10-09-2023, 07:02 PM
(This post was last modified: 20-10-2023, 11:09 PM by Rupuk 8. Edited 7 times in total. Edited 7 times in total.)
পর্ব -১৩
কিছুক্ষণ পর মাহীন ফ্রেশ হয়ে বাথরুম থেকে বের হলো । কলেজের ড্রেস পরে রেডি হয়ে গেলো । তারপর নিজের রুম থেকে বের হয়ে আসলো । মাহীনকে দেখে ছায়া সুপ্রিয়াকে ডাকলো । সুপ্রিয়া মাহীনের খাবার টা দিয়ে যা টেবিলে । নিয়ে আসছি দিদিমণি । মাহীন দেখলো তার কাকু আর কাকিমা ডাইনিং টেবিলে বসে নাস্তা করছেন । বস মাহীন তোর সাথে তো আজ কাল দেখা হয় না ঠিকমতো ব্যস্তার কারণে । পড়াশোনা কেমন চলছে তোর ? মোটামুটি কাকু । মোটামুটি কেনো রে খুব মন দিয়ে পড়াশোনা কর, কোনো কিছু প্রয়োজন হলে , লজ্জা না পেয়ে সাথে সাথে আমাকে বলবি আর আমাকে না পেলে তোর কাকিমাকে জানাবি । ঠিক আছে কাকু । আমাদের গ্রামের রবির ছোট মেয়ে টা নাকি চান্স পেয়েছে। এখানকার একটা পাবলিক ভার্সিটিতে এখানের একটা স্টুডেন্ট হোস্টেলে আপাতত উঠেছে। হলের সিট না পাওয়া পযন্ত হোস্টেল থেকে পড়াশোনা করবে বললো ওর বাবা । অনেক ছোট বেলায় মেয়ে টাকে দেখেছিলাম, বড় হওয়ার পর আর দেখি নাই। খুব মেধাবী ছিল ছোট বেলা থেকে মেয়ে টা। ওর বাবা আমাকে ফোন করেছিল। মাহীন তুই ওকে আমাদের বাসায় আসতে বলিস। বর্ষা দিদির কথা বলছেন কাকু ? হ্যা রে নাম টা মনে ছিলো না আমার। ওহ্, কাকু হোস্টেল টা তো আমিই ঠিক করে দিসিলাম দিদিকে। খোঁজ খবর নিস মেয়ে টার মাঝে মাঝে মধ্যে কোনো সমস্যা হয় নাকি। এর আগে তো একা একা, এতো বড় শহরে কোনো দিন থাকে নি । মাহীন তুমি মেয়ে টাকে আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে এসে ঘুরে যেতে বলবা একা একা থাকে, বাড়ির সবার জন্য মন হয় খারাপ হয় ওর। আমাদের বাসায় এসে ঘুরে গেলে মন ভালো হয়ে যাবে ওর। নতুন এই পরিবেশের সাথে অভস্ত্য হতে ওর সময় লাগবে কিছুদিন। তুমি ঠিকই বলেছো ছায়া, মাহীন তুই একদিন বর্ষাকে সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে আয়। আচ্ছা কাকু আমি বাসায় নিয়ে আসবো নি। সুপ্রিয়া খাবার দেওয়ার পর । মাহীন খাবার খাওয়া শেষ করে, ডাইনিং টেবিল থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তারপর বাসার দরজার দিকে গেলো । সুপ্রিয়া দিদি দরজা টা লাগিয়ে দাও আমি বের হচ্ছি । ছায়া বললো
মাহীন আমি লাগিয়ে দিচ্ছি তুমি যাও । মাহীন বের হয়ে গেলো বাসা থেকে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে গেলো । বিল্ডিংয়ের নিচে থেকে অভির ফোনে কল করলো । বেশ কয়েক বার কল করার পর কল টা রিসিভ করলো । হ্যালো কি রে শালা এখনও ঘুমা থেকে উঠিস নাই, কত বার কল করছি ধরিস না । না রে মামা এখনও উঠি নাই তুই যা কলেজে আজকে আমি যাবো না । তোর তো রোজ একই কথা আজকে যাবো না মামা । ঘুমা শালা রাখছি আমি । এই রিকশা যাবা মামা ? হুম মামা যাবো , কই যাবেন ? শান্তি রোডের কলেজ টা চিনো ? হুম মামা চিনবো না কেন । কত মামা ? ৩০ টাকা মামা । ২০ টাকা দিবো মামা