15-11-2023, 02:12 AM
(This post was last modified: 15-11-2023, 11:25 AM by Rupuk 8. Edited 5 times in total. Edited 5 times in total.)
পর্ব -২৮
ছায়া কফির মগ টা হাতে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে পড়ন্ত বিকেলের সূর্যাস্ত দেখছিল। এমন সময় ছায়ার ফোনে কল আসলো। ফোনের শব্দ শুনতে পেয়ে ছায়া বারান্দা থেকে রুমে ঢুকলো। ফোন টা হাতে নিয়ে ফোনের স্কিনে দেখলো আলিয়া দিদি ফোন করেছে। কল টা রিসিভ করলো। হ্যালো ছায়া। হ্যা বলুন দিদি। অনেক বার শমিককে ফোন করালাম ধরলো না। শমিক বাসায় নাই? না দিদি সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে এখনও বাসায় ফেরেনি। এখন কি আর ওর শরীর আগের মতো আছে যে যেমন খুশি তেমন ভাবে ঘুরে বেড়াবে। এখন তো ওর রেস্ট নেওয়া উঠিত বিজনেস নিয়ে মাথা ঘামানো বাদ দিয়ে। আমি তো ওকে নিষিদ্ধ করি এসব বিজনেস নিয়ে মাথা ঘামানো কি দরকার আছে তোমার, কিন্তু আমার কথা তো শুনে না আপনার ভাই দিদি। এজন্য তো তোমাকে ওরে আমেরিকা নিয়ে আসতে বললাম দেশে থাকলে তোমার কথা শুনবে না এভাবেই চলাফেরা করবে ঠিকমতো চিকিৎসা করবে না পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। তোমার পাসপোর্ট হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি ইমারজেন্সী ভিসির জন্য অ্যাপলিকেশন করো। আর
শমিক বাসায় ফিরলে আমাকে ফোন করতে বলবে। রাখছি এখন। ঠিক আছে দিদি।
আমেরিকার হেনটেট শহরে থাকেন ছায়ার বড় ননাস আলিয়া সেন গুপ্ত। আলিয়া দেবীর স্বামী সুশান্ত সেন গুপ্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। সুশান্ত সেন গুপ্ত হেনটেট সিটি পুলিশে ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আলিয়ার দেবীর মা আর সুশান্তর বাবুর মা দুজন কলেজে পড়া অবস্থায় খুব ভালো বান্ধবী ছিলেন। কলেজ পাস করে সুশান্ত বাবু কলকাতা থেকে আমেরিকায় চলে আসে উচ্চশিক্ষার জন্য। সুশান্ত বাবু পড়াশোনা শেষ করে প্রথমে একটি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করে। সুশান্ত বাবু চাকরি শুরু করার পর তার মা বিয়ের জন্য চাপাচাপি শুরু করে দেয়। সুশান্ত বাবুর মায়ের অনেক আগে থেকে আলিয়াকে পছন্দ ছিলো তার ছেলের বউ করার জন্য। মায়ের চাপাচাপিতে শেষ পযন্ত সুশান্ত বাবু রাজি হয় বিয়ে করতে। আলিয়ার দেবীর মায়ের কাছে গিয়ে সুশান্ত বাবুর মা বলেন। আমার একটা আবদার আছে তোর কাছে পূরণ করবি? কি আবদার শুনি? আমি আলিয়াকে আমার বাড়ির লক্ষী করতে চায় তোর কি অমত আছে? এতে অমতের কি আছে, এতো আমার সৌভাগ্য রে সুশান্ত মতো ভদ্র ছেলে আমার মেয়ে জামাই হিসেবে পাওয়া। আলিয়ার মত তো জানা দরকার তুই বললে তো হবে না। ওর আবার কিসের মত আমি যা বলবো তাই। তুই বিয়ের আয়োজন শুরু কর। ধুমধাম করে সুশান্ত বাবু আর আলিয়া দেবীর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর আলিয়া দেবীকে নিয়ে সুশান্ত বাবু আমেরিকায় চলে আছে। