27-04-2024, 04:27 PM
"সোহম আমি বেড়ালাম" মণিদীপা বললো ওর হাসবেন্ড সোহম কে। সোহম এবং মণিদীপার বিয়ে হয়েছে সাত বছর। বিয়ের পর থেকেই সোহম মণিদীপাকে ভালোবেসে মনি বলে ডাকে।মণিদীপার বয়স ৩১ এবং সোহম এর ৩৫। ওদের একটা ছেলে আছে যার নাম রাহুল বয়স **। বিয়ের পরে মণিদীপা পড়াশোনা কমপ্লিট করে একটা কলেজ এ জব করে। সোহম একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে মার্কেটিং ম্যানেজার। কিন্তু সোহম কলকাতাতে থাকে না। সোহম থাকে দিল্লীতে। তিনমাস পরপর একবার করে আসে। কলকাতা তে মণিদীপা ওর ছেলেকে নিয়ে একাই থাকে। রাহুল এইবার ওয়ান এ ভর্তি হবে তাই মণিদীপা একটু টেনশন এ আছে কোন কলেজে ভর্তি করবে এই নিয়ে। ও সোহম এর সাথে কথা বলেছে কিন্তু সোহম এতটাই ব্যাস্ত থাকে ছুটির দিন ছাড়া ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। মনির তাই সোহম এর উপর একটু রাগ হয়। পরের দিন ছিল রবিবার। সোহম সকালে ঘুম থেকে উঠে মণিদীপা কে ফোন করলো। সোহম : "এখনো রাগ করে আছো মনি" মণিদীপা : "আমাদের জন্য তোমার কাছে সময় আছে নাকি।" একটু রাগ করে বললো মণিদীপা। সোহম : "আচ্ছা সরি! আর হবে না প্লিজ। কাল একটু বস এর সাথে আর্গুমেন্ট হয়েছিল তাই মাথার ঠিক ছিল না। প্রমিস করছি কোনোদিন আর এরম ব্যবহার করবো না।" মণিদীপা : "আচ্ছা হয়েছে থাক। বলছি কি রাহুল কে তো কলেজএ ভর্তি করতে হবে এইবছর কোন কলেজএ ভর্তি করা যাই বলতো।" সোহম : "দেখো এই ব্যাপারএ তুমি ভালো বুজবে আমি ওতো সাজেশন দিতে পারবো না কারণ আমি ওখানে থাকি না। তুমি যেটা ভালো বুজবে সেকানে ভর্তি করো।" মনিদিপা : "আচ্ছা আমি বলছি কি রাহুল একটা ভালো বোর্ডিং কলেজে ভর্তি করি এতে ওর ভালো হবে। তাছাড়া তোমায় বলা হয়নি আমার একটা প্রমোশন এসেছে হেডমিস্ট্রেস হওয়ার কলেজ থেকে কিন্তু সেটা এখানে না পুরুলিয়ার একটা গ্রাম নাম মোহাম্মদপুর এর কলেজএ।" সোহম : "খুবই ভালো খবর কিন্তু এরম একটা অচেনা জায়গায় একা কি করে থাকবে। থাকার জায়গা কোথায় পাবে। এটা একটু বেশি রিস্ক হয়ে যাবে না? " মণিদীপা : "জানি নতুন জায়গা কিন্তু প্রমোশন টা হটাৎ এসেছে। যদি না করি আর কোনোদিন পাবো না। তাই থাক অসুবিধা নেই ম্যানেজ করে নেবো। তাছাড়া তুমি যখন বাড়ি আসবে বলবে আমিও ছুটি নিয়ে চলে আসবো। " সোহম : "আচ্ছা ঠিকাছে। বাই। আমাকেও একটু কাজ নিয়ে বসতে হবে।" এই বলে সোহম আর মণিদীপা র কথা শেষ হলো। পরের দিন মণিদীপা কলেজএ গিয়ে জানিয়ে দিলো ও প্রমোশন টা নেবে। প্রিন্সিপাল বলে দিলো পরের উইক এর সানডে তে ও মোহাম্মদপুর যাচ্ছে। এই এক সপ্তাহ মণিদীপার খুব ব্যাস্ততায় কাটলো। রাহুল কে বোর্ডিংএ ভর্তি করে দিয়ে আসা। নিজের সব কিছু গোছানো। সোহামো ওকে ফোন করে হেল্প করছিলো এটা ওটা নেওয়ার জন্য যাতে ও ভুলে না যাই কোনো কিছু। অবশেষ রবিবার দিন সকালে মণিদীপা মোহাম্মদপুর যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লো। শুধু ওর থাকার জায়গা টা নিয়ে একটু চিন্তা ছিল। ও একটা এক সপ্তাহ থাকার জন্য ঘর পারছে তার মধ্যে ওকে একটা থাকার ব্যাবস্তা করতে হবে।