14-09-2023, 10:13 AM
(This post was last modified: 15-11-2023, 11:00 AM by Rupuk 8. Edited 8 times in total. Edited 8 times in total.)
পর্ব -১৬
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সেই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীরাও বক্তব্য দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একজন অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী হিসেবে মঞ্চে উঠলেন রাজিব । উপস্থিত সম্মানিত বিশেষ অতিথি, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলী, নবাগত শিক্ষার্থীবৃন্দ, স্নেহের ছোট ভাই-বোনেরা, সিনিয়র ও সহপাঠীরা সবাইকে নমস্কার এবং অভিনন্দন জানিয়ে আমার বক্তব্য শুরু করছি।
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের এই বিশেষ দিনে নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আমি এই প্রতিষ্ঠান এর একজন শিক্ষার্থী। আমার পক্ষ থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
আজকে আমাদের এই নবীন বরণ অনুষ্ঠান এর লক্ষ্য হলো তোমাদের আন্তরিকতার সাথে বরণ করে নেয়া। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করছি। এখানে আমার শিক্ষকমন্ডলী এবং সহপাঠীরা খুবই আন্তরিক ও সহযোগী। আমি প্রত্যাশা করছি যে তোমরা এই সনামধন্য প্রতিষ্ঠানে আমাদের সাথে এক হয়ে এই প্রতিষ্ঠান এর নাম আরো উজ্জ্বল করবে।
তোমাদের নতুন শিক্ষাজীবনের একটি সুন্দর সূচনা হবে আশা করি। এই প্রতিষ্ঠান এর খ্যাতি ও সুনাম সম্পর্কে সবাই অবগত আছো। তোমাদের লক্ষ্য হবে এই খ্যাতি ও সুনাম আরো বৃদ্ধি করা এবং নিজেদের শিক্ষাজীবন সফল করা। আমরা সবসময় তোমাদের পাশে আছি সহযোগীতা করার জন্য। এবার মঞ্চে এসে মূল্যবান বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করবো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় ভিসি স্যারকে । উপস্থিত সম্মানিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, স্নেহের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য নমস্কার জানিয়ে আমার বক্তব্য শুরু করছি । নবাগত শিক্ষার্থীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। এসো হে নবীন, এগিয়ে চল অবিরাম,অন্তহীন ভোরের সূর্যের প্রথম আলো, স্বপ্নডানা মেলে জয়ের অগ্নি হৃদয়ে ঢালো। সবার সাথে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে মূলত ব্যক্তিত্বহীন। ভাগ্য বলে কোনো কিছুই নেই, প্রত্যেকের চেষ্টা ও তার যত্নের উপর তার ভবিষ্যৎ গড়ে উঠে। এই প্রতিষ্ঠানে তোমাদের শিক্ষাজীবন সফল-সার্থক ও গৌরবময় হোক। এখানকার শিক্ষা নিয়ে তোমরা দেশ-জাতি ও বিশ্বমানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হও। জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্বের সফল সমাপ্তির পর তোমরা আজ সম্পূর্ণ নতুন এবং মুক্ত জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করেছ। এখানে রয়েছে জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত অবকাশ এবং স্বাধীন চিন্তা বিকাশের অপূর্ব সুযোগ। নিরন্তর সাধনা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে বিকশিত
