21-12-2023, 12:18 AM
chapter 6:
আমেনা খালা তুমি গোস্তে ঝাল একটু বেশি দিলে কি হয় ? গোস্ত রান্না তো পানি দিয়ে সিদ্ধ না । ভাবি গোস্তের টুকরা মুখে দিয়ে ।
খালা, ছোট ভাইজান খায় তো । তড়িৎ জবাব আমেনার।
ওকে ধুয়ে খায়ান যায় তো । জানই তো মা খেতে পারে না ঝাল না হলে ।
না, তিন্নি ঠিক আছে। তিন্নির মা এক আঙ্গুল দিয়ে ঝোল টা চেটে নিয়ে সম্মিতই ।
এই তন্নি খাওয়ার সময় মোবাইলে কি টিপিস ।
কিছু না আপু । বাম হাতে iphone এর সাইড সুইচে চাপ দিয়ে পাশে রেখে ডান হাতে ভাত মাখাতে লাগল তন্নি ।
টুউউউ টুউউউ । কাচের ডাইনিং টেবিলে এ আবার আইফোনর ভাইব্রেসন ।
কিছুদিন দেখতেসি বেশিই মেসেজ আসে তোর ফোনে । কোন আপডেট আসে নাকি? বাঁকা চোখে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে তিন্নি ।
জানাবো তোমাকে ঠিক সময় ।
ও মা। তাইলে তো অনেক দূর । আগের বার তোর উত্তর ছিল কিছু না । তিন্নির হাসি মাখা মুখ ।
তিন্নির গতি আমি করছি । এখন তন্বীর গতি তুই করবি । দুই বোনের কথার মাঝে তাদের মা এর উৎসুক চোখে তিন্নির দিকে তাকিয়ে উত্তর।
খালা আর কিছু কাম আসে? উত্তর যাই হোক খাবার টিফিন বাটিতে নিয়ে আমেনা বাড়ি যাবার জন্যে তৈরি ।
রবির খাবার কিছু আসে নাকি?
সব তরকারিই আসে খালা।
গোস্ত নিয়ে যাও, রবি রাতে গোস্ত খায় না ।
হা খালা, গোস্ত টুকু নিয়ে জান । নষ্ট হবেনে অযথা । তন্ময়ের সাথে ড্রয়িং রুমে ব্যস্ত রবির উত্তর ।
একটা প্রশস্ত দাতে হাসি দিয়ে আরেকটা বাটি ব্যাগে নিয়ে আমেনার দরজা ধরাম করে প্রস্থান ।
আস্তে খালা, দরজা ভাঙ্গবা নাকি? রবি, তন্ময় কিছু খেল রবি ? তিন্নির চেঁচিয়ে ডাক ।
ভাবি আরেকটু খাবে।
ওকে খাইয়ে দেখ ঘুমায় নাকি ওঘরে । আমি নিয়ে আসব । আর ঘুম না এলোও দিয়ে যেও আমার ঘরে ।
আচ্ছা ভাবি ।
প্লেট ডাইনিং এ রেখে তিন মায় মেয়ের লিভিং রুমের দিকে যাত্রা । স্টার জলসা সেশান শুরু হবে ।
...।।
মফঃস্বল থেকে পড়ালেখার জন্যে ঢাকা এসেই এ বাসায় আসতে রবির মাগরিবের সময় হয়ে যায় । তখন তন্ময়ের বয়স আড়াই মাস । আসলে ঠিক ঠিক ১০০ দিন । বাসায় ধুকেই রবি দেখে বিশাল কেক যাতে লেখা ১০০ দিন ! তন্ময় ! আর বেলুন, পেপারস এ সাজানো বাসা । আরও প্রায় ২০ জন গেস্ট । উপস্থিত গেস্টের হাইট, ফিগার আর স্বাভাবিকের চেয়ে সুন্দরী অর্ধাঙ্গিদের দেখে রবির সঠিক অনুমান বেশিরভাগই আর্মি এর লোকজন । রাকিব ভাইয়ের কলিগ হবে হয়ত ।
রাকিব, একে তো চিনলাম না । তোমার ডিভিসিনের নাকি? রবির মাকলেজার বডি দেখে এক বয়স্ক গেস্টের জিজ্ঞাসা ।
না, স্যার । এ আমার চাচাত ভাই । এবার **** তে BBA ভর্তি হল । আমার এখানেই থাকবে ।
চোখ ছোট করে স্যারের চাহুনি রাকিবের দিকে ।
স্যার কে মনে হয় বলছিলাম একবার যে আমার একটা শারীরিক disable ভাই আসে । ওকে বাসায় রাখব। সামনে আমারও মিশন আছে তো । রাকিবের জবাব ।
