13-09-2023, 12:48 PM
(This post was last modified: 15-11-2023, 10:56 AM by Rupuk 8. Edited 4 times in total. Edited 4 times in total.)
পর্ব -১৫
রিকশা থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে কলেজের গেইট দিয়ে, ভিতরে প্রবেশ করলো ছায়া। ভিতরে ঢুকে কলেজের টিচার রুমের দিকে গেলো ছায়া । টিচার রুমে ঢুকেই ছায়া দেখতে পেলো ইংরেজির সিনিয়র শিক্ষিকা চাঁদনী সেন বসে আছেন । কিরে ছায়া আজকে তোর এতো লেট হলো আসতে ? একটু পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলাম দিদি । প্রিসিপাল স্যারকে আগেই ফোন করে বলে দিয়েছিলাম আজকে আসতে লেট হবে আমার । ওহ্, হঠাৎ পাসপোর্ট অফিসে কেনো রে বাহিরে কোথাও যাবি নাকি ? হ্যা গো দিদি তোমাকে বলেছিলাম না আমার বড় ননাস আমেরিকায় থাকে । শমিককে দেখে কিছু দিন যাবত ক্লান্ত আর দূর্বল মনে হচ্ছিল, তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম চেক আপ করার জন্য । ডাক্তার কিছু টেস্ট দিয়েছিল, টেস্টের রিপোর্ট আসার পর ডাক্তার বললো হার্টে নাকি ব্লক থাকতে পারে এরজন্য রিন পড়াতে লাগতে পারে, তাই একটা ভালো হার্টের ডাক্তার দেখাতে বলেছেন । এটা শুনে বড় ননাস আমেরিকায় যেয়ে শমিকের চিকিৎসা করানোর কথা বলেছেন । ওহ্, এটাই ভালো হবে রে তাড়াতাড়ি গিয়ে চিকিৎসা শুরু কর । হুম দিদি, তোমার ক্লাস নেই এখন? এখন নেই এরপরের পিরিয়ডে আছে । ওহ্ আমার তো আছে এই পিরিয়ডে ক্লাস দিদি। ক্লাসে যায় দিদি আবার পরে কথা হবে। আচ্ছা যা । ছায়া ক্লাস রুমের দিকে গেলো। ছায়া ক্লাসে ঢুকা মাত্র সব শিক্ষাথীরা দাঁড়িয়ে গেলো। সিট ডাউন প্লিজ । ক্লাস রুমে পিনপতন নীরবতা ছায়াকে সব ছাত্র-ছাত্রী ভীষণ ভয় পায় । ছায়ার মতো এতো রাগী আর কড়া শাসনে রাখার মতো টিচার, এই কলেজে হাতে গুনা দুই-চারজন ছাড়া আর নেই । মানুষের জীবনকে এক লহমায় দেখতে গেলে দেখা যাবে এই সমগ্র জীবন কয়েকটি বিশেষ পর্যায়ে বিভক্ত। প্রত্যেকটি পর্যায়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে সুনির্দিষ্ট কর্তব্য রয়েছে। সেই কর্তব্য গুলি যথাযথভাবে পালন করতে পারলে তবেই একটি মার্জিত জীবনের অধিকারী হওয়া সম্ভব। আমাদের জীবন কর্মের উপর ভিত্তি করে আবর্তিত হয়। যথাসময়ে যথার্থ কর্মই মানুষের পরবর্তী জীবনকে সুখী করে তোলে। জীবনের এই পর্যায়ে গুলির মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পর্যায়টি হল মানুষের ছাত্র জীবন। এই ছাত্রজীবনে মানুষ শেখে চিন্তা করতে, নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনন্ত সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করে ভবিষ্যৎ জীবনকে গড়ে তুলতে। ছায়া তার ক্লাস শুরু করার আগে প্রায় শিক্ষাথীদের উদ্দেশ্যে এমন উপদেশ ও অনুপ্রেরনা মূলক বক্তব্য প্রদান করে থাকে ।
বর্ষার বাবা তার জন্য একটা স্মার্ট ফোন কিনে দিয়ে গেছে গ্রামের ফিরে যাওয়ার আগে। ছোট বেলা থেকে বর্ষা অনেক মেধাবী ছিল কলেজ কলেজে থাকতে ক্লাসে সব সময় ফাস্ট নাহলে সেকেন্ড হয়েছে বর্ষা। অভাবের সংসারে মুখ ফুটে আজ পযন্ত বর্ষা কোনো দিন কিছু চায় নি তার মা- বাবার কাছে। কলেজ পযন্ত নিজের বৃত্তির টাকা দিয়ে পড়াশোনা করছে বর্ষা। কলেজে উঠে বর্ষা টিউশনি করে কলেজের পড়াশোনা কমপ্লিট করছে। তাই তার বাবা নিজে থেকে বাড়িতে পোষা একটা ছাগল বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য