01-12-2023, 12:17 PM
(This post was last modified: 23-12-2023, 06:07 PM by মাগিখোর. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
<×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×>
জামাকাপড় না পরলে, লাগেজ কি হবে?
<×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×>
আমরা সবাই দোতলায় উঠলাম। কাকুর কথা শুনে মনে হচ্ছে, এত লাগেজ টেনে আমার কোন দরকারই ছিল না। জামাকাপড় যদি নাই পরি, লাগেজের কি দরকার। যেটা পড়ে এসেছি সেটা পরেই ফিরে যেতাম। এখানে তো ধুম ল্যাংটো। পোশাকের কোনো দরকার নেই। ঘরে ঢোকার আগে, কাকু সবাইকে আবার মনে করিয়ে দিল; এই ঘরের মধ্যে জামাকাপড় ছাড়ার পর বাইরে আসবে। যে কদিন এখানে থাকবে, কোন পোশাক অ্যালাও না। হ্যাঁ কারোর যদি মাসিক হয়; সে, যদি মনে করে, প্যান্টি পরতে পারে। নাহলে, ট্যাম্পন লাগিয়েও থাকতে পারে।
কাকু এক হাত তুলে, স্লোগান দেওয়ার ভঙ্গিতে বলে উঠলো,
- - We are fond of nudity.
আমরা হাত তুলে সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠলাম।
- - Also we are.
কাকু বলে দিয়েছে, সন্ধ্যেবেলা বারান্দায় বসে যদি ঠান্ডা লাগে; তাহলে আমরা ড্রেসিং গাউন জড়িয়ে বসতে পারি। তবে বেল্ট দিয়ে বাঁধার ব্যবস্থা। বসলে সব কিছুই দৃশ্যমান।
আমাদের পাঁচ দম্পতির পাঁচটা ঘর লাগবে। আরেকটা রতনের জন্য। আর মাসির জন্য একটা। সিঁড়ির মুখে একটা গেট আছে। তালা দিয়ে দিলে, আমরা সবাই, বহির্জগত থেকে বিচ্ছিন্ন। পুরনো আমলের বাড়ি। দোতলা মানে, অনেকটাই উঁচু।
একদম শেষের ঘরটা বাদ দিয়ে পরপর ঢুকে পড়লাম। একটা ঘরে বিশ্বরুপ-রুপসা, তারপর সোমনাথ-মঞ্জুষা, রক্তিম-রিয়া, গণেশ-মিতা, রাজেশ-মিলি, তারপর মাসি, আর সিঁড়ি দিয়ে উঠেই প্রথম ঘরটা রতন।
আধঘন্টা পরে সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। দশজন উলঙ্গ মানব। রতন নিচে গেছে জল খাবারের তদারকি করতে। মাসিও নীচে রান্নাঘরে। পোশাক পরিহিত একমাত্র মানব সন্তান আমাদের বেবিটা। দালানে একপাশে অনেকগুলো বেতের সোফা সেট রাখা আছে। তারপরে ঢালাও কার্পেট, একবারে সিঁড়ির মুখ অবধি। আমার বেবিটাকে কার্পেটের উপর ছেড়ে দিতে খলবল খলবল করে ঘুরতে ঘুরতে লাগলো। ।
সাড়ে নটা নাগাদ, রতন হাঁক পাড়লো,
- - সবাই নিচে এসো। টিফিন দেওয়া হয়েছে।
গরম গরম পরোটা আছে, সঙ্গে আলুর দম। যারা কর্ণফ্লেক্স খাবে তাদের জন্য কর্ণফ্লেক্স আর দুধ। এছাড়াও ব্রেড-বাটার আর অমলেট-এর আয়োজন করা আছে।
মাসি বললো, - - তোমরা চাইলেই, আমি রেডি করে দেব। খেলাম পেট পুরে। এবার কাকু বলল,
- - চল। পুকুরে যাই। পুকুরঘাট টা সুন্দর করে বাধানো। ওখানে বসেই আড্ডা দেবো। পরে একেবারে স্নান করে নেব। রান্না হতে তো দেরি আছে। দুপুরের মেনু বেশি কিছু না। ভাত, মাটন কষা আর আনারসের চাটনি।
- বেশী ঠেসে কেউ খাস না; দুপুরে খেলাধুলোয় অসুবিধা হতে পারে।
- টাওয়েলগুলো নিয়ে নে স্নান করে ওঠে গা মুছতে কাজে লাগবে।
বাড়ি থেকে দেখা যাচ্ছে পুকুরটা। চারপাশে সুপারি গাছের বেড়া দেওয়া।
Click for next:~ অ্যাই! জলের মধ্যে ফেলবে না কিন্তু!