11-04-2024, 01:38 PM
মা- দাও আমি রোদে দিয়ে আসি তুমি বস। বলে আমার হাত থেকে গামছা লুঙ্গি নিয়ে বেড়িয়ে গেল ঘরের সামনে।
আমি- থালার দিকে তাকিয়ে একি মা কত কিছু রান্না করেছে মাংস আছে দেখতে পাচ্ছি। মা বাইরে কার সাথে কথা বলছে যেন, আমি বসে আছি মায়ের জন্য।
মা- ফিরে এসে শুরু কর বসে আছ কেন।
আমি- না তুমিও বস একসাথে দুজনে খাব।
মা- আমি একাদশির পরের দিন নিরামিশ খাই। তুমি খাও।
আমি- বাদ দাও তো একটু আগে কি আমরা ইরামিশ কাজ করেছি এস বস দুজনে খাবো এস বস আমি তোমাকে খাইয়ে দেই।
মা- খাবো বলছ।
আমি- হ্যা বস কেন খাবেনা, আরো দুই তিনবার খেলবো না খেলে হবে।
মা- আচ্ছা বলে বসে পড়ল আমি নিজে খেতে লাগলাম আর মাকে খাইয়ে দিতে লাগলাম।
আমি- বললাম বাইরে কার সাথে কথা বলছিলে।
মা- মিনু এসেছিল আমার খোঁজ নিয়ে ওর মায়ের সাথে কীর্তন শুনতে যাওয়ার কথা ছিল ওর মা ডেকে গেছে আমাকে পায় নাই তাই ওকে পাঠিয়েছএ আমি বাড়ি আছি কিনা। বাইরে কীর্তনের মাইক বাজে শুনতে পাই নাই। তাই ওকে বললাম আর তুমি এসেছ তাই বললাম।
আমি- হুম তাই হবে তাছাড়া আমরা খেলছিলাম না শুনবো কি করে দরজা বন্ধ ছিল না। বলে দুজনে খেতে লাগলাম। দুজনে খেয়ে নিয়ে আমি উঠে গেলাম মা সব থালা বাসন নিয়ে রান্না ঘরে গেল আমি এসে বারান্দায় দাঁড়ালাম।
মা- সব ধুয়ে এসে আমার কাছে দাঁড়াল দুজনে বারান্দায় দাঁড়ানো। তখন বেলা সারে ১২ টা বাজে মনে হয়।
এর মধ্যে মিনুর মা এল কি দিদি যাবেনা কীর্তন শুনতে। ও বাবু তুই এসেছিস তাই এতডাক্লাম তোর মাকে শুনতে পায় নাই মা ছেলে গল্প করছিলি বুঝি।
মা- হ্যা গো ছেলেটা দের মাস পরে এল আমার নাতনী হয়েছে জানো তোমরা। আস ঘরে আস মিষ্টি খাও বলে ঘরে ডাকল আর মা মিষ্টি আনতে যাচ্ছে।
আমি- মা দাড়াও আমি মিষ্টি নিয়ে এসেছি ওইগুলো দাও। বলে ব্যাগ থেকে মিষ্টি বের করে দিলাম। মা আমাকে দিল তুমিও খাও। সবাই মিলে মিষ্টি খেলাম।
ঝর্না কাকিমা বলল তবে তো তুমি যাবেনা কিরতন শুনতে এতদিন পরে ছেলে এসেছে।
আমি- কি যাবে যদি ভালো লাগে যাও একটু শুনে আস।
মা- বলছিস যাবো তুই একা থাকবি এখন।
আমি- হ্যা যাও ভালো কীর্তন হচ্ছে তো ঘরে বসেই শোনা যায় তবুও যাও কাকিমার সাথে আমি একটু ঘুমাবো। রাতে ঘুম হয় নাই। তুমি শুনে আস আমি ফাঁকে এক ঘুম দিয়ে নেই।
মা- এই তুমি দাড়াও আমি শাড়ি পরে আসি। এই বলে মা ভেতরে গেল। কিছু সময় আমি আর কাকিমা বাইরের বারান্দায় মা ঘরে শাড়ি পড়ছে।
কাকিমা- বলল মাকে একা রেখে গেছিস কেন আসিস না একা একা থাকে ওর কষ্ট হয় তোমাদের বোঝা উচিৎ।
আমি- কি করব কাকিমা চাকরি করি তো ছুটি পাওয়া কষ্ট তাছাড়া মেয়ে হল তারজন্য আসতে পারি নাই। তবে মায়ের সাথে যোগাযোগ তো রাখি। কেমন বউ আমার তোমরা তো জানো সব দিক সামাল দিয়ে চলতে হয়। কেন যে মা আর বউর মধ্যে অশান্তি হয় এই কারন্তা আমি বুঝতে পারি না।
