Thread Rating:
  • 56 Vote(s) - 2.68 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Erotic Thriller মেগাসিটির নির্জনতা
#37
পর্বঃ ৪
ঢাকা ফিরে আগে অফিসে গেলো রবিন। আতা ভাইয়ের সাথে দেখা করা দরকার। কিছুদিন অনিয়মিত অফিস করা লাগতে পারে। তাই আতা ভাইকে আগেভাগে বলে রাখা ভালো। আতাউর রহমান দৈনিক প্রথম প্রহরের সম্পাদক। সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সাংবাদিক মহলে সবাই তাকে সমীহ করে চলে। তাকে বলা হয় দেশের সাংবাদিকতার ট্রেন্ড সেটার।

সম্পাদকের কেবিনে ঢুকে সালাম দিলো রবিন। আতাউর রহমান সালামের উত্তর দিয়ে বসতে বললেন। ল্যাপটপের মনিটরে গভীরে মনোযোগে কিছু একটা দেখছেন তিনি। কিছুক্ষণ পর মুখ তুলে বললেন-'কি খবর বলো। কিছু বলবা?'
'খবর ভালো ভাই। নতুন একটা ইনভেস্টিগেশন শুরু করছি৷ কয়েকদিন এদিক ওদিক যাওয়া লাগতে পারে।'
'আচ্ছা। কেসটা কি? সামনে ইলেকশন। কি করতেছো জানায়ো।'
'কেস তেমন কিছু না। আগে দেখি কতদূর কি করতে পারি। ইলেকশনের সাথে এই কেসের সম্পর্ক নাই।'
'ঠিক আছে। সাংবাদিকতায় তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। এই এনার্জি ধইরা রাইখো। সাংবাদিকতায় এনার্জি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ সাংবাদিকের এনার্জি নাই। সব শালা ধ্বজভঙ্গ। আমরা যখন তরুণ ছিলাম তখন আমরা যে সাংবাদিকতা করছি, এখনকার তরুণরা তা পারছে না। আমাদের মানুষ ওস্তাদ মানতো। বড় বড় হেডমওয়ালা লোক দেখলে সালাম দিতো। আর এখনকার পোলাপান একটা পাতিনেতা দেখলেও সেলফি তোলার জন্য দৌড়ায়। তোমার মতো অল্প কয়েকটা ছেলের জন্যই এখনো সাংবাদিকতা নিয়ে আশা রাখা যায়।'
'ধন্যবাদ ভাই। আপনার প্রশংসা কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দেয়। এখন তাহলে যাই।'
'ঠিক আছে, যাও।'
আতাউর রহমান মানুষের সাথে এমনভাবে মেশেন, মনে হয় তিনি রহস্যময় ব্যক্তি, যাকে অনুভব করা যায়, ধরা যায় না। পত্রিকার স্টাফরা পর্যন্ত তাকে সেভাবে কানেক্ট করতে পারে না। সবার সাথে তিনি সাধারণভাবেই কথা বলেন। এমন না যে তিনি অনেক রাশভারি। তবে আর দশটা মানুষের মতো কারো সাথে গলে যান না। কেমন যেন একটা দূরত্ব বজায় রাখেন। ফলে তার প্রতি এক ধরনের কৌতূহল কাজ করে অফিসের সবার। রবিনকে তিনি স্নেহ করেন। রবিনের কাজ তাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

