05-09-2023, 12:40 PM
(This post was last modified: 02-11-2023, 09:22 PM by Rupuk 8. Edited 7 times in total. Edited 7 times in total.)
পর্ব -১১
ছায়া আর শমিক বাবু ক্লিনিক থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে বসলো । দেখলে তো তুমি তো ডাক্তারের কাছেই আসতে চাচ্ছিলে না । কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি টা ছায়ার বাসার সামনে এসে পড়লো। গাড়ি থেকে নেমে ছায়া আর শমিক সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো । তিন তলায় উঠে বাসার দরজার লক খুলে ভিতরে ঢুকলো তারা দুজনে । কি বেপার ছায়া এতো রাত হয়ে গেছে তারপরও মাহীন এখনও ফেরেনি ? এই আর নতুন কি ও তো প্রায় এমন করে । তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি । সিসা বার থেকে ওরা সবাই বের হয়ে আসলো । আবির আর রনি যা তাহলে কালকে আবার দেখা হবে । আচ্ছা ঠিক ভাই ভালোভাবে যাও তোমরা দুজন । মাহীন অভির বাইকে উঠে বসলো । অভি একটু তাড়াতাড়ি যা এমনিতেই অনেক লেট হয়ে গেছে । প্যারা নিস না ১০ মিনিটের মধ্যে তুই তোর বাসার নিচে থাকবি । খানিকক্ষণ পর মাহীন তার বিল্ডিংয়ের নিচে চলে আসলো । বাসায় যা তাহলে ভাই কালকে আবার দেখা হবে । সাবধানে যাস অভি । আচ্ছা ঠিক আছে ভাই । বিল্ডিংয়ে ঢুকে মাহীন দ্রুত গতিতে সিড়ি বেয়ে তিন তলায় উঠে বাসার কলিংবেলে টিপ দিলো । কিছুক্ষণ পর ছায়া দরজা খুলে দিলো । ছায়া ক্লিনিক থেকে বাসায় আসার অনেকক্ষণ পর মাহীন বাসায় আসলো । ছায়া রাগ করে মাহীনের সাথে কোনো কথা বললো না । মাহীন তার রুমে ঢুকে পড়লো । মাহীনের রুমের দরজার কাছে গিয়ে ছায়া বললো মাহীন ডাইনিং টেবিলে খাবার রাখা আছে খেয়ে নিও । আচ্ছা কাকিমা রুম থেকে মাহীন জবাব দিলো । ছায়া তার রুমে ঢুকলো ঘুমানোর জন্য বিছানার উপর বসতেই তার ফোন অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো । ছায়া কল টা কেটে দিলো রিসিভ না করে । বার বার কল আসতে লাগলো আর ছায়া রিসিভ না করে কেটে দিতে লাগলো । কি বেপার ছায়া কল টা রিসিভ না করে বার বার কেটে দিচ্ছো কেনো ? কে না কে কল করছে এই রাতের বেলা সবার কল যে রিসিভ করা লাগবে এমন তো কোনো কথা নেই । তারপরও তো জরুরি কোনো কলও তো হতে পারে । কে না কে কল এটা নিয়ে মাথা ঘামানো বাদ দিয়ে এবার ঘুমাও । এবার শমিক বাবুর ফোনে কল আসলো । ফোন টা হাতে নিয়ে শমিক বাবু ফোনের স্কিনে নাম দেখলো তার বড় দিদি আলিয়া কল করছে । হ্যালো দিদি কেমন আছেন ? আমি তো ভালোই আসি তোর কি খবর সেটা বল । আমি তো ভালো আসি দিদি । জামাইবাবু আর মিমি কেমন আছে ? ওরা ভালোই আছে । বিকেলে ছায়া বললো আজকে নাকি তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। ডাক্তার কি বললো ? টেনশনের কোনো কিছু নাই । তুই ফোন টা ছায়াকে দে । হ্যালো দিদি । হ্যা ছায়া । ডাক্তার কি বললো ? ডাক্তার তো বললো যতো দ্রুত সম্ভব হার্টের ডাক্তার দেখান । হার্ট অ্যাটাক মতো তো কিছু ঘটে যেতো আপনি যদি তাকে না নিয়ে
আসতেন ।এখন টেনশনের কিছু নাই হার্টে ব্লক যদি হয়ে থাকে তাহলে রিন পড়াতে হতে
