05-04-2024, 07:30 AM
খোঁজ
পাড়ার বাইরে একটা বিশুদার চায়ের দোকান ছিল। ওখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
– “না দাদা, বৌদি তো এদিকে আসেনি। বৌদি কেনো, আজ কেউই এদিকে আসেনি। একটা দুটো গাড়ি গেছে ব্যাস।”
মনটা আবার কু দিয়ে উঠলো। হঠাৎ মনে পড়ে গেলো সেই অমনি গাড়িটার কথা। ছেলেগুলো বিজয়ার দিকেই তো তাকিয়ে ছিল।
– “আচ্ছা বিশুদা, একটু আগে কি কোনো অমনি গাড়ি গেছে এখান থেকে?”
– “অমনি? হ্যাঁ গেলো তো, ঘিয়ে কালারের। কি ব্যাপার বলোতো?”
– “কখন? কতক্ষন আগে? কোনদিকে?”
– “তা প্রায় কুড়ি মিনিট আগে। ওই হাইওয়ের দিকে গেলো, চুঁচুড়ার দিকে।”
আমি আর দাঁড়ালাম না। বাইক স্টার্ট দিয়ে ওই দিকে চলতে শুরু করলাম। বিশুদা বলল কুড়ি মিনিট আগে গাড়িটা ওখান থেকে বেরিয়েছে। তার মানে প্রায় সেই সময়ই আমরাও প্রসেশন নিয়ে বেড়িয়েছিলাম। কিন্তু এই কুড়ি মিনিটে তো গাড়িটা হাইওয়ের রাস্তায় অনেক দুর চলে গেছে মনে হয়। যাকগে, যেটা আশঙ্কা করছি সেটা যেনো সত্যি না হয়, এই ভেবেই আমি স্পীড তুললাম। হাইওয়ে প্রায় ফাঁকা। একটা দুটো গাড়ি। একশোর উপর স্পীড তুলে এগোতে লাগলাম।
বেশ দশ কিমি যাবার পর হাইওয়েটা আরো সুনসান হয়ে গেলো। চারিদিকে খালি পুরনো ধানমাঠ। সবই বিক্রি হয়ে গেছে, এখন আর এখানে চাষ হয় না। বেশ কিছুটা এগিয়ে, বাঁদিকে একটা পুরনো ফ্যাক্টরি চোখে পড়লো। আমি এগিয়েই যাচ্ছিলাম কিন্তু মনটা কেমন যেনো খটকালো। এটাই একমাত্র জায়গা যার দুদিকে প্রায় ২ কিমি পর্যন্ত কোনো লোকজন বা দোকান নেই। ফ্যাক্টরিটা হাইওয়ে থেকে প্রায় দুশো মিটার ভিতরে, মধ্যিখানে একটা কাচা রাস্তা আছে। রাস্তাটার দুদিকে কলাগাছে ভর্তি। যদি ওরা সত্যি বিজয়াকে কিডন্যাপ করে থাকে, তাহলে এটা একটা পারফেক্ট জায়গা লুকানোর জন্য।
আমি হাইওয়ের ধারে দাঁড়িয়ে একটু লক্ষ্য করলাম। কাচা রাস্তায় একটু ধুলো উড়ে আছে। রাস্তার উপর টায়ারের চিন্হ। কিন্তু বেশি নয় আর বেশ সরু, মানে যেমন ছোট গাড়ির হয়। যদি সত্যি ওরা ওখানে থাকে তাহলে আমাকে একটু সাবধানে এগোতে হবে। মনে এলো পুলিশে ফোন করার কথা। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার কাছে কোনো প্রমাণ বা সন্দেহের কারণ নেই। আমি জানিও না যে কি হয়েছে। আমি শারীরিক দিক থেকে মোটামুটি ভালই। গায়ে শক্তি আছে। কিন্তু ওরা যদি দশজনের মতো হয় তাহলে কি পেরে উঠবো?
