10-11-2023, 03:20 AM
পর্ব -২৭
দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানায় উপর শুয়ে ফোন টিপতে টিপতে কখন যে চোখ টা লেগে গেছিলো বুঝতে পারেনি মাহীন। ফোনের শব্দে ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো মাহীনের। ঘুম ঘুম চোখে ফোন টা হাতে নিয়ে কল টা রিসিভ করলো মাহীন। কিরে শালা কতক্ষণ ধরে ফোন করছি তোকে। ফোন ধরিস না কেন। ভাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম একটু তুই ফোন করছিলি বুঝতে পারিনি। ১০ মিনিটের মধ্যে আমি তোর বাসার নিচে আসছি তুই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বাসার নিচে নাম এটা বলেই ফোন টা কেটে দিলো অভি। মাহীন বিছানা উঠে দাঁড়িয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লো। একটু পর বাথরুম থেকে বের হয়ে দ্রুত রেডি হয়ে তার রুম থেকে বের হয়ে গেলো মাহীন। ছায়া ডইং রুমের সোফায় বসে টিভি দেখছিলেন। মাহীন দেখে ছায়া বললো কোথাও যাচ্ছো নাকি মাহীন? হ্যা কাকিমা আমার এক বন্ধুর ছোট বোনের আজকে জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় ওর বাসায় ছোটখাটো একটা পার্টির আয়োজন করবে। সেখানে যাওয়ার জন্য বন্ধুর মা আমাকে আর আমার সব বন্ধুকে ইনভাইট করেছে না গেলে রাগ করবেন। ওহ্ সামনে তোমার টেস্ট পরীক্ষা এটা সবসময় মাথায় রাখবে। এসবে সময় নষ্ট করার থেকে পড়াশোনায় বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত তোমার। তুমি তো আর এখন ছোট নেই নিজের ভালো টা তোমার নিজকে বুঝতে হবে। তুমি যখন যাওয়ার জন্য মন স্থির করে নিয়েছো সেখানে তো আর আমার বলার কিছু নেই। বেশি লেট করবে না তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে আসবে। ঠিক আছে কাকিমা। বাসার দরজা খুলে মাহীন বের হয়ে গেলো। দ্রুত গতিতে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেলো মাহীন। বিল্ডিং থেকে বের হয়ে মাহীন দেখলো অভি আজকে আর লেট করেনি সত্যি সত্যি ১০ মিনিটের মধ্যে অভি চলে এসে দাড়িয়ে আছে তার জন্য। কিরে শালা মেয়ে মানুষের মতো তোরও রেডি হতে এতো সময় লাগে। আরে না আমার রেডি হতে সময় লাগেনি আমি ইচ্ছা করে একটু দেরি করে আসছি। ভাবলাম তোর আসতে সময় লাগবে। তুই তো সবসময় ৫ মিনিটের কথা বলে ১৫ মিনিট পর আসিস তাই একটু দেরি করে বের হইলাম বাসা থেকে। সব দিন এক নাকি রে মাঝে মধ্যে এমন হয়। এবার কথা বলা বাদ দিয়ে বাইকের পিছনে উঠে পড়। শুন অভি আবিরের বাসায় যাওয়ার আগে আমাকে একটু মার্কেটে নিয়ে চল। মার্কেটে কেনো? আরে ওর ছোট বোনের জন্মদিন খালি হাতে তো আর যাওয়া যায় না কিছু একটা গ্রিফট তো সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া লাগবে। ঠিকই বলেসিস তুই, আমিও কিছু একটা কিনে নিবো চল। কিছুক্ষণ পর মাহীন আর অভি একটা গ্রিফট শপের সামনে এসে থামলো। মাহীন নাম আমার চলে এসেছি এই গ্রিফট শপ থেকে কিছু একটা কিনে নিয়ে যায় চল। হুম