28-01-2024, 10:50 AM
(13-05-2020, 10:48 AM)Biddut Roy Wrote: পর্ব-৪৬ (শেষ পর্ব)
-----------------------------------
আমার ইজ্জৎ এর ফালুদা বানিয়ে ফেলছিল আরেকটু হলে, বেচে গিয়েছি, একটু পরে ফোন এলো, মোবাইলটা ভনভন করে বাচ্ছে সেদিকে আমার খেয়াল নেই আনমনে ভাবে হাঁটছি হাঁটছি ভাবে হাঁটছি। আবার হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো বেজে উঠলো এবার ফোনটা ধরলাম ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই দেখলাম এটাই সে তার তার নাম্বার হঠাৎ কি মনে করে সে ফোন দিল, ধরবো কি ধরবো না সেটাই ভাবতে ছিলাম ধরবো না সেটাই ভাবতে ছিলাম তারপর ফোনটা ধরেই ফেললাম
ফোনের ওপাশ থেকে ভাইয়া আমি আভা আপনি কোথায় এখন কোথায়?
এইতো আমি একটু বাইরে কেন কোন সমস্যা সমস্যা কোন সমস্যা?
আভা বলল ভাইয়া এসেছে তো মাথা ঘুরে পড়ে গেছে আপনি যেখানেই থাকেন খুব তাড়াতাড়ি চলে আসুন আমরা ওকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি আপনি তাড়াতাড়ি চলে আসেন
এই অবস্থায় আমি কি করবো কিছুই বুঝতে ছিলাম না আমি জলদি চলে গেলাম আভা র কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে হাসপাতালে
গিয়ে দেখি সবাই চলে এসেছে আমাকে দেখে মা বলল যা তাড়াতাড়ি মিষ্টি নিয়ে আসো আমি বললাম কেন মা কি হয়েছে কি হয়েছে?
তা একটু পরেই বুঝতে পারবে যে তাড়াতাড়ি বেশি করে মিষ্টি নিয়ে আস। মা বল না কি হয়েছে মা কি হয়েছে? আরে বোকা তুই বাবা হতে চলেছিস যা জলদি যা যা তাড়াতাড়ি মিষ্টি নিয়ে,
আমি হাসবো না কাঁদবো কিছুই বুঝতে পারছি না আজ আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন সবচেয়ে আনন্দের দিন কারণ আমি বাবা হতে চলেছি এ আনন্দ কোথায় রাখি, খুশিতে আমার নাচতে ইচ্ছে করতেছে আর আমার ওই গানটা গাইতে গাইতে ইচ্ছে করতেছে।
আমি জলদি গেলাম ঈশিতার কাছে। যেতেই সবাই বের হয়ে গেল আমি তার কাছে গেলাম ঈশিতার কপালে একটা চুমু দিলাম তারপর বললাম তুমি তো মা হতে চলেছ, একটা মানুষের জীবনে সবচেয়ে সুখের বস্তু কি জানো? ঈশিতা বলল জানিনা তুমি বলো, আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের বস্তু হল বাবা হওয়া এরপর আরো অনেক কথা বললাম এর অনেক কথা বললাম এর ভিতর আভা চলে আসলো,
ভাইয়া বাবা তো হলেন এখন মিষ্টি কই? তাড়াতাড়ি যান মিষ্টি নিয়ে আসেন আমি বললাম আচ্ছা তুমি থাকো ঈশিতার সাথে তারপর ওদের দুজনকে রেখে দুজনকে রেখে আমি চলে আসলাম
বাইরে আসার কিছুক্ষণ পরেই রাকিবের ফোন দোস্ত কি অবস্থা কেমন আছিস আমি বললাম এইতো দোস্ত ভালো আছি ওহে একটা ভালো খবর আছে রাকিব বললো কি খবর দোস্ত আমি বললাম তুই তো চাচা হতে চলেছিস মানে কি শালা তুই বাবা হতে চলেছি আমাদের ট্রিট কোথায় তুই যেখানেই থাকো জলদি চলে আয় আমি তোর জন্য অপেক্ষা করছি কি আর করা মনে মনে বললাম বাস আজকেও একটা দিবে যাই হোক বাবা হয়েছি এর চেয়ে আনন্দ আর কি বা হতে আনন্দ আর কি বা হতে চেয়ে আনন্দ আর কি বা হতে পারে
এভাবেই কাটতে লাগল আমাদের দিনগুলো অনেক কেয়ার করি ঈশিতার আর আভা ও আমাদের সাথেই থাকে দেখতে দেখতে প্রায় নয় মাস চলে এল আর ঈশিতার আর ঈশিতার ডেট পড়ে গেলো হঠাৎ একদিন রাতে ঈশিতার প্রচন্ড পেইন উঠেছে আমি মা বাবাকে ডাক দিলাম বাবা বলল তাড়াতাড়ি এম্বুলেন্স কে ফোন দে, এখনই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আমি এম্বুলেন্স ফোন দিলাম আর দশ মিনিট পরে এম্বুলেন্স আমার বাসার নিচে আসলো আমি তাকে কোলে করে নিয়ে এম্বুলেন্সে তুললাম ওদিকে বাবা আমার সকল আত্মীয় স্বজনদের ফোন করে জানিয়ে দিল এবং হাসপাতাল এ আসার জন্য, আমরা হাসপাতালে চলে এসেছি ঈশিতাকে ওটিতে ঢুকানো হল হল বাবা বলল কোন চিন্তা করিস না । আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করবে,
প্রায় 2 ঘন্টা পরে পরে ঘন্টা পরে পরে ডাক্তার ওটি থেকে থেকে বের হলো ডাক্তারের মুখটা অনেকটাই কালো কালো লাগছিল বাবা বলল কি অবস্থা ডাক্তার বলল আপনি কি হন পেশেন্টের?