একটু চিন্তা করে বাইকটা সাইড করলাম। চাবিটা পকেটে গুঁজে, আস্তে আস্তে হাটতে লাগলাম ফ্যাক্টরীর দিকে। রাস্তাটা বেশ অন্ধকার। কেউ আমাকে দেখতেও পাবে না। কিছুটা যেতেই চোখে পড়ল গেটটা। আলতো করে খোলা। চাকার দাগগুলো বোঝালো যে কোনো গাড়ি ভিতরে ঢুকেছে। আমি পা চেপে চেপে ভিতরে ঢুকলাম। একটু ভিতরে লোডিং এরিয়াতে যেতেই চোখে পড়লো অমনি গাড়িটা। ইঞ্জিন বন্ধ, গাড়িটাও লক করা। আশেপাশে কেউ নেই, কিন্তু ভিতর থেকে কারোর গলার আওয়াজ আসছে। আমি নিজের ফোনটাকে সাইলেন্ট করলাম আর বিজয়ার নম্বরটা ডায়াল করলাম। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির ভিতর বিজয়ার ফোনটা বেজে উঠলো।
– “এ আসলাম, দেখতো ফিরসে কৌন কল কর রাহা হায় ইস রান্ডি কো?” ভিতর থেকে কেউ বলল।
বুকটা ধড়াস করে উঠলো। আমার আশঙ্কাই ঠিক। এরা বিজয়াকে এখানে তুলে এনেছে। কারোর আসার আওয়াজ পেলাম। তাড়াতাড়ি একটা ড্রামের পিছনে লুকালাম। একটা চব্বিশ পঁচিশ বছরের ছেলে এসে গাড়ির দরজা খুলে ফোনটা হাতে নিল।
– “আরে চাচা, ইয় তো উসকা খসম হায়। মাদারচোদ পাগলাগায়া হায় লাগতা হায় বিবি কে গাম মে।”
– “অফ করদে ফোন কো আউর ইধার আজা। রান্ডি হোশ মে আ রাহি হায়।”
ফোনটা আবার গাড়ির ভিতরে ফেলে আসলাম ভিতরে চলে গেলো। আমার বুকটা ধুকপুক করতে লাগলো। ঠিক করলাম এবার পুলিশকে ফোন করাই ভালো। ফোনটা বার করে নম্বর টা ডায়াল করতে যাবো, তখনই বিজয়ার আর্তনাদ কানে এলো।
পাড়ার বাইরে একটা বিশুদার চায়ের দোকান ছিল। ওখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
– “না দাদা, বৌদি তো এদিকে আসেনি। বৌদি কেনো, আজ কেউই এদিকে আসেনি। একটা দুটো গাড়ি গেছে ব্যাস।”
মনটা আবার কু দিয়ে উঠলো। হঠাৎ মনে পড়ে গেলো সেই অমনি গাড়িটার কথা। ছেলেগুলো বিজয়ার দিকেই তো তাকিয়ে ছিল।
– “আচ্ছা বিশুদা, একটু আগে কি কোনো অমনি গাড়ি গেছে এখান থেকে?”
– “অমনি? হ্যাঁ গেলো তো, ঘিয়ে কালারের। কি ব্যাপার বলোতো?”
– “কখন? কতক্ষন আগে? কোনদিকে?”