হোক তোমাদের মেধা ও মননশীলতা— যৌবনের আলোয় আলোকিত হোক তোমাদের ভুবন— এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ, সবার জন্য শুভকামনা। নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, করা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হলো। অনুষ্ঠান শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বের হওয়ার সময়। রাজিব একটা মেয়েকে দেখতে পেলো খুবই সিম্পল ভাবে এসেছে কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। রাজিব তার একটা ছোট ভাইকে কাছে ডেকে বললো। মেয়ে টা কে রে দেখতে তো হেবি সুন্দর। দাদা ফ্রেসার ওদের ব্যাচেরই তো আজকে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ছিল। ওহ্, আচ্ছা তুই একটা কাজ কর মেয়ে টার ফোন নাম্বার, নাহলে ফেসবুক আইডি আমাকে যেভাবে হোক জোগাড় করে দিবি। আচ্ছা এটা কোনো বেপার না দাদা, আমি জোগাড় করে নিবো। আমি পাওয়া মাত্র আপনাকে পাঠিয়ে দিবো। আচ্ছা থাক তাহলে আমি হলের দিকে গেলাম। আচ্ছা দাদা। অনুষ্ঠান শেষ হতে বিকাল হয়ে গেলো। বর্ষা অডিটোরিয়াম থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে তার হোস্টেলে চলে গেলো। ঘরের মধ্যে ঢুকে কি তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছো আমাকে বললো খুঁজে দি। সেদিন যে কাজ করে এসে টাকা রেখেছিলাম এখানে। কোথায় রাখেসিস তুই খুঁজে পাচ্ছি না। মদ খাওয়ার জন্য আমি কোনো একটা দিতে পারবো না । কাজের টাকা যদি তুমি সব মদ খেয়ে উড়িয়ে দাও তাহলে কিভাবে সংসার চালাবো আমি। তোমাকে মদ খাওয়ার জন্য আমি দিবো না। টাকা গুলো আমি খুকির কলেজের বেতন দেওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি। খুব মুখে কথা ফুটেছে দেখছি তোর মাগী। আমার টাকা আমি যা খুশি তাই করবো, ভালোই ভালোই টাকা গুলো আমার হাতে দে বলছি। নাহলে কি করবে মারবে? আজকে মারো আর যাই করো মদ খাওয়ার জন্য আমি এক টাকাও তোমাকে দিবো না। তবে রে মাগী তোর সাহস দেখছি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আমার মুখে মুখে কথা বলার সাহস তুই কই থেকে পাস। রবীন্দ্র সুপ্রিয়ার চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে সুপ্রিয়াকে মেঝেতে ফেলে দিলো। নিচে ফেলে দিয়ে সুপ্রিয়ার শরীরে ইচ্ছামতো কিল ঘুষি মারতে লাগলো রবীন্দ্র। ব্যথায় চিৎকার করতে লাগলো সুপ্রিয়া। আমাকে ছেড়ে দাও দয়া করে আর মেরোও না আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি। এরপর থেকে আমার সাথে গলা উঁচু করে কথা বলার আগে এই মারের কথা মনে থাকে যাতে তোর মাগী। সুপ্রিয়া উঠে দাঁড়িয়ে টাকা গুলো বের করে দিলো। টাকা গুলো হাতে নিয়েই রবীন্দ্র ঘর থেকে বের হয়ে গেলো। সুপ্রিয়া মেঝেতে বসে তার এই অভিশপ্ত জীবনের জন্য কাঁদতে লাগলো। সুপ্রিয়ারা ৫ ভাইবোন সুপ্রিয়া সবার বড়। সুপ্রিয়া বাবা পেশায় একজন মুচি ছিলেন। জুতা মেরামত করে যা টাকা আসতো তা দিয়ে সংসার চলতো। হতদরিদ্র অভাবের সংসারের হওয়ায় খুব অল্প বয়সে সুপ্রিয়ার বাবা রবীন্দ্র সাথে সুপ্রিয়া বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ে দিলে তাও মেয়ে টা ভালোমতো খেয়ে পড়ে থাকতে পারবে এটা ভেবে বিয়ে টা দিয়েছিল সুপ্রিয়ার বাবা। বিয়ের পর থেকে সুপ্রিয়া দেখছে রবীন্দ্র মাঝে মধ্যে মদ খেতো।কিন্তু ইন্দানিং সংসার নিয়ে ওর কোনো মাথা ব্যথা নেই।দিনমজুরের কাজ করে রবীন্দ্র
