23-09-2023, 02:16 AM
(This post was last modified: 22-10-2023, 06:26 PM by Rupuk 8. Edited 5 times in total. Edited 5 times in total.)
পর্ব -১৭
কলিংবেলের শব্দ শুনতে পেয়ে ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো ছায়ার। সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলো ছায়া। কলিংবেল বেজে চলেছে। বাসার দরজার দিকে এগিয়ে এসে দরজা খুলে দিল। ছায়া দেখলো শমিক বাবু দাঁড়িয়ে আছে। কি বেপার ছায়া অনেকক্ষণ ধরে কলিংবেল বাজাছি? আমি শুনতে পাইনি, কলেজ থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে যেই একটু সোফায় উপর বসে হেলাল দিয়েছিলাম চোখ টা লেগে গেছিলো বুঝতে পারিনি। ওহ্, শরীর খারাপ নাকি তোমার এই অসময়ে ঘুমানোর অভ্যাস তো তোমার নেই। না আমি ঠিক আসি। ফ্রেশ হয়ে নাও চা দিচ্ছি তোমাকে। আচ্ছা। মাহীন এখনও ফেরেনি? না। পড়ন্ত বিকেলে মাহীনরা নদীর ধারে আড্ডা দিতে এসেছে। নদীর পাড়ে ঝিরঝির বাতাস বইছে। নদীর ধার থেকে অনেকটা পথ হেঁটে বালুচরে গিয়ে বসেছে মাহীনরা। এই বালুচরে লোকজনের আনাগোনা খুব একটা দেখা যায় না নির্জন পরিবেশ চারপাশে অসংখ্য কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠেছে।
মাহীন এক টান দিবি নাকি? না ভাই তোরা খা। আরে এক টান দিয়ে দেখ সেই ফিলিংস হারিয়ে যাবি। নারে অনেক দেরি হয়ে গেছে এমনিতেই বাসায় যাওয়া লাগবে। অভি তুই মাহীনকে খাওয়ানোর জন্য এতো জোরাজুরি করিস কেন। ওর খাইতে মন না চাইলে জোর করার দরকার কি। আমি তো শুধু বললাম খাবি নাকি, জোরাজুরি কই করলাম ওর ইচ্ছা হলে খাবে নাহলে খাবে না। বুঝলি মাহীন, যদি চাস মনে সুখ নেমে আসুক, শরীর স্থির হয়ে যাক, কিছুক্ষণের জন্য সবকিছু ভুলে গিয়ে যদি হারিয়ে যেতে চাস। এর জন্য একমাত্র উপায় মারিজুয়ানা। মারিজুয়ানা আবার কিরে অভি? মারিজুয়ানা হলো একটা উদ্ভিদ যা বিশেষ ধরনের মৃগীরোগের চিকিৎসায় ওষুধের কাজ করে। মারিজুয়ানা খেলে মন-মস্তিষ্কে অনেক কিছু ঘটে। অন্যান্য নেশা দ্রব্য ব্যবহার থেকে বাঁচতে বা মানসিক রোগের চিকিৎসাতেও মারিজুয়ানার ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। আসলে মন ও মস্তিষ্কে মারিজুয়ানা সেবনে মানুষের হ্রদস্পন্দন বেড়ে যায়, যা প্রতি মিনিটে ২০-৫০টি বাড়তে পারে। এর লক্ষণ প্রকাশ পায় চোখে। এ সময় চোখ দুটো লাল হয়ে যায়।
সময় খুব দ্রুত বয়ে যায় আবার সময় কাটতেই চায় না এমন অনুভূতি হয়। এ অবস্থা ৩০ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এটা মস্তিষ্কে এমন এক অংশে কাজ করে যে অংশটি সুখকর অনুভূতির সৃষ্টি করে। ওহ্, তুই তো দেখছি অনেক কিছু জানিস।
সুন্দর জীবনের স্বপ্ন অন্য সব মানুষের মতো ছায়াও দেখেন। কিন্তু পরিস্থিতি কখন কী হয় বলা মুশকিল। নানা জটিলতায় কঠিন হয়ে পড়ে জীবনযাপন। কোনো কাজেই তখন আর মন বসে না। হারিয়ে যায় আনন্দ, সুখ আর এগিয়ে চলার স্পৃহা। সাংসারিক চিন্তা, কলেজ, হাসবেন্ডের অসুস্থতা, তার ব্যবসা, পারিপার্শ্বিক সব মিলিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে ছায়া। আনন্দ করা, খুশি হওয়া ভুলে গেছে সে।
