21-10-2023, 06:38 AM
<><><><><><><><>
পুর্ব কথন
<><><><><><><><>
সময়ের হিসেব হারিয়ে গেছে। মাসের ঐ কটা দিন পেরোলে, আমার খুব কষ্ট হয়। শরীর মন আনচান করে। কিই বা বয়স আমার? এই ৪৫ পেরোলো। ২২ বছরে বিয়ে হয়েছিলো, ২৩ বছর চুটিয়ে সংসার করেছি।একটা ছেলে ২২ বছরের। মেয়েটা ১৮ হলো। সবে ১২ ক্লাস পাশ করে কলেজে। বি.বি.এ. পড়ার জন্যে, কলকাতার হস্টেলেই থাকে; মাসে একবার বাড়ি আসে। ছেলে; কলকাতায় বি.বি.এ. শেষ করে, গুরগ্রামে, এম.বি.এ. করছে। সুতরাং, বাড়িতে, আমি একদম একা।
আমি সুতনুকা সেন, সবাই, সুনু বলে ডাকে। আমার স্বামী; অনিকেতের সঙ্গে ক-মাস আগেও, চুটিয়ে সংসার করেছি।
২৩ বছরের বিবাহিত জীবনে; কোনোদিন, রঙের ঘাটতি ছিলো না। কিন্তু,
কিন্তু, হঠাৎ চার মাস আগে, এক ঝটকায়; সব পালটে গেলো। একদিন সকালে; ব্রেকফাস্ট করে, অনি বেরিয়ে গেলো গাড়ী করে। তারপর … তারপর বেলা দশটায়; ল্যান্ড লাইনে ফোন বাজলো, … "ক্রিড়িং ক্রিড়িং" … এটা অফিস থেকে দেওয়া ফোন। অফিস থেকেই ফোন করে। 'কি হলো রে বাবা! সে তো ঠিক সময়েই বেরিয়ে গেছে।' ভাবতে ভাবতে; ফোন তুললাম, 'হ্যালো' বলার আগেই, ওদিক থেকে ত্রস্ত আওয়াজ পেলাম; "ম্যাডাম, গাড়ী পাঠানো হয়েছে, শিগগিরই প্ল্যান্ট হসপিটালে চলে আসুন বড় সাহেবের অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে।" অনি, আমার হাসব্যান্ড অনিকেত, হলদিয়া প্ল্যান্টের চিফ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সবাই খুব ভালোবাসে বড় সাহেবকে। নিচে, গাড়ির আওয়াজ পেলাম। আমি; নিজের দিকে একবার তাকিয়ে, দরজা বন্ধ করে, লিফটের দিকে এগোলাম।
নিচে ড্রাইভার, গাড়ির দরজা খুলে দিলো, আমি যন্ত্রের মতো নিজেকে ছুঁড়ে দিলাম গাড়ির ভেতর। গাড়ি হসপিটালের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালো। আমার হাত ধরে নামালো কল্পনা। মিস কল্পনা দত্ত অনির পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
জায়গাটায় ভিড় দেখে আমার মনে 'কু' গাইতে লাগলো। ইমার্জেন্সির দিকে যেতে না যেতেই, সুপার; আমাকে গাইড করে নিয়ে এলেন ও.টি.-র দিকে। সামনে দাঁড়ানো ভিড়টা দুভাগ হয়ে রাস্তা করে দিলো। আমি পৌঁছে গেলাম লাল আলোর সামনে। অনন্ত কালের, আসলে কয়েক মিনিটের প্রতীক্ষা। আলোটা নিভে গেলো। দরজা খুলে, বেরিয়ে এলেন ডক্টর, "আই অ্যাম এক্সট্রিমলি সরি। হি ইজ নো মোর।" মাথাটা নিচু করে হাতের সার্জিক্যাল গ্লাভসটা খুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আমার চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেল। আমি আর কিছু জানি না।
