20-12-2023, 12:45 PM
(This post was last modified: 21-12-2023, 07:07 PM by midagelover. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
আমি আলিফ, শরীয়তপুরের এক গ্রামের বাসিন্দা।যদিও এই গল্পের কাহিনীর সূত্রপাত আমার নানাবাড়ি বরিশালকে ঘিরে, আর এই গল্পের নায়িকা আমার নিজের মা। আমার মায়ের নাম রুমা।একদম সাধারণ ঘরের গৃহবধূ বলতে যা বুঝায় আমার মা ঠিক তাই।খুবই ছিপছিপে গড়ন, মায়ের মধ্যে আকর্ষনীয় বলতে যা আছে তা শুধু মায়ের উচ্চতা।মায়ের পোশাকও খুবই সাধারণ, কখনো শাড়ী , সালওয়ার কামিজের বাহিরে কিছু পরতে দেখি নি।তবে আমার মা প্রচন্ড রাগী, মাকে আমি তো বটেই, আমার খালাত, চাচাত সব ভাইবোনেরা অনেক সমীহ করে চলতাম। কিন্তু আমার এই প্রচন্ড সাধারণ, রাগী মাই এক সময় আমার নানা বাড়ির ছোটবেলার খেলার সাথীর লুতুপুতু হর্নি ঘরণীতে পরিণত হয়।
তখন আমি ক্লাশ নাইনের ছাত্র। আমার আগে বড় তিন বোন রয়েছে। বড় দুইবোনের তখন বিবাহিত, ছোট বোন ক্লাশ এলেভেনের স্টুডেন্ট। বড় বোনের নাম উর্মি, মেঝো বোনের নাম উষা আর সবচেয়ে ছোট বোনের নাম শিরিন। আমার বাবাও মায়ের মতো প্রচন্ড রাগী। সত্যি বলতে কি ছোটবেলা থেকে কখনোই বাবাকে মাকে পর্যাপ্ত সম্মান দিতে দেখি নি। বাবার মায়ের প্রতি ক্রমাগত এই অশ্রদ্ধাই হয়ত মাকেও এরকম রাগী প্রকৃতির করে তুলেছিলো, যার সর্বশেষ পরিণতি মায়ের বিপথে চলে যেয়ে নিজের হাঁটুর বয়সী ছেলের মধ্যে সুখ খুঁজে নেওয়া।
যাই হোক মূল গল্পে ফেরত আসা যাক। আমার মা-বাবার মধ্যে সামান্য কোন এক বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। বাবা ঝগড়ার এক পর্যায়ে মাকে তার বাবা (আমার নানাকে) নিয়ে কিছু অপমানজনক কথা বলে ফেলে। মা এই কথা সহ্য করতে না পেরে নানার বাড়ি চলে যায়। একমাস পরেও যখন দেখে বাবা নিজে থেকে মাকে ফেরত আনতে যাচ্ছে না,মা তখন নিজে থেকেই আমাদের বাড়িতে ফেরত চলে আসে।
কলেজে থাকায় অবস্থায় খবর পেলাম মা ফেরত এসেছে। কলেজ থেকে দৌড়ে বাসায় এসে শুনি মা ঘুমাচ্ছে।মনটাই খারাপ হয়ে গেল। ব্যাগটা পড়ার টেবিলের উপর রেখে উঠানে এসে বসলাম। একটু দূড়ে পাশের বাড়ির এক বুড়ি বসা ছিলো। বুড়ি বললো, "এ হ্যা ছাওয়াল, তোর মারে একটু শান্তিতে ঘুমাইতে দে।এইদিন পরে আইসে রাতের জন্য শরীলে বল জমায় রাখতে হইবো।"
তখন আমি ক্লাশ নাইনের ছাত্র। আমার আগে বড় তিন বোন রয়েছে। বড় দুইবোনের তখন বিবাহিত, ছোট বোন ক্লাশ এলেভেনের স্টুডেন্ট। বড় বোনের নাম উর্মি, মেঝো বোনের নাম উষা আর সবচেয়ে ছোট বোনের নাম শিরিন। আমার বাবাও মায়ের মতো প্রচন্ড রাগী। সত্যি বলতে কি ছোটবেলা থেকে কখনোই বাবাকে মাকে পর্যাপ্ত সম্মান দিতে দেখি নি। বাবার মায়ের প্রতি ক্রমাগত এই অশ্রদ্ধাই হয়ত মাকেও এরকম রাগী প্রকৃতির করে তুলেছিলো, যার সর্বশেষ পরিণতি মায়ের বিপথে চলে যেয়ে নিজের হাঁটুর বয়সী ছেলের মধ্যে সুখ খুঁজে নেওয়া।
যাই হোক মূল গল্পে ফেরত আসা যাক। আমার মা-বাবার মধ্যে সামান্য কোন এক বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। বাবা ঝগড়ার এক পর্যায়ে মাকে তার বাবা (আমার নানাকে) নিয়ে কিছু অপমানজনক কথা বলে ফেলে। মা এই কথা সহ্য করতে না পেরে নানার বাড়ি চলে যায়। একমাস পরেও যখন দেখে বাবা নিজে থেকে মাকে ফেরত আনতে যাচ্ছে না,মা তখন নিজে থেকেই আমাদের বাড়িতে ফেরত চলে আসে।
কলেজে থাকায় অবস্থায় খবর পেলাম মা ফেরত এসেছে। কলেজ থেকে দৌড়ে বাসায় এসে শুনি মা ঘুমাচ্ছে।মনটাই খারাপ হয়ে গেল। ব্যাগটা পড়ার টেবিলের উপর রেখে উঠানে এসে বসলাম। একটু দূড়ে পাশের বাড়ির এক বুড়ি বসা ছিলো। বুড়ি বললো, "এ হ্যা ছাওয়াল, তোর মারে একটু শান্তিতে ঘুমাইতে দে।এইদিন পরে আইসে রাতের জন্য শরীলে বল জমায় রাখতে হইবো।"