09-09-2023, 01:58 AM
(This post was last modified: 22-10-2023, 06:21 PM by Rupuk 8. Edited 7 times in total. Edited 7 times in total.)
পর্ব -১২
বেশ সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেলো ছায়ার । বিছানা থেকে উঠে ছায়া বাথরুমে ঢুকলো ফ্রেশ হওয়ার জন্য । বাথরুম থেকে বের হয়ে ছায়া কিচেনের দিকে যাচ্ছিল এমন সময় কলিংবেলের শব্দ শুনতে পেলো । ছায়া বাসার দরজা দিকে পা বাড়ালো । দরজা খুলে দেখতে পেলো সুপ্রিয়া এসেছে । ঘুমা ছিলে নাকি দিদিমণি, না রে আমি উঠেছি অনেকক্ষণ হলো ভাবলাম তুই আসার আগে চা টা করে নি , তাই কিচেনের দিকে যাচ্ছিলাম এমন সময় তুই আসলি । তোমার আর কষ্ট করা লাগবে না দিদিমণি চা আমি করে দিচ্ছি । আচ্ছা আমার জন্য গ্রীন ট্রি তোর দাদাবাবু বাড়িতে আছে তার জন্য রং চা চিনি ছাড়া । কিন্তু দিদিমণি দাদাবাবু তো চিনি ছাড়া চা খায় না । এখন থেকে তোর দাদা বাবুকে চা দিলে চিনি ছাড়াই দিবি বুঝলি । আচ্ছা দিদিমণি, দরজা টার ছিটকানি আটকিয়ে দিয়ে সুপ্রিয়া কিচেনের দিকে গেলো । ছায়া আবার তার রুমে ঢুকে শমিক বাবুকে ডাকলো ঘুম থেকে উঠার জন্য । এই উঠো বেলা করে ঘুমানো তোমার শরীরের জন্য ঠিক না । হুম উঠছি । শমিক বাবু বিছানা থেকে উঠে বসলো । ফ্রেশ হয়ে নাও তাড়াতাড়ি সুপ্রিয়াকে চা বানাতে বললাম । ছায়া আবার রুম থেকে বের হয়ে আসলো । সুপ্রিয়া তোর চা বানানো হলো । হ্যা দিদিমণি হয়ে গেছে নিয়ে আসছি । ছায়া খবরের কাগজ টা হাতে নিয়ে সোফায় বসলো । একটু পর শমিক বাবু ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলো । শমিক বাবু ছায়ার পাশে গিয়ে বসলো । সুপ্রিয়া তোর দাদা বাবুর চা টাও আমার চায়ের সঙ্গে নিয়ে আয় । আচ্ছা দিদিমণি নিয়ে আসছি । ট্রেতে করে দুই কাপ চা দিয়ে গেলো সুপ্রিয়া । এটা চা নাকি গরম পানি চায়ে তো একদম চিনি হয় নি সুপ্রিয়া । দাদাবাবু দিদিমণি আমাকে আপনার চায়ে চিনি দিতে বারণ করেছিল । চিনি ছাড়া চা খাওয়ার কোনো মানে হয় ছায়া । এখন থেকে তুমি চিনি ছাড়াই চায়ের অভ্যাস গড়ে তোলো । তোমার ডায়াবেটিস কনট্রোলে রাখতে হবে মিষ্টি আর চিনি একদম খাওয়া চলবে না । ছায়া তোমাকে নিয়ে আর পারা গেলো না । নাস্তার জন্য কি বানাবো দিদিমণি ? আমার আর তোর দাদাবাবু জন্য সবজি খিচুড়ি খুব সামান্য তেল দিবি খিচুড়িতে আর মাহীনের জন্য পরোটা আর ডিম পোচ করে দিস । আচ্ছা দিদিমণি । আমার জন্য তিনটে পোরটা আর ডিম পোচ করে দিতে বললো না ছায়া । একদম না তৈলাক্ত খাবার তোমার জন্য ঠিক না । এভাবে বেছে খেতে থাকলে আমি এমনিতেই অসুস্থ হয়ে যাবো । নাস্তা করার পর আমাকে নিয়ে একটু পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে তোমার । হঠাৎ পাসপোর্ট অফিসে কেনো ? গতরাতে আলিয়া দিদি তোমাকে কি বললো সব ভুলে গেলে এতো তাড়াতাড়ি । আমেরিকায় না গেলে হয় এখানে থেকেও তো আমার চিকিৎসা করা যায়, তাই না এতো দূরে যাওয়ার কোনো দরকার আছে আমাদের । আমি বিষয়ে দিদিকে কিছু বলতে পারবো না, আমি কিছু বললে দিদি তখন রাগ করবে । এই বেপারে তুমি যদি দিদিকে রাজি করাতে পারো। তাহলে দেশেই চিকিৎসা করাও আমার কোনো সমস্যা নাই । তোমার কি মনে হয় ছায়া আমি বলবো আর দিদি আমার কথা শুনবে এটা কোনো দিন সম্ভব ! তাহলে আমার কাছে বলে তোমার কোনো লাভ আছে । দিদিকে তো তুমি ভয়ে কিছু বলবে না । হুম দিদিকে আমি ভালো করে চিনি তিনি যখন একবার বলেছেন , আমাকে