Thread Rating:
  • 7 Vote(s) - 2.71 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
প্রেমিক থেকে প্লে বয়
#91
পরদিন সকালে আমার ঘুম একটু দেরিতে ভাঙলো।  রাতে ল্যাংটোই ছিলাম সোজা বাথরুমে ঢুকে হিসি করে ব্রাশ করতে করতে বেরিয়ে এলাম। ব্রাশ করা হয়ে যেতে দাঁড়ি কাটার সরঞ্জাম বের করে সবে মুখে করিম লাগিয়েছি আর তখনি একটা গলা শুনতে পেলাম "এমা " আমি আয়নাতে দেখি যে অশোকের বৌ হাতে চায়ের কাপ নিয়ে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ওর দিকে ফিরে বললাম তুমি চা টেবিলে রেখে দাও আর আমাকে ল্যাংটো দেখে অবাক হবার কিছু নেই আমি রাতে ল্যাংটো হয়ে ঘুমোই।  জানি তোমার খারাপ লাগছে যদি দরজাতে নক করে ঢুকতে তাহলে আমাকে ল্যাংটো দেখতে হতোনা। মিনু চা টেবিলের ওপরে রেখে কোনো কথা না বলে চলে গেলো।  আমি দাড়ি কাটতে কাটতে ভাবতে লাগলাম যদি ও অশোককে বলে ব্যাপারটা একটু অন্য রকম হবে।  যাই হোক চা খেয়ে স্নান করে রেডি হয়ে নিলাম।  মিনু আবার আমার ব্রেকফাস্ট নিয়ে ঘরে ঢুকল খাবার টেবিলে রেখে দাঁড়িয়ে রইলো।  আমি বসে নীরবে খেতে লাগলাম।  মিনু হঠাৎ আমাকে বলল - দাদা একটা কথা বলব যদি আমাকে খারাপ না ভাবেন ? 
আমি - বলো কি বলবে আমি কিছু মনে করবো না।  মিনু শুনে একটু মুচকি হেসে বলল - আপনার জিনিসটা কিন্তু খুব সুন্দর হঠাৎ দেখে আমি একটু লজ্জ্যা পেয়েছিলাম তবে আপনার শরীর সাস্থ যেমন কাপড় ছাড়া খুব ভালো লাগছিলো। 
আমি শুনে বললাম - ঠিক আছে তুমি রোজ সকালে আমার ঘরে এলে দেখতে পাবে। আমার খাওয়া শেষ মিনুকে বললাম - দেখো ওই দিদির হয়েছে কিনা।  মিনু বেরিয়ে গেলো একটু পরে মিনুর পিছনে পিছনে নীতাও ঢুকে বলল আমি রেডি হয়ে গেছি।  দেখে বললাম বেশ তাহলে আমরা বেরোই। 
ঘড়িতে দেখলাম ৮:০৫ একটু তাড়াতাড়িই হয়ে গেছে। অশোক ঘরে ঢুকে আমার ব্যাগ হাতে নিয়ে বেরোতে যাবে আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার জলখাবার খাওয়া হয়েছে ? অশোক - আমি অফিসের ক্যান্টিনে খেয়ে নেবো।  শুনেই মিনুকে বললাম - শিগগির ওর খাবার নিয়ে এসো এখানে।  অশোককে বললাম তুমি এখানে বসো খাবার খেয়ে তবে বেরোবে আর এটা যেন প্রতিদিনই হয়।  মিনু আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল - দাদা আর তো খাবার নেই এখন দোকানে গিয়ে কিনে এনে বানাতে অনেক সময় লেগে যাবে। তাছাড়া ও সকালে ঘর থেকে খেয়ে বেরোয় না ক্যান্টিনেই খেয়ে নেয়। আমি শুনে বললাম - ঠিক আছে আজকের মতো ও বাইরেই খাবে তবে কাল থেকে এখন থেকে খেয়ে তবে আমাকে নিয়ে বেরোবে।  
সোজা অফিসে এসে রিপোর্ট করলাম এডিশনাল সিইওর কাছে উনি লোক দিয়ে আমার কেবিন দেখিয়ে দিলেন।  কেবিনে ঢোকার সময় দেখি অনেক টেবিল ফাঁকা  রয়েছে বেল বাজিয়ে বেয়ারাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম - কি ব্যাপার নটা বেজে গেছে এখনো অনেক টেবিল ফাঁকা কেন ?
বেয়ারা বলল - সাড়ে নাটা দশটার ভিতর সবাই এসে যাবে।  আমাকে পুরো এডমিনিস্ট্রেশন দেখতে হবে কেননা ফাইলে দেখেছি এই ডিপার্টমেন্টে অনেক  কাজ পেন্ডিং রয়েছে আর তার ফলে এখানকার অনেকে খুব অসুবিধার মধ্যে রয়েছে। বেয়ারাকে বললাম বাকিরা এলে একে একে  আমার কাছে পাঠাবে।  
প্রথমে এক মহিলা এলেন চড়া মেকাপ করে এসেই বললেন - গুড মর্নিং স্যার আমার টেবিলে ঝুকে দাঁড়ালেন।  আমার মেজাজ খিচড়ে গেলো। 
আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম - এখন কটা বাজে ? উনি ঘড়ি দেখে বললেন দশটা মেজে গেছে।  জিজ্ঞেস করলাম - অফিস  টাইম কটায় ?
