05-05-2024, 08:32 PM
মায়ের মধ্যে এই হঠাৎ ঘটতে থাকা পরিবর্তন গুলোন যে তার ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কামবাসনার বহিঃপ্রকাশ সেটা তখন না বুঝলেও বুঝতে পারলাম আর কদিন বাদে একটু একটু করে। আমাদের বাড়ির ভেতরে পেছনের দিকটায় আর সামনে ফুল বাগান সব সময় বেশ পরিস্কার থাকতো মাসের মধ্যে এক দুদিন লেবার নিয়ে বাগান ও পেছনের দিকের জঙ্গল কেটে সাফ রাখা হতো। কিন্তু এই লকডাউন চলতে থাকায় এখন কাউকেই পাওয়া যাচ্ছিলো না দেখে দিন দিন সামনের বাগান আর পেছনে বেশ জংলা হয়ে গিয়ে ছিলো। আর প্রতিবারের মতোন এবার চৈত্র মাসের শেষে যে একবার পুরো বাড়ি ঘর ঝেড়ে মুছে সাফ করা হয় লকডাউনের কারণে এবার সেটাও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মা এতে যেনো আরো বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন। মা এমনিতেই বাড়িঘর একটু সাফ সূত্র রাখতে ভালো বাসেন।
আর সারাদিন ঘরে থেকে থেকে মা যেনো বেশ একটু খিট খিটে স্বভাবের হয়ে উঠেছিলেন। মা বরাবরই একটু চঞ্চল স্বভাবের খুব বেশিক্ষণ এক জায়গায় শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারেন না। তাই লকডাউনে ঘরে আটকে পরে মায়ের যেনো দম আটকে আসছিলো। তাই নেই কাজ তো খই ভাজ করে ঘরের সমস্ত পুরোনো জিনিসপত্র বের করে টা থেকে কিছু বাতিল করে কিছু ব্যবহার করা যাবে কিনা সে সব বাছাই করে চলছিলেন অবসর সময়ে আর আমার আর বাবার কাজ ছিলো সে সব বাতিল জিনিস গুলো বস্তা বেঁধে ছাদের স্টোর রুমে গিয়ে জমা করা। বাবা বার বার বারণ করেও মাকে এই সব কাজ করা থেকে বিরত তো করতে পারেননি উল্টো বার বার মায়ের কাছে মুখ ঝামটা শুনে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে।
এরপর এপ্রিলের মাঝামাঝি লকডাউন একটু শিথিল হতেই মা বাবাকে বার বার একটা লোক খুঁজে এনে বাড়িঘর সব পরিষ্কার করানোর কথা বলতে লাগলো। বাবা হয়তো খুব একটা পাত্তা দিচ্ছিলেন না। একদিন বাড়ির সামনে দিয়ে সবজিওয়ালা যাবার সময় সব্জি নিয়ে বাড়িতে ফিরতেই দেখি মায়ের পেছন পেছন একটা মাঝ বয়সী লোক বাড়িতে এলেন। মা ওনাকে বাইরে সিঁড়িতে বসতে বলে ভেতরে এসে বাবাকে বললেন একটা লোক পাওয়া গেছে, উনি বাড়ি ঘর সব পরিষ্কার করে দেবেন। কে সেই লোক, মা কোথা থেকে পেলেন তাকে সেই সব প্রশ্নের উত্তরে মা জানালো সব্জি কেনার সময় এই লোকটা এসে মাকে বাড়ির কোনো কাজ থাকলে জানাতে বলেন। আসলে উনি বাইরে কাজ করতো, লোকডাউনে বাধ্য হয়ে ফিরে এসে এখন খুব মুশকিলে পড়েছেন। তাই ঘুরে ঘুরে সবার কাজে কোনো একটা কাজ চাইছেন। বাবা একবার অচেনা লোক বলে একটু ইতস্তত করলেও মা বললেন হোক না অচেনা। বাইরের কাজই তো করবে তাতে আর চেনা অচেনা দিয়ে কি হবে।
