10-11-2023, 01:16 AM
(This post was last modified: 26-11-2023, 03:47 PM by Rupuk 8. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পর্ব -২৬
মাহীন তার রুম থেকে বের হয়ে ডাইনিং রুমে ঢুকে ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসলো। সুপ্রিয়াদি আমার খাবার টা দিয়ে যেও। নিয়ে আসছি দাদাভাই। সুপ্রিয়া খাবার দিয়ে আবার কিচেনে চলে গেলো। ছায়া কিচেন থেকে বের হয়ে এসে ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসলো। মাহীন তোমার কোচিং ক্লাস গুলো সব ঠিকমতো করছো তো? হ্যা কাকিমা। তোমার যদি কোনো বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে দেবনাথ বাবুকে জানাবে। ঠিক আছে কাকিমা। কাকুকে দেখছি না কাকিমা বাসায় নেই নাকি। হ্যা সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে নাস্তা না করে সারাক্ষণ খালি বিজনেস নিয়ে পড়ে থাকে। নিজের শরীরের প্রতি কোনো রকম খেয়াল আছে তার। কত করে বললাম নাস্তা করে বের হও বলে কিনা বাহিরে খেয়ে নিবে আমার কোনো কথা শুনে তোমার কাকু। ছায়া চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তার রুমের দিকে গেলো। মাহীনের সকালের নাস্তা খাওয়া শেষ। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের রুমের দিকে গেলো মাহীন। রুমে ঢুকে বিছানায় বসতেই সকাল বেলার আলসেমি কাটানোর জন্য সিগারেটের নেশার ভূত মাথায় চেপে বসলো মাহীনের । বিছানা উঠে দাঁড়িয়ে মানিব্যাগ টা টাওজারের পকেটের মধ্যে ঢুকিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো মাহীন। বাসার দরজার দিকে এগিয়ে এসে দরজা টা খুলে সুপ্রিয়াকে ডাক দিলো মাহীন, সুপ্রিয়াদি দরজা টা লাগিয়ে দাও আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি। দাদাভাই আপনি যান আমি লাগিয়ে দিচ্ছি। মাহীন বাসা থেকে বের হয়ে দ্রুত গতিতে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে বিল্ডিং থেকে বের হয়ে গেলো। বিল্ডিং থেকে খানিকটা দূরে এসে টঙ্গয়ের টুলে বসে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট নিয়ে। সিগারেটে আগুন ধরিয়ে টানতে লাগলো মাহীন। সিগারেটের ধোয়ায় কুণ্ডলী আশপাশটা ভরে গেল। আর দুষিত বায়ুতে নিঃশ্বাস টানতে হচ্ছে দেখে খুব বিরক্ত লাগলো মাহীনের। আর আনমনে ভাবতে লাগলো কেন যে আমার মত মানুষগুলো সিগারেট খায়? অযথাই কেন যে আশপাশের পরিবেশটাকে দূষিত করে? আমার মত বোকাগুলো এর মাঝে কি সুখ খুঁজে পায় আমারও বুঝে আসেনা। তবুও সিগারেটের নেশা ছাড়ে না সবাই অপদার্থের মত খেয়ে যায়। মাহীন সিগারেট টানতে টানতে বর্ষাকে ফোন করলো। কয়েকবার রিং হওয়ার পর কল টা রিসিভ করলো বর্ষা। হ্যালো বর্ষাদি। হ্যা বল মাহীন। কেমন আসো তুমি? আমি ভালো আসি। তোর কি খবর। আমিও ভালো আসি। বর্ষাদি হোস্টেলে থাকতে তোমার কোনো সমস্যা হচ্ছে নাতো? নারে ভালোই আসি আমি। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাবে কিন্তু। হ্যা অবশ্যই। বর্ষাদি তুমি কবে ফ্রী আসো কাকু আর কাকিমা তোমাকে বাসায় নিয়ে যেতে বলেছেন। আচ্ছা আমার যেদিন ক্লাস থাকবে না , সেদিন তোকে ফোন করে জানাবো। ঠিক আছে তাহলে আমাকে ফোন দিও তোমাকে হোস্টেল থেকে বাসায় নিয়ে যাবো। আচ্ছা ঠিক আছে, আমি এখন রাখছি মাহীন ক্লাসে স্যার চলে এসেছে। তুমি ভার্সিটিতে নাকি বর্ষাদি? হ্যা রে। আচ্ছা ক্লাস করো।
কল টা কেটে দিয়ে
বিল চুকিয়ে বাসার পথ ধরলো মাহীন। প্রথমে তোমাদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে আমি ক্লাস শুরু করছি। বর্ষার আজকে ভার্সিটিতে প্রথম ক্লাস। বর্ষার ডিপার্টমেন্টের একজন প্রফেসর ক্লাস নিসছেন। ভবিষ্যতে তোমাদের সফল হতে হলে অবশ্যই মনের মধ্যে আশা থাকা লাগবে। আশা কথাটি সম্ভাবনার প্রতীক । আশা আছে বলেই জীবনে প্রাণের সঞ্চার আছে। হতাশাগ্রস্ত জীবন মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। শত প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও আশা পরিত্যাগ না করে সামনের দিকে এগিয়ে চলাই হলো সফলতার চাবিকাঠি।
