28-01-2024, 02:33 AM
(This post was last modified: 28-01-2024, 12:57 PM by Past Time. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
পর্ব- ২
পুরনো অতীত
মানুষের জীবন তিনটি স্তরের উপর সীমাবদ্ধ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্য। ভবিষ্যতে কি হতে চলছে তা অনিশ্চিত, কিন্তু অতীতের কিছু ঘটনার স্মৃতি আমরা সারাজীবন বয়ে নিয়ে বেড়াই। আমাদের জীবনের প্রতিটি সময়ে রয়েছে আলো এবং অন্ধকারের ছোঁয়া। জন্মের পরই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের মাথায় একটাই চিন্তা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়- লেখাপড়া শেষ করে চাকরি, আয় রোজগার আর সংসারের হাল ধরার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তা না হলেই জীবন বৃথা। সেখানে উদ্যোক্তা কিংবা শিল্পপতির কোনো উল্লেখ থাকে না; সর্বোচ্চ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত থাকতে পারে- তবে স্বাধীন কিছু করার উৎসাহ মিলে না কোনোভাবেই। এটা করা যেন মধ্যবিত্তদের জন্য মহাপাপের সামিল। মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মায়েরা বংশপরম্পরায় পাওয়া নিজেদের স্বপ্নটাকে সন্তানের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। তার বাবারাও এভাবেই তাদের মধ্যে স্বপ্ন ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। সেই স্বপ্ন এবার চাপিয়ে দেওয়া হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে। আর এভাবেই চক্রাকারে চলতে থাকে মধ্যবিত্ত জীবনচক্র। সুশান্ত বাবুর জীবনেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন সুশান্ত বাবু। সুশান্ত বাবুর মা গৃহিণী আর বাবা একটি সরকারি দপ্তরের কেরানি হিসেবে চাকরি করতো। সুশান্ত বাবুরা চার ভাই সুশান্ত বাবু সবার বড়। সুশান্ত বাবু ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর এক অদৃশ্য প্রেমের মায়া জালে, বাঁধভাঙা আবেগ কিংবা অন্ধপ্রেম— এর সবই ভর করে তার জীবনে। ভার্সিটিতে পড়ার সময় দেবযানী নামের একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে যায় তিনি। দেবযানীকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলে সুশান্ত বাবু। সুশান্ত বাবু ছাড়া তার সব বন্ধু-বান্ধবই বুঝতে পারতো দেবযানীকে সুশান্ত বাবু ভালোবাসলেও, দেবযানী আসলে সুশান্ত বাবুকে শুধু প্রয়োজনের জন্য ব্যবহার করেছে। সুশান্ত বাবুর খুবই কাছের কয়েকজন বন্ধু তাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করছে দেবযানী যে তোকে শুধু ব্যবহার করছে তুই কেন বুঝতে পারছিস না। এর উত্তরে সুশান্ত বাবু বলতো তোরা শুধু শুধু মেয়েটাকে ভুল বুঝছিস ওর মতো লক্ষী মেয়ে এই ভার্সিটিতে আর একটাও নেই। তোরা আমার কথা শুন ভালোবাসা, মানুষের জীবনে এক আশ্চর্য অনুভূতির নাম। ভালোবাসা হয়ও বিভিন্ন ধরনের। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা, প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা। এই ভালোবাসা নিয়ে হয়েছে যুদ্ধ, ধ্বংস হয়েছে নগরী। লেখা হয়েছে অজস্র কবিতা, গাওয়া হয়েছে গান। ভালোবাসার সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে চিত্রকলায়, চলচ্চিত্রে। জীবনের অনেকটা সময় আমরা ভালোবাসা নিয়েই ভাবি। ভালোবাসা যেমন মানবজীবনে সহজাত, তেমনি বৈচিত্র্যপূর্ণ।