অফিস থেকে বের হয়ে ধানমণ্ডির দিকে বাইক ছুটালো রবিন। অরিত্রের সাথে দেখা করা দরকার। রঞ্জিতের দেওয়া ইনফরমেশন নিয়ে অরিত্রের সাথে আলোচনা করতে হবে। মূলত অরিত্রই তাকে এই কেসের প্রতি আগ্রহী করেছে। বীরেন বাবু যখন খুন হন তখন অরিত্র আমেরিকায়। দেশে আসতে আসতে বীরেন বাবুর মামলা আত্মহত্যার ফাইলের নিচে চাপা পড়ে গেছে। কিন্তু অরিত্রের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো তার বাবা আত্মহত্যা করতে পারে না। এরকম একজন জনহিতৈষী ব্যক্তি, সমাজ সচেতন, উচ্চশিক্ষিত ও পড়ুয়া লোক আত্মহত্যা করবে এটা কোনোভাবেই মানা যায় না। এছাড়া মারা যাওয়ার আগের দিনও রাজনীতি নিয়ে তার পরিকল্পনা এবং অরুণিমা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম কিভাবে বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে তার সাথে কথা বলেছে। হঠাৎ কি এমন হয়ে গেলো যে তিনি আত্মহত্যা করলেন। আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো দেশে ফিরে অরিত্র রঞ্জিতের দেখা পায়নি। রঞ্জিত কখনোই তার সাথে দেখা করতে আসেনি। রঞ্জিত কোথায় আছে তাও সে জানে না। সবকিছু মিলিয়ে তার কাছে বিষয়টা অস্বাভাবিক লেগেছে। তাই সে ছোটবেলার বন্ধু রবিনকে দায়িত্ব দিয়েছে বিষয়টা আসলে কী ঘটেছিলো একটু অনুসন্ধান করে দেখতে৷ রবিন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় খ্যাতি পেয়েছে তা অরিত্র জানে। ফেসবুকের কল্যাণে রবিনের সব লেখার লিংকই সে পেতো। ফলে বিদেশে বসেও তার জানা ছিলো রবিনের কর্মপরিধি সম্পর্কে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই রবিন রঞ্জিতের খোঁজ করতে চেয়েছিলো। কারণ পুলিশের ভাষ্যমতে সেদিন রঞ্জিত একাই বীরেন বাবুর সাথে বাড়িতে ছিলো। তাই এই কেসের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী রঞ্জিত। তার কাছে যেকোনো মূল্যেই পৌঁছানোর প্রয়োজন ছিলো। কাজেই অরিত্রের গ্রামের বাড়ি ঠিকানা নিয়ে পাংশা চলে গেলো রবিন। বীরেন বাবুর পৈত্রিক বাড়ি আর সীতা রানির বাবার বাড়ি অল্প দূরত্বে অবস্থিত। সীতা রানির বাড়ি খুঁজে পেতে তাই কষ্ট হলো না। সীতারানির সাথে দেখা করে রবিন বলেছিলো সে একটা এনজিও থেকে এসেছে। তাদের এনজিও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা ও তার সন্তানদের উন্নয়নে কাজ করে। সীতা রানিকে একটা পাকা ঘর তুলে দিতে চায় তারা। শুনে সীতা রানি খুশি হয়। তার ছেলে কি করে কই থাকে তাও জানতে চায় রবিন। আঠারো বছরের বেশি বয়সী ছেলে থাকলে তাকে লোন দিয়ে স্বাবলম্বী করে দেবে তাদের সংস্থা। এসব আশ্বাস পেয়ে সীতা রানি রঞ্জিতের যাবতীয় তথ্য দেয় রবিনকে।

ধানমণ্ডি সাতাশ নাম্বারের রায়বাড়িটা দেখলে মনে হবে ঝা চকচকে আলোকরশ্মির মাঝে একটা কৃষ্ণগহ্বর। চারপাশে সব নতুন নতুন বহুতল ভবন। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত বড় বড় অ্যাপার্টমেন্ট। তার পাশে পাকিস্তান আমলে তৈরি পুরনো তিনতলা বাড়ি। বীরেন বাবুর বাবা এই বাড়িটা তৈরি করেছিলেন। তখন ধানমণ্ডি এলাকা এমন আধুনিক আর উন্নত ছিলো না। কৃষি জমিতে ভরা ছিলো বেশিরভাগ। অল্পকিছু বাড়ি আর বেশিরভাগই কৃষি জমি। বুড়িগঙ্গা নদী ছিলো বর্তমান সাত মসজিদ রোডের অতি নিকটে। এখন সেই নদী সরে গেছে অনেকদূর। ধানমণ্ডি হয়েছে আধুনিক শহর। সবকিছু পালটে গেছে। শহরের কংক্রিট দূরে সরিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির সজীবতা।