মায়ের কথার ওপর বাবার কথা কোনো দিনই চলে না। আর এখন তো দিন দিন মায়ের এমন খিটখিটে স্বভাব দেখে বাবাও যেনো মাকে একটু সামলে চলছিলেন। তথাপি লোকটা কাজে লেগে গেলো। সেদিন পেছনের জঙ্গলটা সাফ করে পরদিন এসে বাগান টা সাফ করবে বলে পয়সা নিয়ে চলে গেলেন। পরদিন এসে বাগান টাও সুন্দর করে সাফ করে দিলেন। সেদিন একটু তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে গেলে মা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ওনার সাথে গল্পঃ জুড়ে দিয়েছিলেন। ওনার নাম ধাম বাড়ির ঠিকানা সব শুনে এবং ওনার মধ্যে অসুখের কোনো লক্ষণ না দেখে মা হয়তো মনে মনে বেশ একটু আশ্বস্ত হয়ে ছিলেন। আর ওনার কাজও মায়ের বেশ পছন্দ হয়েছিলো তাই বাবাকে বলে ওনাকে একটু বেশি টাকাই দিয়ে দিতে বললেন। এই বিপদের দিনে নাহয় একটু বেশি টাকায় নিলো। বাবাও তাই দিয়ে দিলেন। এরপর মা ওনাকে পরদিনও আমাদের বাড়িতে কাজ করতে আসতে বলে দিলেন। সেদিন ওনাকে প্রথম ঘরে ঢুকতে দিয়ে ছিলেন মা। ওনাকে বাড়ি ঘর ভালো করে দেখিয়ে কাল এসে কি কি কাজ করতে হবে সে সব ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন। উনি চলে যাবার পর বাবা ঘরের ভেতর সাফ করার জন্যে ওনাকে বললেন কেন জিজ্ঞেস করায় মা বললেন উনি বেশ পরিস্কার করে কাজ করেন আর তা ছাড়া এই দুদিন দেখে মায়ের মনে হয়নি ওনার মধ্যে অসুখ তসুক আছে বলে। তাই সে বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে তবেই ওনাকে ঘরের ভেতরের কাজের জন্যে ডেকেছেন। বাবা কথা বাড়িয়ে লাভ নেই বুঝেই হয়তো পেপার পড়ায় মন দিলেন।
পরদিন সকালে মঙ্গলু নামের ওই লোকটা এসে হাজির হলো। উনি প্রথমে নিচের তলার ঘর গুলো সাফ করতে লাগলেন। মা ওই সময় রান্না করছিলেন। মা তখন নরমাল বাড়িতে পরার একটা সুতির ছাপা শাড়ি আর হাতা কাটা ব্লাউজ পড়ে ছিলেন। মায়ের রান্না শেষ হলে ওনার কাজ কতদূর হলো সে ব্যাপারে তদারকি করতে লাগলেন। বাতিল জিনিস পত্র, জমে থাকা ময়লা সব একে এক বস্তায় ভরে বাইরে রেখে দিতে বলে মা ওনাকে ওপর তলায় নিয়ে গিয়ে স্টোর রুমটাকে ভালো করে ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করে দিতে বললেন। স্টোর রুম পরিষ্কার হয়ে গেলে ওনাকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে বলে মা নিচে এসে আমাদের খেয়ে নেবার জন্যে তারা দিতে লাগলেন। আমি আর বাবা খেতে বসে গেলাম মা আমাদের সব বেড়ে দিয়ে ওপরে মোঙ্গলু কেমন কাজ করছে টা দেখতে গেলেন।
আমাদের ওপর তলায় অর্ধেকটা হাল্ফ পাঁচিল ঘেরা ছাদ আর এক পাশে সিঁড়ির ঘর, তার পাশে একটা বড় রুম যেখানে আমি বসে পড়াশুনো করতাম আর তার পাশে একটা মাঝারি সাইজের রুম। যেটাকে আমরা স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করতাম। আর বাকি জায়গাটায় খোলা ছাদ, এক পাশে অনেক খানি জায়গা জুড়ে ফুলবাগান আছে একটা। বেশ বড় ছাদটা। সিঁড়ি ঘরের পাশের ঘরটাতেই আমি বেশির ভাগ সময় থাকতাম। তো খাওয়াদায়া সেরে ল্যাপটপ নিয়ে আমি ছাদে আমার পরার ঘরে চলে গিয়েছিলাম। মা যে তখনও ছাদ থেকে নামেনি সেটা আমার মাথায় ছিলো না। আমি আমার রুমে বসে ল্যাপটপ অন করে মিউট করে পাণু