27-11-2023, 04:08 AM
(This post was last modified: 28-11-2023, 07:33 PM by Rupuk 8. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পর্ব-৩০
মানুষের জীবন স্বাভাবিক গতিতে কখনও চলে না সময়ের সাথে এর গতি উল্টপাল্ট হয়ে যায়। পরের দিন সকাল ৬টার সময় বাড়ির সামনের সবজি ক্ষেতে পানি দেয়ার জন্য মোটর চালাতে যান মাহীনের বাবা তপন বাবু। এসময় তিনি মোটরের তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে কাপতে থাকেন। এ অবস্থায় তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে যান। তপন বাবুর চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ির ভিতর থেকে দৌড়ে এসে সবজির ক্ষেতে চলে আসেন মাহীনের মা অনুরাধা দেবী। মাহীনের মা অনুরাধা দেবী তপন বাবুকে পড়ে থাকতে দেখে, তপন বাবুকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যান তার কাছে এসময় তিনিও বিদ্যুতায়িত হয়ে যান। প্রতিবেশীরা মাহীনের মা-বাবাকে সবজির ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে গ্রামের একটি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
শমিক বাবুকে
আজকে বাসাতেই ছিলেন। সকাল সকাল তার ফোনে একটা কল আসলো। কল টা রিসিভ করামাত্রই এই রকম ভয়ংকর দুঃসংবাদ শোনার পর তিনি নিস্তব্ধ হয়ে পড়েন। ছায়া তার জন্য রং চা করে নিয়ে এসে সামনে দিলেন। আমার এখন শরীর ভালো লাগছে না ছায়া, চা খাবো না তুমি চায়ের কাপ টা নিয়ে যাও। কেনো গো হঠাৎ তোমার আবার শরীর খারাপ লাগছে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো তোমাকে। ধুর এসবের দরকার নেই একটা দুঃসংবাদ আছে। দুঃসংবাদ মানে কি বলতে চাচ্ছো তাড়াতাড়ি বলতো আমার হাত-পা কাঁপছে। শমিক বাবুকে ফোন করে জানানো সমস্ত ঘটনা খুলে বললো ছায়া দেবীকে। ছায়া দাঁড়িয়ে ছিলেন শমিক বাবুর মুখ থেকে সব কথা শোনা মাত্র বসে পড়লেন। ছায়া দেবী তার নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না এসব তিনি কি শুনছেন। কয়েক মিনিট শমিক বাবু আর ছায়া দেবী কোনো কথা বলেন না একে অপরের সাথে তারা দুজন নিস্তব্ধ হয়ে বসে রইলেন। মাহীন জানলে ওর কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছো ছায়া। মাহীনকে এখনই কিছু জানানোর দরকার নেই তুমি বাপ্পীকে গাড়ি নিয়ে আসতে বলো। মাহীনকে নিয়ে আমরা রওনা হই। হুম তুমি ঠিকই বলেছো। আমি যায় মাহীনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি ততক্ষণে তুমি রেডি হয়ে নাও। আচ্ছা ঠিক আছে। ছায়া তার রুম থেকে বের হয়ে মাহীনের রুমের দিকে গেলো। দরজার কাছে গিয়ে নক করতে লাগলো এই মাহীন…... মাহীন…..মাহীন….ঘুম ভেঙ্গে গেলো মাহীনের ছায়ার ডাকে হ্যা কাকিমা। মাহীন তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে আসো আমরা এক জায়গায় যাবো এখন। মাহীনের রুমের দরজার সামনে থেকে সরে এসে কিচেনের দিকে গেলো ছায়া। কিচেনে ঢুকে সুপ্রিয়াকে ছায়া বললো আজকে আমার আর তোর দাদা বাবুর জন্য সকালের নাস্তা বানানোর দরকার নেই শুধু মাহীনের জন্য বানালেই হবে। ঠিক আছে দিদিমণি। কিছুক্ষণ পর মাহীন ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলো। ছায়া ডাইনিং টেবিলে বসে ছিল সুপ্রিয়া মাহীনের খাবার টা দিয়ে যা। নিয়ে আসছি দিদিমণি। সুপ্রিয়া মাহীনের খাবার প্লেট টা টেবিলের উপর রেখে আবার কিচেনে চলে গেলো। মাহীন ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসে তারপর খাওয়া শুরু করলো। কাকিমা তুমি কোথায় যাওয়ার কথা বলছিলে তখন আমাকে ডাকার সময়। খাবার টা খেয়ে শেষ কর আগে। মাহীনের খাওয়া শেষ হতেই শমিক বাবু এসে হাজির হলেন। মাহীন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয় তো