মন চাইলে মাঝে মধ্যে খুব সামান্য টাকা সুপ্রিয়ার হাতে দেয়, বাকী টা মদ খেয়ে উড়িয়ে দেন। যত দিন যাচ্ছে ওর মদের নেশা বেড়ে যাচ্ছে ।মদ খেয়ে এসে সুপ্রিয়ার সাথে মাতলামি করে সুপ্রিয়া কিছু বললে মারধর করে। সুপ্রিয়া তার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে লোকের বাড়িতে কাজ করা শুরু করে। সুপ্রিয়া চায় না তার মেয়ের জীবন টা তার মতো হোক। মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়তে তুলতে চায় সুপ্রিয়া।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সেই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীরাও বক্তব্য দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একজন অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী হিসেবে মঞ্চে উঠলেন রাজিব । উপস্থিত সম্মানিত বিশেষ অতিথি, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলী, নবাগত শিক্ষার্থীবৃন্দ, স্নেহের ছোট ভাই-বোনেরা, সিনিয়র ও সহপাঠীরা সবাইকে নমস্কার এবং অভিনন্দন জানিয়ে আমার বক্তব্য শুরু করছি।
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের এই বিশেষ দিনে নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আমি এই প্রতিষ্ঠান এর একজন শিক্ষার্থী। আমার পক্ষ থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
আজকে আমাদের এই নবীন বরণ অনুষ্ঠান এর লক্ষ্য হলো তোমাদের আন্তরিকতার সাথে বরণ করে নেয়া। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করছি। এখানে আমার শিক্ষকমন্ডলী এবং সহপাঠীরা খুবই আন্তরিক ও সহযোগী। আমি প্রত্যাশা করছি যে তোমরা এই সনামধন্য প্রতিষ্ঠানে আমাদের সাথে এক হয়ে এই প্রতিষ্ঠান এর নাম আরো উজ্জ্বল করবে।
তোমাদের নতুন শিক্ষাজীবনের একটি সুন্দর সূচনা হবে আশা করি। এই প্রতিষ্ঠান এর খ্যাতি ও সুনাম সম্পর্কে সবাই অবগত আছো। তোমাদের লক্ষ্য হবে এই খ্যাতি ও সুনাম আরো বৃদ্ধি করা এবং নিজেদের শিক্ষাজীবন সফল করা। আমরা সবসময় তোমাদের পাশে আছি সহযোগীতা করার জন্য। এবার মঞ্চে এসে মূল্যবান বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করবো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় ভিসি স্যারকে । উপস্থিত সম্মানিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, স্নেহের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য নমস্কার জানিয়ে আমার বক্তব্য শুরু করছি । নবাগত শিক্ষার্থীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। এসো হে নবীন, এগিয়ে চল অবিরাম,অন্তহীন ভোরের সূর্যের প্রথম আলো, স্বপ্নডানা মেলে জয়ের অগ্নি হৃদয়ে ঢালো। সবার সাথে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে মূলত ব্যক্তিত্বহীন। ভাগ্য বলে কোনো কিছুই নেই, প্রত্যেকের চেষ্টা ও তার যত্নের উপর তার ভবিষ্যৎ গড়ে উঠে। এই প্রতিষ্ঠানে তোমাদের শিক্ষাজীবন সফল-সার্থক ও গৌরবময় হোক। এখানকার শিক্ষা নিয়ে তোমরা দেশ-জাতি ও বিশ্বমানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হও। জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্বের সফল সমাপ্তির পর তোমরা আজ সম্পূর্ণ নতুন এবং মুক্ত জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করেছ। এখানে রয়েছে জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত অবকাশ এবং স্বাধীন চিন্তা বিকাশের অপূর্ব সুযোগ। নিরন্তর সাধনা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে বিকশিত