বীরেন বাবু বাবার স্মৃতিচিহ্ন মুছে বড় বিল্ডিং করতে চাননি। তিনি নিজে ভোগ বিলাসের প্রতি আগ্রহী ছিলেন না। কার্লমার্ক্সের ভক্ত ছিলেন। প্রচুর বই পড়তেন। তিনি ভাবতেন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন সমাজতন্ত্রের ব্যর্থতার জন্য হয়নি। বরং নির্বোধ রাজনীতিবিদ আর পুঁজিবাদী দুনিয়ার ক্রমাগত ষড়যন্ত্রই সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটিয়েছে। সোভিয়েত জনগণের সমাজতন্ত্রের প্রতি যে বিরাগ, সেটা সমাজতন্ত্রের জন্য নয়, বরং তা সঠিকভাবে প্রয়োগ না হওয়ার জন্য। কিন্তু সঠিকভাবে সমাজতন্ত্র কায়েমকৃত ইউটোপিয়ান রাষ্ট্র এই পৃথিবীতে আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে তার যথেষ্ট সন্দেহ ছিলো।

বাড়িতে ঢুকে অরিত্রের রুমে নক করলো রবিন। দরজা খুলে দিলো অরিত্র। আসার আগে কল দিয়েছিলো রবিন। তাই জানা ছিলো যে সে আসছে। রুমে ঢুকে দেখলো সোফায় একটা মেয়ে বসে আছে। রবিন ঢুকতেই মেয়েটা উঠে দাঁড়ালো। হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো- 'হাই, আমি উপমা। আপনি নিশ্চয়ই রবিন?' এর আগে মেয়েটিকে অরিত্রের সাথে কখনো দেখেনি। কে এই মেয়ে? একটা জলপাই রঙের টি শার্ট আর মোবাইল প্যান্ট পরে আছে। গায়ের রঙ কোরিয়ান মেয়েদের মতো বাদামি ফর্সা। টিকালো নাক। মুখের তুলনায় ঠোঁট দুটো ছোট। চুলগুলো একপাশে সিঁথি করা। ঘাড়ের ওপর দিয়ে ছড়িয়ে আছে। টি শার্টের ওপর দিয়ে উঁচু বুক চোখে পড়ছে। ব্রার দাগগুলো টিশার্টের পাতলা কাপড়ে ফুটে উঠেছে। স্মার্ট এন্ড সেক্সি মেয়ে।

'আপনার সাথে আগে কখনো দেখা হয়েছে বলে মনে পড়ছে না।' রবিন বললো।
'আসলে ও পরশুদিন দেশে এসেছে। আমি আর উপমা একই সাথে নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছি। জবও করছিলাম একই কোম্পানিতে। আমি জব ছেড়ে চলে আসার পর উপমাও চলে আসলো। আসলে আমাদের মধ্যে রিলেশন চলছে গত তিন বছর ধরে।'
'তাহলে বিয়ে করিসনি কেনো এখনো?' সোফায় বসতে বসতে রবিন বললো।
'বিয়ে করিনি কারণ আমি চেয়েছিলাম দেশে ফিরে বাবার আশীর্বাদ নিয়ে বিয়ে করবো। কিন্তু আমার ভাগ্যটা অতো ভালো নয়রে।'
'মন খারাপ করিস না। জীবন মানেই দুঃখ, কষ্ট। কারোটা কম, কারোটা বেশি। পার্থক্য এই।'

রবিন আর অরিত্র একসাথে উচ্চামাধ্যমিক পর্যন্ত ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে পড়াশোনা করেছে৷ এরপর অরিত্র চলে গেলো আমেরিকা। রবিন ভর্তি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন এন্ড জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টে। অরিত্র আর রবিনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ বিপরীত। রবিন যেখানে চঞ্চল, উচ্ছৃঙ্খল, ব্যাকবেচঞ্চার, অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, অরিত্র সেখানে ভদ্র, নম্র, ফার্স্টবয়, ভালো ছেলে। তবুও দুজনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব কিভাবে হল এটা একটা রহস্য। অরিত্র ঘরকুনো ছেলে। বাইরে গেলে ইনসিকিউরিটি ফিল করতো। রবিনের মতো চতুর ছেলে সাথে থাকলে ওর বুকের মধ্যে বল আসতো। এটাই হয়তো দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হওয়ার অন্যতম কারণ।