দোস্ত, এইটাই কি ঐযে মেইন যন্ত্র ঝামেলা? রাকিবের গলায় হাত দিয়ে আরেক জনের বাক্য যোগ ।
উৎসুক গেস্টের কেকের থেকে নজর সরে রবির দিকে । পাঁচ মিনিটের আলোচনায় গেস্টের সবাই পরিষ্কার হয়ে গেল ব্যাপারটা ।
ড্রয়িং রুম আর দুটা বড় রুম পার হয়ে বাসার কোনায় রুমে রাকিব নিজেই রবির ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে রবির নতুন ঠিকানা দেখাই দিল ।
বিসানায় বালিশটা রবির কান্নায় ভিজে গেল । পুরুষের কান্না, ২০ বছরের যুবকের কান্না । উপস্থিত সবার হাসি আর উৎসাহের চোখের চাহুনিতে রবির এ কান্না । আচ্ছা, আমরা কি কাউকে নিচে নামাতে পারলেই উপরে উঠে যাই ।
এই রবি, নাস্তা টা নাও । দরজায় রাকিবের তিন্নি ভাবির টোকা । এতগুলা লোকের মাঝে রাকিব ছারা আর একমাত্র পরিচিত রবির ।
কান্না মুছে, চোখ ধুয়ে অর্ধ মিনিটে হাসি মুখে দরজা খুলে রবির নাস্তা বরন ।
তোমার চোখ লাল কেন? নেশা কর নাকি? তাচ্ছিল্যের সাথে তিন্নির প্রশ্ন ।
না ভাবি, রাস্তায় অনেক ধুলা ছিল তো ।
আচ্ছা, গোসল দিয়ে নিয়ো, বাসায় নোংরা থেকও না । বেবি থাকে তো ।
অবশ্যই ভাবি ।
গোসলের পর একটু ঘুমিয়ে রবি তখন রাকিবের ডাক, রাতের খাবার খেয়ে নাও । আমাদের বাসার সব টাইম ।
রবির এ ধারনা ছিল তার আর্মিয়ের অফিসার ভাইয়ের সম্পর্কে।
সব মিলে ৩০-৪০ জন লোকের আয়োজন ছিল । সবার বিকালের নাস্তা আর রাতের খাবারের আয়োজন ।
রবি যখন খাওয়া শুরু ততক্ষণ গেস্টরা খেয়ে বিদায়। সকালে আবার কার 10 কিলো দৌড়ান আছে কে জানে ।
মাসাল্লাহ, রান্না অনেক সুন্দর ভাবির বা যেই রান্না করেসে তার । এমন খাওয়ার সময় রাকিব ভাইয়ের একটানা নির্বাক চাহুনি একটা অস্বস্তি দিলেও রবি এক বিন্দু কম খাইনাই ।
রবি, আজকে অনেক গেস্ট ছিল তো, আমেনা খালা এত ডিশ ওয়াশ একা পারবে না। তুমি ওনাকে একটু সাহায্য করিও কথাটি বলে রবির খাওয়া শেষ করার ঠিক আগে রাকিব উঠে গেল নিজের রুমে ।
তুমি মন খারাপ কর নাই তো ? ফিরে চেয়ে রাকিবের প্রশ্ন ।
আরে না ভাইয়া, তুমি তো জানই এগুলায় আমি expert । তুমি চিন্তাই কর না । অফিস আছে তোমার সকালে? রবির তৎক্ষণাৎ উত্তর ।
পেটে খেলে পিঠে সয় । রাকিবের প্রতি আসলেই রবির বিন্দুমাত্র অভিযোগ নাই । এই লোক আমার থাকা খাইয়া আর সর্বোপরি আমার পরার দায়িত্ব নিসে । বাপে কিছু টাকা রেখে গেসে, কিন্তু এইটা কখনই সব না । এই রাকিব ভাই তাকে একটা নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাইসে। তাকে এই বাসার মন জুগায় চলতে হবে । অন্তত পাস করে একটা চাকরি পাওয়া পর্যন্ত । রবির খেতে খেতে আনমনে চিন্তা । আর বাসার কাজ করতে ভালই লাগে তার । অর ছেলে বন্ধুরা বলে, ও মাগি রবি তো তাই বাসার কাজ অর ভাল লাগে । হয়ত তাই । রবির এ নিয়ে কোন আক্ষেপ নাই ।
আচ্ছা, রবি তো খুব কাজের ছেলে । সকালে বিসানায় শুয়ে তিন্নির আওয়াজ শুনল রাকিব।
কেন কি হইছে ?
