19-06-2019, 03:48 AM
৬.১
হোসেনের পদন্নোতি পরিক্ষার রেজাল্ট এসেছে,সিরিয়ালে তিনি ৫ এ আছেন, উপর মহল তার পদন্নোতির জন্যে ৮ লাখের ডিমান্ড করেছেন ৷
নিজের জিফান্ডে কুলমিলিয়ে লাখ তিনেকের মতো ছিলো, কিন্তু গত বছর ঘর করার জন্যে বাবাকে ২ লাখ উঠিয়ে দিয়েছেন ,যার কারনে লাখ খানেকই অবশিষ্ট রয়েছে ,
হোসেন যেনো এই প্রমোশনের জন্যে হন্নে হয়ে লেগেছেন ,
ঘুষের টাকা প্লাস মাইনে মিলিয়ে মাসিক তার ঠিক মতোই চলে যায় ,সঞ্চয়ের সুজোগই তার হয়নি , মাইনের টাকা থেকে জিফন্ডে কিছু অংশ রেখে দেয় বোলেই তা ছিলো নয়তো তাও খরছ হয়ে যেতো ৷
মোখলেছ মিয়াও ছেলের জন্যে নিজের জমিন বিক্রি করতে না রাজ,
তার ভাষ্যে,
পদন্নোতি দিয়ে কি করবি, বেশী চাপ হয়ে যাবে তোর উপর,
একথা বলেই তিনি পাশ কাটালেন,
ওদিকে রোজিনা বেগম তার ভাইদের কে অনেক ভানিতা করে বলার পর তার ৮ লাখ টাকা দিতে রাজি হলো তবে এক শর্তে, যে ছ মাসের মধ্যেই দিতে হবে ৷
হোসেন তো এক পায়েই দাড়িয়ে ছিলো,
—অবশ্যই পেয়ে যাবেন ভাই ৷ আগে প্রমোশনটা পেয়ে নি তারপর আপনার টাকা দু মাসেই দিয়ে দিবো ৷
—আচ্ছা শুনেন, দারোগা হয়ে আবার বেশী ঘুষ টুস খায়ার দরকারনেই, এসব হারাম!
হোসেন মনেমনে হাসলো, বৌয়ের কথায় ৷
শশুরবাড়ির টাকা দিয়ে অবশেষে হোসেনের প্রমোশন টা হয়েই গেলো!
কিন্তু সমস্যা হলো, প্রমোশনের পরপরই তিনি বদলী হয়েছেন খাগড়াছড়ি!
রিয়াজের জন্যে সমস্যা না হলেও,
রিহান তার নবম শ্রেনীর রেজিষ্টেশন এখানে কলেজে করে ফেলেছে, তার উপর নতুন জায়গায় বাসা খোজাখুজি অনেক ঝামেলার যার কারনে তিনি সিন্ধান্ত নিলেন,স্ত্রী আর ছেলেরা এখানেই থাকবে, তিনি মাসে মাসে আসবেন ৷
আর বাজারটাজারের জন্যে সংসার দেখভাল করার জন্যে রিয়াজ তো আছেই!
ততদিনে রোজিনা এবং তার ছেলের মধ্যে সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলো,
এটা যদিও রোজিনা মনে করতেন ৷
কিন্তু রিয়াজের মনে কি আছে তাতো সেই জানে ৷
হোসেনের পদন্নোতি পরিক্ষার রেজাল্ট এসেছে,সিরিয়ালে তিনি ৫ এ আছেন, উপর মহল তার পদন্নোতির জন্যে ৮ লাখের ডিমান্ড করেছেন ৷
নিজের জিফান্ডে কুলমিলিয়ে লাখ তিনেকের মতো ছিলো, কিন্তু গত বছর ঘর করার জন্যে বাবাকে ২ লাখ উঠিয়ে দিয়েছেন ,যার কারনে লাখ খানেকই অবশিষ্ট রয়েছে ,
হোসেন যেনো এই প্রমোশনের জন্যে হন্নে হয়ে লেগেছেন ,
ঘুষের টাকা প্লাস মাইনে মিলিয়ে মাসিক তার ঠিক মতোই চলে যায় ,সঞ্চয়ের সুজোগই তার হয়নি , মাইনের টাকা থেকে জিফন্ডে কিছু অংশ রেখে দেয় বোলেই তা ছিলো নয়তো তাও খরছ হয়ে যেতো ৷
মোখলেছ মিয়াও ছেলের জন্যে নিজের জমিন বিক্রি করতে না রাজ,
তার ভাষ্যে,
পদন্নোতি দিয়ে কি করবি, বেশী চাপ হয়ে যাবে তোর উপর,
একথা বলেই তিনি পাশ কাটালেন,
ওদিকে রোজিনা বেগম তার ভাইদের কে অনেক ভানিতা করে বলার পর তার ৮ লাখ টাকা দিতে রাজি হলো তবে এক শর্তে, যে ছ মাসের মধ্যেই দিতে হবে ৷
হোসেন তো এক পায়েই দাড়িয়ে ছিলো,
—অবশ্যই পেয়ে যাবেন ভাই ৷ আগে প্রমোশনটা পেয়ে নি তারপর আপনার টাকা দু মাসেই দিয়ে দিবো ৷
—আচ্ছা শুনেন, দারোগা হয়ে আবার বেশী ঘুষ টুস খায়ার দরকারনেই, এসব হারাম!
হোসেন মনেমনে হাসলো, বৌয়ের কথায় ৷
শশুরবাড়ির টাকা দিয়ে অবশেষে হোসেনের প্রমোশন টা হয়েই গেলো!
কিন্তু সমস্যা হলো, প্রমোশনের পরপরই তিনি বদলী হয়েছেন খাগড়াছড়ি!
রিয়াজের জন্যে সমস্যা না হলেও,
রিহান তার নবম শ্রেনীর রেজিষ্টেশন এখানে কলেজে করে ফেলেছে, তার উপর নতুন জায়গায় বাসা খোজাখুজি অনেক ঝামেলার যার কারনে তিনি সিন্ধান্ত নিলেন,স্ত্রী আর ছেলেরা এখানেই থাকবে, তিনি মাসে মাসে আসবেন ৷
আর বাজারটাজারের জন্যে সংসার দেখভাল করার জন্যে রিয়াজ তো আছেই!
ততদিনে রোজিনা এবং তার ছেলের মধ্যে সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলো,
এটা যদিও রোজিনা মনে করতেন ৷
কিন্তু রিয়াজের মনে কি আছে তাতো সেই জানে ৷