'এবার তাহলে কাজের কথায় আসা যাক। রঞ্জিতের সাথে দেখা করে আসলাম। তোর বাবা খুন হয়েছে। তোর অনুমান সঠিক।' রবিন বললো। বলতে বলতে একটা সিগারেট জ্বালালো সে। অরিত্র সিগারেট খায় না। কলেজে থাকতে অনেক চেষ্টা করেও সিগারেট ধরানো যায়নি ওকে।

'আমি আগেই জানতাম। আর এমন একটা খুনকে ওরা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে। ঈশ্বর ওদের ক্ষমা করবে না।' হতাশ কণ্ঠে বললো অরিত্র।
'তুমি কি কাউকে সন্দেহ করো?' জানতে চাইলো উপমা।
'সন্দেহ কিভাবে করবো। বাবার তো শত্রু ছিলো না তেমন। এই এলাকার সবাই তাকে পছন্দ করতো। খুন করলে ডাকাতির উদ্দেশ্যে কেউ করতে পারতো। তবে বাসা থেকে তো কিছু খোয়া যায়নি। তার মানে এটা ডাকাতিও ছিলো না।'
'গফুর খান তো নির্বাচনে উনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার কথা ছিলো। উনাকে তোর সন্দেহ হয়?' রবিন বললো।
'নাহ। গফুর চাচার সাথে আমাদের সম্পর্ক সব সময়ই ভালো ছিলো। বাবার সাথে তার রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও খুন করার মতো দ্বন্দ্ব ছিলো না।'
'হুম। ব্যাপারটা খুবই জটিল। এই জট খোলার জন্য হাতে আপাতত একটাই অপশন আছে। তাহলো এএসপি ফিরোজ। সে এই অঞ্চলের সার্কেল এসপি। রঞ্জিতের তথ্য মতে আঙ্কেলের কেসটা নিয়ে সেই ডিল করেছে। তাই এএসপি ফিরোজের থেকেই কাজ শুরু করতে হবে।'
'পুলিশের সাথে টক্কর দিয়ে পারবেন তো? পুলিশ যদি খারাপ হয় তাহলে তার চেয়ে নির্মম প্রাণী পৃথিবীতে আর হয় না।' বললো উপমা। তার কণ্ঠে হতাশ ভাব।
'পূর্বাশা গ্রুপের দশ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচারের খবর আমিই ফাঁস করেছিলাম। পূর্বাশা গ্রুপ ফিরোজের মতো দশটা এএসপিকে গিলে খেতে পারে।কাজেই একটু ভরসা রাখেন বৌদি।'
'আরে তোর উপর ভরসা আছে বলেই তো তোকে বাবার কেসটা নিয়ে কাজ করতে বলেছি। তোর যত টাকা লাগে আমাকে বলবি। সব দেব আমি।' অরিত্র বললো।
'তুই শালা আজীবন বোকাচোদাই রয়ে গেলি। তোর বাবার খুনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে টাকা নিবো এইটা তুই ভাবলি কি করে? শালা আবাল। সরি উপমা আপনার সামনে গালি দিলাম বলে।'
'সরি দোস্ত। আমার আসলে মাথা ঠিক নাই। তবুও তোর তো অনেক খরচ হবে কাজ করতে গিয়ে। খরচের টাকাটা নাহয় আমি দিলাম।'
'তাহলে এখনই এক লাখ টাকা দে।'
'দুইদিনেই এক লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছিস? যাক ব্যাপার না। আমি চেক লিখে দেব। তুই ক্যাশ করে নিস।'
'টাকা খরচ করি নাই৷ রঞ্জিতকে কথা দিয়া আসছি যদি সে সহযোগিতা করে তাহলে আমি ওর ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করব। এর জন্য টাকা লাগবে।'
'আচ্ছা। তাহলে আমরা দুজনও তোর সাথে ওর বিয়েতে যাবো।'
'ঠিক আছে। তাহলে চল আগামীকালই ওদের বিয়ের কাজটা শেষ করে আসি। তারপর ফিরোজের গোষ্ঠী উদ্ধার করা যাবে।'
'ঠিক আছে। আর তুই উপমাকে আপনি করে বলছিস কেনো? এখনো তোর বৌদি হয় নাই। ফ্রেন্ড হিসেবে ভাব না৷ এতো মুরব্বি হতে গেলে তো মুশকিল।'
'সত্যিই। আমারও আপনি করে বলতে ভালো লাগে না। অরিত্রের বন্ধু মানে তো আমারও বন্ধু।' উপমা বললো।
'ঠিক আছে। আজ তাহলে যাই। আর তোদের কিন্তু এখনো বিয়ে হয়নি। তাই এক রুমে থাকিস না। তাহলে ঘাড়ে শয়তান ভর করবে। বিয়ের আগে সেক্স করা কিন্তু ঠিক না। তাইতো আমি এখনো ভার্জিন।' সোফা ছেড়ে উঠতে উঠতে বললো রবিন।
'শালা ফাজিল। তোর মুখে কিছুই আটকায় না।' লজ্জামাখা হাসি দিয়ে বললো অরিত্র।