যাবা ? না মামা ২০ টাকায় যাবো না আর ৫ টাকা বাড়ায় দিলে যাবো । আচ্ছা চলো আমার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে লেট হয়ে যাচ্ছে । মাহীন রিকশায় উঠে বসলো । রিকশা চলতে শুরু করলো । কিছুক্ষণ পর রিকশা টা কলেজের গেটের সামনে এসে থামলো । মাহীন রিকশা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে কলেজের ভিতরে ঢুকে পড়লো । ছায়া আর শমিকও রেডি হয়ে গেলো পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য । তুমি বাপ্পীকে ফোন করে আসতে বলেছো ? হ্যা ফোন দিয়েছিলাম বাপ্পীকে , বাসার নিচে আসলে কল দিবে বলেছে । কিছুক্ষণ পর বাপ্পী বাসার নিচে এসে শমিকের ফোনে কল করলো । শফিক কল টা রিসিভ করলো । স্যার আমি চলে এসেছি । আমরা আসছি এখুনি । আচ্ছা স্যার । ছায়া চলো আমরা বের হই বাপ্পী চলে এসেছে । এই সুপ্রিয়া । জ্বি দিদিমণি ডাকছিলে । আমরা বের হচ্ছি এখন তুই বাসার সব কাজ শেষ করে , যাওয়ার সময় বাসার দরজা ভালোমতো লক করে দিয়ে বের হবি । আচ্ছা দিদিমণি । বাসা থেকে বের হয়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলো ছায়া আর শমিক। নিচে নেমে গাড়ির সামনে ছায়া আর শমিক যেতেই গাড়ির দরজা খুলে দিলো বাপ্পী । স্যার কোথায় নিয়ে যাবো ? পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে চলো । আচ্ছা স্যার । কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি টা পাসপোর্ট অফিসের সামনে এসে পড়লো । ছায়া আমরা চলে এসেছি । হুম চলো ভিতরে যাওয়া যাক । গাড়ি থেকে নেমে ছায়া আর শমিক পাসপোর্ট অফিসের গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো । পাসপোর্ট অফিসে ঢুকে শমিক অফিসের একজন লোককে জিজ্ঞেস করলো । পাসপোর্ট করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন ফরম কোথায় পাওয়া যাবে ? স্যার আপনি একদম কোনায় ডেস্কে যিনি বসে আছে তার কাছে চলে যান । আচ্ছা ধন্যবাদ আপনাকে । ছায়া আর শমিক কোনায় ডেস্কে যিনি বসে আছে তার কাছে গেলেন । বলুন স্যার কিভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি ? আমি আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট করার জন্য এসেছি । ওকে স্যার আপনি এই ফর্ম টা আগে পূরণ করে দিন । তারপর কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে সেগুলো জমা দিতে হবে । যেগুলো ডকুমেন্টস লাগবে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি । ওকে স্যার ফর্ম টা পূরণ করা হলে , প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্র গুলো লাগবে সেগুলো ফর্মের সাথে জমা দিবেন । আচ্ছা ধন্যবাদ আপনাকে । মাহীনের কলেজের টাইম বেলটা টিং টিং টিং করে বেজে উঠলো টিফিন পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলো মাহীনের । আবির বললো মাহীন তুই রনি সাথে নিয়ে ক্যান্টিনে যা আমি আসছি একটু পর । কেন তুইও চল? মা আসার কথা আজকে কলেজের ফি দেওয়ার জন্য মায়ের সাথে দেখা করে আসছি আমি । আচ্ছা ঠিক আছে । মাহীন রনিকে সঙ্গে নিয়ে কলেজের ক্যান্টিনের দিকে গেলো ।
