11-09-2023, 08:18 PM
(This post was last modified: 04-11-2023, 04:31 PM by Rupuk 8. Edited 4 times in total. Edited 4 times in total.)
পর্ব -১৪
মাহীন তুই কি খাবি ? রনি তুই আমার জন্য দুই টা সিংগারা আর একটা কোক নিয়ে আয়, আচ্ছা তুই টেবিলে গিয়ে বস আমি খাবার নিয়ে আসছি । ক্যান্টিনের ফাঁকা একটি টেবিলে বসে পড়লো মাহীন । মাহীন রনির জন্য বসে অপেক্ষা করছিল এমন সময় মাহীন দেখতে পেলো আবির ক্যান্টিনে ঢুকছে । আবির একা নয় তার সঙ্গে একজন অরূপ সুন্দরী ভদ্র মহিলা ক্যান্টিনে প্রবেশ করলো । এটা আবিরের মা মাহীনের বিশ্বাস হচ্ছে না দেখে তো মনে হচ্ছে খুব বেশি বয়স হবে না তার । মাহীন হা করে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো আবিরের মায়ের দিকে মাহীনের চোখের পলক পড়ছে না । আবির দূরে থেকে দেখতে পেলো মাহীন টেবিলে বসে আছে । আবির তার মাকে সঙ্গে নিয়ে মাহীনের কাছে গেলো । কিরে মাহীন একা-একা বসে আসিস কেন রনি কোথায় ? রনি একটু খাবার আনতে গেছে । ওহ্, মা এটা আমার বন্ধু মাহীন । হাসিমুখে আবিরের মা মাহীনের সামনে এসে দাড়ালো । মাহীন দাঁড়িয়ে গেলো আবিরের মাকে দেখে । আন্টি বসুন । বাবা তুমি বসো আমি বসছি । রনি খাবার নিয়ে চলে আসলো টেবিলে । মা এটা আমার আরেকটা বন্ধু রনি ? ওহ্, বসো বাবা । আমি বসছি আন্টি আপনি বসুন । মা তুমি কিছু খাবা নিয়ে আসবো ? না রে আমি কিছু খাবো না, এই টাকা টা নে আবির তুই কিছু খেলে নিয়ে আয় আর ওরা কি খাবে ওদের জন্য কিছু নিয়ে আয় । আচ্ছা ঠিক আছে তুমি এখানে বসো । রনি তুই আমার সঙ্গে চল খাবার নিয়ে আসি । হুম চল । আবির আর রনি খাবার আনতে গেলো । আবিরের মা মাহীনের সামনের চেয়ারে বসলো । এখানে কি ফ্যামিলির সাথে থাকো নাকি হোস্টেলে ? এখানে আমার এক দূরসম্পর্কের কাকুর বাসায় থাকি আন্টি । ওহ্, তোমার বাসার সবাই ভালো আছে ? জ্বি আন্টি ভালো আছে সবাই । তুমি কি বিরক্ত হচ্ছো বাবা তোমাকে এতো প্রশ্ন করছি ? না আন্টি একদম না । সিংগারা গুলো তো ঠান্ডা হয়ে যাবে খাচ্ছো না কেনো ? আমার সামনে খেতে লজ্জা পাচ্ছো নাকি ? না আন্টি আবির আর রনি আসুক তারপর একসাথে খাবো তাই খাচ্ছি না । ওহ্, একটু পর আবির আর রনি খাবার নিয়ে চলে আসলো । চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো আবিরের মা, আমি তাহলে উঠি এখন আবির রিতুর তো এখন কলেজ ছুটি হবে ওরে নিয়ে বাসায় ফিরবো । আচ্ছা মা সাবধানে যেও। তোমরা আবিরের সাথে আমাদের বাসায় যেও । আচ্ছা আন্টি । ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে গেলেন আবিরের মা । শমিক বাবু পাসপোর্ট অফিসে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম টা পূরণ করছিল । ছায়া তোমার একটা সিগনেচার লাগবে এখানে । হুম দাও দি । ছায়া তার সিগনেচার দিলেন । ফর্ম টা এবার পূরণ করা শেষ ছায়া চলো এবার জমা দেওয়া যাক । এক্সকিউজ মি । ইয়েস স্যার । ফর্ম টা পূরণ করা হয়েছে গেছে । ওকে স্যার আপনি ফর্ম টা আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আমাকে দিন । শমিক বাবু ফর্ম টা আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো দিলেন । ধন্যবাদ স্যার আমরা আপনার জমাকৃত কাগজপত্র গুলো যাচাই-বাছাই করে যদি কোনো সমস্যা না পাই তাহলে খুব শীঘ্রই আপনি আপনার পাসপোর্ট টি পেয়ে যাবেন । আর যদি কোনো সমস্যা পাই তাহলে আপনার দেওয়া ফোন নাম্বারে মেসেজে জানানো হবে । পাসপোর্ট ঠিক কত দিনের মধ্যে হাতে পাবো বলতে পারবেন ? স্যার আপনার সকল আপডেট