বাইরে গিয়ে দেখ, সারা বাসা ক্লিন করে রাখসে । রান্না ঘর চকচক আর কালকের সবার mess পরিষ্কার ।
জানি তো, ওকে তো ছোটবেলা থেকে চিনি । এইটা সোনার ছেলে আর সবচেয়ে নিরাপদ ছেলে । শুধু ধনটাই মরা। তিন্নি আর রাকিবের উজ্জ্বল মুখ ।
আচ্ছা তোমাকে কখন জিজ্ঞাসা করা হয় নাই - ও কেমন নপুংসক ? আমি তো শুনছিলাম ওর ধনই নাই । সমান ওখানে। তিন্নির জিজ্ঞাসা ।
আরে নাহ , ওর ধন আছে । ওর সুন্নতে খৎনা খাইসি আমি । কিন্তু খাড়া হয় না । অনেক নামকরা ডাক্তার দেখাসে । ঢাকা থেকে শুরু করে ইন্ডিয়া পর্যন্ত গেসে । ডাক্তার বলসে hopeless । ওর নুনুর নাকি সেল by বার্থ damaged । কোন চিকিতচসাই কাজ হবে না । কখনই ঠিক হবে না আর কি! রাকিবের confident জবাব ।
আমেনা খালা তুমি গোস্তে ঝাল একটু বেশি দিলে কি হয় ? গোস্ত রান্না তো পানি দিয়ে সিদ্ধ না । ভাবি গোস্তের টুকরা মুখে দিয়ে ।
খালা, ছোট ভাইজান খায় তো । তড়িৎ জবাব আমেনার।
ওকে ধুয়ে খায়ান যায় তো । জানই তো মা খেতে পারে না ঝাল না হলে ।
না, তিন্নি ঠিক আছে। তিন্নির মা এক আঙ্গুল দিয়ে ঝোল টা চেটে নিয়ে সম্মিতই ।
এই তন্নি খাওয়ার সময় মোবাইলে কি টিপিস ।
কিছু না আপু । বাম হাতে iphone এর সাইড সুইচে চাপ দিয়ে পাশে রেখে ডান হাতে ভাত মাখাতে লাগল তন্নি ।
টুউউউ টুউউউ । কাচের ডাইনিং টেবিলে এ আবার আইফোনর ভাইব্রেসন ।
কিছুদিন দেখতেসি বেশিই মেসেজ আসে তোর ফোনে । কোন আপডেট আসে নাকি? বাঁকা চোখে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে তিন্নি ।
জানাবো তোমাকে ঠিক সময় ।
ও মা। তাইলে তো অনেক দূর । আগের বার তোর উত্তর ছিল কিছু না । তিন্নির হাসি মাখা মুখ ।
তিন্নির গতি আমি করছি । এখন তন্বীর গতি তুই করবি । দুই বোনের কথার মাঝে তাদের মা এর উৎসুক চোখে তিন্নির দিকে তাকিয়ে উত্তর।
খালা আর কিছু কাম আসে? উত্তর যাই হোক খাবার টিফিন বাটিতে নিয়ে আমেনা বাড়ি যাবার জন্যে তৈরি ।
রবির খাবার কিছু আসে নাকি?