কিছুক্ষণ পর মাহীন ফ্রেশ হয়ে বাথরুম থেকে বের হলো । কলেজের ড্রেস পরে রেডি হয়ে গেলো । তারপর নিজের রুম থেকে বের হয়ে আসলো । মাহীনকে দেখে ছায়া সুপ্রিয়াকে ডাকলো । সুপ্রিয়া মাহীনের খাবার টা দিয়ে যা টেবিলে । নিয়ে আসছি দিদিমণি । মাহীন দেখলো তার কাকু আর কাকিমা ডাইনিং টেবিলে বসে নাস্তা করছেন । বস মাহীন তোর সাথে তো আজ কাল দেখা হয় না ঠিকমতো ব্যস্তার কারণে । পড়াশোনা কেমন চলছে তোর ? মোটামুটি কাকু । মোটামুটি কেনো রে খুব মন দিয়ে পড়াশোনা কর, কোনো কিছু প্রয়োজন হলে , লজ্জা না পেয়ে সাথে সাথে আমাকে বলবি আর আমাকে না পেলে তোর কাকিমাকে জানাবি । ঠিক আছে কাকু । আমাদের গ্রামের রবির ছোট মেয়ে টা নাকি চান্স পেয়েছে। এখানকার একটা পাবলিক ভার্সিটিতে এখানের একটা স্টুডেন্ট হোস্টেলে আপাতত উঠেছে। হলের সিট না পাওয়া পযন্ত হোস্টেল থেকে পড়াশোনা করবে বললো ওর বাবা । অনেক ছোট বেলায় মেয়ে টাকে দেখেছিলাম, বড় হওয়ার পর আর দেখি নাই। খুব মেধাবী ছিল ছোট বেলা থেকে মেয়ে টা। ওর বাবা আমাকে ফোন করেছিল। মাহীন তুই ওকে আমাদের বাসায় আসতে বলিস। বর্ষা দিদির কথা বলছেন কাকু ? হ্যা রে নাম টা মনে ছিলো না আমার। ওহ্, কাকু হোস্টেল টা তো আমিই ঠিক করে দিসিলাম দিদিকে। খোঁজ খবর নিস মেয়ে টার মাঝে মাঝে মধ্যে কোনো সমস্যা হয় নাকি। এর আগে তো একা একা, এতো বড় শহরে কোনো দিন থাকে নি । মাহীন তুমি মেয়ে টাকে আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে এসে ঘুরে যেতে বলবা একা একা থাকে, বাড়ির সবার জন্য মন হয় খারাপ হয় ওর। আমাদের বাসায় এসে ঘুরে গেলে মন ভালো হয়ে যাবে ওর। নতুন এই পরিবেশের সাথে অভস্ত্য হতে ওর সময় লাগবে কিছুদিন। তুমি ঠিকই বলেছো ছায়া, মাহীন তুই একদিন বর্ষাকে সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে আয়। আচ্ছা কাকু আমি বাসায় নিয়ে আসবো নি। সুপ্রিয়া খাবার দেওয়ার পর । মাহীন খাবার খাওয়া শেষ করে, ডাইনিং টেবিল থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তারপর বাসার দরজার দিকে গেলো । সুপ্রিয়া দিদি দরজা টা লাগিয়ে দাও আমি বের হচ্ছি । ছায়া বললো
মাহীন আমি লাগিয়ে দিচ্ছি তুমি যাও । মাহীন বের হয়ে গেলো বাসা থেকে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে গেলো । বিল্ডিংয়ের নিচে থেকে অভির ফোনে কল করলো । বেশ কয়েক বার কল করার পর কল টা রিসিভ করলো । হ্যালো কি রে শালা এখনও ঘুমা থেকে উঠিস নাই, কত বার কল করছি ধরিস না । না রে মামা এখনও উঠি নাই তুই যা কলেজে আজকে আমি যাবো না । তোর তো রোজ একই কথা আজকে যাবো না মামা । ঘুমা শালা রাখছি আমি । এই রিকশা যাবা মামা ? হুম মামা যাবো , কই যাবেন ? শান্তি রোডের কলেজ টা চিনো ? হুম মামা চিনবো না কেন । কত মামা ? ৩০ টাকা মামা । ২০ টাকা দিবো মামা যাবা ? না মামা ২০ টাকায় যাবো না আর ৫ টাকা বাড়ায় দিলে যাবো । আচ্ছা চলো