সত্যিকার ভালোবাসায় মানুষ কোনো কিছু পাওয়া জন্য কাউকে ভালোবাসে না। উল্টো নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে তার ভালোবাসার জানান দেয়। তোকে শালাকে বুঝিয়ে কোনো লাভ নেই যেদিন বাঁশ খাবি, সেদিন বুঝবি বন্ধুদের কথা ঠিক ছিলো। সুশান্ত বাবুর বন্ধুরা হাজার চেষ্টা করেও দেবযানীর কাছে থেকে সুশান্ত বাবুকে আলাদা করতে পারেনি। ভার্সিটির Lab Reports, Presentation, Assignments, এগুলো সব সুশান্ত বাবুকে দিয়ে করাতো দেবযানী। সুশান্ত বাবু দেবযানীর এগুলো করে দিতে অনেক আনন্দ পেতো। পরীক্ষার সময় সুশান্ত বাবুর পাশাপাশি সিটে বসে সুশান্ত বাবুর খাতা দেখে উত্তর লিখে, পড়াশোনা ছাড়াই প্রতি পরীক্ষায় ভালো মার্ক পেয়ে পাস করে যেতো দেবযানী। দেবযানীর সাথে সুশান্ত বাবুর ভালোবাসা টা ছিল এককেন্দ্রিক। একদিন হঠাৎ ফোন করে যখন সুশান্ত বাবু দেবযানীকে বলে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি তখন হ্যা বা না কোনো উত্তরই দেয়নি দেবযানী, উল্টো বলে আমি কারও প্রেমিকা হতে চায় না বউ হতে চায়। ভার্সিটির ৪ বছরে কোনো দিন সুশান্ত বাবুকে দেবযানী তার হাত টা পযন্ত ধরতে দেয়নি, বিয়ের পর সব হবে এখন আমরা শুধু বন্ধু এটা বলতো সুশান্ত বাবুকে। এমনকি সবসময় সুশান্ত বাবুকে বলতো ভার্সিটিতে আমরা ক্লাসমেটের মতো থাকবো, কেউ যাতে বুঝতে না পারে তুমি আমাকে ভালোবাসো। বেপার গুলো স্বভাবিক ভাবে নিতো সুশান্ত বাবু। ভার্সিটির পড়াশোনা শেষ করে সুশান্ত বাবু তখন সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এর মধ্যে একদিন সুশান্ত বাবুর এক বন্ধু ফোন করে সুশান্ত বাবুকে বললো, দেবযানীর তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে মানে? কি বলছিস তুই? তোর মাথা ঠিক আছে? হ্যা আমি ঠিকই বলছি, বিশ্বাস না হলে দেবযানীকে ফোন করে শুনে নে। সুশান্ত বাবু দেবযানীকে ফোন করলো। বেশ কয়েক বার কল দেওয়ার পর ফোন টা রিসিভ করলো দেবযানী। এসব আমি কি শুনছি দেবযানী? সুশান্ত তুমি যা শুনেছো সবই সত্যি। শুনো সুশান্ত আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। কিন্তু ভালোবাসা দিয়ে তো আর জীবন চলবে না। পৃথিবীর প্রত্যাক মা -বাবা চায় সন্তানদের সবসময় সুখী দেখতে। তোমার কবে চাকরি হবে সেই আশায় তো আমার মা-বাবা, আমাকে বিয়ে না দিয়ে বাসায় বসিয়ে রাখবে না। সুশান্ত বাবু আর কোনো কথা না বাড়িয়ে ফোন টা কেটে দিলো। সুশান্ত বাবু জীবনেও কল্পনা করতে পারেনি দেবযানী তাকে ছেড়ে অন্য কোনো একটা ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে। ৪ বছর যাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসলো তার থেকে এরকম ব্যবহার আশা করেনি সুশান্ত বাবু। পৃথিবীতে সুখের অস্তিত্ব আছে বলেই মানুষ দুঃখকে হাসিমুখে বরণ করে সুখের আশায়। আর দুঃখের অস্তিত্ব আছে বলেই সুখের বৃন্তে বসবাস করার জন্য মানুষের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা।
মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো শুধু স্বপ্ন দেখতে জানে। আর এই স্বপ্নকে আগলে ধরে চেষ্টা করে বেঁচে থাকার। স্বপ্ন আশায় জীবনকে গড়গড়ায়ে টেনে নিয়ে যায়। জীবনের সঙ্গে পাল্টে যায় স্বপ্নের ছবিগুলোও। ব্যর্থ প্রেমের ক্ষত বুকে বয়ে নিয়ে সুশান্ত বাবু কয়েকটা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিতেন আর সাথে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি। বেশ কয়েক বছর যাবত অনেক গুলো সরকারি চাকরির পরীক্ষার দেওয়ার পরও বার বার পাস করতে ব্যর্থ হলেন তিনি। জীবন বেশ জটিল অংকের হিসেবে বন্দী। যে হিসাবের অপর পৃষ্ঠায় লেখা হয় সব দিনলিপি। চোখের পলকেই পরিবর্তন হয়ে যায় জীবনের রঙ-জীবনের বাদ্য। কোনো কোনো সময় রৌদ্রোজ্জ্বল ঝলমলে আকাশে অন্ধকারের ঘনঘটা আসে।