সবাই সুখী হতে চায়। পৃথিবীতে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে সুখী হতে চায় না। ছায়াও এর
ব্যতিক্রম নয়। অনেকেই ভাবেন- অর্থকড়ি, শিক্ষা-দীক্ষা, বিবাহ, সন্তান-সন্ততি, পরিবার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি মানুষকে সুখী করতে পারে।
এসব অর্জন আসলে সবাইকে সুখী করতে পারে না। লাখ লাখ মানুষের জন্য প্রকৃত সুখ যেন সোনার হরিণ।
তারা সুখ কিনতে চায়, গাড়ি, বাড়ি, অলঙ্কার, কাপড়চোপড় বা ধন-দৌলতের মতো সুখও তাদের কাছে এক ধরনের পণ্য। এসব প্রাপ্তি মানুষকে সাময়িকভাবে কিছুটা সুখ দিতে পারলেও প্রকৃত প্রস্তাবে স্থায়ী সুখ প্রাপ্তির জন্য এসব অর্জন বড় ভূমিকা পালন করে না।
সুখের বিপরীত শব্দ হলো অসুখ। যে সুখী নয়, সে সুস্থও নয়। অসুখ হতে পারে শারীরিক অথবা মানসিক। শারীরিক অসুস্থতায় ভুগলেও মানুষের জীবনে সুখ থাকে না। তবুও ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে শারীরিক অসুস্থতা বহুলাংশে সারানো যায়। কিন্তু মানুষ যদি মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়, তখন জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। কারণ মানসিক রোগ পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল রোগ। মনের অসুখই বড় অসুখ। সুখ বৈষয়িক বা জাগতিক কোনো ব্যাপার নয়। সুখ বহুলাংশে মনস্তাত্ত্বিক বা আধ্যাত্মিক ব্যাপার। শমিক বাবু ফ্রেশ হয়ে ডইং রুমের সোফায় বসলেন। ছায়া কিচেন থেকে চা করে নিয়ে এসে শমিক বাবুর সামনে দাঁড়ালেন। নাও তোমার চা। শমিক বাবু চায়ের কাপ টা হাতে নিয়ে চুমুক দিলেন। এটা কি ছায়া? কি আবার চা। এটাকে তুমি চা বলছো। চায়ে না আছে চিনি না আছে দুধ। তোমার শরীরের জন্য দুধ আর চিনি আপাতত না খাওয়া ভালো। ছায়া তুমি আমাকে আগে বলতে দুধ আর চিনি ছাড়া তুমি চা বানাবে। তাহলে তোমাকে আগেই নিষিদ্ধ করে দিতাম কষ্ট করে আমার জন্য চা বানানোর কোনো দরকার নেই। যে চায়ে দুধ আর চিনি থাকে না সেটা কোনো চা হয় নাকি। ধরো তোমার চা তুমি খাও। তুমি রাগ করছো কেনো আমি তো তোমার শরীরের ভালোর জন্য। শুনো এতো ভালোমন্দ আমি বুঝি না। আমি তোমার স্টুডেন্ট না আমাকে বোঝাতে এসো না। তুমি আর দিদি একই, সবসময় শুধু নিজে যেটা ভালো মনে কর সেটাই কর। আমার কোনো সিদ্ধান্তের দাম নেই তোমাদের কাছে। এখন তো তুমি চায়ের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলছিলে। তাহলে চায়ের প্রসঙ্গ সাথে তুমি আবার আমেরিকায় যাওয়ার প্রসঙ্গ কিভাবে টানছো। আমি বুঝলাম না, কালকে রাতে তুমি বললে আমেরিকায় তোমার যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। তাহলে তুমি সেটা সোজাসুজি দিদিকে জানিয়ে দাও। এখানে আমাকে দোষারোপ করার কি আছে। আমি তো আর দিদিকে বলিনি যে তোমাকে জোরাজুরি করে আমেরিকায় নিয়ে যেয়ে চিকিৎসা করাতে। শুধু শুধু আমাকে তুমি কেনো দোষারোপ করছো, এর কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