চল ভিতরে যেয়ে দেখি কি কেনা যায়। তুই ভিতরে ঢুক আমি বাইক টা পার্কিং করে আসছি। আচ্ছা। মাহীন গিফট শপের ভিতরে ঢুকলো। মাহীন গিফট শপের ভিতরে ঢুকে দেখতে পেলো নানা রকমের সব গিফট সামগ্রী রয়েছে এই শপে। ছোট থেকে বড় সাইজের পুতুল সারি সারি করে সাজানো এই শপে। মাহীন এই অনেকগুলো পুতুলের মধ্যে থেকে একটা পুতুল পছন্দ করলো আবিরের ছোট বোনকে গিফট দেওয়া জন্য। অভি বাইক পার্কিং করে চলে আসলো। মাহীন পছন্দ করতে পারলি কি দিবি? হ্যা আমি এই পুতুল টা দিবো ভাবছি তুই কি দিবি দেখ। আংকেল আপনার শপে চকোলেট বক্স হবে গ্রিফট করার জন্য? হ্যা অবশ্যই আছে। শপের দরজার ওদিকে দেখো অনেক চকোলেটের বক্স রাখা আছে দেখো কোনটা তোমার পছন্দ হয়। আচ্ছা আংকেল। অভি তুই কি চকোলেটের বক্স গ্রিফট দিতে চাচ্ছিস নাকি? হ্যা রে আমার তো মনে হয় এটাই দেওয়া ভালো হবে। হুম আমারও তাই মনে হয়। মাহীন একটা চকোলেটের বক্স পছন্দ করে দে তো। গোলাকার বক্স নাকি চারকোনা আকারের বক্স টা নিবো কোনটা ভালো লাগছে তোর কাছে। আমার কাছে তো দুটো ভালো লাগছে হাহাহা। ধুর ফাজলামো বাদ দিয়ে ভালোভাবে বল কোন টা ভালো লাগছে। গোলাকার টা তাহলে নে এটা সুন্দর লাগছে দেখতে। ঠিক আছে। আংকেল আমার এই চকোলেট বক্স টা আর নিচের সারির লাস্টের পুতুল টা প্যাকেট করে দিন। বিল মিটিয়ে শপ থেকে বের হয়ে গেলো মাহীন আর অভি। মাহীন তুই একটু দাঁড়া আমি বাইক টা পার্কিং থেকে নিয়ে আসছি। কিছুক্ষণ পর অভি চলে আসলো মাহীন উঠে পড়।
দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানায় উপর শুয়ে ফোন টিপতে টিপতে কখন যে চোখ টা লেগে গেছিলো বুঝতে পারেনি মাহীন। ফোনের শব্দে ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো মাহীনের। ঘুম ঘুম চোখে ফোন টা হাতে নিয়ে কল টা রিসিভ করলো মাহীন। কিরে শালা কতক্ষণ ধরে ফোন করছি তোকে। ফোন ধরিস না কেন। ভাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম একটু তুই ফোন করছিলি বুঝতে পারিনি। ১০ মিনিটের মধ্যে আমি তোর বাসার নিচে আসছি তুই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বাসার নিচে নাম এটা বলেই ফোন টা কেটে দিলো অভি। মাহীন বিছানা উঠে দাঁড়িয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লো। একটু পর বাথরুম থেকে বের হয়ে দ্রুত রেডি হয়ে তার রুম থেকে বের হয়ে গেলো মাহীন। ছায়া ডইং রুমের সোফায় বসে টিভি দেখছিলেন। মাহীন দেখে ছায়া বললো কোথাও যাচ্ছো নাকি মাহীন? হ্যা কাকিমা আমার এক বন্ধুর ছোট বোনের আজকে জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় ওর বাসায় ছোটখাটো একটা পার্টির আয়োজন করবে। সেখানে যাওয়ার জন্য বন্ধুর মা আমাকে আর আমার সব বন্ধুকে ইনভাইট করেছে না গেলে রাগ করবেন। ওহ্ সামনে তোমার টেস্ট পরীক্ষা এটা সবসময় মাথায় রাখবে। এসবে সময় নষ্ট করার থেকে পড়াশোনায় বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত তোমার। তুমি