পারে । ছায়া তুমি তাহলে শমিককে নিয়ে আমার এখানে চলে আসো , এখানে অনেক ভালো বড় বড় ডাক্তার আছে তাদের কাছে শমিককে দেখায় ।দিদি আপনি আপনার ভাইয়ের সাথে কথা বলে বোঝান আমার তো, ওকে নিয়ে যেতে কোনো সমস্যা নাই । আচ্ছা তুমি শমিককে ফোন টা দাও । হ্যা দিদি বললো । শমিক তুই আমার এখানে চলে আয় এখানে অনেক ভালো বড় বড় ডাক্তার আছে, দিদি বিজনেস ছেড়ে এখন তোমার ওখানে যেয়ে বসে থাকবো । ম্যানেজার বাবু তো আছেনই সব কিছু দেখাশোনা করার জন্য । তুই আর দেরি করিস না কালকেই তোর আর ছায়ার এখানে আসার জন্য ভিসার অ্যাপ্লিকেশন করে ফেল । এতো তাড়াহুড়া করলে হবে দিদি, আমেরিকা তো আর পাশের পাড়া না যে বললা আর চলে গেলাম । তুই ইমারজেন্সি ভিসার অ্যাপ্লিকেশন কর । আমার তো পাসপোর্ট করা আছে তাও ছায়া তো পাসপোর্টও করা লাগবে । যা করার তাড়াতাড়ি কর এসব রোগ ভালো না, তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করতে হবে । ছায়াকে দে একটু । হ্যা দিদি বলেন । ছায়া শমিকের সাথে আমার কথা হলো ও আমেরিকায় আসতে রাজি হয়েছে । তুমি তোমার পাসপোর্ট টা করে ফেলো দ্রুত । জ্বি দিদি কালকেই আমি পাসপোর্ট জন্য অ্যাপ্লিকেশন করবো ৷ ছায়া তোমাদের ওখানে তো এখন অনেক রাত শমিকের এতো রাত জাগা ঠিক হবে না ঘুমিয়ে পড়ো তোমরা পরে আবার কথা হবে । আচ্ছা ঠিক আছে দিদি । শুধু শুধু আমেরিকায় যেয়ে চিকিৎসা করানোর কোনো দরকার আছে বলতো ছায়া । দেশে তো কত ভালো ডাক্তার আছে । দিদি চাচ্ছে তোমাকে নিয়ে ওখানে চিকিৎসা করানোর জন্য এখানে আমি কি বলবো বলো । তুমি আর দিদি একই । অনেক রাত হলো ঘুমিয়ে পড়ো তোমার জন্য বেশি রাত জাগা ঠিক না ।
ছায়া আর শমিক বাবু ক্লিনিক থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে বসলো । দেখলে তো তুমি তো ডাক্তারের কাছেই আসতে চাচ্ছিলে না । কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি টা ছায়ার বাসার সামনে এসে পড়লো। গাড়ি থেকে নেমে ছায়া আর শমিক সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো । তিন তলায় উঠে বাসার দরজার লক খুলে ভিতরে ঢুকলো তারা দুজনে । কি বেপার ছায়া এতো রাত হয়ে গেছে তারপরও মাহীন এখনও ফেরেনি ? এই আর নতুন কি ও তো প্রায় এমন করে । তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি । সিসা বার থেকে ওরা সবাই বের হয়ে আসলো । আবির আর রনি যা তাহলে কালকে আবার দেখা হবে । আচ্ছা ঠিক ভাই ভালোভাবে যাও তোমরা দুজন । মাহীন অভির বাইকে উঠে বসলো । অভি একটু তাড়াতাড়ি যা এমনিতেই অনেক লেট হয়ে গেছে । প্যারা নিস না ১০ মিনিটের মধ্যে তুই তোর বাসার নিচে থাকবি । খানিকক্ষণ পর মাহীন তার বিল্ডিংয়ের নিচে চলে আসলো । বাসায় যা তাহলে ভাই কালকে আবার দেখা হবে । সাবধানে যাস অভি । আচ্ছা ঠিক আছে ভাই । বিল্ডিংয়ে ঢুকে মাহীন দ্রুত গতিতে সিড়ি বেয়ে তিন তলায় উঠে বাসার কলিংবেলে টিপ দিলো । কিছুক্ষণ পর ছায়া দরজা খুলে দিলো । ছায়া ক্লিনিক থেকে বাসায় আসার অনেকক্ষণ পর মাহীন বাসায় আসলো । ছায়া রাগ করে মাহীনের সাথে কোনো কথা বললো না । মাহীন তার রুমে ঢুকে পড়লো । মাহীনের রুমের দরজার