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় গ্রীন কার্ড পেয়ে যান সুশান্ত বাবু। আমেরিকান নাগরিকত্ব পাওয়ার পর হেনটেট সিটি পুলিশে যোগ দেন সুশান্ত বাবু। আলিয়া আর সুশান্ত দম্পতির একমাত্র মেয়ে মিমি সেন গুপ্ত। মিমির বয়স ২৭ বছর। মাইক্রোবাইলজি নিয়ে মাস্টার্স করছে। মিমি আধুনিক মর্ডান তরুণী আমেরিকান কালচারে ছোট থেকে বেড়ে উঠেছে সে। তার রক্তে আমেরিকান কালচার মিশে গেছে। অসাধারণ সুন্দরী মিমি গায়ের রং ধবধবে ফর্সা। টানা টানা নীল রঙের দুটো চোখ। গোলাপি ঠোঁট। নিয়মিত জিম করে শরীরে কোনো রকম মেদ নেই। মিমি এখনও বিয়ে করনি। আমেরিকান কালচার আর ভারতীয় কালচারে আকাশ পাতাল তফাৎ। ভারতে সচারাচর খুব অল্প বয়স থেকে মেয়েদের বিয়ের দেওয়ার রেওয়াজ যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। ভারতীয় সমাজে বিয়ে না করে কোনো মেয়ে যদি পড়াশোনা শেষ করতে করতে বয়স একটু বেশি হয়ে যায় লোকমুখে নানা আজেবাজে কথা শুনতে হয় সেই মেয়েকে। তাই অনেক মেয়ে অল্প বয়সে বিয়ের পিরিতে বসে পড়ে। কিন্তু আমেরিকায় এর উল্টো চিত্র এখানকার মেয়েরা আগে নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় বিয়ে নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। অনেকে তো বিয়ে না করেই বছরের পর বছর বয়ফ্রেন্ডের সাথে লিভিং ইন রিলেশনে থাকে বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যায় তারপরও বিয়ে করে না। বিয়ে ছাড়াই এখানে স্বামী স্ত্রী মতো করে সংসার করতে থাকে। মাহীন গ্রামের ছেলে এর আগে কোনো দিন এরকম জন্মদিনের পার্টিতে যায়নি। বাইক টা পার্কিং করে। মাহীনকে সঙ্গে করে আবিরের বাসার দরজার সামনে এসে কলিংবেলে টিপ দিলো অভি। কিছুক্ষণ পর আবির দরজা খুলে দিলো।
ছায়া কফির মগ টা হাতে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে পড়ন্ত বিকেলের সূর্যাস্ত দেখছিল। এমন সময় ছায়ার ফোনে কল আসলো। ফোনের শব্দ শুনতে পেয়ে ছায়া বারান্দা থেকে রুমে ঢুকলো। ফোন টা হাতে নিয়ে ফোনের স্কিনে দেখলো আলিয়া দিদি ফোন করেছে। কল টা রিসিভ করলো। হ্যালো ছায়া। হ্যা বলুন দিদি। অনেক বার শমিককে ফোন করালাম ধরলো না। শমিক বাসায় নাই? না দিদি সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে এখনও বাসায় ফেরেনি। এখন কি আর ওর শরীর আগের মতো আছে যে যেমন খুশি তেমন ভাবে ঘুরে বেড়াবে। এখন তো ওর রেস্ট নেওয়া উঠিত বিজনেস নিয়ে মাথা ঘামানো বাদ দিয়ে। আমি তো ওকে নিষিদ্ধ করি এসব বিজনেস নিয়ে মাথা ঘামানো কি দরকার আছে তোমার, কিন্তু আমার কথা তো শুনে না আপনার ভাই দিদি। এজন্য তো তোমাকে ওরে আমেরিকা নিয়ে আসতে বললাম দেশে থাকলে তোমার কথা শুনবে না এভাবেই চলাফেরা করবে ঠিকমতো চিকিৎসা করবে না পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। তোমার পাসপোর্ট হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি ইমারজেন্সী ভিসির জন্য অ্যাপলিকেশন করো। আর
শমিক বাসায় ফিরলে আমাকে ফোন করতে বলবে। রাখছি এখন। ঠিক আছে দিদি।