তো আর এখন ছোট নেই নিজের ভালো টা তোমার নিজকে বুঝতে হবে। তুমি যখন যাওয়ার জন্য মন স্থির করে নিয়েছো সেখানে তো আর আমার বলার কিছু নেই। বেশি লেট করবে না তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে আসবে। ঠিক আছে কাকিমা। বাসার দরজা খুলে মাহীন বের হয়ে গেলো। দ্রুত গতিতে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেলো মাহীন। বিল্ডিং থেকে বের হয়ে মাহীন দেখলো অভি আজকে আর লেট করেনি সত্যি সত্যি ১০ মিনিটের মধ্যে অভি চলে এসে দাড়িয়ে আছে তার জন্য। কিরে শালা মেয়ে মানুষের মতো তোরও রেডি হতে এতো সময় লাগে। আরে না আমার রেডি হতে সময় লাগেনি আমি ইচ্ছা করে একটু দেরি করে আসছি। ভাবলাম তোর আসতে সময় লাগবে। তুই তো সবসময় ৫ মিনিটের কথা বলে ১৫ মিনিট পর আসিস তাই একটু দেরি করে বের হইলাম বাসা থেকে। সব দিন এক নাকি রে মাঝে মধ্যে এমন হয়। এবার কথা বলা বাদ দিয়ে বাইকের পিছনে উঠে পড়। শুন অভি আবিরের বাসায় যাওয়ার আগে আমাকে একটু মার্কেটে নিয়ে চল। মার্কেটে কেনো? আরে ওর ছোট বোনের জন্মদিন খালি হাতে তো আর যাওয়া যায় না কিছু একটা গ্রিফট তো সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া লাগবে। ঠিকই বলেসিস তুই, আমিও কিছু একটা কিনে নিবো চল। কিছুক্ষণ পর মাহীন আর অভি একটা গ্রিফট শপের সামনে এসে থামলো। মাহীন নাম আমার চলে এসেছি এই গ্রিফট শপ থেকে কিছু একটা কিনে নিয়ে যায় চল। হুম চল ভিতরে যেয়ে দেখি কি কেনা যায়। তুই ভিতরে ঢুক আমি বাইক টা পার্কিং করে আসছি। আচ্ছা। মাহীন গিফট শপের ভিতরে ঢুকলো। মাহীন গিফট শপের ভিতরে ঢুকে দেখতে পেলো নানা রকমের সব গিফট সামগ্রী রয়েছে এই শপে। ছোট থেকে বড় সাইজের পুতুল সারি সারি করে সাজানো এই শপে। মাহীন এই অনেকগুলো পুতুলের মধ্যে থেকে একটা পুতুল পছন্দ করলো আবিরের ছোট বোনকে গিফট দেওয়া জন্য। অভি বাইক পার্কিং করে চলে আসলো। মাহীন পছন্দ করতে পারলি কি দিবি? হ্যা আমি এই পুতুল টা দিবো ভাবছি তুই কি দিবি দেখ। আংকেল আপনার শপে চকোলেট বক্স হবে গ্রিফট করার জন্য? হ্যা অবশ্যই আছে। শপের দরজার ওদিকে দেখো অনেক চকোলেটের বক্স রাখা আছে দেখো কোনটা তোমার পছন্দ হয়। আচ্ছা আংকেল। অভি তুই কি চকোলেটের বক্স গ্রিফট দিতে চাচ্ছিস নাকি? হ্যা রে আমার তো মনে হয় এটাই দেওয়া ভালো হবে। হুম আমারও তাই মনে হয়। মাহীন একটা চকোলেটের বক্স পছন্দ করে দে তো। গোলাকার বক্স নাকি চারকোনা আকারের বক্স টা নিবো কোনটা ভালো লাগছে তোর কাছে। আমার কাছে তো দুটো ভালো লাগছে হাহাহা। ধুর ফাজলামো বাদ দিয়ে ভালোভাবে বল কোন টা ভালো লাগছে। গোলাকার টা তাহলে নে এটা সুন্দর লাগছে দেখতে। ঠিক আছে। আংকেল আমার এই চকোলেট বক্স টা আর নিচের সারির লাস্টের পুতুল টা প্যাকেট করে দিন। বিল মিটিয়ে শপ থেকে বের হয়ে গেলো মাহীন আর অভি। মাহীন তুই একটু দাঁড়া আমি বাইক টা পার্কিং থেকে নিয়ে আসছি। কিছুক্ষণ পর অভি চলে আসলো মাহীন উঠে পড়।