পুরনো অতীত
মানুষের জীবন তিনটি স্তরের উপর সীমাবদ্ধ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্য। ভবিষ্যতে কি হতে চলছে তা অনিশ্চিত, কিন্তু অতীতের কিছু ঘটনার স্মৃতি আমরা সারাজীবন বয়ে নিয়ে বেড়াই। আমাদের জীবনের প্রতিটি সময়ে রয়েছে আলো এবং অন্ধকারের ছোঁয়া। জন্মের পরই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের মাথায় একটাই চিন্তা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়- লেখাপড়া শেষ করে চাকরি, আয় রোজগার আর সংসারের হাল ধরার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তা না হলেই জীবন বৃথা। সেখানে উদ্যোক্তা কিংবা শিল্পপতির কোনো উল্লেখ থাকে না; সর্বোচ্চ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত থাকতে পারে- তবে স্বাধীন কিছু করার উৎসাহ মিলে না কোনোভাবেই। এটা করা যেন মধ্যবিত্তদের জন্য মহাপাপের সামিল। মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মায়েরা বংশপরম্পরায় পাওয়া নিজেদের স্বপ্নটাকে সন্তানের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। তার বাবারাও এভাবেই তাদের মধ্যে স্বপ্ন ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। সেই স্বপ্ন এবার চাপিয়ে দেওয়া হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে। আর এভাবেই চক্রাকারে চলতে থাকে মধ্যবিত্ত জীবনচক্র। সুশান্ত বাবুর জীবনেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন সুশান্ত বাবু। সুশান্ত বাবুর মা গৃহিণী আর বাবা একটি সরকারি দপ্তরের কেরানি হিসেবে চাকরি করতো। সুশান্ত বাবুরা চার ভাই সুশান্ত বাবু সবার বড়। সুশান্ত বাবু ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর এক অদৃশ্য প্রেমের মায়া জালে, বাঁধভাঙা আবেগ কিংবা অন্ধপ্রেম— এর সবই ভর করে তার জীবনে। ভার্সিটিতে পড়ার সময় দেবযানী নামের একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে যায় তিনি। দেবযানীকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলে সুশান্ত বাবু। সুশান্ত বাবু ছাড়া তার সব বন্ধু-বান্ধবই বুঝতে পারতো দেবযানীকে সুশান্ত বাবু ভালোবাসলেও, দেবযানী আসলে সুশান্ত বাবুকে শুধু প্রয়োজনের জন্য ব্যবহার করেছে। সুশান্ত বাবুর খুবই কাছের কয়েকজন বন্ধু তাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করছে দেবযানী যে তোকে শুধু ব্যবহার করছে তুই কেন বুঝতে পারছিস না। এর উত্তরে সুশান্ত বাবু বলতো তোরা শুধু শুধু মেয়েটাকে ভুল বুঝছিস ওর মতো লক্ষী মেয়ে এই ভার্সিটিতে আর একটাও নেই। তোরা আমার কথা শুন ভালোবাসা, মানুষের জীবনে এক আশ্চর্য অনুভূতির নাম। ভালোবাসা হয়ও বিভিন্ন ধরনের। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা, প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা। এই ভালোবাসা নিয়ে হয়েছে যুদ্ধ, ধ্বংস হয়েছে নগরী। লেখা হয়েছে অজস্র কবিতা, গাওয়া হয়েছে গান। ভালোবাসার সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে চিত্রকলায়, চলচ্চিত্রে। জীবনের অনেকটা সময় আমরা ভালোবাসা নিয়েই ভাবি। ভালোবাসা যেমন মানবজীবনে সহজাত, তেমনি বৈচিত্র্যপূর্ণ।