পারছ না।
মা- কেন পারবো না তুমি সইতে পারবে সব কথা, আর যদি কেউ জানে তবে তোমার কি হবে আমি সেট ভাবছি। তুমি আমাকে না নিয়ে গেলে আমার গঙ্গায় ঝাপ দিতে হবে কি করে বাচব আমি, আমার যে সব শেষ। এ বাচ্চা তোমাদের বংশের এইটুকু বলতে পারি। তুমি আমার ছেলে তোমাকে কি করে বলব কিন্তু না বললে যে শান্তি পাব না।
আমি- কি এমন কথা যে ঘরে গিয়ে বলতে হবে। দেখ মা তুমি আমার মা হয়ে যে অন্যায় করেছ তাই তোমার সাথে আমার থাকার কোন ইচ্ছে নেই তবুও যখন বলছ চল বাড়ি চল গিয়ে রান্না করে খেতে হবে। বাড়ি যাবে তা কাপড় চোপর কিছু এনেছ।
মা- তুমি রাখ কি না রাখ তাই আনিনি সে পরে দেখা যাবে। চল বাড়ি যাই।
আমি- আচ্ছা এস বলে মাকে নিয়ে বাড়ি গেলাম। ঘর খুলে মাকে বসতে বলে আমি জামা কাপড় ছেরে স্নান করতে যাবো।
মা- তুমি যাও স্নান করে এসে আমি রান্না করি।
আমি- কিছুই বললাম না, মা রান্না ঘরে গেল, আমি পুকুরে স্নান করতে গেলাম। একটু সময় নিয়ে স্নান করলাম, ফিরে এসে দেখি মা রান্না ঘরেই আছে।
বাবা ক্যান্সারের রুগি তাই আমাকে সংসারের হাল ধরতে হল। তখন কত বয়স আমার এই ১৭ বছর। আমি কাজে যাই বাবার ওষুধ, আমাদের দুজনের খাওয়া দাওয়া সব আমাকে করতে হয়। এইভাবে আমার চলছিল। আমার কোন বন্ধু ছিল না ওই সময় সারাদিন কাজ করতাম রান্না করতাম বাবাকে দেকভাল করতাম এটাই ছিল আমার জীবন। এইভাবে বাবা ৬ বছর বেচে ছিল। এই ৬ বছরে বাবা কোনদিন মায়ের কথা জিজ্ঞেস করেনি আর আমিও বলিনি। বাবা শুধু কাঁদত কিন্তু কিছুই বলত না একদম বিছানা ধরা ছিল।আমি মাকে কোনদিন খুজিনি তাবে দাদু যে কোথায় গেল সে চিন্তা করতাম। কিন্তু বাবা দাদু বা মায়ের কথা কোনদিন কিছু বলেনি। দুই দুটো প্রানি বাড়ি ছাড়া আমি কি করব।
মা দাদুর ব্যাপারে পারার লোকে অনেকেই জিজ্ঞেস করত আমি কোন উত্তর দিতাম না। ওরা অনেক কিছু বলত কিন্তু আমার কোন উত্তর ছিল না। শুনেছি বাবা মা প্রেম করে বিয়ে করেছিল, বাবা মায়ের এই কথা শুনে আমার জীবনে আর প্রেম আসেনি মানে কোনদিন কোন মেয়েকে আমি কিছু বলিনি, কারন বাবা সেবা করতে করতে আমি কেমন যেন মেয়ে হয়ে গেছি। জীবনে কোন সখ আহ্লাদ করতে পারিনি, তবে বাবা সুস্থ থাকতে আমাকে রাজ পুত্র করে রেখেছিল। সাথে ছিল দাদু সেইদিনের কথা মনে পরলে কান্না আসে। বাবা দাদু আমার কোন অভাব রাখেনি তখন আর এখন অভাবের তাড়নায় বাবার চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না।
বাবা যেদিন মারা যায় পারার সবাই এসে সৎকার করার জন্য ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে ওঠে আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না। যাক হোক সব ব্যবস্থা যখন হয়ে গেছে আমারা বাবা দেহ নিয়ে শশানে যাবো এরমধ্যে এক কাকিমা বলল তোর মা এসেছে। শুনে আমি কি বলব জানিনা কিছু বলতে পারলাম না। একবার দেখলাম মাকে আর কিছুই বললাম না। মন যে ভাল নেই বাবা অসুস্থ হলেও মায়ের থেকে ভালো ছিল। তবে মা একাই এসেছে। যা হোক মায়ের সৎকার করতে চলে গেলাম আমরা। ফিরে এসে দেখি মা বাড়িতেই আছে। মায়ের সাথে কোন কথা বলছি না আমি। আমার মতন যা করা লাগে তাই করছি। মা জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দেই না। এভাবে বাবার ১৫ দিনে কয়েকজঙ্কে খাওয়ালাম। টাকা পয়সা যে নেই আর।
সব কাজ মিটে গেলে মাকে বললাম এবার তুমি যাও আর তোমাকে দরকার নেই। না আসলেও হত কেন এলে। আমি তো তোমাকে খবর দেই নাই, বাবাকে ফেলে চলে গেছ যখন কেন এসেছ তুমি। তুমি চলে যাও তোমাকে আমার দরকার নেই। আমি বাবাকে নিয়ে ছিলাম এখন বাবা নেই আমি একা থাকতে পারবো। তোমার মতন মায়ের আমার দরকার নেই। এই বলে মাকে একরকম বের করেই দিলাম। মা কাদতে কাদতে চলে গেল।