আমেরিকায় নিয়ে যেয়ে চিকিৎসা করানোর কথা আমি না যাওয়া পযন্ত তিনি কোনো ভাবেই থামবে না । আমি দিদিকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কাজ হবে না । নাস্তা টা শেষ কর তারপর চলো তোমাকে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যায় । তুমি আজকে কলেজে যাবে নাকি ছায়া ? হ্যা যাবো তো পাসপোর্ট অফিসে থেকে আবার কলেজে যাবো । আবার কলেজে যাওয়ার দরকার কি আজকে ছুটি নিলেই তো পারো । না শুধু শুধু ছুটি কাটানোর কি দরকার আমার । মাঝে মাঝে তো শরীর টাকে একটু বিশ্রাম দিতে পারো এতো পরিশ্রম করার দরকার কি তোমার । তোমার তো কোনো কিছুরই অভাব নেই । শিক্ষকতা করতে আমি উপভোগ করি । তুমি কি ভেবেছো আমি টাকার জন্য শিক্ষকতা করি মোটেও নয় । না আমার কথার মানে এটা বুঝতে চায় নি শুধু তোমার শরীরের প্রতি একটু খেয়াল রাখতে বলেছি । আমি আমার শরীরের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখি এই নিয়ে তোমার দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই । তোমার যদি সমস্যা না থাকে তাহলে তো আমারও কোনো সমস্যা নাই । দিদিমণি খিচুড়ি রান্না করা হয়ে গেছে । তোমাদের খেতে দিবো ? হ্যা ডাইনিং টেবিলে দে আমরা আসছি । মাহীনের তো আজকে কলেজ আছে সুপ্রিয়া মাহীনকে ডাক দে তো এখনও ঘুমায় ছেলেটা । সুপ্রিয়া মাহীনের দরজা কাছে গিয়ে নক করলো, মাহীন দাদা ভাই উঠুন আপনার না কলেজ আছে । মাহীনের ঘুম ভেঙ্গে গেলো সুপ্রিয়ার ডাকে । হুম দিদি আমার আমি উঠেছি । ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসছেন দাদা আমি আপনাকে খাবার দিসছি । আচ্ছা দিদি তুমি যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি । মাহীন বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লো ।
বেশ সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেলো ছায়ার । বিছানা থেকে উঠে ছায়া বাথরুমে ঢুকলো ফ্রেশ হওয়ার জন্য । বাথরুম থেকে বের হয়ে ছায়া কিচেনের দিকে যাচ্ছিল এমন সময় কলিংবেলের শব্দ শুনতে পেলো । ছায়া বাসার দরজা দিকে পা বাড়ালো । দরজা খুলে দেখতে পেলো সুপ্রিয়া এসেছে । ঘুমা ছিলে নাকি দিদিমণি, না রে আমি উঠেছি অনেকক্ষণ হলো ভাবলাম তুই আসার আগে চা টা করে নি , তাই কিচেনের দিকে যাচ্ছিলাম এমন সময় তুই আসলি । তোমার আর কষ্ট করা লাগবে না দিদিমণি চা আমি করে দিচ্ছি । আচ্ছা আমার জন্য গ্রীন ট্রি তোর দাদাবাবু বাড়িতে আছে তার জন্য রং চা চিনি ছাড়া । কিন্তু দিদিমণি দাদাবাবু তো চিনি ছাড়া চা খায় না । এখন থেকে তোর দাদা বাবুকে চা দিলে চিনি ছাড়াই দিবি বুঝলি । আচ্ছা দিদিমণি, দরজা টার ছিটকানি আটকিয়ে দিয়ে সুপ্রিয়া কিচেনের দিকে গেলো । ছায়া আবার তার রুমে ঢুকে শমিক বাবুকে ডাকলো ঘুম থেকে উঠার জন্য । এই উঠো বেলা করে ঘুমানো তোমার শরীরের জন্য ঠিক না । হুম উঠছি । শমিক বাবু বিছানা থেকে উঠে বসলো । ফ্রেশ হয়ে নাও তাড়াতাড়ি সুপ্রিয়াকে চা বানাতে বললাম । ছায়া আবার রুম থেকে বের হয়ে আসলো । সুপ্রিয়া তোর চা বানানো হলো । হ্যা দিদিমণি হয়ে গেছে নিয়ে আসছি । ছায়া খবরের কাগজ টা হাতে নিয়ে সোফায় বসলো । একটু পর শমিক বাবু ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলো । শমিক বাবু ছায়ার পাশে গিয়ে বসলো । সুপ্রিয়া তোর দাদা বাবুর চা টাও আমার চায়ের সঙ্গে নিয়ে আয় । আচ্ছা দিদিমণি নিয়ে আসছি । ট্রেতে করে দুই কাপ চা