একটা স্মার্ট ফোন কিনে দিয়ে গেছে। গ্রামের সহজ সরল বর্ষা এতো বড় শহরে একদম নতুন। ইট পাথরের এই শহরের নিয়মকানুন কিছুই জানা নেই বর্ষার। মাঝে মধ্যে বর্ষার দমবন্ধ হয়ে আসছে হোস্টেলের ছোট রুমে। এরকম বদ্ধ পরিবেশে সে কোনো দিনই থাকে নি। তার গ্রামের বাড়ির রুমের বাহিরে পা দিলেই খোলা আকাশ চারপাশে মাইলের পর মাইল সবুজ রঙের ধান ক্ষেত আর ফসলের মাঠ কত পাখির কিচিরমিচির আর রাতের বেলা মনোমুগ্ধকর জোছনা রাত ঝিঁঝি পোকা ডাক। আজকে বর্ষার ভার্সিটিতে ওর ব্যাচের নবীন বরণ অনুষ্ঠান রয়েছে । নবীন বরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বড় ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে । ভার্সিটির প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । রাজিব দত্ত বয়স ৩৫ বছর হলেও গত ১২ বছর ধরে এখনও অনার্স শেষ করে নি সে। ছাত্রত্ব ধরে রাখার জন্য । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা হিসেবে রয়েছে রাজিব। সময়ের সাথে সাথে রাজিবের ছাত্র জীবনের মূল চরিত্র যেমন বদলেছে তেমনি বদল ঘটেছে তার রাজনীতির সার্বিক চরিত্রেও। আধুনিক যুগে মানুষের জীবন থেকে নৈতিকতা ধীরে ধীরে লোপ পাওয়ার ফলে, রাজিবের রাজনীতিও নৈতিকতাহীন এবং অন্তঃসার শূন্য হয়ে পড়েছে। নৈতিকতাহীন অজস্র মানুষ আঞ্চলিক, তথা রাজনীতির চালক হয়ে আজ সমগ্র রাজনৈতিক জগতকে চালিত করছেন।
তাই অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমানকালে রাজনীতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে দুর্নীতির পঙ্কিলশয্যায় পতিত হয়েছে। সেই পঙ্কিল শয্যায় পা ডুবিয়ে পদ্ম ফুলের বীজ রোপন করতে আজ আর কেউই আগ্রহী নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজিবের প্রচন্ড দাপট, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই তাকে ভয় পায় । সবাই বেশ সাজুগুজু করে আসলেও বর্ষা খুব সিম্পল ভাবে এসেছে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে । প্রথমেই একজন সহকারী অধ্যাপক মঞ্চে উঠে সবাইকে নমস্কার এবং অভিনন্দন দেয়ার মাধ্যমে বক্তব্য শুরু করলেন। আপনাদের সবার মঙ্গল কামনা করছি। আমি এই সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এর একজন সহকারী অধ্যাপক। দীর্ঘদিন ধরে আমি এই প্রতিষ্ঠানে আসি। আজকের এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান এর খ্যাতি ও সুনাম সম্পর্কে সবাই অবগত। আমাদের প্রতিষ্ঠান এর শিক্ষার্থীরা বরাবরই ভালো ফলাফল করে নিজেদের ভবিষ্যত এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান এর খ্যাতি অনেক বৃদ্ধি করেছে।
আমি আশা করছি আমাদের শুশৃন্খল নিয়ম-নীতি এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে তোমাদের পথচলা শুভ হক। তোমাদের নতুন শিক্ষাজীবনের সূচনা এইখান থেকে হয়েছে এবং এখান থেকেই তোমরা সফল হয়ে বের হও। তোমাদের কঠোর পরিশ্রম এবং সফলতার মাধ্যমে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান এর নাম আরও উজ্জ্বল কর এই আমার প্রত্যাশা।
আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি এবং সুনাম সবসময় এইভাবেই ধরে রাখার জন্য তোমাদের অনুরোধ জানাচ্ছি। তোমাদের জীবনের লক্ষ্যে যাতে তোমরা সফল হও এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান এর নাম আরও উজ্জ্বল করতে পার সেই প্রত্যাশা নিয়ে আমার আজকের বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।