সত্যিকার ভালোবাসায় মানুষ কোনো কিছু পাওয়া জন্য কাউকে ভালোবাসে না। উল্টো নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে তার ভালোবাসার জানান দেয়। তোকে শালাকে বুঝিয়ে কোনো লাভ নেই যেদিন বাঁশ খাবি, সেদিন বুঝবি বন্ধুদের কথা ঠিক ছিলো। সুশান্ত বাবুর বন্ধুরা হাজার চেষ্টা করেও দেবযানীর কাছে থেকে সুশান্ত বাবুকে আলাদা করতে পারেনি। ভার্সিটির Lab Reports, Presentation, Assignments, এগুলো সব সুশান্ত বাবুকে দিয়ে করাতো দেবযানী। সুশান্ত বাবু দেবযানীর এগুলো করে দিতে অনেক আনন্দ পেতো। পরীক্ষার সময় সুশান্ত বাবুর পাশাপাশি সিটে বসে সুশান্ত বাবুর খাতা দেখে উত্তর লিখে, পড়াশোনা ছাড়াই প্রতি পরীক্ষায় ভালো মার্ক পেয়ে পাস করে যেতো দেবযানী। দেবযানীর সাথে সুশান্ত বাবুর ভালোবাসা টা ছিল এককেন্দ্রিক। একদিন হঠাৎ ফোন করে যখন সুশান্ত বাবু দেবযানীকে বলে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি তখন হ্যা বা না কোনো উত্তরই দেয়নি দেবযানী, উল্টো বলে আমি কারও প্রেমিকা হতে চায় না বউ হতে চায়। ভার্সিটির ৪ বছরে কোনো দিন সুশান্ত বাবুকে দেবযানী তার হাত টা পযন্ত ধরতে দেয়নি, বিয়ের পর সব হবে এখন আমরা শুধু বন্ধু এটা বলতো সুশান্ত বাবুকে। এমনকি সবসময় সুশান্ত বাবুকে বলতো ভার্সিটিতে আমরা ক্লাসমেটের মতো থাকবো, কেউ যাতে বুঝতে না পারে তুমি আমাকে ভালোবাসো। বেপার গুলো স্বভাবিক ভাবে নিতো সুশান্ত বাবু। ভার্সিটির পড়াশোনা শেষ করে সুশান্ত বাবু তখন সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এর মধ্যে একদিন সুশান্ত বাবুর এক বন্ধু ফোন করে সুশান্ত বাবুকে বললো, দেবযানীর তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে মানে? কি বলছিস তুই? তোর মাথা ঠিক আছে? হ্যা আমি ঠিকই বলছি, বিশ্বাস না হলে দেবযানীকে ফোন করে শুনে নে। সুশান্ত বাবু দেবযানীকে ফোন করলো। বেশ কয়েক বার কল দেওয়ার পর ফোন টা রিসিভ করলো দেবযানী। এসব আমি কি শুনছি দেবযানী? সুশান্ত তুমি যা শুনেছো সবই সত্যি। শুনো সুশান্ত আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। কিন্তু ভালোবাসা দিয়ে তো আর জীবন চলবে না। পৃথিবীর প্রত্যাক মা -বাবা চায় সন্তানদের সবসময় সুখী দেখতে। তোমার কবে চাকরি হবে সেই আশায় তো আমার মা-বাবা, আমাকে বিয়ে না দিয়ে বাসায় বসিয়ে রাখবে না। সুশান্ত বাবু আর কোনো কথা না বাড়িয়ে ফোন টা কেটে দিলো। সুশান্ত বাবু জীবনেও কল্পনা করতে পারেনি দেবযানী তাকে ছেড়ে অন্য কোনো একটা ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে। ৪ বছর যাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসলো তার থেকে এরকম ব্যবহার আশা করেনি সুশান্ত বাবু। পৃথিবীতে সুখের অস্তিত্ব আছে বলেই মানুষ দুঃখকে হাসিমুখে বরণ করে সুখের আশায়। আর দুঃখের অস্তিত্ব আছে বলেই সুখের বৃন্তে বসবাস করার জন্য মানুষের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা।
মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো শুধু স্বপ্ন দেখতে জানে। আর এই স্বপ্নকে আগলে ধরে চেষ্টা করে বেঁচে থাকার। স্বপ্ন আশায় জীবনকে গড়গড়ায়ে টেনে নিয়ে যায়। জীবনের সঙ্গে পাল্টে যায় স্বপ্নের ছবিগুলোও। ব্যর্থ প্রেমের ক্ষত বুকে বয়ে নিয়ে সুশান্ত বাবু কয়েকটা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিতেন আর সাথে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি। বেশ কয়েক বছর যাবত অনেক গুলো সরকারি চাকরির পরীক্ষার দেওয়ার পরও বার বার পাস করতে ব্যর্থ হলেন তিনি। জীবন বেশ জটিল অংকের হিসেবে বন্দী। যে হিসাবের অপর পৃষ্ঠায় লেখা হয় সব দিনলিপি। চোখের পলকেই পরিবর্তন হয়ে যায় জীবনের রঙ-জীবনের বাদ্য। কোনো কোনো সময় রৌদ্রোজ্জ্বল ঝলমলে আকাশে অন্ধকারের ঘনঘটা আসে।