13-10-2023, 05:03 AM
(This post was last modified: 21-10-2023, 11:30 PM by Rupuk 8. Edited 7 times in total. Edited 7 times in total.)
পর্ব -২০
যে মেয়েটা নামতে পারেনি, তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অজানা স্থানে। এই রাজিবের বিরুদ্ধে হলের সিট বানিজ্য, চাঁদা, টেন্ডারবাজী, একইভাবে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এখন ক্যাম্পাসে ওপেন সিক্রেট ব্যাপার। কিন্তু রাজিবের রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না। মাইক্রোবাসের গেইট টা লাগিয়ে দিলো রাজিব। মেয়েটাকে ধরে সিনিয়র ছাত্র নেতার পাশের সিটে বসিয়ে দিলো রাজিব। রাজিব দাদা প্লিজ আমাকে যেতে দিন। যেতে তো দিবোই তোমাকে আটকিয়ে রেখে তো আর সংসার করবো না হাহাহাহা। দাদা কোথাও নিয়ে যাবো গাড়ি? সিনিয়র ছাত্র নেতা গাড়ির ড্রাইভারকে বললো। বাগান বাড়িতে নিয়ে চল। আচ্ছা দাদা। মাইক্রোবাস টা চলতে শুরু করলো। মাইক্রোসবাসের লাইট নিভানো অন্ধকার সিনিয়র ছাত্র নেতা টা বারবার মেয়েটার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু মেয়ে টা তার হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। ঘন্টা দেড়েক পর একটা সুনশান-নিস্তব্ধ জায়গায় এসে গাড়ি টা থামলো। সবার আগে রাজিব গাড়ি থেকে নামলো। তারপর মেয়ে টা নামলো। মেয়ে টা দেখতে পেলো গাড়ি টা যেখানে থেমেছে, এখানে একটাই বাড়ি আছে তাছাড়া ছাড়া আশেপাশে কোনো বাড়ি ঘর নেই। চারদিকে শুধু বড় বড় গাছ আর জঙ্গল। এখানে যদি এরা তাকে রেপ করে মেরে পুঁতে রেখে যায় তাও কেউ টের পাবে না। মেয়েটার মনে মনে ভয় পেতে লাগলো। রাজিব পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট টা বের করে একটা সিগারেট বের করে নিয়ে ধরালো। রাজিব সিগারেট টানতে টানতে মেয়েটার সামনে গিয়ে দাড়ালো। তোমার নাম কি? দাদা আমার নাম মিতা। দাদা যদি কিছু মনে না করেন একটা প্রশ্ন করতে পারি? হ্যা বলো। আমাকে এখানে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে কি কারনে জানতে পারি? কোন ইয়ার তোমার? দাদা ফাস্ট ইয়ার। ফ্রেশারদের এই এক সমস্যা সব কিছু বলে কয়ে বুঝিয়ে দেওয়া লাগে। শ্রাবণী তোমার হলে নেত্রী না? হ্যা দাদা। ওরে বলতে হবে ফ্রেশাদের যাতে আলাদা করে ক্লাস নেয়। কিসের ক্লাস দাদা? শুনো আমি সোজাসাপটা কথা বলতে পছন্দ করি। তুমি ভালো করে বুঝতে পারছো, আমি তোমাকে এখানে এমনি এমনি নিয়ে আসিনি। হ্যা দাদা । তোমাকে সিনিয়র দাদা টা আছে তাকে খুশি করা লাগবে, তারপর তোমাকে আবার হলে রেখে আসা হবে। খুশি করা লাগবে মানে বুঝলাম না দাদা? এতো কিছু বোঝানোর সময় আমার নেই নাক্কামী কর নাকি। তুমি তো খুকী ছোট বাচ্চা না, যে কিছুই বোঝো না। তোমাকে সিনিয়র দাদার টার সাথে শুয়া লাগবে। দাদা ক্ষমা করবেন আমি ওরকম মেয়ে নয়। আমি এরকম খারাপ কাজ করতে পারবো না। আমি এখানে নিজের ইচ্ছার আসিনি দাদা, আমাকে জোর করে আপনি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে এসেছেন। তোমার কি মনে হয় আমার কথা যদি তুমি না শোনো, তাহলে তুমি এখান থেকে ফিরে যেতে পারবে হাহাহা। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বললো দাদা প্লিজ আমার জীবন টা নষ্ট করেন না। নষ্ট কয়ই করছি, তুমি যদি খুশি করতে পারো তাহলে তোমাকেও খুশি করার দায়িত্ব আমার, যাও ভালো একটা পদ দিয়ে দিবো তোমাকে। আমার কোনো পদের দরকার নেই দাদা আপনার পায়ে পড়ি আমাকে যেতে দিন এখান থেকে। পৃথিবীতে কোনো কিছুই এমনি এমনি পাওয়া যায় না, যেকোনো অর্জনের পিছনে অসংখ্য ত্যাগও রয়েছে বুঝলে। কথা আর না বাড়িয়ে দাদার সঙ্গে চুপচাপ রুমে চলে যাও। সিনিয়র ছাত্র নেতা টা গাড়ি থেকে নেমে তিনিও এতোক্ষণ সিগারেট টানছিল, ওদের দুজনের দিকে এগিয়ে আসলো। কিরে রাজিব এখানে দাড়িয়ে থাকবো নাকি ভিতরে চল। দাঁড়িয়ে কেন থাকবেন আপনি মেয়েটাকে নিয়ে ভিতরে যান আমি আসছি। আচ্ছা ঠিক আছে। মেয়েটার হাত ধরে সিনিয়র ছাত্র নেতা টা বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়লো। চারদিকে সুনশান নিরবতা ঝিঁঝি পোকার ডাক কানে আসছে রাজিবের। রাতের অন্ধকার আকাশ নির্জন পরিবেশ একটার পর একটা সিগারেট শেষ হতেই আবার ধরাছে রাজিব। সিনিয়র ছাত্র নেতা টা, মেয়ে টাকে নিয়ে যাওয়া ঘন্টা দেড়েক হয়ে গেছে। রাজিবের আর ভালো লাগছে না একা একা দাঁড়িয়ে থাকতে তাই সে বাড়ির ভিতরে ঢুকলো। বাড়ির ভিতর ঢুকে সোফায় উপর বসলো রাজিব। কিছুক্ষণ পর সিনিয়র ছাত্র নেতা টা একটা রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে আসলো। ধুর রাজিব কি সব নিয়ে আসিস এতো ন্যাকামি করে। এরপর থেকে এতো ন্যাকামি করা কোনো মেয়ে নিয়ে আসবি না। কেন দাদা? বাধা দিসে নাকি খালি বলেন। না বাধা দেয় নাই কিন্তু শালী মারার মতো খাটে পড়ে আছে। চুপচাপ মরার মতো বিছানায় শুয়ে থাকলে কার ভালো লাগে বল, দাদা আমি শালীকে এতো বুঝলাম তারপরও এমন করলো। আজকে আমার এসব করার মুড ছিল না, করবো না ভাবছিলাম। কিন্তু শালীর বেটিকে শিক্ষা না দিলে হবে না। আপনি বসেন আমি আসছি। হুম যা এমন শিক্ষা দিবি যাতে জীবনেও যাতে না ভুলে। রাজিব সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে। রুম টার দিকে গেলো। রাজিব রুমে ঢুকে দেখতে পেলো মেয়ে টা বিছানার উপর গুটিসুটি মেরে বসে আছে। কিরে তোকে না বললাম দাদাকে খুশি করার জন্য। আপনার দাদা যা করার জন্য এসেছিল তা তো করে গেছেন, এখানে আবার খুশি আর অখুশি হওয়ার কি আছে। একদম ন্যাকামি করবি না আমার সাথে। মারার মতো শুয়ে থাকতে তোকে কে বলেছে। এটা আমার প্রথমবার ছিল আমি তো আপনাকে আগেই বলেছিলাম আমি ওরকম মেয়ে নয়।