কাছে গিয়ে ছায়া বললো মাহীন ডাইনিং টেবিলে খাবার রাখা আছে খেয়ে নিও । আচ্ছা কাকিমা রুম থেকে মাহীন জবাব দিলো । ছায়া তার রুমে ঢুকলো ঘুমানোর জন্য বিছানার উপর বসতেই তার ফোন অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো । ছায়া কল টা কেটে দিলো রিসিভ না করে । বার বার কল আসতে লাগলো আর ছায়া রিসিভ না করে কেটে দিতে লাগলো । কি বেপার ছায়া কল টা রিসিভ না করে বার বার কেটে দিচ্ছো কেনো ? কে না কে কল করছে এই রাতের বেলা সবার কল যে রিসিভ করা লাগবে এমন তো কোনো কথা নেই । তারপরও তো জরুরি কোনো কলও তো হতে পারে । কে না কে কল এটা নিয়ে মাথা ঘামানো বাদ দিয়ে এবার ঘুমাও । এবার শমিক বাবুর ফোনে কল আসলো । ফোন টা হাতে নিয়ে শমিক বাবু ফোনের স্কিনে নাম দেখলো তার বড় দিদি আলিয়া কল করছে । হ্যালো দিদি কেমন আছেন ? আমি তো ভালোই আসি তোর কি খবর সেটা বল । আমি তো ভালো আসি দিদি । জামাইবাবু আর মিমি কেমন আছে ? ওরা ভালোই আছে । বিকেলে ছায়া বললো আজকে নাকি তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। ডাক্তার কি বললো ? টেনশনের কোনো কিছু নাই । তুই ফোন টা ছায়াকে দে । হ্যালো দিদি । হ্যা ছায়া । ডাক্তার কি বললো ? ডাক্তার তো বললো যতো দ্রুত সম্ভব হার্টের ডাক্তার দেখান । হার্ট অ্যাটাক মতো তো কিছু ঘটে যেতো আপনি যদি তাকে না নিয়ে
আসতেন ।এখন টেনশনের কিছু নাই হার্টে ব্লক যদি হয়ে থাকে তাহলে রিন পড়াতে হতে
পারে । ছায়া তুমি তাহলে শমিককে নিয়ে আমার এখানে চলে আসো , এখানে অনেক ভালো বড় বড় ডাক্তার আছে তাদের কাছে শমিককে দেখায় ।দিদি আপনি আপনার ভাইয়ের সাথে কথা বলে বোঝান আমার তো, ওকে নিয়ে যেতে কোনো সমস্যা নাই । আচ্ছা তুমি শমিককে ফোন টা দাও । হ্যা দিদি বললো । শমিক তুই আমার এখানে চলে আয় এখানে অনেক ভালো বড় বড় ডাক্তার আছে, দিদি বিজনেস ছেড়ে এখন তোমার ওখানে যেয়ে বসে থাকবো । ম্যানেজার বাবু তো আছেনই সব কিছু দেখাশোনা করার জন্য । তুই আর দেরি করিস না কালকেই তোর আর ছায়ার এখানে আসার জন্য ভিসার অ্যাপ্লিকেশন করে ফেল । এতো তাড়াহুড়া করলে হবে দিদি, আমেরিকা তো আর পাশের পাড়া না যে বললা আর চলে গেলাম । তুই ইমারজেন্সি ভিসার অ্যাপ্লিকেশন কর । আমার তো পাসপোর্ট করা আছে তাও ছায়া তো পাসপোর্টও করা লাগবে । যা করার তাড়াতাড়ি কর এসব রোগ ভালো না, তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করতে হবে । ছায়াকে দে একটু । হ্যা দিদি বলেন । ছায়া শমিকের সাথে আমার কথা হলো ও আমেরিকায় আসতে রাজি হয়েছে । তুমি তোমার পাসপোর্ট টা করে ফেলো দ্রুত । জ্বি দিদি কালকেই আমি পাসপোর্ট জন্য অ্যাপ্লিকেশন করবো ৷ ছায়া তোমাদের ওখানে তো এখন অনেক রাত শমিকের এতো রাত জাগা ঠিক হবে না ঘুমিয়ে পড়ো তোমরা পরে আবার কথা হবে । আচ্ছা ঠিক আছে দিদি । শুধু শুধু আমেরিকায় যেয়ে চিকিৎসা করানোর কোনো দরকার আছে বলতো ছায়া । দেশে তো কত ভালো ডাক্তার আছে । দিদি চাচ্ছে তোমাকে নিয়ে ওখানে চিকিৎসা করানোর জন্য এখানে আমি কি বলবো বলো । তুমি আর দিদি একই । অনেক রাত হলো ঘুমিয়ে পড়ো তোমার জন্য বেশি রাত জাগা ঠিক না ।