জ্ঞান ফিরতে নিজেকে আবিষ্কার করলাম হসপিটালের কেবিনে। দু-তিন জন নার্স ডক্টর আমার চারপাশে। কল্পনা আমার একটা হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমার জ্ঞান ফিরেছে বুঝতে পেরে, একজন ডক্টর এগিয়ে এলেন। আমার পালস চেক করে, চোখের কোল দুটো টেনে বললেন, "থ্যাঙ্ক গড! মিসেস সেন। আপনি ভালো আছেন তো?" আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলাতে একজন নার্সকে ইশারা করলেন আমাকে উঠে বসাতে। আমার পিঠের নিচে সাপোর্ট দিয়ে, আমাকে আধশোয়া করে বসিয়ে দিলো। কিছুক্ষণ বাদে ডক্টর আর নার্সরা চলে গেলেন। ঘরে আমি আর কল্পনা।
কল্পনা আমার হাত ধরে টুলে বসে ছিলো। এখন আস্তে আস্তে বলতে শুরু করলো, "ম্যাডাম, আপনাকে এখন শক্ত হতে হবে। আপনার সামনে, অনেক কাজ। এই মুহূর্তে, অবশ্য, আপনার করণীয় কিছু নেই। অ্যাডমিন সাহেব; যেখানে যা করার করে দিয়েছেন।
আপনাদের মেয়ে ভদ্রাকে কলকাতা অফিস জানিয়েছে যে, আপনি অসুস্থ। অলরেডি শি হ্যাজ লেফট ক্যালকাটা বাই কার; প্রোভাইডেড বাই আওয়ার ক্যালকাটা অফিস। এসকর্টেড বাই আওয়ার সিনিয়র মোস্ট রিলায়েবল ড্রাইভার। শি উইল রিচ হলদিয়া বাই ইভনিং। রেক্ট্রর অফ হার কলেজ ইস ইনফর্মড অ্যাবাউট দ্য অ্যাকচুয়াল সিচুয়েশন। এ ফিফটিন ডেজ লিভ ইজ আস্কড।
ভির এখন দিল্লিতে; কোম্পানির গেস্ট হাউসে। অ্যাভেলেবেল প্রথম ফ্লাইটে কলকাতায় পৌঁছবে। দেন বাই কার। সম্ভবত কাল বারোটার মধ্যে এসে যাবে। ভিরের ইন্সটিটিউটকেও বলা হয়েছে, ১৫ দিনের ছুটি চাই।
দু'ভাইবোনকেই বলা হয়েছে, আপনি অসুস্থ। স্যারের কথা জানে না। জানলে, জার্নি করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
স্যারের দাদা খবর পেয়েছেন। ওনারা স্টার্ট করেছেন। পৌঁছে যাবেন। আপনি চাইলে এখন বাড়ি যেতে পারেন। অথবা এখানেই রেস্ট নিতে পারেন। কিন্তু, আমি সাজেস্ট করবো বাড়িতে থাকা। আপনি প্রাইভেসি পাবেন। ভদ্রা সন্ধ্যার মধ্যে পৌঁছে যাবে। য়্যু হাভ টু অ্যাকম্পানি হার। বাবার খবরটা জানার পর একমাত্র আপনিই পারবেন ওকে সামলাতে।
কল্পনা এতক্ষণ যা বলছিলো, শুনে যাচ্ছিলো তনু। মাথা কাজ করছিলো না। শেষ কথাটায়, মাথায় যেন বাজ পড়লো। ভদ্রা! ভদ্রাকে কে সামলাবে? বাপি অন্ত প্রাণ। সারাক্ষণ বাপি, বাপি আর বাপি। এই গায়ে পড়ছে। এই পিঠে উঠছে, এই গলা ধরে ঝুলছে। উইকেন্ডে এলে, বাবার কাছ ছাড়া হতো না যে মেয়ে; বাবা নেই, শুনলে কি করবে? কে সামলাবে? আধ শোয়া অবস্থা থেকে, সোজা হয়ে বসলো। কল্পনার হাতটা চেপে ধরে বললো, - "আমি বাড়ি যাবো।" কল্পনা উঠে গেলো। ডক্টরকে খবর দিতে।
ডক্টর চলে এলেন সঙ্গে সঙ্গেই। সাথে প্ল্যান্টের কয়েক জন হাই অফিশিয়াল। ডক্টর দেখে বললেন, ঠিক আছে ম্যাডাম। আপনি বাড়ি যেতে পারেন। তবে একা থাকবেন না। সঙ্গে যেন কেউ থাকে। আর কোনো অসুবিধা মনে হলে ফোন করতে দ্বিধা করবেন না।