মাহীন তার রুম থেকে বের হয়ে ডাইনিং রুমে ঢুকে ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসলো। সুপ্রিয়াদি আমার খাবার টা দিয়ে যেও। নিয়ে আসছি দাদাভাই। সুপ্রিয়া খাবার দিয়ে আবার কিচেনে চলে গেলো। ছায়া কিচেন থেকে বের হয়ে এসে ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসলো। মাহীন তোমার কোচিং ক্লাস গুলো সব ঠিকমতো করছো তো? হ্যা কাকিমা। তোমার যদি কোনো বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে দেবনাথ বাবুকে জানাবে। ঠিক আছে কাকিমা। কাকুকে দেখছি না কাকিমা বাসায় নেই নাকি। হ্যা সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে নাস্তা না করে সারাক্ষণ খালি বিজনেস নিয়ে পড়ে থাকে। নিজের শরীরের প্রতি কোনো রকম খেয়াল আছে তার। কত করে বললাম নাস্তা করে বের হও বলে কিনা বাহিরে খেয়ে নিবে আমার কোনো কথা শুনে তোমার কাকু। ছায়া চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তার রুমের দিকে গেলো। মাহীনের সকালের নাস্তা খাওয়া শেষ। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের রুমের দিকে গেলো মাহীন। রুমে ঢুকে বিছানায় বসতেই সকাল বেলার আলসেমি কাটানোর জন্য সিগারেটের নেশার ভূত মাথায় চেপে বসলো মাহীনের । বিছানা উঠে দাঁড়িয়ে মানিব্যাগ টা টাওজারের পকেটের মধ্যে ঢুকিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো মাহীন। বাসার দরজার দিকে এগিয়ে এসে দরজা টা খুলে সুপ্রিয়াকে ডাক দিলো মাহীন, সুপ্রিয়াদি দরজা টা লাগিয়ে দাও আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি। দাদাভাই আপনি যান আমি লাগিয়ে দিচ্ছি। মাহীন বাসা থেকে বের হয়ে দ্রুত গতিতে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে বিল্ডিং থেকে বের হয়ে গেলো। বিল্ডিং থেকে খানিকটা দূরে এসে টঙ্গয়ের টুলে বসে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট নিয়ে। সিগারেটে আগুন ধরিয়ে টানতে লাগলো মাহীন। সিগারেটের ধোয়ায় কুণ্ডলী আশপাশটা ভরে গেল। আর দুষিত বায়ুতে নিঃশ্বাস টানতে হচ্ছে দেখে খুব বিরক্ত লাগলো মাহীনের। আর আনমনে ভাবতে লাগলো কেন যে আমার মত মানুষগুলো সিগারেট খায়? অযথাই কেন যে আশপাশের পরিবেশটাকে দূষিত করে? আমার মত বোকাগুলো এর মাঝে কি সুখ খুঁজে পায় আমারও বুঝে আসেনা। তবুও সিগারেটের নেশা ছাড়ে না সবাই অপদার্থের মত খেয়ে যায়। মাহীন সিগারেট টানতে টানতে বর্ষাকে ফোন করলো। কয়েকবার রিং হওয়ার পর কল টা রিসিভ করলো বর্ষা। হ্যালো বর্ষাদি। হ্যা বল মাহীন। কেমন আসো তুমি? আমি ভালো আসি। তোর কি খবর। আমিও ভালো আসি। বর্ষাদি হোস্টেলে থাকতে তোমার কোনো সমস্যা হচ্ছে নাতো? নারে ভালোই আসি আমি। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাবে কিন্তু। হ্যা অবশ্যই। বর্ষাদি তুমি কবে ফ্রী আসো কাকু আর কাকিমা তোমাকে বাসায় নিয়ে যেতে বলেছেন। আচ্ছা আমার যেদিন ক্লাস থাকবে না , সেদিন তোকে ফোন করে জানাবো। ঠিক আছে তাহলে আমাকে ফোন দিও তোমাকে হোস্টেল থেকে বাসায় নিয়ে যাবো। আচ্ছা ঠিক আছে, আমি এখন রাখছি মাহীন ক্লাসে স্যার চলে এসেছে। তুমি ভার্সিটিতে নাকি বর্ষাদি? হ্যা রে। আচ্ছা ক্লাস করো।
কল টা কেটে দিয়ে
বিল চুকিয়ে বাসার পথ ধরলো মাহীন। প্রথমে তোমাদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে আমি ক্লাস শুরু করছি। বর্ষার আজকে ভার্সিটিতে প্রথম ক্লাস। বর্ষার ডিপার্টমেন্টের একজন প্রফেসর ক্লাস নিসছেন। ভবিষ্যতে তোমাদের সফল হতে হলে অবশ্যই মনের মধ্যে আশা থাকা লাগবে। আশা কথাটি সম্ভাবনার প্রতীক । আশা আছে বলেই জীবনে প্রাণের সঞ্চার আছে। হতাশাগ্রস্ত জীবন মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। শত প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও আশা পরিত্যাগ না করে সামনের দিকে এগিয়ে চলাই হলো সফলতার চাবিকাঠি।