রিকশা থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে কলেজের গেইট দিয়ে, ভিতরে প্রবেশ করলো ছায়া। ভিতরে ঢুকে কলেজের টিচার রুমের দিকে গেলো ছায়া । টিচার রুমে ঢুকেই ছায়া দেখতে পেলো ইংরেজির সিনিয়র শিক্ষিকা চাঁদনী সেন বসে আছেন । কিরে ছায়া আজকে তোর এতো লেট হলো আসতে ? একটু পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলাম দিদি । প্রিসিপাল স্যারকে আগেই ফোন করে বলে দিয়েছিলাম আজকে আসতে লেট হবে আমার । ওহ্, হঠাৎ পাসপোর্ট অফিসে কেনো রে বাহিরে কোথাও যাবি নাকি ? হ্যা গো দিদি তোমাকে বলেছিলাম না আমার বড় ননাস আমেরিকায় থাকে । শমিককে দেখে কিছু দিন যাবত ক্লান্ত আর দূর্বল মনে হচ্ছিল, তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম চেক আপ করার জন্য । ডাক্তার কিছু টেস্ট দিয়েছিল, টেস্টের রিপোর্ট আসার পর ডাক্তার বললো হার্টে নাকি ব্লক থাকতে পারে এরজন্য রিন পড়াতে লাগতে পারে, তাই একটা ভালো হার্টের ডাক্তার দেখাতে বলেছেন । এটা শুনে বড় ননাস আমেরিকায় যেয়ে শমিকের চিকিৎসা করানোর কথা বলেছেন । ওহ্, এটাই ভালো হবে রে তাড়াতাড়ি গিয়ে চিকিৎসা শুরু কর । হুম দিদি, তোমার ক্লাস নেই এখন? এখন নেই এরপরের পিরিয়ডে আছে । ওহ্ আমার তো আছে এই পিরিয়ডে ক্লাস দিদি। ক্লাসে যায় দিদি আবার পরে কথা হবে। আচ্ছা যা । ছায়া ক্লাস রুমের দিকে গেলো। ছায়া ক্লাসে ঢুকা মাত্র সব শিক্ষাথীরা দাঁড়িয়ে গেলো। সিট ডাউন প্লিজ । ক্লাস রুমে পিনপতন নীরবতা ছায়াকে সব ছাত্র-ছাত্রী ভীষণ ভয় পায় । ছায়ার মতো এতো রাগী আর কড়া শাসনে রাখার মতো টিচার, এই কলেজে হাতে গুনা দুই-চারজন ছাড়া আর নেই । মানুষের জীবনকে এক লহমায় দেখতে গেলে দেখা যাবে এই সমগ্র জীবন কয়েকটি বিশেষ পর্যায়ে বিভক্ত। প্রত্যেকটি পর্যায়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে সুনির্দিষ্ট কর্তব্য রয়েছে। সেই কর্তব্য গুলি যথাযথভাবে পালন করতে পারলে তবেই একটি মার্জিত জীবনের অধিকারী হওয়া সম্ভব। আমাদের জীবন কর্মের উপর ভিত্তি করে আবর্তিত হয়। যথাসময়ে যথার্থ কর্মই মানুষের পরবর্তী জীবনকে সুখী করে তোলে। জীবনের এই পর্যায়ে গুলির মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পর্যায়টি হল মানুষের ছাত্র জীবন। এই ছাত্রজীবনে মানুষ শেখে চিন্তা করতে, নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনন্ত সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করে ভবিষ্যৎ জীবনকে গড়ে তুলতে। ছায়া তার ক্লাস শুরু করার আগে প্রায় শিক্ষাথীদের উদ্দেশ্যে এমন উপদেশ ও অনুপ্রেরনা মূলক বক্তব্য প্রদান করে থাকে ।
বর্ষার বাবা তার জন্য একটা স্মার্ট ফোন কিনে দিয়ে গেছে গ্রামের ফিরে যাওয়ার আগে। ছোট বেলা থেকে বর্ষা অনেক মেধাবী ছিল কলেজ কলেজে থাকতে ক্লাসে সব সময় ফাস্ট নাহলে সেকেন্ড হয়েছে বর্ষা। অভাবের সংসারে মুখ ফুটে আজ পযন্ত বর্ষা কোনো দিন কিছু চায় নি তার মা- বাবার কাছে। কলেজ পযন্ত নিজের বৃত্তির টাকা দিয়ে পড়াশোনা করছে বর্ষা। কলেজে উঠে বর্ষা টিউশনি করে কলেজের পড়াশোনা কমপ্লিট করছে। তাই তার বাবা নিজে থেকে বাড়িতে পোষা একটা ছাগল বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য একটা স্মার্ট ফোন কিনে দিয়ে গেছে। গ্রামের সহজ সরল বর্ষা