যে মেয়েটা নামতে পারেনি, তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অজানা স্থানে। এই রাজিবের বিরুদ্ধে হলের সিট বানিজ্য, চাঁদা, টেন্ডারবাজী, একইভাবে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এখন ক্যাম্পাসে ওপেন সিক্রেট ব্যাপার। কিন্তু রাজিবের রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না। মাইক্রোবাসের গেইট টা লাগিয়ে দিলো রাজিব। মেয়েটাকে ধরে সিনিয়র ছাত্র নেতার পাশের সিটে বসিয়ে দিলো রাজিব। রাজিব দাদা প্লিজ আমাকে যেতে দিন। যেতে তো দিবোই তোমাকে আটকিয়ে রেখে তো আর সংসার করবো না হাহাহাহা। দাদা কোথাও নিয়ে যাবো গাড়ি? সিনিয়র ছাত্র নেতা গাড়ির ড্রাইভারকে বললো। বাগান বাড়িতে নিয়ে চল। আচ্ছা দাদা। মাইক্রোবাস টা চলতে শুরু করলো। মাইক্রোসবাসের লাইট নিভানো অন্ধকার সিনিয়র ছাত্র নেতা টা বারবার মেয়েটার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু মেয়ে টা তার হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। ঘন্টা দেড়েক পর একটা সুনশান-নিস্তব্ধ জায়গায় এসে গাড়ি টা থামলো। সবার আগে রাজিব গাড়ি থেকে নামলো। তারপর মেয়ে টা নামলো। মেয়ে টা দেখতে পেলো গাড়ি টা যেখানে থেমেছে, এখানে একটাই বাড়ি আছে তাছাড়া ছাড়া আশেপাশে কোনো বাড়ি ঘর নেই। চারদিকে শুধু বড় বড় গাছ আর জঙ্গল। এখানে যদি এরা তাকে রেপ করে মেরে পুঁতে রেখে যায় তাও কেউ টের পাবে না। মেয়েটার মনে মনে ভয় পেতে লাগলো। রাজিব পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট টা বের করে একটা সিগারেট বের করে নিয়ে ধরালো। রাজিব সিগারেট টানতে টানতে মেয়েটার সামনে গিয়ে দাড়ালো। তোমার নাম কি? দাদা আমার নাম মিতা। দাদা যদি কিছু মনে না করেন একটা প্রশ্ন করতে পারি? হ্যা বলো। আমাকে এখানে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে কি কারনে জানতে পারি? কোন ইয়ার তোমার? দাদা ফাস্ট ইয়ার। ফ্রেশারদের এই এক সমস্যা সব কিছু বলে কয়ে বুঝিয়ে দেওয়া লাগে। শ্রাবণী তোমার হলে নেত্রী না? হ্যা দাদা। ওরে বলতে হবে ফ্রেশাদের যাতে আলাদা করে ক্লাস নেয়। কিসের ক্লাস দাদা? শুনো আমি সোজাসাপটা কথা বলতে পছন্দ করি। তুমি ভালো করে বুঝতে পারছো, আমি তোমাকে এখানে এমনি এমনি নিয়ে আসিনি। হ্যা দাদা । তোমাকে সিনিয়র দাদা টা আছে তাকে খুশি করা লাগবে, তারপর তোমাকে আবার হলে রেখে আসা হবে। খুশি করা লাগবে মানে বুঝলাম না দাদা? এতো কিছু বোঝানোর সময় আমার নেই নাক্কামী কর নাকি। তুমি তো খুকী ছোট বাচ্চা না, যে কিছুই বোঝো না। তোমাকে সিনিয়র দাদার টার সাথে শুয়া লাগবে। দাদা ক্ষমা করবেন আমি ওরকম মেয়ে নয়। আমি এরকম খারাপ কাজ করতে পারবো না। আমি এখানে নিজের ইচ্ছার আসিনি দাদা, আমাকে জোর করে আপনি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে এসেছেন। তোমার কি মনে হয় আমার কথা যদি তুমি না শোনো, তাহলে তুমি এখান থেকে ফিরে যেতে পারবে হাহাহা। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বললো দাদা প্লিজ আমার জীবন টা নষ্ট করেন না। নষ্ট কয়ই করছি, তুমি যদি খুশি করতে পারো তাহলে তোমাকেও খুশি করার দায়িত্ব আমার, যাও ভালো একটা পদ দিয়ে দিবো তোমাকে। আমার কোনো পদের দরকার নেই দাদা আপনার পায়ে পড়ি আমাকে যেতে দিন এখান থেকে। পৃথিবীতে কোনো কিছুই এমনি এমনি পাওয়া যায় না, যেকোনো অর্জনের পিছনে অসংখ্য ত্যাগও রয়েছে বুঝলে। কথা আর না বাড়িয়ে দাদার সঙ্গে চুপচাপ রুমে চলে যাও। সিনিয়র ছাত্র নেতা টা গাড়ি থেকে নেমে তিনিও এতোক্ষণ সিগারেট টানছিল, ওদের দুজনের দিকে এগিয়ে আসলো। কিরে রাজিব এখানে দাড়িয়ে থাকবো নাকি ভিতরে চল। দাঁড়িয়ে কেন থাকবেন আপনি মেয়েটাকে নিয়ে ভিতরে যান আমি আসছি। আচ্ছা ঠিক আছে। মেয়েটার হাত ধরে সিনিয়র ছাত্র নেতা টা বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়লো। চারদিকে সুনশান নিরবতা ঝিঁঝি পোকার ডাক কানে আসছে রাজিবের। রাতের অন্ধকার আকাশ নির্জন পরিবেশ একটার পর একটা সিগারেট শেষ হতেই আবার ধরাছে রাজিব। সিনিয়র ছাত্র নেতা টা, মেয়ে টাকে নিয়ে যাওয়া ঘন্টা দেড়েক হয়ে গেছে। রাজিবের আর ভালো লাগছে না একা একা দাঁড়িয়ে থাকতে তাই সে বাড়ির ভিতরে ঢুকলো। বাড়ির ভিতর ঢুকে সোফায় উপর বসলো রাজিব। কিছুক্ষণ পর সিনিয়র ছাত্র নেতা টা একটা রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে আসলো। ধুর রাজিব কি সব নিয়ে আসিস এতো ন্যাকামি করে। এরপর থেকে এতো ন্যাকামি করা কোনো মেয়ে নিয়ে আসবি না। কেন দাদা? বাধা দিসে নাকি খালি বলেন। না বাধা দেয় নাই কিন্তু শালী মারার মতো খাটে পড়ে আছে। চুপচাপ মরার মতো বিছানায় শুয়ে থাকলে কার ভালো লাগে বল, দাদা আমি শালীকে এতো বুঝলাম তারপরও এমন করলো। আজকে আমার এসব করার মুড ছিল না, করবো না ভাবছিলাম। কিন্তু শালীর বেটিকে শিক্ষা না দিলে হবে না। আপনি বসেন আমি আসছি। হুম যা এমন শিক্ষা দিবি যাতে জীবনেও যাতে না ভুলে। রাজিব সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে। রুম টার দিকে গেলো। রাজিব রুমে ঢুকে দেখতে পেলো মেয়ে টা বিছানার উপর গুটিসুটি মেরে বসে আছে। কিরে তোকে না বললাম দাদাকে খুশি করার জন্য। আপনার দাদা যা করার জন্য এসেছিল তা তো করে গেছেন, এখানে আবার খুশি আর অখুশি হওয়ার কি আছে। একদম ন্যাকামি করবি না আমার সাথে। মারার মতো শুয়ে থাকতে তোকে কে বলেছে। এটা আমার প্রথমবার ছিল আমি তো আপনাকে আগেই বলেছিলাম আমি ওরকম মেয়ে নয়।