24-10-2023, 10:12 AM
ওই ঘটনার পর কয়েকদিন কেটে গেছে। সোহিনী যতসম্ভব অম্লানকে এড়িয়ে চলে। সোহিনীর ধারণা ও পাত্তা না দিলে অম্লান নিজের ভুল বুঝতে পারবে এবং ভবিষ্যতে এমন করবে না।
অম্লানও সোহিনীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। অফিস থেকে ফিরে আর সোহিনীর খোঁজখবর নেয় না। অম্লান চায়, সোহিনী বুঝুক যে অম্লান ওকে চায়, আর নিজে এসে ধরা দিক। অযথা ভালোমানুষি করে লাভ নেই, বেশি ঝুঁকি নিয়েও নেই।
সোহিনী নিজেকে আরো গুটিয়ে নিয়েছে। সারাদিন টুকটাক বাড়ির কাজ করে আর সন্ধে বেলা অম্লান বাড়ি ফেরার আগে নিজের বেডরুমে চলে যায়। সেখানে সে গান শোনে, মোবাইল দেখে, কিংবা শুধু বসে থাকে। অনিক দোকান থেকে ফিরলে তখন একটু কথা হয়, মুলত দোকানের কথা, অনিক দোকান নিয়ে খুব চিন্তিত। কখনো ভাবে সাইডে কোল্ডড্রিংস , চিপস রাখবে, কখনো ভাবে ফটোকপি মেশিন রাখবে।
বাবার দোকান, তাই ব্যবসার সব সিদ্ধান্ত একা একা নেওয়া যায় না। একদিন অনিক রাতে খাওয়ার সময় বলল, ও ভাবছে দোকানে চিপস্ কোল্ডড্রিংস রাখবে। "ফটোকপি মেশিন রাখলে ভালো হতো কিন্তু সেটার অনেক দাম।"
অম্লান বলে উঠলো, "ফটোকপি মেশিনে লাভ হবে না। আশেপাশে কলেজ, কলেজ, কোচিং সেন্টার, সরকারি অফিস এসব থাকলে ফটোকপি মেশিন বসিয়ে লাভ। তুই স্টিল ছবি থেকে Instagram Reels বানানো হয়, YouTube এর জন্য ভিডিও এডিট করা হয়, এসব বিজ্ঞাপন দে। দোকানের বাইরে ব্যানার দে আমরা ওয়েডিং ফটোগ্রাফি আর ওয়েবসাইটের একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। তোকে নতুন নতুন জিনিস চেষ্টা করতে হবে। নিজে একা একা সব না পারলে কিছু কাজ সোহিনীকে দে। আমার তো মনে হয় সোহিনীকে দায়িত্ব দিলে ও ঠিক পারবে।"
অনিক খানিকটা বিরক্ত হয়েই বললো, "সোহিনী ফটোগ্রাফির কি বোঝে! আর দুম করে আমি ওসব কাজ কোথায় পাব?"
"সোহিনীকে বল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ভিডিও এডিটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করতে। ও সময় সুযোগ মতো অ্যাপ্লাই করতে থাকবে । তবে অ্যাপ্লাই করলেই পাওয়া যাবে না, সময় লাগবে। দেখ ভাই তোর দোকান তুই কিভাবে চালাবি সেটা তোকেই ঠিক করতে হবে। তবে শুধু স্টিল ছবির ভরসায় দোকান চলবে না। কোল্ডড্রিংস এর ব্যবসা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, যদি ভালো বুঝিস তাহলে কর।"
রাতে অনিক খুশি মনে সোহিনীকে বললো, "যাক এবার দোকানে কোল্ডড্রিংস, চিপস্ রাখতে পারবো। দাদা হ্যাঁ করলো বলে বাবাও কিছু বললো না। ব্যবসায় লাভ হলে দাদার টাকা শোধ করতে শুরু করবো।"
"তুমি অম্লানদার থেকে টাকা ধার করেছ? কবে? কেন?" সোহিনীর গলায় বিস্ময়।
"বিয়ের সময় টাকা ধার দিয়েছিল। ভিডিও এডিটিং এর কোর্সের টাকা দিয়েছে। দোকানে দাদা যত কাজ এনে দেয়, প্রত্যেকটার জন্য ২০% কমিশন নেয়। কোনো টাকা দাদা এখনও ফেরত নেয় নি, সব খাতায় ধার হিসেবে দেখানো আছে। কিছুদিন আগে দোকানের ল্যাপটপ খারাপ হয়েছিল, দাদা একটা অ্যাপেলের ল্যাপটপ এনে দিল। কিন্তু দাম তো পরে আমাকেই দিতে হবে।" অয়নের গলায় দুশ্চিন্তা ।
"আমি কি কোনো ভাবে তোমাকে সাহায্য করতে পারি? "
"ফ্রিল্যান্সিং এ কিছু কাজ পাবার চেষ্টা করো। দাদার থেকে জেনে নাও কি করতে হবে। কিছু কাজ পেলে খুব উপকার হবে।"
"দাদার কাছে কেন যেতে হবে, তুমি আমাকে শিখিয়ে দাও "
"তোমার কাজ করার ইচ্ছে নেই। কাজের ইচ্ছে থাকলে শেখার জন্য লোক কত কিছু করে। বাদ দাও, তোমার দ্বারা হবে না"
"না যদি এর জন্যও টাকা চায়!"