আমি এবার আবার কাজে মন দিলাম আগে বাড়ি ফেরার তারা থাকলেও এখন বাবা নেই তবুও বাবার টানে বাড়ি চলে আসি। এখন আর খরচা নেই নিজের খাওয়া দাওয়া ছাড়া। এভাবে প্রায় আরও দুইমাস চলে গেল। কিছু টাকা জমেছে কারন খরচা তো নেই।
একদিন কাজ ছেরে বাড়ির দিকে আসছি দেখি রাস্তায় মা দাঁড়ানো। দেখেই আমার দিকে এগিয়ে এল। আমি দেখে একটু বিরক্ত হলাম। কি আবার কি দরকার বল তাড়াতাড়ি বল।
মা- বাড়ি চল বলছি।
আমি- না ও বাড়ি তোমার না ওখানে তুমি যেতে পারবে না। তোমার কোন অধিকার নেই ও বাড়িতে। তুমি সব কিছু ত্যাগ করে চলে গেছ এখন আর তুমি আমাদের বাড়িতে ঢুক্তে পারবেনা।
মা- তুই তো একটা দিক জানিস অন্য দিকটা জানিস না।
আমি- কি আবার অন্য দিক আমার জানার দরকার নেই তোমার সাথে আমি থাকব না। আমার দাদু বাবা অকালে মারা গেছে তোমার জন্য, দাদু কি না করেছে বাবার আর তোমার জন্য নিজের সব খুইয়েছে তবুও তুমি তাদের এত কষ্ট দিয়ে চলে গেছ। আমি তোমার সাথে থাকবো না এটা পাকা। আর তোমার কোলে ওইটা কে।
মা- কে আবার তোর বোন।
আমি- ওর বাবা কে কোথায় বাড়ি তার।
মা- আছে সব বলব তোকে। তোর দাদুর খবর জানিস কিছু।
আমি- না সে কোথায় চলে গেছে কি করে বলব তার কোন খবর আমার জানা নেই আর জান্তেও চাইনা। ছেলের বিপদে যে বাপ ছেরে চলে যায় তার খোজ নিয়ে আমি কি করব সব তোমরা স্বার্থপর।
মা- সে এখনো বেচে আছে ভালই আছে।
আমি- তুমি জানতে দাদু কোথায় থাকে।
মা- অল্প অল্প জানি সব জানিনা। বাড়ি চল গিয়ে সব তোকে বলব।
আমি- বলেছিনা তোমাকে আর যেতে হবেনা ও বাড়িতে তুমি আর যাবেনা। তোমার যাওয়ার অধিকার তুমি হারিয়েছ, আমি গত ৬ বছর যে কষ্ট করেছি তারপর তোমার আর স্থান হতে পারেনা।
মা- আমি যদি বাড়িতে না যেতে পারি তবে তুমি আসল সত্য কোন দিন জানতে পারবে না। আমাকে বাড়ি যাওয়া দরকার তোমাকে সব সত্য জানতে হবে। সব কিছু জানার পর যদি তুমি আমাকে তারিয়ে দাও তবে আমি মুখ বুঝে চলে যাবো। আমি গরিবের মেয়ে বলে আমার প্রতি এত অন্যায় অত্যাচার হয়েছে তোমাকে না বললে তুমি কোনদিন আমাকে মাপ করবে না কারন আমি তোমাকে ছেরে চলে গিয়েছিলাম। কেন গিয়েছিলাম কি কারনে গিয়ে ছিলাম সেটা তোমার জানা দরকার, এখন বলার সময় এসেছে। আমার হয়ে কেউ কথা বলার ছিল না গরিবের মেয়ে বলে তোমার বাবার কথায় ভুলে আমি এ বাড়িতে চলে এসেছি, বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না, মামারা আমাকে তারাতে পারলে বাচে তাই কোন বাধা দেয়নি তোমার বাবার সাথে চলে এসেছি, বাকিটা যদি আমাকে নিয়ে যাও বলব, এই বাচ্চার কি হবে জানি না তবে আমাকে মরে যেতে হবে। এবার তুমি বল আমি কি করব।
আমি- কেন এখানে বলতে পারছ না।
মা- কেন পারবো না তুমি সইতে পারবে সব কথা, আর যদি কেউ জানে তবে তোমার কি হবে আমি সেট ভাবছি। তুমি আমাকে না নিয়ে গেলে আমার গঙ্গায় ঝাপ দিতে হবে কি করে বাচব আমি, আমার যে সব শেষ। এ বাচ্চা তোমাদের বংশের এইটুকু বলতে পারি। তুমি আমার ছেলে তোমাকে কি করে বলব কিন্তু না বললে যে শান্তি পাব না।
আমি- কি এমন কথা যে ঘরে গিয়ে বলতে হবে। দেখ মা তুমি আমার মা হয়ে যে অন্যায় করেছ তাই তোমার সাথে আমার থাকার কোন ইচ্ছে নেই তবুও যখন বলছ চল বাড়ি চল গিয়ে রান্না করে খেতে হবে। বাড়ি যাবে তা কাপড় চোপর কিছু এনেছ।
মা- তুমি রাখ কি না রাখ তাই আনিনি সে পরে দেখা যাবে। চল বাড়ি যাই।
আমি- আচ্ছা এস বলে মাকে নিয়ে বাড়ি গেলাম। ঘর খুলে মাকে বসতে বলে আমি জামা কাপড় ছেরে স্নান করতে যাবো।
মা- তুমি যাও স্নান করে এসে আমি রান্না করি।
আমি- কিছুই বললাম না, মা রান্না ঘরে গেল, আমি পুকুরে স্নান করতে গেলাম। একটু সময় নিয়ে স্নান করলাম, ফিরে এসে দেখি মা রান্না ঘরেই আছে।