25-12-2023, 05:45 PM
গয়েশ্বর কাকু বললো আলিফ ভাবিকে (আমার মাকে) একটু ডেকে দাও তো।আমি মাকে ডাকতে যেয়ে বেশ অবাক হলাম।মা আজ এতো সাজগোজ করলো কেন? খুব সুন্দর লালটুকটুকে একটা সালোয়ার কামিজ পরেছে। হাতাটা নেটের। দেখেই বোঝা যাচ্ছে সালোয়ার কামিজটা মায়ের যৌবনকালের।অনেকদিন পর আজ আলমারি থেকে বের করেছে।ঠোঁটে লাল লিপ্সটিক। চোখে কাজল, চুল খুব সুন্দর করর খোপা করা। মা কি গয়েশ্বর কাকাকে দেখানোর জন্য এমন সাজগোজ করেছে?
গয়েশ্বর কাকা মাকে দেখে হা করে তাকিয়ে রইল। মায়ের গলা খাকানিতে সম্বিত ফিরে ফেল। ভাবিকি বাপের বাড়ি যেয়ে ২০ বছর বয়স কমিয়ে এনেছেন নাকি? মা খিল খিল করে হেসে উঠলো। এই হাসি আমার মায়ের পরিচিত হাসি নয়, এই যেন বেশ্যাপাড়ার কোন নটির হাসি। ভাই আপনি যে কি বলেন না? আজ এমনিতেই একটু সাজতে ইচ্ছে করলো।
গয়েশ্বর কাকু হাসতে হাসতে চোখ টিপ দিয়ে বললো,"বুঝতে পারছি, আজকে রাতে একটু ঢিসুম ঢিসুম হবে। মা আঙুল দিয়ে শাড়ির আচল পেঁচাতে পেঁচাতে বললো আরে নাহ ওইসবের কি আর বয়স আছে?
গয়েশ্বর কাকু- তা বলেন এতদিন পর ভাইকে ডাকলেন কেন?
মা- আমার মোবাইলটা না নষ্ট হয়ে গেছে।আলিফের বাপ তো আমার সাথে এখন আর কথাই বলে না। এই কানের দুলটা একটু বেঁচার ব্যবস্থা করে দিবেন?তাহলে টাকাটা দিয়ে একটা টাচ সেট কিনতাম।
গয়েশ্বর কাকু- আরে আপনি ফোন কেনার জন্য গহনা বেঁচবেন কেন? আমি আপাতত একটা কিনে দিচ্ছি। ভাই এর রাগ কমলে না হয় আমায় টাকা ফেরত দিয়ে দিলেন।
মা- আপনি বুঝতেছেন না এরকম করলে আরো ঝামেলা……… এই মুহূর্তে মা খেয়াল করল আমি পর্দার আড়ালে বসে বসে কথা শুনছি।মা আমাকে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো, এখানে কি? যাহ পড়তে বস।
এরপর মায়ের সাথে গয়েশ্বর কাকুর কি কথা হয়েছে জানি না। কিন্তু পরের দিন সকালে মায়ের কাছে ঠিকই একটা স্মার্ট ফোন চলে এসেছে। তবে মায়ের টাচ সেট এমন কি দরকার ছিল যে এটার জন্য মায়ের গহনা বেঁচতে হবে?এই প্রশ্নটা শুধু আমার না, গয়েশ্বর কাকার মনেও আকিবুকি দিচ্ছিলো।
মা এখন রান্না বান্না একেবারে ছেড়ে দিয়েছেই বলা চলে। সব আমার বোন শিরিনের উপর দিয়ে যাচ্ছে। মা এখন সারাদিন নিজের ঘরেই দরজা আটকে বসে থাকে। অনেক লম্বা সময় ধরে গোসল করে। গোসল করতে যেয়েও খুব সম্ভবত ফোনে কথা বলে।
গয়েশ্বর কাকা মাকে দেখে হা করে তাকিয়ে রইল। মায়ের গলা খাকানিতে সম্বিত ফিরে ফেল। ভাবিকি বাপের বাড়ি যেয়ে ২০ বছর বয়স কমিয়ে এনেছেন নাকি? মা খিল খিল করে হেসে উঠলো। এই হাসি আমার মায়ের পরিচিত হাসি নয়, এই যেন বেশ্যাপাড়ার কোন নটির হাসি। ভাই আপনি যে কি বলেন না? আজ এমনিতেই একটু সাজতে ইচ্ছে করলো।
গয়েশ্বর কাকু হাসতে হাসতে চোখ টিপ দিয়ে বললো,"বুঝতে পারছি, আজকে রাতে একটু ঢিসুম ঢিসুম হবে। মা আঙুল দিয়ে শাড়ির আচল পেঁচাতে পেঁচাতে বললো আরে নাহ ওইসবের কি আর বয়স আছে?
গয়েশ্বর কাকু- তা বলেন এতদিন পর ভাইকে ডাকলেন কেন?
মা- আমার মোবাইলটা না নষ্ট হয়ে গেছে।আলিফের বাপ তো আমার সাথে এখন আর কথাই বলে না। এই কানের দুলটা একটু বেঁচার ব্যবস্থা করে দিবেন?তাহলে টাকাটা দিয়ে একটা টাচ সেট কিনতাম।
গয়েশ্বর কাকু- আরে আপনি ফোন কেনার জন্য গহনা বেঁচবেন কেন? আমি আপাতত একটা কিনে দিচ্ছি। ভাই এর রাগ কমলে না হয় আমায় টাকা ফেরত দিয়ে দিলেন।
মা- আপনি বুঝতেছেন না এরকম করলে আরো ঝামেলা……… এই মুহূর্তে মা খেয়াল করল আমি পর্দার আড়ালে বসে বসে কথা শুনছি।মা আমাকে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো, এখানে কি? যাহ পড়তে বস।
এরপর মায়ের সাথে গয়েশ্বর কাকুর কি কথা হয়েছে জানি না। কিন্তু পরের দিন সকালে মায়ের কাছে ঠিকই একটা স্মার্ট ফোন চলে এসেছে। তবে মায়ের টাচ সেট এমন কি দরকার ছিল যে এটার জন্য মায়ের গহনা বেঁচতে হবে?এই প্রশ্নটা শুধু আমার না, গয়েশ্বর কাকার মনেও আকিবুকি দিচ্ছিলো।
মা এখন রান্না বান্না একেবারে ছেড়ে দিয়েছেই বলা চলে। সব আমার বোন শিরিনের উপর দিয়ে যাচ্ছে। মা এখন সারাদিন নিজের ঘরেই দরজা আটকে বসে থাকে। অনেক লম্বা সময় ধরে গোসল করে। গোসল করতে যেয়েও খুব সম্ভবত ফোনে কথা বলে।