17-11-2023, 12:26 PM
<×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×>
Golden proposal
<×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×>
সকালবেলা বাজারে যাচ্ছি, দেখি রক্তিম কাকু। বাড়ির সামনে একটা কন্টেইনার ট্রাক দাঁড়িয়ে। জিনিসপত্র নামাচ্ছে। আমাকে দেখেই বলল,
- সোমনাথ, তোর জন্য একটা কাজ আছে। … আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম
- কি কাজ?
- তোদের বৌদি আসবে। সাড়ে দশটায় একবার এয়ারপোর্টে যাবি। রিয়াকে নিয়ে আসবি। আমি ততক্ষণ এদিকে ঘরদোরের কাজগুলো সারি। … আমি তো এক পায়ে খাড়া। বাজার সেরে বাড়িতে দিয়ে; রক্তিম কাকুর এখানে। দেখি যতটা পারি হেল্প করে দিই।
সাড়ে দশটার আগেই এয়ারপোর্টে পৌঁছে গেছি। অ্যারাইভ্যাল লাউঞ্জের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। দিল্লি ফ্লাইটের আনাউন্সমেন্ট হয়ে গেছে আর দশ মিনিটের মধ্যেই নামবে। আমি অপেক্ষা করছি। রিয়াদিকে দেখতে পেলাম একটা ছোট্ট স্ট্রলি টানতে টানতে বেরিয়ে আসছে।
আমি দৌড়ে গিয়ে স্ট্রলিটা কেড়ে নিলাম।
- হাই রিয়াদি! কেমন আছো?
- ভালো আছি রে সোমনাথ। তোরা সবাই ভালো আছিস তো?
- হ্যাঁ! একদম ঝাক্কাস। … বাইরে বেরিয়ে একটা ক্যাব ডেকে রিয়াদিকে নিয়ে পাড়ায় চলে এলাম।
- সন্ধ্যেবেলা একবার আসিস সবাই! … বলে রিয়াদি বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেল।
অফিস থেকে ফিরে আটটা নাগাদ রক্তিম কাকুর বাড়িতে। ভূতের মত অন্ধকার বাড়িটা, আজকে আলোয় ঝলমল করছে। এক তলায় অবশ্য কেউ নেই। সরাসরি দোতলায় উঠে গেলাম। বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা মারা হল। রক্তিম কাকু এবার পাকাপাকি ভাবে চলে এসেছে। বাড়িতেই অফিস খুলবে। নিজস্ব সিকিউরিটি এজেন্সি।
মাস খানেক কেটে গেছে। রক্তিম কাকুর অফিস খুলে গেছে। এজেন্সির নাম দিয়েছে, ডিফেন্স মেকানিজম। আর প্যাংলা রতনকে অফিস সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছে। অফিস থেকে ফিরে আমাদের পার্মানেন্ট আড্ডা এখন রক্তিম কাকুর দোতলায়। রিয়াদির সৌজন্যে চা-য়ের সঙ্গে টাও জুটে যায়।
আমাদের বউগুলোর সঙ্গে আলাপ হয়ে গেছে রিয়াদির। দুপুরবেলা ওরাও আড্ডা দেয় রিয়াদির দোতলায়।
এর মধ্যে আমাদের আড্ডায় রিয়াদি একটা প্রপোজাল দিল। এমন লোভনীয় প্রপোজাল, শোনা মাত্রই সবাই হৈ হৈ করে হ্যাঁ বলে দিল।