কলিংবেলের শব্দ শুনতে পেয়ে ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো ছায়ার। সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলো ছায়া। কলিংবেল বেজে চলেছে। বাসার দরজার দিকে এগিয়ে এসে দরজা খুলে দিল। ছায়া দেখলো শমিক বাবু দাঁড়িয়ে আছে। কি বেপার ছায়া অনেকক্ষণ ধরে কলিংবেল বাজাছি? আমি শুনতে পাইনি, কলেজ থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে যেই একটু সোফায় উপর বসে হেলাল দিয়েছিলাম চোখ টা লেগে গেছিলো বুঝতে পারিনি। ওহ্, শরীর খারাপ নাকি তোমার এই অসময়ে ঘুমানোর অভ্যাস তো তোমার নেই। না আমি ঠিক আসি। ফ্রেশ হয়ে নাও চা দিচ্ছি তোমাকে। আচ্ছা। মাহীন এখনও ফেরেনি? না। পড়ন্ত বিকেলে মাহীনরা নদীর ধারে আড্ডা দিতে এসেছে। নদীর পাড়ে ঝিরঝির বাতাস বইছে। নদীর ধার থেকে অনেকটা পথ হেঁটে বালুচরে গিয়ে বসেছে মাহীনরা। এই বালুচরে লোকজনের আনাগোনা খুব একটা দেখা যায় না নির্জন পরিবেশ চারপাশে অসংখ্য কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠেছে।
মাহীন এক টান দিবি নাকি? না ভাই তোরা খা। আরে এক টান দিয়ে দেখ সেই ফিলিংস হারিয়ে যাবি। নারে অনেক দেরি হয়ে গেছে এমনিতেই বাসায় যাওয়া লাগবে। অভি তুই মাহীনকে খাওয়ানোর জন্য এতো জোরাজুরি করিস কেন। ওর খাইতে মন না চাইলে জোর করার দরকার কি। আমি তো শুধু বললাম খাবি নাকি, জোরাজুরি কই করলাম ওর ইচ্ছা হলে খাবে নাহলে খাবে না। বুঝলি মাহীন, যদি চাস মনে সুখ নেমে আসুক, শরীর স্থির হয়ে যাক, কিছুক্ষণের জন্য সবকিছু ভুলে গিয়ে যদি হারিয়ে যেতে চাস। এর জন্য একমাত্র উপায় মারিজুয়ানা। মারিজুয়ানা আবার কিরে অভি? মারিজুয়ানা হলো একটা উদ্ভিদ যা বিশেষ ধরনের মৃগীরোগের চিকিৎসায় ওষুধের কাজ করে। মারিজুয়ানা খেলে মন-মস্তিষ্কে অনেক কিছু ঘটে। অন্যান্য নেশা দ্রব্য ব্যবহার থেকে বাঁচতে বা মানসিক রোগের চিকিৎসাতেও মারিজুয়ানার ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। আসলে মন ও মস্তিষ্কে মারিজুয়ানা সেবনে মানুষের হ্রদস্পন্দন বেড়ে যায়, যা প্রতি মিনিটে ২০-৫০টি বাড়তে পারে। এর লক্ষণ প্রকাশ পায় চোখে। এ সময় চোখ দুটো লাল হয়ে যায়।
সময় খুব দ্রুত বয়ে যায় আবার সময় কাটতেই চায় না এমন অনুভূতি হয়। এ অবস্থা ৩০ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এটা মস্তিষ্কে এমন এক অংশে কাজ করে যে অংশটি সুখকর অনুভূতির সৃষ্টি করে। ওহ্, তুই তো দেখছি অনেক কিছু জানিস।
সুন্দর জীবনের স্বপ্ন অন্য সব মানুষের মতো ছায়াও দেখেন। কিন্তু পরিস্থিতি কখন কী হয় বলা মুশকিল। নানা জটিলতায় কঠিন হয়ে পড়ে জীবনযাপন। কোনো কাজেই তখন আর মন বসে না। হারিয়ে যায় আনন্দ, সুখ আর এগিয়ে চলার স্পৃহা। সাংসারিক চিন্তা, কলেজ, হাসবেন্ডের অসুস্থতা, তার ব্যবসা, পারিপার্শ্বিক সব মিলিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে ছায়া। আনন্দ করা, খুশি হওয়া ভুলে গেছে সে।