এতো বড় শহরে একদম নতুন। ইট পাথরের এই শহরের নিয়মকানুন কিছুই জানা নেই বর্ষার। মাঝে মধ্যে বর্ষার দমবন্ধ হয়ে আসছে হোস্টেলের ছোট রুমে। এরকম বদ্ধ পরিবেশে সে কোনো দিনই থাকে নি। তার গ্রামের বাড়ির রুমের বাহিরে পা দিলেই খোলা আকাশ চারপাশে মাইলের পর মাইল সবুজ রঙের ধান ক্ষেত আর ফসলের মাঠ কত পাখির কিচিরমিচির আর রাতের বেলা মনোমুগ্ধকর জোছনা রাত ঝিঁঝি পোকা ডাক। আজকে বর্ষার ভার্সিটিতে ওর ব্যাচের নবীন বরণ অনুষ্ঠান রয়েছে । নবীন বরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বড় ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে । ভার্সিটির প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । রাজিব দত্ত বয়স ৩৫ বছর হলেও গত ১২ বছর ধরে এখনও অনার্স শেষ করে নি সে। ছাত্রত্ব ধরে রাখার জন্য । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা হিসেবে রয়েছে রাজিব। সময়ের সাথে সাথে রাজিবের ছাত্র জীবনের মূল চরিত্র যেমন বদলেছে তেমনি বদল ঘটেছে তার রাজনীতির সার্বিক চরিত্রেও। আধুনিক যুগে মানুষের জীবন থেকে নৈতিকতা ধীরে ধীরে লোপ পাওয়ার ফলে, রাজিবের রাজনীতিও নৈতিকতাহীন এবং অন্তঃসার শূন্য হয়ে পড়েছে। নৈতিকতাহীন অজস্র মানুষ আঞ্চলিক, তথা রাজনীতির চালক হয়ে আজ সমগ্র রাজনৈতিক জগতকে চালিত করছেন।
তাই অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমানকালে রাজনীতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে দুর্নীতির পঙ্কিলশয্যায় পতিত হয়েছে। সেই পঙ্কিল শয্যায় পা ডুবিয়ে পদ্ম ফুলের বীজ রোপন করতে আজ আর কেউই আগ্রহী নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজিবের প্রচন্ড দাপট, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই তাকে ভয় পায় । সবাই বেশ সাজুগুজু করে আসলেও বর্ষা খুব সিম্পল ভাবে এসেছে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে । প্রথমেই একজন সহকারী অধ্যাপক মঞ্চে উঠে সবাইকে নমস্কার এবং অভিনন্দন দেয়ার মাধ্যমে বক্তব্য শুরু করলেন। আপনাদের সবার মঙ্গল কামনা করছি। আমি এই সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এর একজন সহকারী অধ্যাপক। দীর্ঘদিন ধরে আমি এই প্রতিষ্ঠানে আসি। আজকের এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান এর খ্যাতি ও সুনাম সম্পর্কে সবাই অবগত। আমাদের প্রতিষ্ঠান এর শিক্ষার্থীরা বরাবরই ভালো ফলাফল করে নিজেদের ভবিষ্যত এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান এর খ্যাতি অনেক বৃদ্ধি করেছে।
আমি আশা করছি আমাদের শুশৃন্খল নিয়ম-নীতি এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে তোমাদের পথচলা শুভ হক। তোমাদের নতুন শিক্ষাজীবনের সূচনা এইখান থেকে হয়েছে এবং এখান থেকেই তোমরা সফল হয়ে বের হও। তোমাদের কঠোর পরিশ্রম এবং সফলতার মাধ্যমে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান এর নাম আরও উজ্জ্বল কর এই আমার প্রত্যাশা।
আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি এবং সুনাম সবসময় এইভাবেই ধরে রাখার জন্য তোমাদের অনুরোধ জানাচ্ছি। তোমাদের জীবনের লক্ষ্যে যাতে তোমরা সফল হও এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান এর নাম আরও উজ্জ্বল করতে পার সেই প্রত্যাশা নিয়ে আমার আজকের বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।