দিয়ে গেলো সুপ্রিয়া । এটা চা নাকি গরম পানি চায়ে তো একদম চিনি হয় নি সুপ্রিয়া । দাদাবাবু দিদিমণি আমাকে আপনার চায়ে চিনি দিতে বারণ করেছিল । চিনি ছাড়া চা খাওয়ার কোনো মানে হয় ছায়া । এখন থেকে তুমি চিনি ছাড়াই চায়ের অভ্যাস গড়ে তোলো । তোমার ডায়াবেটিস কনট্রোলে রাখতে হবে মিষ্টি আর চিনি একদম খাওয়া চলবে না । ছায়া তোমাকে নিয়ে আর পারা গেলো না । নাস্তার জন্য কি বানাবো দিদিমণি ? আমার আর তোর দাদাবাবু জন্য সবজি খিচুড়ি খুব সামান্য তেল দিবি খিচুড়িতে আর মাহীনের জন্য পরোটা আর ডিম পোচ করে দিস । আচ্ছা দিদিমণি । আমার জন্য তিনটে পোরটা আর ডিম পোচ করে দিতে বললো না ছায়া । একদম না তৈলাক্ত খাবার তোমার জন্য ঠিক না । এভাবে বেছে খেতে থাকলে আমি এমনিতেই অসুস্থ হয়ে যাবো । নাস্তা করার পর আমাকে নিয়ে একটু পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে তোমার । হঠাৎ পাসপোর্ট অফিসে কেনো ? গতরাতে আলিয়া দিদি তোমাকে কি বললো সব ভুলে গেলে এতো তাড়াতাড়ি । আমেরিকায় না গেলে হয় এখানে থেকেও তো আমার চিকিৎসা করা যায়, তাই না এতো দূরে যাওয়ার কোনো দরকার আছে আমাদের । আমি বিষয়ে দিদিকে কিছু বলতে পারবো না, আমি কিছু বললে দিদি তখন রাগ করবে । এই বেপারে তুমি যদি দিদিকে রাজি করাতে পারো। তাহলে দেশেই চিকিৎসা করাও আমার কোনো সমস্যা নাই । তোমার কি মনে হয় ছায়া আমি বলবো আর দিদি আমার কথা শুনবে এটা কোনো দিন সম্ভব ! তাহলে আমার কাছে বলে তোমার কোনো লাভ আছে । দিদিকে তো তুমি ভয়ে কিছু বলবে না । হুম দিদিকে আমি ভালো করে চিনি তিনি যখন একবার বলেছেন , আমাকে আমেরিকায় নিয়ে যেয়ে চিকিৎসা করানোর কথা আমি না যাওয়া পযন্ত তিনি কোনো ভাবেই থামবে না । আমি দিদিকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কাজ হবে না । নাস্তা টা শেষ কর তারপর চলো তোমাকে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যায় । তুমি আজকে কলেজে যাবে নাকি ছায়া ? হ্যা যাবো তো পাসপোর্ট অফিসে থেকে আবার কলেজে যাবো । আবার কলেজে যাওয়ার দরকার কি আজকে ছুটি নিলেই তো পারো । না শুধু শুধু ছুটি কাটানোর কি দরকার আমার । মাঝে মাঝে তো শরীর টাকে একটু বিশ্রাম দিতে পারো এতো পরিশ্রম করার দরকার কি তোমার । তোমার তো কোনো কিছুরই অভাব নেই । শিক্ষকতা করতে আমি উপভোগ করি । তুমি কি ভেবেছো আমি টাকার জন্য শিক্ষকতা করি মোটেও নয় । না আমার কথার মানে এটা বুঝতে চায় নি শুধু তোমার শরীরের প্রতি একটু খেয়াল রাখতে বলেছি । আমি আমার শরীরের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখি এই নিয়ে তোমার দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই । তোমার যদি সমস্যা না থাকে তাহলে তো আমারও কোনো সমস্যা নাই । দিদিমণি খিচুড়ি রান্না করা হয়ে গেছে । তোমাদের খেতে দিবো ? হ্যা ডাইনিং টেবিলে দে আমরা আসছি । মাহীনের তো আজকে কলেজ আছে সুপ্রিয়া মাহীনকে ডাক দে তো এখনও ঘুমায় ছেলেটা । সুপ্রিয়া মাহীনের দরজা কাছে গিয়ে নক করলো, মাহীন দাদা ভাই উঠুন আপনার না কলেজ আছে । মাহীনের ঘুম ভেঙ্গে গেলো সুপ্রিয়ার ডাকে । হুম দিদি আমার আমি উঠেছি । ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসছেন দাদা আমি আপনাকে খাবার দিসছি । আচ্ছা দিদি তুমি যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি । মাহীন বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লো ।