সব তরকারিই আসে খালা।
গোস্ত নিয়ে যাও, রবি রাতে গোস্ত খায় না ।
হা খালা, গোস্ত টুকু নিয়ে জান । নষ্ট হবেনে অযথা । তন্ময়ের সাথে ড্রয়িং রুমে ব্যস্ত রবির উত্তর ।
একটা প্রশস্ত দাতে হাসি দিয়ে আরেকটা বাটি ব্যাগে নিয়ে আমেনার দরজা ধরাম করে প্রস্থান ।
আস্তে খালা, দরজা ভাঙ্গবা নাকি? রবি, তন্ময় কিছু খেল রবি ? তিন্নির চেঁচিয়ে ডাক ।
ভাবি আরেকটু খাবে।
ওকে খাইয়ে দেখ ঘুমায় নাকি ওঘরে । আমি নিয়ে আসব । আর ঘুম না এলোও দিয়ে যেও আমার ঘরে ।
আচ্ছা ভাবি ।
প্লেট ডাইনিং এ রেখে তিন মায় মেয়ের লিভিং রুমের দিকে যাত্রা । স্টার জলসা সেশান শুরু হবে ।
...।।
মফঃস্বল থেকে পড়ালেখার জন্যে ঢাকা এসেই এ বাসায় আসতে রবির মাগরিবের সময় হয়ে যায় । তখন তন্ময়ের বয়স আড়াই মাস । আসলে ঠিক ঠিক ১০০ দিন । বাসায় ধুকেই রবি দেখে বিশাল কেক যাতে লেখা ১০০ দিন ! তন্ময় ! আর বেলুন, পেপারস এ সাজানো বাসা । আরও প্রায় ২০ জন গেস্ট । উপস্থিত গেস্টের হাইট, ফিগার আর স্বাভাবিকের চেয়ে সুন্দরী অর্ধাঙ্গিদের দেখে রবির সঠিক অনুমান বেশিরভাগই আর্মি এর লোকজন । রাকিব ভাইয়ের কলিগ হবে হয়ত ।
রাকিব, একে তো চিনলাম না । তোমার ডিভিসিনের নাকি? রবির মাকলেজার বডি দেখে এক বয়স্ক গেস্টের জিজ্ঞাসা ।
না, স্যার । এ আমার চাচাত ভাই । এবার **** তে BBA ভর্তি হল । আমার এখানেই থাকবে ।
চোখ ছোট করে স্যারের চাহুনি রাকিবের দিকে ।
স্যার কে মনে হয় বলছিলাম একবার যে আমার একটা শারীরিক disable ভাই আসে । ওকে বাসায় রাখব। সামনে আমারও মিশন আছে তো । রাকিবের জবাব ।
দোস্ত, এইটাই কি ঐযে মেইন যন্ত্র ঝামেলা? রাকিবের গলায় হাত দিয়ে আরেক জনের বাক্য যোগ ।
উৎসুক গেস্টের কেকের থেকে নজর সরে রবির দিকে । পাঁচ মিনিটের আলোচনায় গেস্টের সবাই পরিষ্কার হয়ে গেল ব্যাপারটা ।
ড্রয়িং রুম আর দুটা বড় রুম পার হয়ে বাসার কোনায় রুমে রাকিব নিজেই রবির ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে রবির নতুন ঠিকানা দেখাই দিল ।
বিসানায় বালিশটা রবির কান্নায় ভিজে গেল । পুরুষের কান্না, ২০ বছরের যুবকের কান্না । উপস্থিত সবার হাসি আর উৎসাহের চোখের চাহুনিতে রবির এ কান্না । আচ্ছা, আমরা কি কাউকে নিচে নামাতে পারলেই উপরে উঠে যাই ।
এই রবি, নাস্তা টা নাও । দরজায় রাকিবের তিন্নি ভাবির টোকা । এতগুলা লোকের মাঝে রাকিব ছারা আর একমাত্র পরিচিত রবির ।
কান্না মুছে, চোখ ধুয়ে অর্ধ মিনিটে হাসি মুখে দরজা খুলে রবির নাস্তা বরন ।
তোমার চোখ লাল কেন? নেশা কর নাকি? তাচ্ছিল্যের সাথে তিন্নির প্রশ্ন ।
না ভাবি, রাস্তায় অনেক ধুলা ছিল তো ।
