25-11-2023, 02:01 PM
পর্ব-১১৮
বলল - আমি বি কম পড়ছি ইভিনিং কলেজে। এখানে চাকরিটা না হলে আমার পড়াশোনা হতো না। তোমার বোনেরাও কি পড়াশোনা করে ?
রত্না - হ্যা আমার পরের বোন উচ্চ মাধ্যমিক আর ছোট ক্লাস নাইনে পড়ে। তোমার এখানে চাকরিটা কি করে হলো ? রত্না - ওই পুতুল দিদির পাড়াতেই আমাদের বাড়ি আমাকে খুব ভালোবাসেন ওই দিদি। উনিই আমাকে এপ্লিকেশন করতে বলেছিলেন। তোমার ওই পুতুল দিদিকে একবার ডেকে দাও তো। রত্না বেরিয়ে গেলো পুতুল এসে ঢুকেই বলল - আমি জানি আপনি আমাকে কেন ডেকেছেন। রত্নাকে আমিই বড় সাহেবকে বলে চাকরিটা করে দিয়েছি। যদিও ওর চাকরি আপনার জন্যই হয়েছে। বড় সাহেবকে আপনার কথা বলতে এক কথায় সংক্ষণ করে দিলেন। মানে আপনার জন্য ওর চাকরি হয়েছে। জানেন মেয়েটা ভীষণ ভালো খুব কাজের আপনি যা যা করতে বলবেন ও মানা করবে না। শুনে একটু হেসে বললাম - বিছানায় যেতে বললে যাবে কি ? পুতুল - সে কথা আমি বলতে পারবো না তবে মনে হয় আপনি বললে রাজি হয়ে যাবে। আমার তো ওকে দেখে মনে হয় ও খুব সেক্সী মেয়ে একটু চেষ্টা করলে ও ঠিক যামানার নিচে শুতে রাজি হবে। শুনে বললাম - আমি তো শুধু এই মাসটাই আছি। সেরকমই হেড অফিস থেকে খবর পেলাম এর ভিতরে আর কোনো ঝামেলা না হলে এটাই ফাইনাল। শুনুন মিসেস সকার কাল থেকে ওকে শাড়ি পরে আসতে বলবেন। পুতুল - বুঝলাম শাড়ি পরে এলে আপনার বেশ সুবিধা হবে। আমি হেসে বললাম - বেশ ধরেছেন তবে অফিসের ভিতরে আর কি করা যাবে শুধু একটু চোখের সুখ নেওয়া ছাড়া। পুতুল শুনে বলল - আমি দেখছি ওকে একটু বাজিয়ে দেখে আপনাকে জানাবো। আর শুনুন আমার দুই মেয়ে আমাকে জ্বালাচ্ছে যে আপনি আবার কবে যাবেন আমার বাড়িতে। বললাম - যাবার আগে একবার তো নিশ্চই একবার যাবো তোমার মেয়েদের বলে দিও। পারুল বেরিয়ে গেলো। আমার যাহাতে কোনো কাজ নেই তাই বেরিয়ে ডেপুটির ঘরের দিকে গেলাম। সামনে একজন বেয়ারা ছিল আমাকে দেখে বললেন - সাহেব ঘরেই আছেন আপনি যেতে পারেন ভিতরে। আমি দরজা নক করে ভিতরে ঢুকলাম। আমাকে দেখে উনি বললেন - অরে সুমন আসুন আসুন হাত খালি বুঝি। আমি জবাবে বললাম - হ্যা কোনো কাজ নেই আর আমার কাজ ছাড়া একদম ভালো লাগেনা তাই চলে এলাম আপনার কাছে যদি কোনো পেন্ডিং কাজ থাকে আপনার কাছে। শুনে বললেন - দেখুন একটা হাই প্রোফাইল কেশ আছে আমার কাছে আর আমি ফাইলটা পরে কিছুই বুঝতে পারছিনা কি করা উচিত। যদি একবার আপনি ফাইলটা দেখে কিছু সাজেশন দিতে পারেন। আমি - দেখি ফাইলটা একবার স্টাডি করে দেখি যে কিছু উদ্ধার করা যায় কিনা।
তবে তার আগে আপনি আমাকে মুখেই কিছু কিছু হিন্ট দিন যাতে আমার একটু সুবিধা হয়। উনি যা বললেন সেটা এই রকম - জব ওয়ার্কের জন্য টেন্ডার ডাকা হয় প্রায় প্রতি দুমাস অন্তর। আর সেই টেন্ডার নিয়ে যত ঝামেলা প্রায় দুহাজার কোটির লোকসান করেছে ব্যাংক। মানে লোয়েস্ট রেটকে ছেড়ে হাইয়ার রেতে অর্ডার প্লেস করা হয়েছে। আর সেই অর্ডার পেয়েছে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরিচিত একজন।
সব শুনে বললাম - দেখুন এক কেসে আমি যদি স্বাধীন ভাবে কাজল করতে পারি তো কাজটা হাতে নেবো যদি তা না হয় তো আমাকে ফাইলটা দেবেন না। ডেপুটি শুনে বললেন - আপনাকে পার্সোনালি বলে রাখি এই কেসের ব্যাপারে আমার কিছু অন্যায় আছে ইনফ্লুয়েন্সিয়াল লোকের অর্ডার বলে আমিও স্যাংশন করে দিয়েছি। মানে আমিও একদিক থেকে সমান দোষী। সব শুনে বললাম - দেখুন আপনার ব্যাপারটা আমি দেখবো যদি কোনো ব্রাইব না নিয়ে থাকেন। ডেপুটি হাত বাড়িয়ে আমার হাত ধরে বললেন - না না আমি কোনো টাকা নেইনি। তবে অন্যান ডিপার্টমেন্টের সবাইকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করেছেন ওই ভেন্ডর। আমি ফ্লাইট হাতে নিয়ে বললাম - আমি দেখছি যাতে আপনার গায়ে আঁচড় না পরে তবে আপনাকে একটা ডিক্লারেশন দিতে হবে যে এই ফেলে সই করা ছাড়া আর কোনো কিছুই আপনি জানতেন না।