"তোমার থেকে মনে হয় না টাকা চাইবে।"
সেটাই তো সোহিনীর সমস্যা, টাকা চাইলে তাও একরকম ছিল।
অম্লানও সোহিনীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। অফিস থেকে ফিরে আর সোহিনীর খোঁজখবর নেয় না। অম্লান চায়, সোহিনী বুঝুক যে অম্লান ওকে চায়, আর নিজে এসে ধরা দিক। অযথা ভালোমানুষি করে লাভ নেই, বেশি ঝুঁকি নিয়েও নেই।
সোহিনী নিজেকে আরো গুটিয়ে নিয়েছে। সারাদিন টুকটাক বাড়ির কাজ করে আর সন্ধে বেলা অম্লান বাড়ি ফেরার আগে নিজের বেডরুমে চলে যায়। সেখানে সে গান শোনে, মোবাইল দেখে, কিংবা শুধু বসে থাকে। অনিক দোকান থেকে ফিরলে তখন একটু কথা হয়, মুলত দোকানের কথা, অনিক দোকান নিয়ে খুব চিন্তিত। কখনো ভাবে সাইডে কোল্ডড্রিংস , চিপস রাখবে, কখনো ভাবে ফটোকপি মেশিন রাখবে।
বাবার দোকান, তাই ব্যবসার সব সিদ্ধান্ত একা একা নেওয়া যায় না। একদিন অনিক রাতে খাওয়ার সময় বলল, ও ভাবছে দোকানে চিপস্ কোল্ডড্রিংস রাখবে। "ফটোকপি মেশিন রাখলে ভালো হতো কিন্তু সেটার অনেক দাম।"
অম্লান বলে উঠলো, "ফটোকপি মেশিনে লাভ হবে না। আশেপাশে কলেজ, কলেজ, কোচিং সেন্টার, সরকারি অফিস এসব থাকলে ফটোকপি মেশিন বসিয়ে লাভ। তুই স্টিল ছবি থেকে Instagram Reels বানানো হয়, YouTube এর জন্য ভিডিও এডিট করা হয়, এসব বিজ্ঞাপন দে। দোকানের বাইরে ব্যানার দে আমরা ওয়েডিং ফটোগ্রাফি আর ওয়েবসাইটের একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। তোকে নতুন নতুন জিনিস চেষ্টা করতে হবে। নিজে একা একা সব না পারলে কিছু কাজ সোহিনীকে দে। আমার তো মনে হয় সোহিনীকে দায়িত্ব দিলে ও ঠিক পারবে।"
অনিক খানিকটা বিরক্ত হয়েই বললো, "সোহিনী ফটোগ্রাফির কি বোঝে! আর দুম করে আমি ওসব কাজ কোথায় পাব?"
"সোহিনীকে বল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ভিডিও এডিটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করতে। ও সময় সুযোগ মতো অ্যাপ্লাই করতে থাকবে । তবে অ্যাপ্লাই করলেই পাওয়া যাবে না, সময় লাগবে। দেখ ভাই তোর দোকান তুই কিভাবে চালাবি সেটা তোকেই ঠিক করতে হবে। তবে শুধু স্টিল ছবির ভরসায় দোকান চলবে না। কোল্ডড্রিংস এর ব্যবসা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, যদি ভালো বুঝিস তাহলে কর।"
রাতে অনিক খুশি মনে সোহিনীকে বললো, "যাক এবার দোকানে কোল্ডড্রিংস, চিপস্ রাখতে পারবো। দাদা হ্যাঁ করলো বলে বাবাও কিছু বললো না। ব্যবসায় লাভ হলে দাদার টাকা শোধ করতে শুরু করবো।"
"তুমি অম্লানদার থেকে টাকা ধার করেছ? কবে? কেন?" সোহিনীর গলায় বিস্ময়।
"বিয়ের সময় টাকা ধার দিয়েছিল। ভিডিও এডিটিং এর কোর্সের টাকা দিয়েছে। দোকানে দাদা যত কাজ এনে দেয়, প্রত্যেকটার জন্য ২০% কমিশন নেয়। কোনো টাকা দাদা এখনও ফেরত নেয় নি, সব খাতায় ধার হিসেবে দেখানো আছে। কিছুদিন আগে দোকানের ল্যাপটপ খারাপ হয়েছিল, দাদা একটা অ্যাপেলের ল্যাপটপ এনে দিল। কিন্তু দাম তো পরে আমাকেই দিতে হবে।" অয়নের গলায় দুশ্চিন্তা ।
"আমি কি কোনো ভাবে তোমাকে সাহায্য করতে পারি? "
"ফ্রিল্যান্সিং এ কিছু কাজ পাবার চেষ্টা করো। দাদার থেকে জেনে নাও কি করতে হবে। কিছু কাজ পেলে খুব উপকার হবে।"
"দাদার কাছে কেন যেতে হবে, তুমি আমাকে শিখিয়ে দাও "
"তোমার কাজ করার ইচ্ছে নেই। কাজের ইচ্ছে থাকলে শেখার জন্য লোক কত কিছু করে। বাদ দাও, তোমার দ্বারা হবে না"
"না যদি এর জন্যও টাকা চায়!"
"তোমার থেকে মনে হয় না টাকা চাইবে।"
সেটাই তো সোহিনীর সমস্যা, টাকা চাইলে তাও একরকম ছিল।
অতসী বন্দোপাধ্যায়