চালিয়ে দিলাম কিছুক্ষণ বাদে সিঁড়ি দিয়ে কেউ উঠে আসার আওয়াজ পেয়ে তাড়াতাড়ি পানু বন্ধ করে দিলাম। দেখি বাবা আমার ঘরে এসে জিজ্ঞেস করলো মা কোথায়? আমি বললাম কই এখানে আসেনি তো। তোর মায়ের কোনো সময় জ্ঞান নেই বলতে বলতে স্টোর রুমের দিকে যেতে লাগলো। আমিও উঠে বাবার পেছন পেছন স্টোর রুমের দিকে রওনা দিলাম। স্টোর রুমের দরজার কাছে এসে ভেতরে তাকাতেই আমাদের দুজনেরই ভীষন শক লাগলো ভেতরের দৃশ্য দেখে।
আর সারাদিন ঘরে থেকে থেকে মা যেনো বেশ একটু খিট খিটে স্বভাবের হয়ে উঠেছিলেন। মা বরাবরই একটু চঞ্চল স্বভাবের খুব বেশিক্ষণ এক জায়গায় শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারেন না। তাই লকডাউনে ঘরে আটকে পরে মায়ের যেনো দম আটকে আসছিলো। তাই নেই কাজ তো খই ভাজ করে ঘরের সমস্ত পুরোনো জিনিসপত্র বের করে টা থেকে কিছু বাতিল করে কিছু ব্যবহার করা যাবে কিনা সে সব বাছাই করে চলছিলেন অবসর সময়ে আর আমার আর বাবার কাজ ছিলো সে সব বাতিল জিনিস গুলো বস্তা বেঁধে ছাদের স্টোর রুমে গিয়ে জমা করা। বাবা বার বার বারণ করেও মাকে এই সব কাজ করা থেকে বিরত তো করতে পারেননি উল্টো বার বার মায়ের কাছে মুখ ঝামটা শুনে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে।
এরপর এপ্রিলের মাঝামাঝি লকডাউন একটু শিথিল হতেই মা বাবাকে বার বার একটা লোক খুঁজে এনে বাড়িঘর সব পরিষ্কার করানোর কথা বলতে লাগলো। বাবা হয়তো খুব একটা পাত্তা দিচ্ছিলেন না। একদিন বাড়ির সামনে দিয়ে সবজিওয়ালা যাবার সময় সব্জি নিয়ে বাড়িতে ফিরতেই দেখি মায়ের পেছন পেছন একটা মাঝ বয়সী লোক বাড়িতে এলেন। মা ওনাকে বাইরে সিঁড়িতে বসতে বলে ভেতরে এসে বাবাকে বললেন একটা লোক পাওয়া গেছে, উনি বাড়ি ঘর সব পরিষ্কার করে দেবেন। কে সেই লোক, মা কোথা থেকে পেলেন তাকে সেই সব প্রশ্নের উত্তরে মা জানালো সব্জি কেনার সময় এই লোকটা এসে মাকে বাড়ির কোনো কাজ থাকলে জানাতে বলেন। আসলে উনি বাইরে কাজ করতো, লোকডাউনে বাধ্য হয়ে ফিরে এসে এখন খুব মুশকিলে পড়েছেন। তাই ঘুরে ঘুরে সবার কাজে কোনো একটা কাজ চাইছেন। বাবা একবার অচেনা লোক বলে একটু ইতস্তত করলেও মা বললেন হোক না অচেনা। বাইরের কাজই তো করবে তাতে আর চেনা অচেনা দিয়ে কি হবে।
মায়ের কথার ওপর বাবার কথা কোনো দিনই চলে না। আর এখন তো দিন দিন মায়ের এমন খিটখিটে স্বভাব দেখে বাবাও যেনো মাকে একটু সামলে চলছিলেন। তথাপি লোকটা কাজে লেগে গেলো। সেদিন পেছনের জঙ্গলটা সাফ করে পরদিন এসে বাগান টা সাফ করবে বলে পয়সা নিয়ে চলে গেলেন। পরদিন এসে বাগান টাও সুন্দর করে সাফ করে দিলেন। সেদিন একটু তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে গেলে মা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ওনার সাথে গল্পঃ জুড়ে দিয়েছিলেন। ওনার নাম ধাম বাড়ির ঠিকানা সব শুনে এবং ওনার মধ্যে অসুখের কোনো লক্ষণ না দেখে মা হয়তো মনে মনে বেশ একটু আশ্বস্ত হয়ে ছিলেন। আর