আচ্ছা, গোসল দিয়ে নিয়ো, বাসায় নোংরা থেকও না । বেবি থাকে তো ।
অবশ্যই ভাবি ।
গোসলের পর একটু ঘুমিয়ে রবি তখন রাকিবের ডাক, রাতের খাবার খেয়ে নাও । আমাদের বাসার সব টাইম ।
রবির এ ধারনা ছিল তার আর্মিয়ের অফিসার ভাইয়ের সম্পর্কে।
সব মিলে ৩০-৪০ জন লোকের আয়োজন ছিল । সবার বিকালের নাস্তা আর রাতের খাবারের আয়োজন ।
রবি যখন খাওয়া শুরু ততক্ষণ গেস্টরা খেয়ে বিদায়। সকালে আবার কার 10 কিলো দৌড়ান আছে কে জানে ।
মাসাল্লাহ, রান্না অনেক সুন্দর ভাবির বা যেই রান্না করেসে তার । এমন খাওয়ার সময় রাকিব ভাইয়ের একটানা নির্বাক চাহুনি একটা অস্বস্তি দিলেও রবি এক বিন্দু কম খাইনাই ।
রবি, আজকে অনেক গেস্ট ছিল তো, আমেনা খালা এত ডিশ ওয়াশ একা পারবে না। তুমি ওনাকে একটু সাহায্য করিও কথাটি বলে রবির খাওয়া শেষ করার ঠিক আগে রাকিব উঠে গেল নিজের রুমে ।
তুমি মন খারাপ কর নাই তো ? ফিরে চেয়ে রাকিবের প্রশ্ন ।
আরে না ভাইয়া, তুমি তো জানই এগুলায় আমি expert । তুমি চিন্তাই কর না । অফিস আছে তোমার সকালে? রবির তৎক্ষণাৎ উত্তর ।
পেটে খেলে পিঠে সয় । রাকিবের প্রতি আসলেই রবির বিন্দুমাত্র অভিযোগ নাই । এই লোক আমার থাকা খাইয়া আর সর্বোপরি আমার পরার দায়িত্ব নিসে । বাপে কিছু টাকা রেখে গেসে, কিন্তু এইটা কখনই সব না । এই রাকিব ভাই তাকে একটা নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাইসে। তাকে এই বাসার মন জুগায় চলতে হবে । অন্তত পাস করে একটা চাকরি পাওয়া পর্যন্ত । রবির খেতে খেতে আনমনে চিন্তা । আর বাসার কাজ করতে ভালই লাগে তার । অর ছেলে বন্ধুরা বলে, ও মাগি রবি তো তাই বাসার কাজ অর ভাল লাগে । হয়ত তাই । রবির এ নিয়ে কোন আক্ষেপ নাই ।
আচ্ছা, রবি তো খুব কাজের ছেলে । সকালে বিসানায় শুয়ে তিন্নির আওয়াজ শুনল রাকিব।
কেন কি হইছে ?
বাইরে গিয়ে দেখ, সারা বাসা ক্লিন করে রাখসে । রান্না ঘর চকচক আর কালকের সবার mess পরিষ্কার ।
জানি তো, ওকে তো ছোটবেলা থেকে চিনি । এইটা সোনার ছেলে আর সবচেয়ে নিরাপদ ছেলে । শুধু ধনটাই মরা। তিন্নি আর রাকিবের উজ্জ্বল মুখ ।
আচ্ছা তোমাকে কখন জিজ্ঞাসা করা হয় নাই - ও কেমন নপুংসক ? আমি তো শুনছিলাম ওর ধনই নাই । সমান ওখানে। তিন্নির জিজ্ঞাসা ।
আরে নাহ , ওর ধন আছে । ওর সুন্নতে খৎনা খাইসি আমি । কিন্তু খাড়া হয় না । অনেক নামকরা ডাক্তার দেখাসে । ঢাকা থেকে শুরু করে ইন্ডিয়া পর্যন্ত গেসে । ডাক্তার বলসে hopeless । ওর নুনুর নাকি সেল by বার্থ damaged । কোন চিকিতচসাই কাজ হবে না । কখনই ঠিক হবে না আর কি! রাকিবের confident জবাব ।