কাকিমা- সব জানি আর বলতে হবেনা। তোমার মা যত ভালো বউটা ততটাই খারাপ আমরা দেখেছি তো, এমন মাকে কষ্ট দিস না, তোর বাবা মারা যাবার পর যা কষ্ট করেছে ওকে তুই ফেলে যাস না যেন। ওনার সাথে যে মিলে মিশে থাকতে পারবে না সে কারো সাথে থাকতে পারবে না। তোর মা তোকে যে কত ভালোবাসে সে আমরা হাব ভাবে বুঝি, মাকে কোন কষ্ট দিস না বাবা।
আমি- কি যে বল কাকিমা এত কষ্ট করে আসি কিসের জন্য তুমি বল, আমি আসলে মা একটু সুখ শান্তি পায় তারজন্য, আর কি বলব মায়ের কাছে আসলে আমার যে কি ভালো লাগে সে বলে বোঝাতে পাড়বো না। এখানে এলে মায়ের সাথে সব সময় থাকি আমি বাইরেও যাই না, মাকে একা রেখে আমি যাই না। মা যা বলে তাই আমি করি।
কাকিমা- হ্যা মাকে সঙ্গ দিবি এমনিতে একা একা থাকে তুই আসলে কত খুশী হয়, সেটা তুই চলে যাওয়ার পরে আমরা বুঝতে পারি, তবে দুদিন পর আবার যেমন তেমন তোর জন্য সব সময় ওর মন উতলা হয়ে থাকে, আমাদের থেকে তুই ভালো বুঝবি। একা বাড়িতে সব সময় ধর্ম কর্ম নিয়ে থাকে তুই আসলে দেখেছি একটু কম করে সব একাদশী পালন করে কালকেও করেছে তাই না। তুই মাকে একটু যত্ন করিস তবে অনেক দিন বাঁচবে না হলে মরে যাবে রে। কতি বা বয়স আমাদের মতন আমার বয়স এই ৪৪ তোর মায়ের হয়ত ৪৫ হবে তাইনা। এর বেশি হবেনা। যার স্বামী নেই তাঁর কেউ নেই কথায় আছে জানিস তো। তুই তোর মায়ের একমাত্র ভরস।
আমি- কাকি আমি বাড়ি আসলে মায়ের কোন কষ্ট দেই না মা যাতে সুখী হয় তাই করি, মায়ের একদম অবাধ্য হই না। এই যেমন দ্যাখ তোমরা তখন ডেকেছ আমি শুনেছি কিন্তু মাকে ডাকি নাই উপোষ ছিল কষ্ট হয়েছে তাই মা আমার কাছেই ছিল।
কাকিমা- তাইত ভাবি ঘরে আছে কিন্তু সারা দিচ্ছে না কেন, কি তোর মা ঘুমিয়ে ছিল নাকি।
আমি- থালার দিকে তাকিয়ে একি মা কত কিছু রান্না করেছে মাংস আছে দেখতে পাচ্ছি। মা বাইরে কার সাথে কথা বলছে যেন, আমি বসে আছি মায়ের জন্য।
মা- ফিরে এসে শুরু কর বসে আছ কেন।
আমি- না তুমিও বস একসাথে দুজনে খাব।
মা- আমি একাদশির পরের দিন নিরামিশ খাই। তুমি খাও।
আমি- বাদ দাও তো একটু আগে কি আমরা ইরামিশ কাজ করেছি এস বস দুজনে খাবো এস বস আমি তোমাকে খাইয়ে দেই।
মা- খাবো বলছ।
আমি- হ্যা বস কেন খাবেনা, আরো দুই তিনবার খেলবো না খেলে হবে।
মা- আচ্ছা বলে বসে পড়ল আমি নিজে খেতে লাগলাম আর মাকে খাইয়ে দিতে লাগলাম।
আমি- বললাম বাইরে কার সাথে কথা বলছিলে।
মা- মিনু এসেছিল আমার খোঁজ নিয়ে ওর মায়ের সাথে কীর্তন শুনতে যাওয়ার কথা ছিল ওর মা ডেকে গেছে আমাকে পায় নাই তাই ওকে পাঠিয়েছএ আমি বাড়ি আছি কিনা। বাইরে কীর্তনের মাইক বাজে শুনতে পাই নাই। তাই ওকে বললাম আর তুমি এসেছ তাই বললাম।
আমি- হুম তাই হবে তাছাড়া আমরা খেলছিলাম না শুনবো কি করে দরজা বন্ধ ছিল না। বলে দুজনে খেতে লাগলাম। দুজনে খেয়ে নিয়ে আমি উঠে গেলাম মা সব থালা বাসন নিয়ে রান্না ঘরে গেল আমি এসে বারান্দায় দাঁড়ালাম।
মা- সব ধুয়ে এসে আমার কাছে দাঁড়াল দুজনে বারান্দায় দাঁড়ানো। তখন বেলা সারে ১২ টা বাজে মনে হয়।
এর মধ্যে মিনুর মা এল কি দিদি যাবেনা কীর্তন শুনতে। ও বাবু তুই এসেছিস তাই এতডাক্লাম তোর মাকে শুনতে পায় নাই মা ছেলে গল্প করছিলি বুঝি।