আপনার দেওয়া ফোন নাম্বারে মেসেজে জানানো হবে । ওকে । চলো ছায়া আমরা বের হই এখানের কাজ শেষ । পাসপোর্ট অফিস থেকে বের হয়ে গেলো ছায়া আর শমিক বাবু । তোমাকে কলেজে ড্রপ করে দি । না আমি রিকশা নিয়ে চলে যেতে পারবো । গাড়ি তো আছে সাথে শুধু শুধু রিকশায় করে কেন যেতে হবে তোমার । আমাকে ড্রপ করতে গেলে তোমার আবার উল্টো রাস্তা হবে অনেক রাস্তা ঘুরে ফিরে আসা লাগবে তোমার । তার থেকে ভালো আমি একটা রিকশা নিয়ে চলে যায় তুমি গাড়ি নিয়ে সোজা চলে যাও । সমস্যা নাই তো একটু না হলে অনেক রাস্তা ঘুরে ফিরলাম তোমার জন্য । পাগলামি না করে গাড়িতে গিয়ে বসো আমি গেলাম । আচ্ছা ঠিক আছে রিকশা নিয়ে যাও তাহলে তুমি, সাবধানে যেও । আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি যাও আমি যেতে পারবো । পাসপোর্ট অফিসের সামনে অনেক গুলো রিকশা দাঁড়িয়ে ছিলো । ছায়া একটা রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলো যাবে ? হ্যা যাবো ম্যাডাম । কই যাবেন ম্যাডাম ? সেক্টর ১১ কলেজে যাবো । কত টাকা নিবে ? ম্যাডাম ৪০ টাকা হলে যাবো । ৩০ টাকায় যাবা ? ৩০ টাকা তো ম্যাডাম কম হয়ে যায় । ৩০ টাকায় হলে চলো নাহলে আরও অনেক রিকশা আছে এখানে । আচ্ছা ম্যাডাম উঠেন । ছায়া রিকশার সিটে উঠে বসলো ।
মাহীন তুই কি খাবি ? রনি তুই আমার জন্য দুই টা সিংগারা আর একটা কোক নিয়ে আয়, আচ্ছা তুই টেবিলে গিয়ে বস আমি খাবার নিয়ে আসছি । ক্যান্টিনের ফাঁকা একটি টেবিলে বসে পড়লো মাহীন । মাহীন রনির জন্য বসে অপেক্ষা করছিল এমন সময় মাহীন দেখতে পেলো আবির ক্যান্টিনে ঢুকছে । আবির একা নয় তার সঙ্গে একজন অরূপ সুন্দরী ভদ্র মহিলা ক্যান্টিনে প্রবেশ করলো । এটা আবিরের মা মাহীনের বিশ্বাস হচ্ছে না দেখে তো মনে হচ্ছে খুব বেশি বয়স হবে না তার । মাহীন হা করে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো আবিরের মায়ের দিকে মাহীনের চোখের পলক পড়ছে না । আবির দূরে থেকে দেখতে পেলো মাহীন টেবিলে বসে আছে । আবির তার মাকে সঙ্গে নিয়ে মাহীনের কাছে গেলো । কিরে মাহীন একা-একা বসে আসিস কেন রনি কোথায় ? রনি একটু খাবার আনতে গেছে । ওহ্, মা এটা আমার বন্ধু মাহীন । হাসিমুখে আবিরের মা মাহীনের সামনে এসে দাড়ালো । মাহীন দাঁড়িয়ে গেলো আবিরের মাকে দেখে । আন্টি বসুন । বাবা তুমি বসো আমি বসছি । রনি খাবার নিয়ে চলে আসলো টেবিলে । মা এটা আমার আরেকটা বন্ধু রনি ? ওহ্, বসো বাবা । আমি বসছি আন্টি আপনি বসুন । মা তুমি কিছু খাবা নিয়ে আসবো ? না রে আমি কিছু খাবো না, এই টাকা টা নে আবির তুই কিছু খেলে নিয়ে আয় আর ওরা কি খাবে ওদের জন্য কিছু নিয়ে আয় । আচ্ছা ঠিক আছে তুমি এখানে বসো । রনি তুই আমার সঙ্গে চল খাবার নিয়ে আসি । হুম চল । আবির আর রনি খাবার আনতে গেলো । আবিরের মা মাহীনের সামনের চেয়ারে বসলো । এখানে কি ফ্যামিলির সাথে থাকো নাকি হোস্টেলে ? এখানে আমার এক দূরসম্পর্কের কাকুর বাসায় থাকি আন্টি । ওহ্, তোমার বাসার সবাই ভালো আছে ? জ্বি আন্টি ভালো আছে সবাই । তুমি কি বিরক্ত হচ্ছো বাবা তোমাকে এতো প্রশ্ন করছি ? না আন্টি একদম না । সিংগারা গুলো তো ঠান্ডা হয়ে যাবে খাচ্ছো না কেনো ? আমার সামনে খেতে লজ্জা পাচ্ছো নাকি ? না আন্টি আবির আর রনি আসুক তারপর একসাথে খাবো তাই খাচ্ছি না । ওহ্, একটু পর আবির আর রনি খাবার নিয়ে চলে আসলো । চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো আবিরের মা, আমি তাহলে উঠি এখন আবির রিতুর তো এখন কলেজ ছুটি হবে ওরে নিয়ে বাসায় ফিরবো । আচ্ছা মা সাবধানে যেও। তোমরা আবিরের সাথে আমাদের বাসায় যেও । আচ্ছা আন্টি । ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে গেলেন আবিরের মা । শমিক বাবু পাসপোর্ট অফিসে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম টা পূরণ করছিল । ছায়া তোমার একটা সিগনেচার লাগবে এখানে । হুম দাও দি । ছায়া তার সিগনেচার দিলেন । ফর্ম টা এবার পূরণ করা শেষ ছায়া চলো এবার জমা দেওয়া যাক । এক্সকিউজ মি । ইয়েস স্যার । ফর্ম টা পূরণ করা হয়েছে গেছে । ওকে স্যার আপনি ফর্ম টা আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আমাকে দিন । শমিক বাবু ফর্ম টা আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো দিলেন । ধন্যবাদ স্যার আমরা আপনার জমাকৃত কাগজপত্র গুলো যাচাই-বাছাই করে যদি কোনো সমস্যা না পাই তাহলে খুব শীঘ্রই আপনি আপনার পাসপোর্ট টি পেয়ে যাবেন । আর যদি কোনো সমস্যা পাই তাহলে আপনার দেওয়া ফোন নাম্বারে মেসেজে জানানো হবে । পাসপোর্ট ঠিক কত দিনের মধ্যে হাতে পাবো বলতে পারবেন ? স্যার আপনার সকল আপডেট
আপনার দেওয়া ফোন নাম্বারে মেসেজে জানানো হবে । ওকে । চলো ছায়া আমরা বের হই এখানের কাজ শেষ । পাসপোর্ট অফিস থেকে বের হয়ে গেলো ছায়া আর শমিক বাবু । তোমাকে কলেজে ড্রপ করে দি । না আমি রিকশা নিয়ে চলে যেতে পারবো । গাড়ি তো আছে সাথে শুধু শুধু রিকশায় করে কেন যেতে হবে তোমার । আমাকে ড্রপ করতে গেলে তোমার আবার উল্টো রাস্তা হবে অনেক রাস্তা ঘুরে ফিরে আসা লাগবে তোমার । তার থেকে ভালো আমি একটা রিকশা নিয়ে চলে যায় তুমি গাড়ি নিয়ে সোজা চলে যাও । সমস্যা নাই তো একটু না হলে অনেক রাস্তা ঘুরে ফিরলাম তোমার জন্য । পাগলামি না করে গাড়িতে গিয়ে বসো আমি গেলাম । আচ্ছা ঠিক আছে রিকশা নিয়ে যাও তাহলে তুমি, সাবধানে যেও । আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি যাও আমি যেতে পারবো । পাসপোর্ট অফিসের সামনে অনেক গুলো রিকশা দাঁড়িয়ে ছিলো । ছায়া একটা রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলো যাবে ? হ্যা যাবো ম্যাডাম । কই যাবেন ম্যাডাম ? সেক্টর ১১ কলেজে যাবো । কত টাকা নিবে ? ম্যাডাম ৪০ টাকা হলে যাবো । ৩০ টাকায় যাবা ? ৩০ টাকা তো ম্যাডাম কম হয়ে যায় । ৩০ টাকায় হলে চলো নাহলে আরও অনেক রিকশা আছে এখানে । আচ্ছা ম্যাডাম উঠেন । ছায়া রিকশার সিটে উঠে বসলো ।