দেরি করিস না। কোথায় যাচ্ছি কাকু আমরা কাকিমাও তো কিছুই বললো না। আজকে আমার তো কলেজও আছে, কোথাও গেলে ক্লাসগুলো তো মিস হয়ে যাবে। মাহীন শুন কথা বলার মতো সময় নাই এখন, তুই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয় আমরা বের হবো এখন। মাহীন কিছু বুঝতে পারছে না তার কাকিমা আর কাকু কিছুই বলছে না শুধু বলছে এক জায়গায় যাবো রেডি হয়ে নিতে। মাহীন আবার তার রুমে ঢুকে পড়লো। ছায়া তুমিও রেডি হয়ে নাও সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না আমাদের তাড়াতাড়ি ওখানে পৌঁছাতে হবে। হুম ছায়া তার রুমে ঢুকলো রেডি হওয়ার জন্য। একটু পর মাহীন তার রুম থেকে বের হয়ে আসলো। মাহীন চল আমরা নিচে গ্যারেজে গিয়ে দাঁড়ায় তোর কাকিমা আসুক। হ্যা চলো যাওয়া যাক। বাসা থেকে বের হয়ে মাহীন আর শমিক বাবু সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেলো। নিচে গ্যারেজে নেমে মাহীন দেখলো শমিক বাবুর ড্রাইভার বাপ্পী গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে। মাহীন গাড়িতে উঠে বস। মাহীন গাড়ির সামনের ড্রাইভারের পাশের সিটে উঠে বসলো। খানিকক্ষণ পর ছায়া তার রুম থেকে বের হয়ে আসলো সুপ্রিয়া…. এই সুপ্রিয়া… হ্যা দিদিমণি বলো, শুন আমরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি কয়েকদিন ওখানে থাকবো। হঠাৎ গ্রামের বাড়িতে কিসের জন্য যাচ্ছো দিদিমণি। এখন সমস্ত ঘটনা খুলে বলার সময় আমার হাতে নেই রে সুপ্রিয়া ফিরে এসে তোকে সব বলবো। যে কয়েকদিন না ফিরে আসি সে কয়েকদিন তোর না আসলেও চলবে। আমি ফিরে আসলে তোকে ফোন করে জানিয়ে দিবো কবে থেকে আসা লাগবে। আমি বের হচ্ছি। আচ্ছা দিদিমণি সাবধানে যেও। ছায়া বাসা থেকে বের হয়ে সিড়ি বেয়ে নামতে লাগলো। নিচে নেমে গ্যারেজে এসে ছায়া দেখলো সবাই গাড়ির মধ্যে বসে, তার আসার জন্য অপেক্ষা করছে। দ্রুত গাড়ির সামনে গিয়ে, সিটে উঠে বসলো ছায়া।
মানুষের জীবন স্বাভাবিক গতিতে কখনও চলে না সময়ের সাথে এর গতি উল্টপাল্ট হয়ে যায়। পরের দিন সকাল ৬টার সময় বাড়ির সামনের সবজি ক্ষেতে পানি দেয়ার জন্য মোটর চালাতে যান মাহীনের বাবা তপন বাবু। এসময় তিনি মোটরের তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে কাপতে থাকেন। এ অবস্থায় তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে যান। তপন বাবুর চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ির ভিতর থেকে দৌড়ে এসে সবজির ক্ষেতে চলে আসেন মাহীনের মা অনুরাধা দেবী। মাহীনের মা অনুরাধা দেবী তপন বাবুকে পড়ে থাকতে দেখে, তপন বাবুকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যান তার কাছে এসময় তিনিও বিদ্যুতায়িত হয়ে যান। প্রতিবেশীরা মাহীনের মা-বাবাকে সবজির ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে গ্রামের একটি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
শমিক বাবুকে
আজকে বাসাতেই ছিলেন। সকাল সকাল তার ফোনে একটা কল আসলো। কল টা রিসিভ করামাত্রই এই রকম ভয়ংকর দুঃসংবাদ শোনার পর তিনি নিস্তব্ধ হয়ে পড়েন। ছায়া তার জন্য রং চা করে নিয়ে এসে সামনে দিলেন। আমার এখন শরীর ভালো লাগছে না ছায়া, চা খাবো না তুমি চায়ের কাপ টা নিয়ে যাও। কেনো গো হঠাৎ তোমার আবার শরীর খারাপ লাগছে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো তোমাকে। ধুর এসবের দরকার নেই একটা দুঃসংবাদ আছে। দুঃসংবাদ মানে কি বলতে চাচ্ছো তাড়াতাড়ি বলতো আমার হাত-পা কাঁপছে। শমিক বাবুকে ফোন করে জানানো সমস্ত ঘটনা খুলে বললো ছায়া দেবীকে। ছায়া দাঁড়িয়ে ছিলেন শমিক বাবুর মুখ থেকে সব কথা শোনা মাত্র বসে পড়লেন। ছায়া দেবী তার নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না এসব তিনি কি শুনছেন। কয়েক মিনিট শমিক বাবু আর ছায়া দেবী কোনো কথা বলেন না একে অপরের সাথে তারা দুজন নিস্তব্ধ হয়ে বসে রইলেন। মাহীন জানলে ওর কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছো ছায়া। মাহীনকে এখনই কিছু জানানোর দরকার নেই তুমি বাপ্পীকে গাড়ি নিয়ে আসতে বলো। মাহীনকে নিয়ে আমরা রওনা হই। হুম তুমি ঠিকই বলেছো। আমি যায় মাহীনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি ততক্ষণে তুমি রেডি হয়ে নাও। আচ্ছা ঠিক আছে। ছায়া তার রুম থেকে বের হয়ে মাহীনের রুমের দিকে গেলো। দরজার কাছে গিয়ে নক করতে লাগলো এই মাহীন…... মাহীন…..মাহীন….ঘুম ভেঙ্গে গেলো মাহীনের ছায়ার ডাকে হ্যা কাকিমা। মাহীন তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে আসো আমরা এক জায়গায় যাবো এখন। মাহীনের রুমের দরজার সামনে থেকে সরে এসে কিচেনের দিকে গেলো ছায়া। কিচেনে ঢুকে সুপ্রিয়াকে ছায়া বললো আজকে আমার আর তোর দাদা বাবুর জন্য সকালের নাস্তা বানানোর দরকার নেই শুধু মাহীনের জন্য বানালেই হবে। ঠিক আছে দিদিমণি। কিছুক্ষণ পর মাহীন ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলো। ছায়া ডাইনিং টেবিলে বসে ছিল সুপ্রিয়া মাহীনের খাবার টা দিয়ে যা। নিয়ে আসছি দিদিমণি। সুপ্রিয়া মাহীনের খাবার প্লেট টা টেবিলের উপর রেখে আবার কিচেনে চলে গেলো। মাহীন ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসে তারপর খাওয়া শুরু করলো। কাকিমা তুমি কোথায় যাওয়ার কথা বলছিলে তখন আমাকে ডাকার সময়। খাবার টা খেয়ে শেষ কর আগে। মাহীনের খাওয়া শেষ হতেই শমিক বাবু এসে হাজির হলেন। মাহীন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয় তো দেরি করিস না। কোথায় যাচ্ছি কাকু আমরা কাকিমাও তো কিছুই বললো না। আজকে আমার তো কলেজও আছে, কোথাও গেলে ক্লাসগুলো তো মিস হয়ে যাবে। মাহীন শুন কথা বলার মতো সময় নাই এখন, তুই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয় আমরা বের হবো এখন। মাহীন কিছু বুঝতে পারছে না তার কাকিমা আর কাকু কিছুই বলছে না শুধু বলছে এক জায়গায় যাবো রেডি হয়ে নিতে। মাহীন আবার তার রুমে ঢুকে পড়লো। ছায়া তুমিও রেডি হয়ে নাও সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না আমাদের তাড়াতাড়ি ওখানে পৌঁছাতে হবে। হুম ছায়া তার রুমে ঢুকলো রেডি হওয়ার জন্য। একটু পর মাহীন তার রুম থেকে বের হয়ে আসলো। মাহীন চল আমরা নিচে গ্যারেজে গিয়ে দাঁড়ায় তোর কাকিমা আসুক। হ্যা চলো যাওয়া যাক। বাসা থেকে বের হয়ে মাহীন আর শমিক বাবু সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেলো। নিচে গ্যারেজে নেমে মাহীন দেখলো শমিক বাবুর ড্রাইভার বাপ্পী গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে। মাহীন গাড়িতে উঠে বস। মাহীন গাড়ির সামনের ড্রাইভারের পাশের সিটে উঠে বসলো। খানিকক্ষণ পর ছায়া তার রুম থেকে বের হয়ে আসলো সুপ্রিয়া…. এই সুপ্রিয়া… হ্যা দিদিমণি বলো, শুন আমরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি কয়েকদিন ওখানে থাকবো। হঠাৎ গ্রামের বাড়িতে কিসের জন্য যাচ্ছো দিদিমণি। এখন সমস্ত ঘটনা খুলে বলার সময় আমার হাতে নেই রে সুপ্রিয়া ফিরে এসে তোকে সব বলবো। যে কয়েকদিন না ফিরে আসি সে কয়েকদিন তোর না আসলেও চলবে। আমি ফিরে আসলে তোকে ফোন করে জানিয়ে দিবো কবে থেকে আসা লাগবে। আমি বের হচ্ছি। আচ্ছা দিদিমণি সাবধানে যেও। ছায়া বাসা থেকে বের হয়ে সিড়ি বেয়ে নামতে লাগলো। নিচে নেমে গ্যারেজে এসে ছায়া দেখলো সবাই গাড়ির মধ্যে বসে, তার আসার জন্য অপেক্ষা করছে। দ্রুত গাড়ির সামনে গিয়ে, সিটে উঠে বসলো ছায়া।