সবাই সুখী হতে চায়। পৃথিবীতে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে সুখী হতে চায় না। ছায়াও এর
ব্যতিক্রম নয়। অনেকেই ভাবেন- অর্থকড়ি, শিক্ষা-দীক্ষা, বিবাহ, সন্তান-সন্ততি, পরিবার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি মানুষকে সুখী করতে পারে।
এসব অর্জন আসলে সবাইকে সুখী করতে পারে না। লাখ লাখ মানুষের জন্য প্রকৃত সুখ যেন সোনার হরিণ।
তারা সুখ কিনতে চায়, গাড়ি, বাড়ি, অলঙ্কার, কাপড়চোপড় বা ধন-দৌলতের মতো সুখও তাদের কাছে এক ধরনের পণ্য। এসব প্রাপ্তি মানুষকে সাময়িকভাবে কিছুটা সুখ দিতে পারলেও প্রকৃত প্রস্তাবে স্থায়ী সুখ প্রাপ্তির জন্য এসব অর্জন বড় ভূমিকা পালন করে না।
সুখের বিপরীত শব্দ হলো অসুখ। যে সুখী নয়, সে সুস্থও নয়। অসুখ হতে পারে শারীরিক অথবা মানসিক। শারীরিক অসুস্থতায় ভুগলেও মানুষের জীবনে সুখ থাকে না। তবুও ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে শারীরিক অসুস্থতা বহুলাংশে সারানো যায়। কিন্তু মানুষ যদি মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়, তখন জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। কারণ মানসিক রোগ পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল রোগ। মনের অসুখই বড় অসুখ। সুখ বৈষয়িক বা জাগতিক কোনো ব্যাপার নয়। সুখ বহুলাংশে মনস্তাত্ত্বিক বা আধ্যাত্মিক ব্যাপার। শমিক বাবু ফ্রেশ হয়ে ডইং রুমের সোফায় বসলেন। ছায়া কিচেন থেকে চা করে নিয়ে এসে শমিক বাবুর সামনে দাঁড়ালেন। নাও তোমার চা। শমিক বাবু চায়ের কাপ টা হাতে নিয়ে চুমুক দিলেন। এটা কি ছায়া? কি আবার চা। এটাকে তুমি চা বলছো। চায়ে না আছে চিনি না আছে দুধ। তোমার শরীরের জন্য দুধ আর চিনি আপাতত না খাওয়া ভালো। ছায়া তুমি আমাকে আগে বলতে দুধ আর চিনি ছাড়া তুমি চা বানাবে। তাহলে তোমাকে আগেই নিষিদ্ধ করে দিতাম কষ্ট করে আমার জন্য চা বানানোর কোনো দরকার নেই। যে চায়ে দুধ আর চিনি থাকে না সেটা কোনো চা হয় নাকি। ধরো তোমার চা তুমি খাও। তুমি রাগ করছো কেনো আমি তো তোমার শরীরের ভালোর জন্য। শুনো এতো ভালোমন্দ আমি বুঝি না। আমি তোমার স্টুডেন্ট না আমাকে বোঝাতে এসো না। তুমি আর দিদি একই, সবসময় শুধু নিজে যেটা ভালো মনে কর সেটাই কর। আমার কোনো সিদ্ধান্তের দাম নেই তোমাদের কাছে। এখন তো তুমি চায়ের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলছিলে। তাহলে চায়ের প্রসঙ্গ সাথে তুমি আবার আমেরিকায় যাওয়ার প্রসঙ্গ কিভাবে টানছো। আমি বুঝলাম না, কালকে রাতে তুমি বললে আমেরিকায় তোমার যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। তাহলে তুমি সেটা সোজাসুজি দিদিকে জানিয়ে দাও। এখানে আমাকে দোষারোপ করার কি আছে। আমি তো আর দিদিকে বলিনি যে তোমাকে জোরাজুরি করে আমেরিকায় নিয়ে যেয়ে চিকিৎসা করাতে। শুধু শুধু আমাকে তুমি কেনো দোষারোপ করছো, এর কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না।