ওনার কাজও মায়ের বেশ পছন্দ হয়েছিলো তাই বাবাকে বলে ওনাকে একটু বেশি টাকাই দিয়ে দিতে বললেন। এই বিপদের দিনে নাহয় একটু বেশি টাকায় নিলো। বাবাও তাই দিয়ে দিলেন। এরপর মা ওনাকে পরদিনও আমাদের বাড়িতে কাজ করতে আসতে বলে দিলেন। সেদিন ওনাকে প্রথম ঘরে ঢুকতে দিয়ে ছিলেন মা। ওনাকে বাড়ি ঘর ভালো করে দেখিয়ে কাল এসে কি কি কাজ করতে হবে সে সব ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন। উনি চলে যাবার পর বাবা ঘরের ভেতর সাফ করার জন্যে ওনাকে বললেন কেন জিজ্ঞেস করায় মা বললেন উনি বেশ পরিস্কার করে কাজ করেন আর তা ছাড়া এই দুদিন দেখে মায়ের মনে হয়নি ওনার মধ্যে অসুখ তসুক আছে বলে। তাই সে বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে তবেই ওনাকে ঘরের ভেতরের কাজের জন্যে ডেকেছেন। বাবা কথা বাড়িয়ে লাভ নেই বুঝেই হয়তো পেপার পড়ায় মন দিলেন।
পরদিন সকালে মঙ্গলু নামের ওই লোকটা এসে হাজির হলো। উনি প্রথমে নিচের তলার ঘর গুলো সাফ করতে লাগলেন। মা ওই সময় রান্না করছিলেন। মা তখন নরমাল বাড়িতে পরার একটা সুতির ছাপা শাড়ি আর হাতা কাটা ব্লাউজ পড়ে ছিলেন। মায়ের রান্না শেষ হলে ওনার কাজ কতদূর হলো সে ব্যাপারে তদারকি করতে লাগলেন। বাতিল জিনিস পত্র, জমে থাকা ময়লা সব একে এক বস্তায় ভরে বাইরে রেখে দিতে বলে মা ওনাকে ওপর তলায় নিয়ে গিয়ে স্টোর রুমটাকে ভালো করে ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করে দিতে বললেন। স্টোর রুম পরিষ্কার হয়ে গেলে ওনাকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে বলে মা নিচে এসে আমাদের খেয়ে নেবার জন্যে তারা দিতে লাগলেন। আমি আর বাবা খেতে বসে গেলাম মা আমাদের সব বেড়ে দিয়ে ওপরে মোঙ্গলু কেমন কাজ করছে টা দেখতে গেলেন।
আমাদের ওপর তলায় অর্ধেকটা হাল্ফ পাঁচিল ঘেরা ছাদ আর এক পাশে সিঁড়ির ঘর, তার পাশে একটা বড় রুম যেখানে আমি বসে পড়াশুনো করতাম আর তার পাশে একটা মাঝারি সাইজের রুম। যেটাকে আমরা স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করতাম। আর বাকি জায়গাটায় খোলা ছাদ, এক পাশে অনেক খানি জায়গা জুড়ে ফুলবাগান আছে একটা। বেশ বড় ছাদটা। সিঁড়ি ঘরের পাশের ঘরটাতেই আমি বেশির ভাগ সময় থাকতাম। তো খাওয়াদায়া সেরে ল্যাপটপ নিয়ে আমি ছাদে আমার পরার ঘরে চলে গিয়েছিলাম। মা যে তখনও ছাদ থেকে নামেনি সেটা আমার মাথায় ছিলো না। আমি আমার রুমে বসে ল্যাপটপ অন করে মিউট করে পাণু চালিয়ে দিলাম কিছুক্ষণ বাদে সিঁড়ি দিয়ে কেউ উঠে আসার আওয়াজ পেয়ে তাড়াতাড়ি পানু বন্ধ করে দিলাম। দেখি বাবা আমার ঘরে এসে জিজ্ঞেস করলো মা কোথায়? আমি বললাম কই এখানে আসেনি তো। তোর মায়ের কোনো সময় জ্ঞান নেই বলতে বলতে স্টোর রুমের দিকে যেতে লাগলো। আমিও উঠে বাবার পেছন পেছন স্টোর রুমের দিকে রওনা দিলাম। স্টোর রুমের দরজার কাছে এসে ভেতরে তাকাতেই আমাদের দুজনেরই ভীষন শক লাগলো ভেতরের দৃশ্য দেখে।