চিফ পারসোনাল ম্যানেজার এগিয়ে এলেন। - "মিসেস সেন! আমরা আন্তরিক দুঃখিত। এ রকম একটা হৃদয় বিদারক ঘটনার জন্য; আমরা কেউই, প্রস্তুত ছিলাম না। উই কান্ট ইম্যাজিন; দিস টাইপ অফ ইন্সিডেন্ট, ক্যান বি হ্যাপেনড আউট অফ ব্লু। দিস ইজ আ লস টু দ্য নেশন।
অ্যাকসিডেন্টাল ডেথ। কোনো ভাবেই আমরা পোস্ট মর্টেম আঁটকাতে পারিনি। আর; আপনাদের ছেলের জন্য, আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে। হি উইল রিচ বাই থার্টিন ও'ক্লক ট্যুমরো। পোলিশ ডিপার্টমেন্ট আমাদের কথা দিয়েছে; অল ফরম্যালিটিজ উইল বি ডান বাই দেন। যেহেতু এটা অন ডিউটি অ্যাকসিডেন্ট, সমস্ত কিছুই অ্যাডমিন ডিপার্টমেন্ট দেখবে। মিস দত্ত উইল অ্যাকমপ্যানি য়্যু টিল দ্য কমপ্লিশন অফ অল অফিশিয়াল ফরম্যালিটিজ। আমাদের একান্ত অনুরোধ, আপনি ভেঙে পড়বেন না।
আপনার দুই সন্তানকে সামলানোর দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। আমরা, এটা কোনো ভাবেই ম্যানেজ করতে পারবো না। ওরা এখনও বাবার মৃত্যু সংবাদ পায়নি। সুতরাং, দ্যাট উইল বি আ আট্টার শক ট্যু দেম।
✪✪✪✪✪✪
ভদ্রার গাড়ি তখন মাঝ রাস্তায়। মাঝখানে জল তেষ্টা পাওয়ায়, ড্রাইভার কাকু দুটো এক লিটার জলের বোতল এনে দিয়েছে। তারপর থেকে একটু করে জল খাচ্ছে আর চিন্তা গুলোকে গুছিয়ে নিচ্ছে। প্রথম কথা, বাপির অফিসের গাড়ি ডাকাতের মতো উঠিয়ে, উর্ধশ্বাসে দৌড়োচ্ছে হলদিয়ার দিকে; কেন? দ্বিতীয়ত, দু ঘন্টার ওপর হয়ে গেল, বাপি একবার ম্যাসেজ করেও জানতে চাইলো না সে কতদূর পৌঁছেছে। আর কত দেরী হবে। তৃতীয়ত, ফাদার রেক্টর নিজে এসে তাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে গেছেন, হুইচ ইজ ভেরি আনকমন। কোনো পিয়নকে দিয়ে তাকে চেম্বারে ডাকিয়ে নিতে পারতেন। শুধু তাই না; একেবারে যেন, গাড়ির ড্রাইভার কাকুর হাতে জমা করে গেছেন।
কি যেন অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠলো ভদ্রা। শীত করছে। - "কাকু। এ.সি. বন্ধ করে কাঁচ নামিয়ে দাও। শীত করছে।" - কোনো প্রশ্ন না করে, নিঃশব্দে কাঁচ নামিয়ে দিলো। মুখে কথা নেই। শক্ত দুটো হাত, স্টিয়ারিং ধরে আছে। চোখ রাস্তায়।
বাইরের গরম হাওয়ায়, শীত ভাব কেটে যেতে, চিন্তা গুলো আবার চলতে শুরু করলো। তবে কি? মায়ের সিরিয়াস কিছু? মা কি নেই? দম বন্ধ হয়ে আসছে ভদ্রার। দাঁতে দাঁত চেপে, হাত দুটো মুঠো করে, আপ্রাণ চেষ্টা করছে নিঃশ্বাস নেওয়ার। একটু স্থির হতেই মাথাটা কাজ করতে শুরু করলো। ফাদার রেক্টর স্যার নিশ্চয়ই কিছু জানেন। না হলে, আমার পারসোন্যাল কেয়ার; গাড়ি অবধি পৌঁছে দেওয়া। দেখি!
ব্যাগ থেকে ফোনটা বার করে, রেক্টর স্যারের নম্বর ডায়াল করলাম। রিং হচ্ছে; ভারি গলার আওয়াজ পেলাম,
- ………… হিয়ার!
- স্যার, আমি সুভদ্রা বলছি;
- ইয়েস মাই চাইল্ড,
- আপনি জানেন স্যার,
- ইয়েস মাই বেবি, হি ইজ নো মোর,
- হোয়াট? হু?