– “তা প্রায় কুড়ি মিনিট আগে। ওই হাইওয়ের দিকে গেলো, চুঁচুড়ার দিকে।”
আমি আর দাঁড়ালাম না। বাইক স্টার্ট দিয়ে ওই দিকে চলতে শুরু করলাম। বিশুদা বলল কুড়ি মিনিট আগে গাড়িটা ওখান থেকে বেরিয়েছে। তার মানে প্রায় সেই সময়ই আমরাও প্রসেশন নিয়ে বেড়িয়েছিলাম। কিন্তু এই কুড়ি মিনিটে তো গাড়িটা হাইওয়ের রাস্তায় অনেক দুর চলে গেছে মনে হয়। যাকগে, যেটা আশঙ্কা করছি সেটা যেনো সত্যি না হয়, এই ভেবেই আমি স্পীড তুললাম। হাইওয়ে প্রায় ফাঁকা। একটা দুটো গাড়ি। একশোর উপর স্পীড তুলে এগোতে লাগলাম।
বেশ দশ কিমি যাবার পর হাইওয়েটা আরো সুনসান হয়ে গেলো। চারিদিকে খালি পুরনো ধানমাঠ। সবই বিক্রি হয়ে গেছে, এখন আর এখানে চাষ হয় না। বেশ কিছুটা এগিয়ে, বাঁদিকে একটা পুরনো ফ্যাক্টরি চোখে পড়লো। আমি এগিয়েই যাচ্ছিলাম কিন্তু মনটা কেমন যেনো খটকালো। এটাই একমাত্র জায়গা যার দুদিকে প্রায় ২ কিমি পর্যন্ত কোনো লোকজন বা দোকান নেই। ফ্যাক্টরিটা হাইওয়ে থেকে প্রায় দুশো মিটার ভিতরে, মধ্যিখানে একটা কাচা রাস্তা আছে। রাস্তাটার দুদিকে কলাগাছে ভর্তি। যদি ওরা সত্যি বিজয়াকে কিডন্যাপ করে থাকে, তাহলে এটা একটা পারফেক্ট জায়গা লুকানোর জন্য।
আমি হাইওয়ের ধারে দাঁড়িয়ে একটু লক্ষ্য করলাম। কাচা রাস্তায় একটু ধুলো উড়ে আছে। রাস্তার উপর টায়ারের চিন্হ। কিন্তু বেশি নয় আর বেশ সরু, মানে যেমন ছোট গাড়ির হয়। যদি সত্যি ওরা ওখানে থাকে তাহলে আমাকে একটু সাবধানে এগোতে হবে। মনে এলো পুলিশে ফোন করার কথা। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার কাছে কোনো প্রমাণ বা সন্দেহের কারণ নেই। আমি জানিও না যে কি হয়েছে। আমি শারীরিক দিক থেকে মোটামুটি ভালই। গায়ে শক্তি আছে। কিন্তু ওরা যদি দশজনের মতো হয় তাহলে কি পেরে উঠবো?
একটু চিন্তা করে বাইকটা সাইড করলাম। চাবিটা পকেটে গুঁজে, আস্তে আস্তে হাটতে লাগলাম ফ্যাক্টরীর দিকে। রাস্তাটা বেশ অন্ধকার। কেউ আমাকে দেখতেও পাবে না। কিছুটা যেতেই চোখে পড়ল গেটটা। আলতো করে খোলা। চাকার দাগগুলো বোঝালো যে কোনো গাড়ি ভিতরে ঢুকেছে। আমি পা চেপে চেপে ভিতরে ঢুকলাম। একটু ভিতরে লোডিং এরিয়াতে যেতেই চোখে পড়লো অমনি গাড়িটা। ইঞ্জিন বন্ধ, গাড়িটাও লক করা। আশেপাশে কেউ নেই, কিন্তু ভিতর থেকে কারোর গলার আওয়াজ আসছে। আমি নিজের ফোনটাকে সাইলেন্ট করলাম আর বিজয়ার নম্বরটা ডায়াল করলাম। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির ভিতর বিজয়ার ফোনটা বেজে উঠলো।
– “এ আসলাম, দেখতো ফিরসে কৌন কল কর রাহা হায় ইস রান্ডি কো?” ভিতর থেকে কেউ বলল।
বুকটা ধড়াস করে উঠলো। আমার আশঙ্কাই ঠিক। এরা বিজয়াকে এখানে তুলে এনেছে। কারোর আসার আওয়াজ পেলাম। তাড়াতাড়ি একটা ড্রামের পিছনে লুকালাম। একটা চব্বিশ পঁচিশ বছরের ছেলে এসে গাড়ির দরজা খুলে ফোনটা হাতে নিল।
– “আরে চাচা, ইয় তো উসকা খসম হায়। মাদারচোদ পাগলাগায়া হায় লাগতা হায় বিবি কে গাম মে।”
– “অফ করদে ফোন কো আউর ইধার আজা। রান্ডি হোশ মে আ রাহি হায়।”
ফোনটা আবার গাড়ির ভিতরে ফেলে আসলাম ভিতরে চলে গেলো। আমার বুকটা ধুকপুক করতে লাগলো। ঠিক করলাম এবার পুলিশকে ফোন করাই ভালো। ফোনটা বার করে নম্বর টা ডায়াল করতে যাবো, তখনই বিজয়ার আর্তনাদ কানে এলো।