আমার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে লেট হয়ে যাচ্ছে । মাহীন রিকশায় উঠে বসলো । রিকশা চলতে শুরু করলো । কিছুক্ষণ পর রিকশা টা কলেজের গেটের সামনে এসে থামলো । মাহীন রিকশা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে কলেজের ভিতরে ঢুকে পড়লো । ছায়া আর শমিকও রেডি হয়ে গেলো পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য । তুমি বাপ্পীকে ফোন করে আসতে বলেছো ? হ্যা ফোন দিয়েছিলাম বাপ্পীকে , বাসার নিচে আসলে কল দিবে বলেছে । কিছুক্ষণ পর বাপ্পী বাসার নিচে এসে শমিকের ফোনে কল করলো । শফিক কল টা রিসিভ করলো । স্যার আমি চলে এসেছি । আমরা আসছি এখুনি । আচ্ছা স্যার । ছায়া চলো আমরা বের হই বাপ্পী চলে এসেছে । এই সুপ্রিয়া । জ্বি দিদিমণি ডাকছিলে । আমরা বের হচ্ছি এখন তুই বাসার সব কাজ শেষ করে , যাওয়ার সময় বাসার দরজা ভালোমতো লক করে দিয়ে বের হবি । আচ্ছা দিদিমণি । বাসা থেকে বের হয়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলো ছায়া আর শমিক। নিচে নেমে গাড়ির সামনে ছায়া আর শমিক যেতেই গাড়ির দরজা খুলে দিলো বাপ্পী । স্যার কোথায় নিয়ে যাবো ? পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে চলো । আচ্ছা স্যার । কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি টা পাসপোর্ট অফিসের সামনে এসে পড়লো । ছায়া আমরা চলে এসেছি । হুম চলো ভিতরে যাওয়া যাক । গাড়ি থেকে নেমে ছায়া আর শমিক পাসপোর্ট অফিসের গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো । পাসপোর্ট অফিসে ঢুকে শমিক অফিসের একজন লোককে জিজ্ঞেস করলো । পাসপোর্ট করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন ফরম কোথায় পাওয়া যাবে ? স্যার আপনি একদম কোনায় ডেস্কে যিনি বসে আছে তার কাছে চলে যান । আচ্ছা ধন্যবাদ আপনাকে । ছায়া আর শমিক কোনায় ডেস্কে যিনি বসে আছে তার কাছে গেলেন । বলুন স্যার কিভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি ? আমি আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট করার জন্য এসেছি । ওকে স্যার আপনি এই ফর্ম টা আগে পূরণ করে দিন । তারপর কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে সেগুলো জমা দিতে হবে । যেগুলো ডকুমেন্টস লাগবে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি । ওকে স্যার ফর্ম টা পূরণ করা হলে , প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্র গুলো লাগবে সেগুলো ফর্মের সাথে জমা দিবেন । আচ্ছা ধন্যবাদ আপনাকে । মাহীনের কলেজের টাইম বেলটা টিং টিং টিং করে বেজে উঠলো টিফিন পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলো মাহীনের । আবির বললো মাহীন তুই রনি সাথে নিয়ে ক্যান্টিনে যা আমি আসছি একটু পর । কেন তুইও চল? মা আসার কথা আজকে কলেজের ফি দেওয়ার জন্য মায়ের সাথে দেখা করে আসছি আমি । আচ্ছা ঠিক আছে । মাহীন রনিকে সঙ্গে নিয়ে কলেজের ক্যান্টিনের দিকে গেলো ।