বললেন - নটা  থেকে ছটা। শুনে বললাম - আপনি কখন অফিস থেকে বেরোন ? বললেন - ঠিক ছটার সময়। 
আমি ওনাকে বললাম - কাল থেকে আপনাকে ঠিক নটাতে অফিসে ঢুকতে হবে আমি আপনার পার্সোনাল ফাইল দেখেছি যেখানে অনেক গুলো কমপ্লেইন রয়েছে।  আগামী কাল থেকে যদি ঠিক সময় না আসেন তো শোকজ নোটিস ইসু হবে।  মহিলার নাম পুতুল সরকার বয়েস ৪৫ বছর। 
এই ওএস।  আমি ওনাকে বললাম আপনি ওএস হয়েই যদি দেরি করে আসেন তো বাকিদের কি বলবেন আপনি।  এখন নিজের টেবিলে যান আর পেন্ডিং যা যা কাজ আছে  সে গুলো ক্লিয়ার করুন।  আপনাকে দুদিন টাইম দিলাম।  মিসেস সরকার মাথা নিচু করে বেরিয়ে গেলেন। 
একে একে বাকিদেরও একই কথা বলে দিলাম। 
ফোন বাজতে ওঠালাম একজন মহিলার গলা পেলাম - বললাম কে বলছেন আপনি ? আমি ডেপুটি গভর্নরের অফিসে থেকে বলছি সাহেব আপনার সাথে দেখা করতে চান। 
আমি সাথে সাথে বেরিয়ে গেলাম।  ওনার কেবিনের সামনে একজন ভদ্রলোক বসে ছিলেন।  আমি ওনাকে গিয়ে আমার নাম বলতে উনি বললেন আপনি ভিতরে যান।  আমি ভিতরে গিয়ে অভিবাদন জানিয়ে বললাম - আমাকে ডেকেছেন স্যার। উনি খাঁটি বাংলায় বললেন - আসুন সুমন বাবু বসুন।  আমি বসেই ওনাকে বললাম - আপনি আমাকে বাবু বলবেন না আমার নাম ধরে তুমি করে বলবেন। কেবিনে ঢোকার সময় কেবিনের দরজায় নাম প্লেটে  লেখা - আসিস দেব।  দেব সাহেব বললেন - ঠিক আছে সুমন বলেই ডাকবো।  তোমার নাম শুনে ভেবেছিলাম যে বেশ হোমরাচোমরা  কেউ হবে কিন্তু এতো দেখছি যে তোমার বয়েস তো মেশ কম। আমি হেসে বললাম - আমার এখন ২৫ বছর আর একমাস বাদেই ২৬সে হবে। দেব বললেন - আমার খুব ভালো লাগছে যে একজন বাঙালি এই অল্প বয়েসেই এতটা গুরুত্ত পেয়েছে আমি তোমার আরো উন্নতি কামনা করছি।  একটা কথা বলি তোমাকে বড় ভাই হিসেবে যা করবে দৃঢ়তার সাথে করবে আজকেই তুমি যে দাওয়াই দিয়েছো তোমার ডিপার্টমেন্টে  সেটা আমার কানে এসেছে।  খুব ভালো পদক্ষেপ নিয়েছো। আরো অনেক আলোচনা হলো প্রায় দুঘন্টা ধরে।  সেখান থেকে বেরিয়ে নিজের  কেবিনে ঢোকার মুখে শুনতে পেলাম " কিরে এই কি সেই নতুন ম্যানেজার " কেউ একজন হ্যা বলতে আবার সে কন্ঠস্বর " শালা এখানে টিকতে পারবে না  দুদিনে টাইট করে দেব "
আমি কেবিনে ঢোকার আগে একবার আর চোখে বক্তাকে দেখে নিয়ে নিজের কেবিনে ঢুকে বাকি ফাইল গুলো পড়তে লাগলাম।  লাঞ্চের পরে বেয়ারাকে ডেকে ওই নির্দিষ্ট বক্তাকে ডেকে দিতে বলে ওর ফাইল খুলে চোখ বোলাতে লাগলাম -নাম : বিমান বোস ডেজিগনেশন : এওসি (অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিস সুপার) ইউনিয়নের লিডার।  সেটা অবশ্য ওর কথা বলার ধরনে বোঝা যায়। বিমান ঢুকলো একটু এডামেন্ট নিয়ে জিজ্ঞেস করল কেন দেখছেন আমাকে ? আমি শুনে হেসে বললাম - আপনি আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন ডেকেছি কিন্তু আপনাকে প্রশ্নটা তো আমি করবো।  আপনার কাছে ১৫টা ফাইল আটকে আছে আর সেগুলো আমি দুদিনের মধ্যে চাই।  আমি কোনো অজুহাত শুনতে চাই না।  শেষের কথা গুলো  বেশ রাফলি বললাম ইচ্ছে করেই।  আমার কথা শুনে বলল - দুদিনে হবে না বেশি সময় লাগবে আর আপনার বেশি তারা থাকলে অন্য কাউকে দিয়ে দিন।  শুনে বললাম - ঠিক আছে ফাইল গুলো আপনি মিসেস সরকার কে দিয়ে দিন এখন আপনি যেতে পারেন।  নিতাকে আমার কেবিনেই একটা চেয়ার টেবিলে বসতে বলেছি।  নীতাকে একটা চিঠি দিয়ে বললাম রেডি করে দাও এখুনি আমি গভর্নরের অফিসে পাঠাচ্ছি।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: প্রেমিক থেকে প্লে বয় - by gopal192 - 05-10-2023, 01:09 PM



Users browsing this thread: 5 Guest(s)