আমেরিকার হেনটেট শহরে থাকেন ছায়ার বড় ননাস আলিয়া সেন গুপ্ত। আলিয়া দেবীর স্বামী সুশান্ত সেন গুপ্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। সুশান্ত সেন গুপ্ত হেনটেট সিটি পুলিশে ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আলিয়ার দেবীর মা আর সুশান্তর বাবুর মা দুজন কলেজে পড়া অবস্থায় খুব ভালো বান্ধবী ছিলেন। কলেজ পাস করে সুশান্ত বাবু কলকাতা থেকে আমেরিকায় চলে আসে উচ্চশিক্ষার জন্য। সুশান্ত বাবু পড়াশোনা শেষ করে প্রথমে একটি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করে। সুশান্ত বাবু চাকরি শুরু করার পর তার মা বিয়ের জন্য চাপাচাপি শুরু করে দেয়। সুশান্ত বাবুর মায়ের অনেক আগে থেকে আলিয়াকে পছন্দ ছিলো তার ছেলের বউ করার জন্য। মায়ের চাপাচাপিতে শেষ পযন্ত সুশান্ত বাবু রাজি হয় বিয়ে করতে। আলিয়ার দেবীর মায়ের কাছে গিয়ে সুশান্ত বাবুর মা বলেন। আমার একটা আবদার আছে তোর কাছে পূরণ করবি? কি আবদার শুনি? আমি আলিয়াকে আমার বাড়ির লক্ষী করতে চায় তোর কি অমত আছে? এতে অমতের কি আছে, এতো আমার সৌভাগ্য রে সুশান্ত মতো ভদ্র ছেলে আমার মেয়ে জামাই হিসেবে পাওয়া। আলিয়ার মত তো জানা দরকার তুই বললে তো হবে না। ওর আবার কিসের মত আমি যা বলবো তাই। তুই বিয়ের আয়োজন শুরু কর। ধুমধাম করে সুশান্ত বাবু আর আলিয়া দেবীর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর আলিয়া দেবীকে নিয়ে সুশান্ত বাবু আমেরিকায় চলে আছে। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় গ্রীন কার্ড পেয়ে যান সুশান্ত বাবু। আমেরিকান নাগরিকত্ব পাওয়ার পর হেনটেট সিটি পুলিশে যোগ দেন সুশান্ত বাবু। আলিয়া আর সুশান্ত দম্পতির একমাত্র মেয়ে মিমি সেন গুপ্ত। মিমির বয়স ২৭ বছর। মাইক্রোবাইলজি নিয়ে মাস্টার্স করছে। মিমি আধুনিক মর্ডান তরুণী আমেরিকান কালচারে ছোট থেকে বেড়ে উঠেছে সে। তার রক্তে আমেরিকান কালচার মিশে গেছে। অসাধারণ সুন্দরী মিমি গায়ের রং ধবধবে ফর্সা। টানা টানা নীল রঙের দুটো চোখ। গোলাপি ঠোঁট। নিয়মিত জিম করে শরীরে কোনো রকম মেদ নেই। মিমি এখনও বিয়ে করনি। আমেরিকান কালচার আর ভারতীয় কালচারে আকাশ পাতাল তফাৎ। ভারতে সচারাচর খুব অল্প বয়স থেকে মেয়েদের বিয়ের দেওয়ার রেওয়াজ যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। ভারতীয় সমাজে বিয়ে না করে কোনো মেয়ে যদি পড়াশোনা শেষ করতে করতে বয়স একটু বেশি হয়ে যায় লোকমুখে নানা আজেবাজে কথা শুনতে হয় সেই মেয়েকে। তাই অনেক মেয়ে অল্প বয়সে বিয়ের পিরিতে বসে পড়ে। কিন্তু আমেরিকায় এর উল্টো চিত্র এখানকার মেয়েরা আগে নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় বিয়ে নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। অনেকে তো বিয়ে না করেই বছরের পর বছর বয়ফ্রেন্ডের সাথে লিভিং ইন রিলেশনে থাকে বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যায় তারপরও বিয়ে করে না। বিয়ে ছাড়াই এখানে স্বামী স্ত্রী মতো করে সংসার করতে থাকে। মাহীন গ্রামের ছেলে এর আগে কোনো দিন এরকম জন্মদিনের পার্টিতে যায়নি। বাইক টা পার্কিং করে। মাহীনকে সঙ্গে করে আবিরের বাসার দরজার সামনে এসে কলিংবেলে টিপ দিলো অভি। কিছুক্ষণ পর আবির দরজা খুলে দিলো।