বাবা বললো ও আমার ছেলের বউ তারপরে ডাক্তার বলল আপনি তো তো দাদু হয়েছেন আপনার সুন্দর ফুটফুটে একটা নাতনি হয়েছে আমি ডাক্তারের কাছে গেলাম এবং বললাম আমার ঈশিতা কেমন আছে ওর কি খবর ডাক্তার একটু মাথা নিচু করে যা বল্লো করে যা বল্লো আমরা ঈশিতা কে বাঁচাতে পারিনি সরি, আমি একটা চিৎকার দিলাম না এটা হতে পারে না আমি জলদি গেলাম ঈশিতার কাছে ইশিতা তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারো না তোমাকে ছাড়া আমি কি নিয়ে নিয়ে বাঁচবো একথা বললে দুই হাত দিয়ে ঈশিতার মুখ মুখটা চেপে ধরলাম তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারো না।
প্রায় 5 বছর পরে বছর পরে
বাবাই বাবাই আমরা কোথায় যাচ্ছি এটা কোন জায়গা আমি বললাম মা এটা কবরস্থান, এখানে এসেছি দোয়া করার জন্য। তাই নাকি বাবাই তা এখানে কার কবর বাবাই? এইতো মামনি চলে এসেছে. মামনি মামনি এটা কার কবর,?
এটা তোমার দাদুর কবর ঈশিতা বলল...
কি ভাবছেন পাঠক-পাঠিকা ভাইয়া-আপুরা ভাইয়া-আপুরা গল্পের নায়িকা যদি মরে যায় তাহলে সেই গল্প পড়ে তো কোন তো কোন মজা নাই তাই না সেদিন কি হয়েছিল চলুন একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাই সেদিন আমি যখন গালে হাত দিলাম হো হো করে হেসে উঠলো আর বলল তুমি আমাকে এত ভালোবাসো আমি বললাম দুষ্টামি করার মানে কি এরকম করে আমার শরীর থেকে শরীর থেকে আত্মা টাই চলে গিয়েছিল আমিতো ভয় পেয়ে গেছিলাম ঈশিতা বলল সরি জানু আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো সে কারণে ডাক্তারকে ডাক্তারকে বলেছিলাম তোমাকে এই কথাটা বলার জন্য সরি মাফ করে দাও আর কখনো হবে না এমনটা এটা বলে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমার কপালে ছোট্ট একটি চুমু একে দিল আমি বললাম এমনটা যেন আর কখনোই না হয় এরপর সকলেই চলে এলো আভা ও চলে এসেছে তারপরে আমরা দুই দিন থেকে ঈশিতাকে ও আমার বাবু সোনা টাকে টাকে সোনা টাকে টাকে বাবু সোনা টাকে নিয়ে চলে আসলাম এর কিছু বছর পরে প্রায় দুই বছর পরে বাবা একটা কার এক্সিডেন্টে। আজ বাবার মৃত্যুবার্ষিকী তাই তাই আমরা পরিবারের সবাই মিলে বাবার কবর জিয়ারত করতে আসলাম আর গাড়ি থেকে নেমে যে আমার সাথে কথা বললো সে হলো আমার মেয়ে আইভী।
কবর জিয়ারত শেষ হলো হলো শেষ হলো আমরা বাসায় চলে আসলাম এভাবেই আমাদের চলতে থাকল দিনগুলো অনেক ভালো দিনগুলো অন্যদিকে আভার বিয়ে ঠিক হয়েছে খুব ভালোই দিনগুলো কাটছে আর এভাবেই বেঁচে থাকুক দুষ্টু মিষ্টু ভালোবাসা ভালোবাসা গুলো সুখে থাকুক ঈশিতা সুখে থাকুক ফারাবী তাদের মেয়ে আইভীকে নিয়ে ভালো থাকুক ভালো রাখুক খুনসুটি নিয়ে ভালোবাসা রইলো।
[গল্পটা এখানেই শেষ করে দিলাম। সকলেই ভালো থাকবেন। গল্পটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন।]
(সমাপ্ত)
এরকম গল্প আগে কখনো পড়ি নাই।গল্পটা সত্যি দারুন।