- কন্ট্রোল ইয়োরসেলফ মাই চাইল্ড, ইয়োর ফাদার ইজ নো মোর, … হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেলো, কি শুনলাম? বাপি? বুক ঝাপিয়ে কান্না এলো, ও-ফ-ফ-স, … ফোনের স্পিকার থেকে আওয়াজ আসছে, শুনতে পাচ্ছি, … সুভদ্রা, সুভদ্রা, বেবি, মাই চাইল্ড কেটে গেলো,
ঠিক দু মিনিটের মাথায়, ড্রাইভার কাকুর ফোনটা, ভাইব্রেট করা শুরু করলো। একবার তাকিয়ে দেখলেন, দক্ষ হাতে স্টিয়ারিং কাটিয়ে 'লো' লেনে নিয়ে এলেন। রিসিভ করে বাঁ কানে ধরলেন, ওয়ান সাইড শুনতে পাচ্ছি।
- স্যার,
-
- না। মিসিবাবা ঠিক আছেন।
-
- এক ঘন্টা,
-
-
- আচ্ছা। একরানে।
ফোনটা রেখে; স্টিয়ারিং-এর নিখুঁত টানে আবার টপ লেন। পারমিটেড স্পিডের চেয়ে একটু বেশীই মনে হলো। মাথার পেছনে দুটো হাত দিয়ে বডিটা এলিয়ে দিলাম। স্পিডোমিটারটা মাঝে মাঝেই ১০০ পেরিয়ে যাচ্ছে।
মাথার ভেতরটা; মনে হচ্ছে, ফেটে যাবে। এলোমেলো চিন্তার ঝড় উঠেছে মনে। … কুল! … বেবি কুল! … মাথা; ঠান্ডা রাখতে হবে, এখন। … বড় বড় শ্বাস নিতে নিতে কাউন্ট করছি। … ওয়ান … টু-উ … থ্রি-ই-ই … ফোও-ও-ওর … ফাই-ই-ই-ই-ভ … সিক্স … সে-ভে-এ-এ-এ-এন … এই-ই-ই-ট … না-ই-ই-ন … টেন! শ্বাস প্রশ্বাস চেনা ছন্দে ফিরে এলো। মাথা তুলে সোজা হয়ে বসলাম। আই মাস্ট হ্যাভ ট্যু ফেস দ্য সিচ্যুয়েশন।
ওঃ মাই ঘড! বাপি নেই। বিশ্বাসই হচ্ছে না। হাও কুড ইট বি পসিব্যল? বাট; ইট'জ আ আলিটিমেট ট্রুথ। মম? মম কোথায়? ফোনটা? ফোনটা কোথায় গেলো? এই তো! রিং হচ্ছে!
- ভদ্রা? … কল্পনা আন্টির গলা,
- মম কোথায়?
- এই তো। এখানে, ড্রয়িং রুমে। তোমার বাবার ছবির সামনে চুপ করে বসে আছে।
- মমকে দাও কথা বলবো।
- মনে হয় না বলবে। বাড়িতে আসার পর থেকে একটাও কথা বলেনি। স্পিকারে দিচ্ছি কথা বলো।
- মা! ও মা! মাগো! কথা বলো! আমি ভদ্রা। কথা বলো আমি আসছি। কাকু কতক্ষণ? দশ মিনিট আচ্ছা আমি আসছি মা পনেরো মিনিটে পৌঁছে যাবো। আমি ঠিক আছি। তুমি চিন্তা করো না।
✪✪✪✪✪✪
ভির গেস্ট হাউসের ঘরে নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে। গুরগাঁও থেকে যখন বেরিয়েছে, কিছুই জানতো না। গাড়িতে বসেই পাপাকে ফোন করেছে। বেজে গেছে পাপা ধরেনি, অগত্যা মামণির ফোনে, সুইচ্যড অফ। পুরোনো কলেজের বন্ধুদের একজনকে পেলো; যার বাবা প্ল্যান্টে কাজ করে। দম আঁটকে শুনলো সবটা। নিষ্প্রাণ যন্ত্রের মতো গেস্ট হাউজে ঢুকলো। সইসাবুদ করে, ঘরে গিয়ে, মাথার নিচে দুটো হাত রেখে, সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে, চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লো। মনের মধ্যে উত্তাল তুফান। টিভি চলছে। সারাক্ষণ একই ব্রেকিং নিউজ। মুখ ঘুরিয়ে, দেওয়ালের দিকে পাশ ফিরে শুলো। মামণি!
মামণি কি করছে একা একা?
✪✪✪✪✪✪
গাড়ি থামতেই, লাফিয়ে নামলো ভদ্রা। দৌড়ে লিফটে। বোতাম টিপতে গিয়ে দেখলো আঙুল কাঁপছে। উঠে এলো চার তলায়। একদৌড়ে ঘরে। মা … ওমা … মা-আ-আ! কোনো সাড়া নেই তনুর। প্রস্তর মুর্তির মতো একভাবে বসে আছে। দৃষ্টি দেওয়ালের দিকে। দৌড়ে গেলো ভদ্রা। ঝাপিয়ে পড়লো মায়ের বুকে।জড়িয়ে ধরলো। মা-মা-মা-আ-আ! থরথর করে কেঁপে উঠলো। এতক্ষণের জমা কান্নার স্রোত ভাসিয়ে দিলো মা মেয়েকে। কল্পনা দাঁড়িয়ে পাশে। কাঁদুক, কাঁদলে হালকা হবে। অবরুদ্ধ কান্নার স্রোত, যত বেরিয়ে যায়, ততই মঙ্গল।
✪✪✪✪✪✪