হোক তোমাদের মেধা ও মননশীলতা— যৌবনের আলোয় আলোকিত হোক তোমাদের ভুবন— এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ, সবার জন্য শুভকামনা। নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, করা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হলো। অনুষ্ঠান শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বের হওয়ার সময়। রাজিব একটা মেয়েকে দেখতে পেলো খুবই সিম্পল ভাবে এসেছে কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। রাজিব তার একটা ছোট ভাইকে কাছে ডেকে বললো। মেয়ে টা কে রে দেখতে তো হেবি সুন্দর। দাদা ফ্রেসার ওদের ব্যাচেরই তো আজকে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ছিল। ওহ্, আচ্ছা তুই একটা কাজ কর মেয়ে টার ফোন নাম্বার, নাহলে ফেসবুক আইডি আমাকে যেভাবে হোক জোগাড় করে দিবি। আচ্ছা এটা কোনো বেপার না দাদা, আমি জোগাড় করে নিবো। আমি পাওয়া মাত্র আপনাকে পাঠিয়ে দিবো। আচ্ছা থাক তাহলে আমি হলের দিকে গেলাম। আচ্ছা দাদা। অনুষ্ঠান শেষ হতে বিকাল হয়ে গেলো। বর্ষা অডিটোরিয়াম থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে তার হোস্টেলে চলে গেলো। ঘরের মধ্যে ঢুকে কি তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছো আমাকে বললো খুঁজে দি। সেদিন যে কাজ করে এসে টাকা রেখেছিলাম এখানে। কোথায় রাখেসিস তুই খুঁজে পাচ্ছি না। মদ খাওয়ার জন্য আমি কোনো একটা দিতে পারবো না । কাজের টাকা যদি তুমি সব মদ খেয়ে উড়িয়ে দাও তাহলে কিভাবে সংসার চালাবো আমি। তোমাকে মদ খাওয়ার জন্য আমি দিবো না। টাকা গুলো আমি খুকির কলেজের বেতন দেওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি। খুব মুখে কথা ফুটেছে দেখছি তোর মাগী। আমার টাকা আমি যা খুশি তাই করবো, ভালোই ভালোই টাকা গুলো আমার হাতে দে বলছি। নাহলে কি করবে মারবে? আজকে মারো আর যাই করো মদ খাওয়ার জন্য আমি এক টাকাও তোমাকে দিবো না। তবে রে মাগী তোর সাহস দেখছি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আমার মুখে মুখে কথা বলার সাহস তুই কই থেকে পাস। রবীন্দ্র সুপ্রিয়ার চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে সুপ্রিয়াকে মেঝেতে ফেলে দিলো। নিচে ফেলে দিয়ে সুপ্রিয়ার শরীরে ইচ্ছামতো কিল ঘুষি মারতে লাগলো রবীন্দ্র। ব্যথায় চিৎকার করতে লাগলো সুপ্রিয়া। আমাকে ছেড়ে দাও দয়া করে আর মেরোও না আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি। এরপর থেকে আমার সাথে গলা উঁচু করে কথা বলার আগে এই মারের কথা মনে থাকে যাতে তোর মাগী। সুপ্রিয়া উঠে দাঁড়িয়ে টাকা গুলো বের করে দিলো। টাকা গুলো হাতে নিয়েই রবীন্দ্র ঘর থেকে বের হয়ে গেলো। সুপ্রিয়া মেঝেতে বসে তার এই অভিশপ্ত জীবনের জন্য কাঁদতে লাগলো। সুপ্রিয়ারা ৫ ভাইবোন সুপ্রিয়া সবার বড়। সুপ্রিয়া বাবা পেশায় একজন মুচি ছিলেন। জুতা মেরামত করে যা টাকা আসতো তা দিয়ে সংসার চলতো। হতদরিদ্র অভাবের সংসারের হওয়ায় খুব অল্প বয়সে সুপ্রিয়ার বাবা রবীন্দ্র সাথে সুপ্রিয়া বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ে দিলে তাও মেয়ে টা ভালোমতো খেয়ে পড়ে থাকতে পারবে এটা ভেবে বিয়ে টা দিয়েছিল সুপ্রিয়ার বাবা। বিয়ের পর থেকে সুপ্রিয়া দেখছে রবীন্দ্র মাঝে মধ্যে মদ খেতো।কিন্তু ইন্দানিং সংসার নিয়ে ওর কোনো মাথা ব্যথা নেই।দিনমজুরের কাজ করে রবীন্দ্র
মন চাইলে মাঝে মধ্যে খুব সামান্য টাকা সুপ্রিয়ার হাতে দেয়, বাকী টা মদ খেয়ে উড়িয়ে দেন। যত দিন যাচ্ছে ওর মদের নেশা বেড়ে যাচ্ছে ।মদ খেয়ে এসে সুপ্রিয়ার সাথে মাতলামি করে সুপ্রিয়া কিছু বললে মারধর করে। সুপ্রিয়া তার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে লোকের বাড়িতে কাজ করা শুরু করে। সুপ্রিয়া চায় না তার মেয়ের জীবন টা তার মতো হোক। মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়তে তুলতে চায় সুপ্রিয়া।