মা- হ্যা গো ছেলেটা দের মাস পরে এল আমার নাতনী হয়েছে জানো তোমরা। আস ঘরে আস মিষ্টি খাও বলে ঘরে ডাকল আর মা মিষ্টি আনতে যাচ্ছে।
আমি- মা দাড়াও আমি মিষ্টি নিয়ে এসেছি ওইগুলো দাও। বলে ব্যাগ থেকে মিষ্টি বের করে দিলাম। মা আমাকে দিল তুমিও খাও। সবাই মিলে মিষ্টি খেলাম।
ঝর্না কাকিমা বলল তবে তো তুমি যাবেনা কিরতন শুনতে এতদিন পরে ছেলে এসেছে।
আমি- কি যাবে যদি ভালো লাগে যাও একটু শুনে আস।
মা- বলছিস যাবো তুই একা থাকবি এখন।
আমি- হ্যা যাও ভালো কীর্তন হচ্ছে তো ঘরে বসেই শোনা যায় তবুও যাও কাকিমার সাথে আমি একটু ঘুমাবো। রাতে ঘুম হয় নাই। তুমি শুনে আস আমি ফাঁকে এক ঘুম দিয়ে নেই।
মা- এই তুমি দাড়াও আমি শাড়ি পরে আসি। এই বলে মা ভেতরে গেল। কিছু সময় আমি আর কাকিমা বাইরের বারান্দায় মা ঘরে শাড়ি পড়ছে।
কাকিমা- বলল মাকে একা রেখে গেছিস কেন আসিস না একা একা থাকে ওর কষ্ট হয় তোমাদের বোঝা উচিৎ।
আমি- কি করব কাকিমা চাকরি করি তো ছুটি পাওয়া কষ্ট তাছাড়া মেয়ে হল তারজন্য আসতে পারি নাই। তবে মায়ের সাথে যোগাযোগ তো রাখি। কেমন বউ আমার তোমরা তো জানো সব দিক সামাল দিয়ে চলতে হয়। কেন যে মা আর বউর মধ্যে অশান্তি হয় এই কারন্তা আমি বুঝতে পারি না।
কাকিমা- সব জানি আর বলতে হবেনা। তোমার মা যত ভালো বউটা ততটাই খারাপ আমরা দেখেছি তো, এমন মাকে কষ্ট দিস না, তোর বাবা মারা যাবার পর যা কষ্ট করেছে ওকে তুই ফেলে যাস না যেন। ওনার সাথে যে মিলে মিশে থাকতে পারবে না সে কারো সাথে থাকতে পারবে না। তোর মা তোকে যে কত ভালোবাসে সে আমরা হাব ভাবে বুঝি, মাকে কোন কষ্ট দিস না বাবা।
আমি- কি যে বল কাকিমা এত কষ্ট করে আসি কিসের জন্য তুমি বল, আমি আসলে মা একটু সুখ শান্তি পায় তারজন্য, আর কি বলব মায়ের কাছে আসলে আমার যে কি ভালো লাগে সে বলে বোঝাতে পাড়বো না। এখানে এলে মায়ের সাথে সব সময় থাকি আমি বাইরেও যাই না, মাকে একা রেখে আমি যাই না। মা যা বলে তাই আমি করি।
কাকিমা- হ্যা মাকে সঙ্গ দিবি এমনিতে একা একা থাকে তুই আসলে কত খুশী হয়, সেটা তুই চলে যাওয়ার পরে আমরা বুঝতে পারি, তবে দুদিন পর আবার যেমন তেমন তোর জন্য সব সময় ওর মন উতলা হয়ে থাকে, আমাদের থেকে তুই ভালো বুঝবি। একা বাড়িতে সব সময় ধর্ম কর্ম নিয়ে থাকে তুই আসলে দেখেছি একটু কম করে সব একাদশী পালন করে কালকেও করেছে তাই না। তুই মাকে একটু যত্ন করিস তবে অনেক দিন বাঁচবে না হলে মরে যাবে রে। কতি বা বয়স আমাদের মতন আমার বয়স এই ৪৪ তোর মায়ের হয়ত ৪৫ হবে তাইনা। এর বেশি হবেনা। যার স্বামী নেই তাঁর কেউ নেই কথায় আছে জানিস তো। তুই তোর মায়ের একমাত্র ভরস।
আমি- কাকি আমি বাড়ি আসলে মায়ের কোন কষ্ট দেই না মা যাতে সুখী হয় তাই করি, মায়ের একদম অবাধ্য হই না। এই যেমন দ্যাখ তোমরা তখন ডেকেছ আমি শুনেছি কিন্তু মাকে ডাকি নাই উপোষ ছিল কষ্ট হয়েছে তাই মা আমার কাছেই ছিল।
কাকিমা- তাইত ভাবি ঘরে আছে কিন্তু সারা দিচ্ছে না কেন, কি তোর মা ঘুমিয়ে ছিল নাকি।