বের হওয়ার সময় উপমা বিছনার দিকে ঘুরে হাঁটতে শুরু করলো। ফলে প্রথমবার উপমার নিতম্ব নজরে পড়লো রবিনের। চওড়া নিতম্ব। প্যান্টের কাপড় টাইট হয়ে মিশে আছে। টি শার্ট কোমরের উপরে উঠে আছে। মাংসপিণ্ড ফেটে পড়তে চাইছে।

সেদিন রাতে বাসায় ফিরে কিছু হোমওয়ার্ক করতে চাইলো রবিন। ল্যাপটপ নিয়ে সরকারি ওয়েবসাইটে ঢুকে ফিরোজের প্রোফাইল চেক করলো। পুরো নাম ফিরোজ মাহমুদ খান। মোবাইল নাম্বারও দেওয়া আছে। নোটপ্যাডে টুকে নিলো রবিন। তারপর ফিরোজ মাহমুদ খান লিখে ফেসবুকে সার্চ দিলো। ভাগ্য ভালো বলতে হবে। শুরুতেই এএসপি ফিরোজের আইডি ভেসে উঠলো। পুলিশের ড্রেস পরা প্রোফাইল পিক দেওয়া। পুরো ডিটেইলস যেন ফেসবুকে লিখে রেখেছে লোকটা। পড়াশোনা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। ৩৭ তম বিসিএস দিয়ে পুলিশে জয়েন করেছে। হঠাৎ একটা ইনফো দেখে চোখ আটকে গেলো রবিনের। ম্যারিড টু আফরিন সুলতানা। দ্রুত আফরিন সুলতানার আইডিতে ক্লিক করলো রবিন। পুলিশের বউরা সাধারণত সুন্দরী হয়। আফরিনও তাই। আরেকটা জিনিস যেটা প্রচলিত আছে তাহলো অতি ধুরন্ধর বউ হয় হাবলা ধরনের। ফিরোজ অতি ধুরন্ধর তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ওর বউ কেমন হয় কে জানে। আফরিন দেখা যাচ্ছে টিকটক ভিডিও বানায়। টিকটকে গিয়ে আফরিনের আইডি সার্চ করতেই চলে এলো। প্রফেশনাল টিকটকার যাকে বলে। প্রচুর টিকটক ভিডিও। আইডির ফলোয়ার প্রায় পঞ্চাশ হাজার। বেশ সুন্দর নাচে মেয়েটা। মুখের এক্সপ্রেশনও ভালো। রবিনের মনে তখন অন্য চিন্তা। এই মেয়েকে কি ব্যবহার করা যায় ফিরোজ পর্যন্ত পৌঁছাতে? মেয়ে পটানো রবিনের কাছে কোনো ব্যাপার না। সে খুব ভালো করে জানে কোন মাছে কোন আদার খায়।
[+] 11 users Like Topuu's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: মেগাসিটির নির্জনতা - by Topuu - 23-11-2023, 08:48 PM



Users browsing this thread: 28 Guest(s)