20-10-2023, 09:05 PM
(19-10-2023, 10:36 PM)লম্পট Wrote: প্রথম পর্বটা খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছ। এক লহমায় পড়ে ফেলার মত। বর্ণনার ধাঁচ দারুণ। প্রথমে ভেবেছিলাম গুরুচণ্ডালী করে ফেলেছ কিন্তু পরে কমেন্ট দেখে বুঝলাম সেটা গল্পের খাতিরে করা। বিশেষ যৌনতা না থাকলে এটাকে মূল সাহিত্যের ধারায় ফেলা যাবে সন্দেহ নাই।
এবার একটা বিষয় তুলে ধরছি পাঠক হিসাবে। লিখবার সময় বানান নিয়ে কিন্তু যত্নবান হওয়ার প্রয়োজন আছে। আজকাল সর্বত্র "ও কার" দেওয়ার চল হয়েছে। ছিলো, বললো, হলো/হোল/হোলো প্রভৃতি। এটা কিন্তু খুবই খারাপ অভ্যাস। ছিল, বলল, হল এগুলো হল সঠিক রূপ। আমরা যেভাবে উচ্চারণ করি সেভাবে লিখি না। তুমি নিশ্চয়ই ইংরাজীতে সাইকোলজি লিখার সময় Saikoloji লিখবে না বা S দিয়ে শুরু করবে না। এটা অত্যন্ত দুঃখের আমরা যতটা বিদেশী ভাষার বানান ও উচ্চারণ নিয়ে সচেতন তার ছিটেফোঁটা নিজের মাতৃভাষার ক্ষেত্রে দেখায় না। যেকোন পরীক্ষায় এই বাংলার বুকে ইংরেজী কম্পোজিশনের পরীক্ষা নেওয়া হয় কিন্তু বাংলা বানান বা বাংলা নিয়ে কোন পরীক্ষা হয় না। এমনিতেই আমাদের শিক্ষার মান তলানিতে। প্রতি বছর প্রথম নামের সংস্থার যে সমীক্ষা প্রকাশিত হয় তাতে যে শিক্ষার মান ফুটে উঠছে সেটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এটা ঠিক বানান বিবর্তিত হয়েছে কিন্তু কিছুটা ব্যাকরণ মানা উচিৎ। সাধুর ক্ষেত্রে তো অবশ্য মান্য। তুমি সেদিন একজন লেখকের নাম বলেছিলে তিনি তো সাধুতেও লেখেন আমি খেয়াল করেছিলাম খুবই সঠিক বানানবিধি কিন্তু উনি মেনে চলেন, চট করে ভুল ধরা যায় না আর সাধুর বানান ঠিক লেখা ভীষণ কঠিন কারণ সাধুর বানান অনেক কঠিন, শুধু খাইয়াছি, গিয়াছি বললেই সাধুরূপ আসে না। ভুল বানানের অভ্যাস সহজে যায় না। ছাপার অক্ষরে ভুল বানান ক্রমাগত নজরে পড়লে সঠিক বানান কিন্তু ভুলবে তাই আমি মনে করি লেখকদের বিশেষ করে যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।
পুজোর শুভেচ্ছা থাকল ভাই। খুব ভাল কাটুক তোমার পুজো। শারদ অভিনন্দন।
আপনি মনে হয় সাধুভাষা সম্পর্কিত লেখক হিসেবে আমা সম্পর্কে বলিয়াছেন। যথার্থ কহিয়াছেন, শুধু খাইয়াছি এবং গিয়াছি বলিলেই সাধু হয় না। তাহার বানান, তাহার শব্দচয়ন সকলই ভিন্ন হয়। সে বাঙ্গালাতে লেখে, বাংলায় নহে। তাই সাধু ও মান্য চলিত ভিন্ন। যাহা হউক আপনি যে পাঠ চলাকালীন বানান সম্পর্কে অবহিত থাকেন ইহা জানিয়া অত্যন্ত খুশী হইলাম আপনাকে বেশ কয়েকবার পাঠক হিসাবে পাইবার সৌভাগ্য আমার হইয়াছে তাই আমি জানিয়া খুশী হইলাম আপনি আমা সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করেন।
বাবান অত্যন্ত গুণী লেখক এবং তাহার পর আমার ন্যয় সে আপনারও যে সুহৃদ বিশেষ তাহা আপনাদের কথোপকথন হইতে সুবিশেষ বুঝিতে পারিতেছি। তাই ইহা সত্ত্যই হৃদি উৎফুল্ল করিল দেখিয়া আপনি তাহার লেখনী কীরূপে আরও সমৃদ্ধ করা যায় সে বিষয়ে দিশানির্দেশ করিতেছেন। তবে, সাধারণে যে ইউনিকোডে কী-বোর্ড ব্যবহার করিয়া থাকে তাহা মূলতঃ অভ্র বা সমগোত্রীয় কোন কী-বোর্ড হয় এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ইহাদের কিছু শব্দ ভুল ভাবে এনকোডিং করা থাকে যাহার ফলে ও-কার না চাহিলেও বসিয়া যায়। উপরন্তু অনেক ক্ষেত্রেই লেখককে দ্রুত গতিতে লিখিতে হয় ফলে স্বাভাবিক নিয়মে কিঞ্চিৎ এদিক-ওদিক হইবার ভয় থাকিয়ায় যায়। আপনি স্বয়ং লেখক আপনি নিজেও জানেন ফোরামে একজন শখের লেখককে টাইপিং, প্রুফ রিডিং, মুদ্রণ সহ বিবিধ কর্ম্ম করিতে হয়, ফলতঃ ভুল হইবার সম্ভাবনা বারো আনা। তাহা ব্যতিরেকে ও-কার যুক্ত বানান অত্যধিক প্রচলিত হওয়ায় অনেক সময় নজর এড়াইয়া যায়। তাই উহা লহিয়া বিশেষ মাথা ঘামাইবেন না। তবে আপনি একজন অসাধারণ পাঠক যিনি বন্ধুর খারাপ লাগিতে পারে জানিয়াও নির্দ্বিধায় তাহাকে ভ্রম সম্পর্কে সচেতন করিতে পারে। ইহাই সঠিক বন্ধুর লক্ষণ। তারিফ তো সকলেই করে, প্রকৃত সুধী সেই যে ঐ সহস্র তারিফের স্রোতে গা না এলাইয়া চক্ষে আঙ্গুল দিয়ে ভ্রম সম্পর্কে সচেতন করাইয়া দেয়। বড় ভাল লাগিল।
আমার লিখা বড় গল্প বৌদির চুমু হামি অদ্য শেষ হইল। উহাতে যদি কিঞ্চিৎ চক্ষুদান করেন বড় খুশী হইব।
শুভষষ্ঠীর শুভেচ্ছা রহিল হে লম্পট। মহানন্দে পূজা কাটুক, হাসিতে ভরিয়া উঠুক আপনার জীবন। সকল ইচ্ছা পূর্ণ হউক ইহাই মহামায়া সমীপে কামনা রহিল।